– যথাযথ বলেছেন জাহাঁপনা। এসব পেট গরম খাবারই খেতে হয়। তবে কিনা শীতের সবজিও একেবারে খারাপ নয়!
– কী সব মূর্খের মতো কথা বলছ, উজির? দেব নাকি তোমার মুণ্ডুটাও উড়িয়ে? বীরের দল চিবিয়ে চিবিয়ে খাবে মাংস, চুমুক দেবে হাড্ডির মজ্জায়, ওম তাপাবে উত্তম মত্স্য কাবাবের শয্যায়। তাতে সবজির জায়গা কোথায়? এই তো আমি নাশতায় খেয়ে এলাম চিতই পিঠার সঙ্গে হাঁসের মাংসের ভুনা আর একটু খাসির মাংসের রেজালা। শীতের ঠ্যালায় সব কর্পূরের মতো উবে গেছে। তুমি খেয়েছ কী?
– গোস্তাকি মাফ করবেন জাহাঁপনা। সকালবেলা চাট্টি ভাত খেতেই আমার ভালো লাগে। লাল লাল বিরোই চালের ভাত ফুটিয়েছিলেন গিন্নি, তারই সরওয়ালা মাড় দিয়ে স্টার্টার।
– মানে ভাতের মাড়ের স্যুপ?
– ঠিক ধরেছেন হুজুর। গরম ভাতের মাড়, লালরঙা, তাতে পুরু করে পড়েছে সর। ওই মাড় হালকা একটু লবণের ছিটে দিয়ে চুমুক দিলেই শীত গায়েব!
– তারপর?
– তারপর আর কী? ওই বিরুই চালের ভাতই এল। ওপরে এক খাবলা আলুভর্তা। সকালের আলুভর্তায় আমরা শুকনো মরিচ দিই না হুজুর, কাঁচামরিচ-পেঁয়াজে আলুভর্তা। আর তাতে থাকবে কড়া সরষের তেলের ধ্বক।
– ভালোই লাগে মনে হচ্ছে।
– ভালো লাগার কেবল তো শুরু হুজুর! ভাতে দুই চামচ গাওয়া ঘি ঢেলে নিন। তারপর অর্ধসেদ্ধ একখানা ডিম। ডিমের পেটে আঙুল দিয়ে একখানা গুঁতো দিলেই হড়হড় করে বেরিয়ে আসবে লালরঙা কুসুম। সেই ঘিয়ে-ভর্তায়-কুসুমে মাখানো গরম ভাত খেলে মনে হয়…কী বলব হুজুর… মনে হয় এর জন্য চাইলে উজিরগিরিও ছাড়তে রাজি আছি!বিজ্ঞাপন
– খামোশ! মুখ সামলে কথা বলো উজির। সামান্য শাকসবজি নিয়ে এত আহা-উহু করার কী আছে?
– মাফ করবেন হুজুর। আমার ভুল হয়েছে। তবে সাহস দিলে একটা আরজি করতে চাই।
– কী আরজি?
– আজ দুপুরে গরিবের ঘরে দুটো ডালভাত খাবেন। শাকসবজি দিয়ে আপনাকে একবার আপ্যায়ন করতে চাই।
– ঠিক আছে, আরজি মঞ্জুর। খেলাম না হয় তোমার ঘরে দুটো শাকপাতা।
– যথা আজ্ঞা জাহাঁপনা। কিন্তু ওই চোরটার বিচারের কী হবে? কত্ত বড় সাহস, রাজবাগান থেকে সবজি চুরি করে! কল্লা ফেলে দিতে বলে দিই?
– দাঁড়াও। ওকে একটু শাস্তি দিয়ে তারপর কল্লা ফেলো। ওকে বেঁধে রাখো তোমার বাড়ি নিয়ে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খালি পেটে আমাদের খাওয়া দেখবে, তারপর না হয় মরল।
– ঠিক বলেছেন হুজুর। মরলে তো মরেই গেল। খিদে পেটে আগে আমাদের খাওয়া দেখে তারপর মরুক, ওটাই হবে ব্যাটার উপযুক্ত শাস্তি।
২
– ছি ছি ছি উজিরমশাই, এত দিনেও তোমাদের আক্কেল হলো না, তাহলে হবেটা কবে?
– দয়া করে গর্দান নেবেন না হুজুর। কী ভুল করেছি আমি?
– রাজপুরুষদের খাবার থাল হয় স্বর্ণের, পানপাত্র রুপার। আর তুমি কিনা দিয়েছ কাঁসার থালবাটি?
– গোস্তাকি মাফ করবেন। তবে কিনা ওই স্বর্ণের থালে রাজভোগই বেশি মানায়। সাধারণ ভাত-ডাল-সবজি এই কাঁসার থালেই ভালো লাগবে।
– ঠিক আছে, আনো কী খাওয়াবে। ভালো কথা, চোরটা কোথায়?
