আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

সাদা পাউরুটির ক্ষতিকর দিক

সাদা পাউরুটি অতিরিক্ত খেলে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সকালের নাস্তায় পাউরুটির বিশেষ অবস্থান আছে। আবার ব্যস্ত কর্মজীবীদের জন্য সকালের নাস্তায় পাউরুটি জীবনটাকে যেন ক্ষণিকের জন্য সহজ করে দেয়। অনেকে আবার দুপুরের খাবারটাও চা পাউরুটি কিংবা কলা পাউরুটি দিয়েই সেরে ফেলেন। সহজলভ্য এই খাবারটি খেতেও সুস্বাদু।

সব মিলিয়ে পাউরুটি ও এই ধরনের খাবার অনেকের খাদ্যাভ্যাসের সাধারণ উপাদান। তবে সমস্যা হল এই খাবারটির আছে বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক।

খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হল বিস্তারিত।

কোষ্ঠকাঠিন্য: অসংখ্য বেকারিজাত খাবারের মতো পাউরুটিও তৈরি হয় প্রক্রিয়াজাত শষ্য থেকে। একটি শষ্য প্রক্রিয়াজাত করা মানে হল তা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ‘ব্র্যান’ আর ‘জার্ম’ দুটোই। ‘ব্র্যান’ হলো যেকোনো শষ্যের ভোজ্য আঁশ সরবরাহকারী অংশ আর এখানেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে পাউরুটির সম্পর্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ সিডনি গ্রিন বলেন, “গমে থাকা ভোজ্য আঁশ হল অদ্রাব্য, অর্থাৎ তা মানুষের হজমতন্ত্র দিয়ে পার হওয়ার সময় তা কোথাও শোষিত হয় না এবং ভাঙেও না। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য এই ‘ব্র্যান’ উপকারী। কারণ এটি মলের ওজন বাড়ায়, যে কারণে মল অপসারণ সহজ হয়। আবার সময়ও কম লাগে। তাই এই ‘ব্র্যান’ যদি আপনার খাদ্যাভ্যাসে থাকা শষ্য উপাদানে অনুপস্থিত হয় তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেওয়া এবং তার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি ‍আছে।”

রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি: পাউরুটি, ‘ক্রসোঁয়া’, ‘পেস্ট্রি’ সবগুলোরই ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মাত্রা বেশি। অর্থাৎ এরা দ্রুত শর্করা নিঃসরণ করে ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মাত্রা যেসব খাবারের কম, সেগুলো শর্করা নিঃসরণ করে ধীর গতিতে, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য পাউরুটি খাওয়া মারাত্মক হতে পারে।

কারণ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ‘হাইপারগ্লাইসেমিক স্টেট’ দেখা দিতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা যতক্ষণ বেশি থাকবে, ততক্ষণই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে থাকবে। যা ডেকে আনবে হৃদরোগ, স্নায়বিক ও বৃক্কের সমস্যার মতো দূরারোগ্য ব্যাধি।

অস্বাস্থ্যকর ওজন: অতিরিক্ত পাউরুটি খাওয়ার আরেকটি ক্ষতিকর দিক হল নিজের অজান্তেই বেশি খেয়ে ফেলতে পারেন। যেসব খাবারের ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মাত্রা বেশি, সেগুলো ক্ষুধা বাড়ায়। যে কারণে প্রয়োজনের বেশি খাওয়া হয়ে যেতে পারে, ফলে বাড়তে পারে ওজন।

ত্বকের সমস্যা: এখানেও নেপথ্যের কারণ ওই ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মাত্রা বেশি হওয়া।

আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন (এএডি)’য়ের মতে, যেসব খাবারের ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মান কম সেগুলো ব্রণ কমাতে সহায়ক। কারণ ওই খাবারগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।

রক্তে শর্করা মাত্রা বেশি হলে শরীরে ‘সেবাম’ উৎপাদনের মাত্রা বেড়ে যায়। ‘সেবাম’ ত্বকে থাকা এক ধরনে তৈলাক্ত উপাদান। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে শরীর জুড়ে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। প্রদাহ ও ‘সেবাম’ দুটোই ব্রণের সমস্যার অন্যতম কারণ।

বাড়ায় স্ট্রোকের ঝুঁকি: প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেইট খাদ্যাভ্যাসে বেশি থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। আর পাউরুটি ধরনের সকল খাবারই প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেইট।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com