বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নাকের রেকর্ডটি তুর্কির মেহমেত ওজিইউরেকের। ২০১০ সালে প্রথম গিনেস বুকে নাম লেখান ৭১ বছর বয়সী মেহমেত। তবে এখন পর্যন্ত লম্বা নাকের জীবিত...
টানা দ্বিতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় গমের ফলন ভালো হয়েছে। দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বড় একটি অংশ উদ্বৃত্ত থাকবে। ফলে বিশ্ববাজারে রেকর্ড পরিমাণ গম রফতানির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে ওশেনিয়া...
ইউক্রেনে চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য রফতানির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ২০২১-২২ মৌসুমের এখন পর্যন্ত দেশটি ১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টন খাদশস্য রফতানি করে। গত...
চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর সংকট সত্ত্বেও ধান, চাল, মাছ, মাংস, সবজি, ফলমূলসহ বিভিন্ন রকম খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের আমদানি। তারপরও কমছে না চালের দাম।...
চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর সংকট সত্ত্বেও ধান, চাল, মাছ, মাংস, সবজি, ফলমূলসহ বিভিন্ন রকম খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের আমদানি। তারপরও কমছে না চালের দাম।...
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এতে ঈদের ছুটির পর প্রায় সব শিল্পকারখানা বন্ধ রয়েছে। তারপরও চলতি জুলাই মাসে পণ্য রপ্তানিতে রেকর্ড হতে যাচ্ছে।...
দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ খরার সম্মুখীন হয়েছে। পানি সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে এসব দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদন। এ অঞ্চলে খরার কারণে খাদ্যশস্যের মাসভিত্তিক বৈশ্বিক উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় বৈশ্বিক উৎপাদন রেকর্ড সর্বোচ্চ বাড়বে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি)। প্রতি মাসে বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের উৎপাদন, বাণিজ্য, ব্যবহার, মজুদ ও রফতানিসংবলিত প্রাক্কলন প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইজিসি। সম্প্রতি চলতি মাসের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে ২০২১-২২ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন বেড়ে ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টনে উন্নীত হবে বলে জানানো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন বাড়বে ৪ শতাংশ। ২০২০ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২২১ কোটি ৩০ লাখ টন। তবে আগের মাসের প্রাক্কলনের তুলনায় নতুন প্রাক্কলনে বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন ৬০ লাখ টন কমতে পারে। জুনে প্রাক্কলিত উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৩০ কোটি ১০ লাখ টন। খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাজার নিয়ে বৃহস্পতিবার আইজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, চলতি মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন গত তিন বছরের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রাখবে ভুট্টা। চলতি মৌসুমে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন গত মৌসুমের তুলনায় ৭ কোটি ৪০ লাখ টন বাড়বে। অন্যদিকে এ মৌসুমে গমের বৈশ্বিক উৎপাদন ৭৮ কোটি ৮০ লাখ টনের রেকর্ড স্পর্শ করতে পারে। অন্যদিকে খাদ্যশস্যের ব্যবহার গত মৌসুমের তুলনায় ৩ শতাংশ বেড়ে ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টনে উন্নীত হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে আগের প্রাক্কলনের তুলনায় ব্যবহার ৪ শতাংশ কমতে পারে। জুনে বিশ্বজুড়ে ২২৯ কোটি ৯০ লাখ টন খাদ্যশস্য ব্যবহারের প্রাক্কলন করা হয়েছিল। আইজিসি জানায়, গবাদি পশুর খাদ্য উৎপাদনে খাদ্যশস্যের ব্যবহার প্রত্যাশার তুলনায় কমেছে। মূলত এ কারণেই নতুন প্রাক্কলনে ব্যবহার হ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে ২০২১-২২ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক মজুদ প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। এ সময় মোট মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৯ কোটি ৪০ লাখ টনে। গত মৌসুমে মজুদ করা হয়েছিল ৫৯ কোটি ৩০ লাখ টন। তবে আগের প্রাক্কলনের তুলনায় মজুদ কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আইজিসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্কলন অনুযায়ী, আগের প্রাক্কলনের তুলনায় খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য বাড়বে। মূলত চীনের বাজারে রেকর্ড সর্বোচ্চ যব আমদানি বিশ্ববাণিজ্যকে চাঙ্গা রাখবে। তবে উৎপাদন বাড়লেও গত মৌসুমের তুলনায় খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য থাকবে নিম্নমুখী। এ মৌসুমে বাণিজ্য ২ শতাংশ কমে ৪১ কোটি ৯০ লাখ টনে নেমে আসতে পারে। ২০২১-২২ মৌসুমে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি ৬০ লাখ টন। