আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

হেপাটাইটিস সি ভাইরাস নিয়ে যেসব তথ্য জেনে রাখা ভালো

প্রথম দিকে শনাক্ত হলে মুখে খাওয়া ওষুধের মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি ভালো হয়ে যায়
প্রথম দিকে শনাক্ত হলে মুখে খাওয়া ওষুধের মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি ভালো হয়ে যায়

হেপাটাইটিস সি ভাইরাস শনাক্ত এবং নিরাময় কৌশল আবিষ্কারের জন্য এই বছর চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভি জে অল্টার ও চার্লস এম রাইস এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল হগটন।

পৃথিবীতে বর্তমানে সাত কোটি ১০ লাখের বেশি হেপাটাইটিস সি রোগী রয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধারণা করছে।

স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা অনুযায়ী, ২০১৬ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রায় চার লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ঠিক সময়ে শনাক্ত এবং চিকিৎসা না হলে লিভার সিরোসিস এবং ক্যান্সার হতে পারে।

এখনো হেপাটাইটিস-সির কোন টীকা আবিষ্কার হয়নি।

এতটা কেন ছড়াচ্ছে হেপাটাইটিস?

বাংলাদেশে হেপাটাইটিস- সি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে দেখা যায়, বাংলাদেশে হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসে প্রায় এক কোটি মানুষ আক্রান্ত। বেসরকারি হিসেবে হেপাটাইটিসে প্রতি বছর ২২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বাংলাদেশে।

ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে শুধুমাত্র হেপাটাইটিস সি-তে কতো মানুষ আক্রান্ত তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশটিতে অন্তত এক শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস সিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।”

সেই হিসাবে বাংলাদেশে এই রোগে আক্রান্ত অন্তত ১৬ লাখ মানুষ।

”এই রোগের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এটির লক্ষণ উপসর্গ খুব কম, তাই এতে আক্রান্ত হলেও সহজে ধরা পড়ে না। দীর্ঘদিন ধরে এটা শরীরের ভেতরে নীরবে থেকে যায়, সেটাই এই ভাইরাসের সবচেয়ে মারাত্মক দিক। রোগী কিছু বুঝতেই পারেন না। আস্তে আস্তে সেটা লিভারের ক্ষতি করতে শুরু করে। ফলে একসময় লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সার তৈরি হয়।”

”ফলে বাংলাদেশে যেটা দেখা যায়, রোগীদের রোগটি এমন সময়ে শনাক্ত হয়েছে, যখন অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছে।” তিনি বলছেন।

বাংলাদেশে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়ে বছরে ২২ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যু ঘটছে
বাংলাদেশে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়ে বছরে ২২ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যু ঘটছে

হেপাটাইটিস সিতে কীভাবে মানুষ আক্রান্ত হয়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত এটা রক্ত এবং রক্তের উপাদান বাহিত হয়ে মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম বলছেন, রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে অনেক সময় হেপাটাইটিস-সিতে আক্রান্ত হতে পারেন। ফলে এখন রক্ত দেয়ার সময় হেপাটাইটিস বি, সি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

”অনেক সময়েই আগে কোন লক্ষণ-উপসর্গ দেখা যায় না। কিন্তু রক্ত পরীক্ষার পরেই হেপাটাইটিস-সি ধরা পড়ে।” তিনি বলছেন।

যেভাবে হেপাটাইটিস সি-তে আক্রান্ত হতে পারেন:

  • স্ক্রিনিং ছাড়া রক্ত-রক্তজাত সামগ্রী পরিসঞ্চালন
  • একই ইনজেকশন বহুবার ব্যবহার প্লাজমা
  • সার্জারির সময়
  • নাক-কান ছিদ্র করার সময়েও রক্তের সংস্পর্শে এসে ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
  • মাদক নেয়া
  • অরক্ষিত যৌনমিলন
  • সমকামিতা
  • শিশুর জন্মের সময় মায়ের হেপাটাইটিস থাকা
  • এইচআইভির রোগী
  • কারাগারে থাকা ব্যক্তিরা
  • ট্যাটু করার মাধ্যমে

