আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

​একটানা বসে কাজ করলে যেসব ক্ষতি হতে পারে

অফিসে কাজের জন্য অনেককেই দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে থাকতে হয়। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, অনেকক্ষণ বসে থাকা শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর? আসলে আমরা অনেকে ভাবতেই পারি না যে, বসে থাকার মতো নির্দোষ একটি কাজের মধ্যেও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতির কারণ রয়েছে। স্বাস্থ্য গবেষকরা বলছেন, একটানা অনেকক্ষণ বসে বা শুয়ে থাকলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কোলন ক্যানস্যার এবং অগ্ন্যাশয়ের সমস্যার মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা মাথাচাড়া দেয়।

শরীরে চর্বি জমে

দীর্ঘ সময় ধরে অফিসের টেবিলে বসে থাকার কারনে শরীরে চর্বি জমতে পারে। একটি সমীক্ষা বলছে যে, যারা দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকেন এবং যারা অফিসে টেবিলে কাজ করে থাকে,তারাই খুব দ্রুত পেটের চর্বি বাড়ার অভিযোগ করে। এর কারণ,বসে থাকার সময় শারীরিক বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে ক্যালোরি বার্ন কমে যায় এবং বেশিক্ষণ বসে থাকলে আপনার কোমরের চারপাশে চর্বি জমা সহজ হয়ে ওঠে। সকলেরই জানা,অতিরিক্ত চর্বি জমাটা শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর।

ব্লাড সুগার বাড়ে

বিশেষজ্ঞ মতে,দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারনে প্যানক্রিয়াসে উৎপাদিত ইন্সুলিন লেভেলের অসামঞ্জস্যতা দেখা দিতে পারে। ফলে শরীরের ব্লাড সুগার বেড়ে যায়। আর সুগার বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার আরো একটি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হলো মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি। যখন কোনো ব্যক্তি দীর্ঘ সময় বসে থাকেন তখন মস্তিষ্কে রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে মনে রাখার ক্ষমতা কমতে থাকে। এমনকি এটি আমাদের অবসাদেরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

হৃদরোগজনিত রোগ হতে পারে

টানা বসে থাকলে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। দেহের ফ্যাটি অ্যাসিডগুলো সহজেই হার্ট ব্লক করতে সক্ষম হয়। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে উচ্চ রক্তচাপেরও। তাই যারা কম সময় বসে কাটান, তাদের হার্টের সমস্যা তুলনামূলক কম। দীর্ঘ সময় বসে কাটানো মানুষের হৃদরোগজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণের বেশি। এমনই দাবি করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

পায়ের সমস্যা

টানা বসে থাকলে রক্ত সঞ্চালন বাধা পায়। ফলে গোড়ালি ফুলে ওঠার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী শিরাতেও রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

মস্তিষ্কে সমস্যা

মস্তিষ্কের মাধ্যমে তরতাজা রক্ত ও অক্সিজেনকে পেশীগুলো পাম্প করে। এরফলে মাথার সব ধরণের ক্রিয়া সচল থাকে। কিন্তু অনেকক্ষণ একভাবে বসে থাকলে মস্তিষ্কের সকল ক্রিয়া খুব ধীর মন্থর হয়ে যায়।

মেরুদণ্ডের ওপর চাপ পড়ে

আমরা যখন টানা সময় বসে থাকি, তখন তা মেরুদণ্ডের ওপর চাপ ফেলে। চাপ পড়ে মেরুদন্ডের পাশে থাকা বিভিন্ন মাংসপেশী ও লিগামেন্টের ওপর। একটা সময় মেরুদণ্ডের ভেতর থেকে শরীরের বিভিন্ন নার্ভের ওপর চাপ দেয়। সেই থেকে শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা। চাপের তারতম্য বা তীব্রতার ওপর ব্যথার ধরণ নির্ভর করে। চাপ যত বেশি হবে, ব্যথার তীব্রতাও তত বেশি হবে। সেই ব্যথা ছড়িয়ে পড়বে কোমরে। একটানা বসে থাকার ফলে আমাদের দেহের নিচের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোতে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় না। এতে করে সমস্যা শুরু হয় নানা অঙ্গে।

সামনের দিকে কখনই ঝুঁকে বসবেন না।কাঁধ শিথিল রাখুন। কোমর সোজা রেখে বসুন।পা সমতলে তোলে রাখুন। ৩০ মিনিট পরপর উঠে, একটু হাঁটাচলা করে নিন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com