আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

সুস্থ থাকতে মেথি

মেথি আমাদের দেশে বহুল পরিচিত একটি নাম। এটি বিভিন্নভাবে খাওয়ার পাশাপাশি রুপচর্চায়ও ব্যবহৃত হয়ে থাকে এর বিভিন্ন পুষ্টিগুণের জন্য। মেথিকে মসলা, খাদ্য, পথ্য—তিনটিই বলা চলে। আসুন আমরা মেথি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

মেথির পুষ্টিগুণ
মেথিতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ম্যাগনেশিয়াম আছে। এ ছাড়া এতে অল্প পরিমাণে কোলিন, ইনোসিটল, বায়োটিন, বি-ভিটামিনস, জিংক, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ফোলেট, ফসফরাস ছাড়াও আইসোলিউসিন নামক এমাইনো অ্যাসিড আছে।

মেথির ব্যবহার

১.
ওজন কমাতে সাহায্য করে: মেথি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, ফ্যাট মেটাবলিজমে সহায়তা করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে আর হজমে সহায়তা করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
২.
ডায়াবেটিক বা প্রি-ডায়াবেটিক অবস্থায়: মেথি ইনসুলিন হরমোনকে রেগুলেট করে ব্লাড গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে।
৩.
ব্যাড কোলস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডকে কমিয়ে টোটাল লিপিড প্রোফাইলকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৪.
এটি হজমজনিত যেকোনো সমস্যা ঠিক করে। মেটাবলিজম বাড়াতে এবং ইমিউনিটি বুস্ট করতে সহায়তা করে।
৫.
মেথি শরীর থেকে টক্সিন শোষণ করে এবং বের করে দিতে সহায়তা করে।
৬.
ঠান্ডাজনিত যেকোনো সমস্যা, কফ, কাশি দূর করতে সাহায্য করে।
৭.
ব্রেইন ফাংশনে কাজ করে এবং নার্ভ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৮.
চুল ও স্কিন ভালো রাখে। চুল পড়া কমায় ও চুলের গ্রোথ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। স্কিনের গ্লো বাড়ায় এবং ব্রণের ওপর ভালো কাজ করে।
৯.
পেইন ম্যানেজমেন্টে এটি খুবই ভালো কাজ করে। যেকোনো জয়েন্ট পেইন, ব্যাক পেইন, মাসল পুল ইত্যাদিতে খেলে যেমন উপকার পাওয়া যায়, তেমনি যেকোনো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলেও আরাম বোধ হয়।
১০.
পুরুষদের ক্ষেত্রে: নিয়মিত খেলে এটি টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি স্পার্ম কোয়ালিটির সঙ্গে সঙ্গে স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতেও সহায়তা করে।
১১.
নারীদের ক্ষেত্রে: মেথি ইস্ট্রোজেন হরমোনকে ব্ল্যালেন্স করে। PCOD এবং PCOS এ উপকারী। এটি LT ও FSH হরমোন রেগুলেট করে ফার্টিলিটি বাড়াতে সহায়তা করে। পিরিয়ড রেগুলার করে, লেক্টেসন পিরিয়ডে মিল্ক প্রোডাকশন বাড়ায়, UTI এ উপকারী ভূমিকা রাখে।

খাওয়া যাদের জন্য বারণ
গর্ভবতী মা, স্পেশাল মেডিকেশন যেমন-ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিস রোগী, ব্লাড প্রেশার, ব্লাড থিনিং, থাইরয়েড ইস্যু, অ্যাসিড রিফ্লাক্স প্রভৃতি ক্ষেত্রে এড়িয়ে যেতে হবে। বাচ্চা বা ছোটদের সরাসরি খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে।

পরিমাণ:
৩-৫ গ্রাম বা প্রায় এক চা-চামচ পরিমাণ ১৮-২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানি খাওয়া যেতে পারে অথবা গুঁড়া করে ভিজিয়ে সেই পানি খাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে সর্বোচ্চ পুষ্টি পেতে গুঁড়া করার সময় না ভেজে নেওয়াই ভালো। এ ছাড়া বিভিন্ন তরকারিতে দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়, স্প্রাউট করে খেলে বেশি পুষ্টি পাওয়া যাবে। মেথির শাক খাওয়াও অনেক উপকারী।
*লেখক: পুষ্টিবিদ, এসথেটিক স্কিন ক্লিনিক, পান্থপথ

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com