বিশ্বে এখন মদ্যপান জনিত কারণের পরেই হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের কারণে লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেশি ঘটছে।

অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম বলছেন, ”বি ও সি ভাইরাস রক্তে সংক্রমণের পর একটা উইন্ডো পিরিয়ড থাকে ২ থেকে ৬ মাস। এ সময়ে সাধারণ রক্ত পরীক্ষায় এ ভাইরাস ধরা পড়ে না। এ সময় কেউ যদি রক্ত আদান-প্রদান করেন তাহলে অগোচরেই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে পড়ে। এটি নিরূপণে ডিএনএ ভাইরাল মার্কার বা এইচভিসি টোটাল টেস্ট প্রয়োজন হয়। এটা একটা প্রাণঘাতী রোগ যা নির্মূল করতে চাইলে নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের কোনো বিকল্প কোনো কিছু নেই।”

বাংলাদেশে হেপাটাইটিসে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ ঝাড়ফুঁক, পানি পড়া, ডাব পড়া নেয়ার মতো কবিরাজি চিকিৎসার দ্বারস্থ হন
বাংলাদেশে হেপাটাইটিসে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ ঝাড়ফুঁক, পানি পড়া, ডাব পড়া নেয়ার মতো কবিরাজি চিকিৎসার দ্বারস্থ হন

হেপাটাইটিস সি’র লক্ষণ ও উপসর্গ

হেপাটাইটিস সিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোন উপসর্গ দেখা দেয় না। অনেক সময় লক্ষণ বুঝতে আট-দশ বছর পার হয়ে যায়। ততদিনে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়।

তবে যেসব উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই অন্যান্য পরীক্ষার পাশাপাশি হেপাটাইটিস পরীক্ষা করাতে হবে, সেগুলো হলো:

  • জ্বর
  • দুর্বলতা ও অবসাদ
  • খাবারে অরুচি
  • বমিবমি ভাব
  • ক্লান্তি বোধ হওয়া
  • জন্ডিস হওয়া, পেটে পানি আসা
২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস 'সি আক্রান্ত শনাক্তের হার অন্তত ৮০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস ‘সি আক্রান্ত শনাক্তের হার অন্তত ৮০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

হেপাটাইটিস সি’র চিকিৎসা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় অনেকে এমনিতেও সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে অনেক দিন আক্রান্ত থাকলে চিকিৎসার দরকার হয়।

ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী, ”ইদানীং হেপাটাইটিস সি রোগের চিকিৎসায় বেশ কিছু ভালো ওষুধ তৈরি হয়েছে। সেগুলো মুখেও খাওয়া যায়। এসব ওষুধ দিয়ে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকরী প্রমাণিত হচ্ছে।”

তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি শনাক্ত হলেও তো খুবই ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এমনকি সিরোসিসের প্রাথমিক দিকেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে বেশি দেরি হয়ে গেলে বা ক্যান্সার হয়ে গেলে তখন এটি আর খুব বেশি কাজ করে না।

তবে এসব ওষুধ বেশ ব্যয়বহুল। যেমন তিনমাসের ওষুধের পেছনে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে লিভার ফাউন্ডেশনের মতো বেশ কিছু সংস্থা সহায়তা করে।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী বলছেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে লিভার-হেপাটাইটিস জাতীয় রোগে জন্ডিস মনে করে অনেকে কবিরাজ, ঝাড়ফুঁক, গ্রাম্য চিকিৎসা করান। এসব কাণ্ডের ফলেও অনেকের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। তারা যখন চিকিৎসকের কাছে আসেন, তখন আর চিকিৎসকদের কিছু করার থাকে না।

হেপাটাইটিস-বির টিকা বেশ কার্যকরী বলে প্রমাণিত হলেও এখনো হেপাটাইটিস-সির কোন টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।

আবার ঢাকার বাইরে বেশিরভাগ জেলাতেই হেপাটাইটিস সি পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা যকৃতের চিকিৎসার ভালো ব্যবস্থা নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের হেপাটাইটিস সি রোগে চিকিৎসার সুযোগ এখনো অনেক সীমিত। বিশ্বের মোট আক্রান্তদের মাত্র ১৯ শতাংশ এখন চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন।