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে বৈশ্বিক সয়াবিন উৎপাদনের পরিমাণ জুনের প্রাক্কলনের তুলনায় ১ শতাংশ কমিয়ে এনেছে আইজিসি। ২০২১-২২ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ৩৮ কোটি ২০ লাখ টন সয়াবিন উৎপাদিত হবে। তবে গত বছরের তুলনায় কৃষিপণ্যটির উৎপাদন ১ কোটি ৯০ লাখ টন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় কৃষিপণ্যটির বাণিজ্য ৪ শতাংশ কমে আসবে। এদিকে বিশ্বব্যাপী চালের উৎপাদন দাঁড়াবে ৫১ কোটি ১১ লাখ টন। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন বাড়লেও জুনের প্রাক্কলনের তুলনায় উৎপাদন হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছে আইজিসি।
২০২০-২১ মৌসুমে ভারতে ৩০ কোটি ৫৪ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হবে। গত বছর দেশটি রেকর্ড সর্বোচ্চ পরিমাণ খাদ্যশস্যের আবাদ করেছিল। চলতি বছর ওই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যাবে ২০২০-২১ মৌসুমের উৎপাদন। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন ৮০ লাখ টন বাড়বে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, শুষ্ক শস্য, চাল, গম ও ভুট্টা খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদন বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখবে। ২০২১-২২ মৌসুমে ভারতে ১২ কোটি ১০ লাখ টন চাল উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। বর্ষা মৌসুমে দেশটিতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। ফলে চাল উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু ইউএসডিএ বলছে, প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও ভারতের চাল উৎপাদনে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি আসবে। ২০২০-২১ মৌসুমে ভারত ১ কোটি ৯০ লাখ টন চাল রফতানি করতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছে ইউএসডিএ। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ মৌসুমে স্থানীয় বাজারে চালের সরবরাহ সংকুচিত থাকবে। পাশাপাশি ধানের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে চালের দামও থাকবে চড়া। এসব কারণে ২০২১-২২ মৌসুমে দেশটির চাল রফতানি কমে ১ কোটি ৫৫ লাখ টনে নেমে আসতে পারে। ভারত ২০২০-২১ মৌসুমে ১০ কোটি ৭৯ লাখ টন গম উৎপাদন করবে। তবে কম বৃষ্টিপাত ও প্রতিকূল আবহাওয়া ২০২১-২২ মৌসুমে দেশটির গম আবাদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ সময় ভারতের গম উৎপাদন কমে ৯ কোটি ৮০ লাখ অথবা ১০ কোটি ৫০ লাখ টনে নেমে আসবে। ইউএসডিএ জানায়, আবাদকালীন সময়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তাপদাহের কারণে উৎপাদনের প্রাক্কলন কমিয়ে আনা হয়েছে। এ সময় সেচ সংকট দেশটির গম উৎপাদনকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলবে। তবে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন কমলেও তা রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। এদিকে আবাদ ও উৎপাদনে একের পর এক প্রবৃদ্ধি আসায় ভারতের গমের মজুদ ফুলেফেঁপে উঠেছে। ইউএসডিএ জানায়, ২০২০-২১ মৌসুমের শুরু থেকে ১ জুন পর্যন্ত দেশটির গমের মজুদ দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ টনে। বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, মোট মজুদের মধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টন গম একরকম উন্মুক্তভাবেই মজুদ করা হয়েছে। নামমাত্র কাঠ ও প্লাস্টিকের সিট দিয়ে তৈরি অবকাঠামোয় এসব গম স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এতে এসব গম নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে এসব গমের সুরক্ষা নিশ্চিত ও স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি ২০২১-২২ মৌসুমে উৎপাদিত চালের মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর দাবি উঠেছে। ইউএসডিএ আরো জানায়, ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রামের আওতায় ভারতে প্রতি মাসে ২২ লাখ টন গমের মজুদ উন্মুক্ত করছে। এছাড়া দেশীয় মজুদ থেকে কভিড-১৯ রিলিফ প্রোগ্রামের আওতায় ৮০ লাখ টন করে গম উন্মুক্ত করা হবে। অন্যদিকে বেসরকারি মিলারদের জন্য ৭৫ লাখ টন গম সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারত সরকারের।
চলতি বছর বোরো উৎপাদনে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। এবার বোরো উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৫০৮ টন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। এছাড়া বিগত...
চলতি বাজারবর্ষে রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টা উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরপর দ্বিতীয়বার দেশটিতে ভুট্টার উচ্চফলনের কারণে এমন সম্ভাবনা দেখছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল...
সর্বশেষ মন্তব্য