ফলে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার চেয়ে বরং রোগটি প্রতিকারে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী বলছেন, যেহেতু কোন টিকা নেই, তাই ব্যক্তিগত সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম। এজন্য তিনি যেসব পরামর্শ দিচ্ছেন:

  • একই সিরিঞ্জ বারবার ব্যবহার না করা
  • অন্যের ব্যবহার করা কোন সুই ব্যবহার না করা
  • পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বা অচেনা উৎস থেকে রক্ত গ্রহণ না করা
  • যেকোনো সরঞ্জাম ব্যবহার করার সময় সুরক্ষা গ্রহণ করা
  • বছরে অন্তত দুইবার রক্তের পরীক্ষা করা, যাতে আক্রান্ত হলে শুরুতেই চিকিৎসা করা যায়
  • আক্রান্ত হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা
স্ক্রিনিং ছাড়া রক্ত-রক্তজাত সামগ্রী পরিসঞ্চালন করা হলে হেপাটাইটিস সি রোগ হতে পারে
স্ক্রিনিং ছাড়া রক্ত-রক্তজাত সামগ্রী পরিসঞ্চালন করা হলে হেপাটাইটিস সি রোগ হতে পারে

হেপাটাইটিস সি প্রতিরোধে কি করছে বাংলাদেশের সরকার

২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস প্রতিরোধ ও নির্মূলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশকিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের সাবেক পরিচালক ডা: সানিয়া তাহমিনা বিবিসি বাংলাকে বলছেন, হেপাটাইটিস প্রতিরোধে বেশ কিছু কর্মসূচী রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের।

”হেপাটাইটিস বি’র টিকা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু পোলিও বা হামের মতো জাতীয় পর্যায়ে টিকা কার্যক্রমের মতো কোন কর্মসূচী শুরু হয়নি।”

হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসের যেহেতু কোন টিকা এখনো আবিষ্কার হয়নি, তাই এক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধে সতর্কতা এবং নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন এই বিশেষজ্ঞ।

  • স্ক্রিনিং ছাড়া রক্ত-রক্তজাত সামগ্রী পরিসঞ্চালন করা হলে হেপাটাইটিস সি রোগ হতে পারে

    স্ক্রিনিং ছাড়া রক্ত-রক্তজাত সামগ্রী পরিসঞ্চালন করা হলে হেপাটাইটিস সি রোগ হতে পারে

  • ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস 'সি আক্রান্ত শনাক্তের হার অন্তত ৮০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস 'সি আক্রান্ত শনাক্তের হার অন্তত ৮০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

  • বাংলাদেশে হেপাটাইটিসে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ ঝাড়ফুঁক, পানি পড়া, ডাব পড়া নেয়ার মতো কবিরাজি চিকিৎসার দ্বারস্থ হন

    বাংলাদেশে হেপাটাইটিসে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ ঝাড়ফুঁক, পানি পড়া, ডাব পড়া নেয়ার মতো কবিরাজি চিকিৎসার দ্বারস্থ হন

  • বাংলাদেশে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়ে বছরে ২২ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যু ঘটছে

    বাংলাদেশে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়ে বছরে ২২ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যু ঘটছে

  • প্রথম দিকে শনাক্ত হলে মুখে খাওয়া ওষুধের মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি ভালো হয়ে যায়

    প্রথম দিকে শনাক্ত হলে মুখে খাওয়া ওষুধের মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি ভালো হয়ে যায়

  • স্ক্রিনিং ছাড়া রক্ত-রক্তজাত সামগ্রী পরিসঞ্চালন করা হলে হেপাটাইটিস সি রোগ হতে পারে
  • ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস 'সি আক্রান্ত শনাক্তের হার অন্তত ৮০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
  • বাংলাদেশে হেপাটাইটিসে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ ঝাড়ফুঁক, পানি পড়া, ডাব পড়া নেয়ার মতো কবিরাজি চিকিৎসার দ্বারস্থ হন
  • বাংলাদেশে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়ে বছরে ২২ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যু ঘটছে
  • প্রথম দিকে শনাক্ত হলে মুখে খাওয়া ওষুধের মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি ভালো হয়ে যায়
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com