– হুজুর, ওই যে কোণের দিকে বেঁধে রেখেছে পেয়াদারা। সকাল থেকে না খাইয়ে রেখেছি। ভুখা পেটে আমাদের খাওয়া দেখুক।
– উত্তম উত্তম।
রাজামশাই পাত পেড়ে বসলেন। উত্তুরে হিম হিম হাওয়া বইছে। গায়ের চাদরটা আরও ভালো করে জড়িয়ে নিলেন।
কাঁসার থালে প্রথমেই বাড়া হলো ধোঁয়া ওঠা ভাত। সঙ্গে গরম–গরম ফুলকপি ভাজা।
রাজপুরুষদের খাবার থাল হয় স্বর্ণের, পানপাত্র রুপার। আর তুমি কিনা দিয়েছ কাঁসার থালবাটি?
রাজা ফুঁ দিয়ে ফুঁ দিয়ে ফুলকপি ভাজায় একটা কামড় দিলেন। তারপর আরেকটা। মুখের গরম কাটাতে হু-হা করলেন। তারপর বললেন, আরে! অদ্ভুত ব্যাপার! বাইরে কামড় দিতেই একেবারে মচমচ করে উঠল, আর ভেতরে কী সুন্দর নরম!
উজির বিগলিত হেসে বললেন, ফুলকপির বড়া হুজুর। ফুলুরিও বলে অনেকে।
– খালি খালিই তো খেতে ভালো লাগছে।
– খালি পেটে খেতে মজা, খাবার শুরু করার জন্য উত্তম অনুষঙ্গ। আবার গরম ভাত, ঘন ডালের সঙ্গে কামড়ে কামড়ে খেতেও মজা।
– অতি উত্তম। আনো তোমার পরের পদ।
পরের পদ অতি সাধারণ। শিমের ভর্তা। রাজা একটুখানি তুলে ভাতের সঙ্গে মাখালেন। মুখে দিতেই গরম ভাতের সঙ্গে ঠান্ডা ভর্তার আমেজ পেলেন। দাঁতের নিচে টের পেলেন নরম শিমের বিচি, কচকচ করা পেঁয়াজ কুচি, হালকা মরিচের ঘ্রাণ। প্রসন্নচিত্তে রাজা বললেন, ভালোই তো!
বলতে বলতেই রাজার চোখ বড় বড় হয়ে উঠল, নাসারন্ধ্র ফুলে ফুলে উঠল। উজির হাসিমুখে বললেন, সর্ষের তেলের ঝাঁজ হুজুর।
রাজা ততক্ষণে ধাতস্থ হয়েছেন। চাদরটা সরিয়ে বললেন, সর্ষের ঝাঁজে তো শীত চলে গেল উজিরমশাই!
উজির হেসে বললেন, ভালো লেগেছে কি না, বলুন হুজুর।
– আলবত। পেঁয়াজ, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচের ঘ্রাণটাই পাগল করে দিল! কেমন একটা ঝাঁজালো সোয়াদ!
– আরে বাহ বাহ, হুজুর কি ঝাঁজ পছন্দ করেন? তাহলে সর্ষে বাটার সঙ্গে শিমের ওই ছেঁচকিটা খেয়ে দেখুন। ওই যে উজির সাহেবের ডান পাশের বাটিটা।
– কে? কে কথা বলে?
– হুজুর আমি কেউ না, ওই যে সবজিচোর।
– তোমার এত বড় আস্পর্ধা? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের খাওয়া না দেখে খাদ্য বিশেষজ্ঞের মতো উপদেশ দিচ্ছ!
– না না মহারাজ! আপনাকে উপদেশ দেব, এত সাহস কোথায়?
– তো চুরি করার সাহসটা কীভাবে হয়েছিল তাহলে?
– ওই সাহস অভাবে পড়লে হয়, হুজুর। ছেলেটা জ্বরের মুখে শিম দিয়ে দুটো ছেঁচকি খেতে চেয়েছিল। শিম কিনতে তো টাকা লাগে, আমার টাকা কোথায়? ভাত আর নুন কিনতেই সব শেষ! সবার বাগানের সবজিই বিক্রি হয়ে যায়, কেবল আপনার বাগানেই দেখি সবজি হয়, আবার ঝরে যায়। ওই দেখে দুটো তুলে নিতে গিয়েছিলাম। বাগানের মধ্যেও যে পেয়াদা লুকিয়ে আছে, কীভাবে জানব মহারাজ? তাই ধরা খেয়েছি।
– আহা…থাক, তোমার আর মুণ্ডু কেটে লাভ নেই। সবজি আসলে খুব একটা খারাপ জিনিস নয়। ইয়ে, উজিরমশাই, ও ব্যাটাকেও দুটো খাইয়ে দেওয়া যায়—কী বলো?
– যা আপনি বলেন মহারাজ! তবে গত কুড়ি বছরে অন্তত হাজার কুড়িবার আপনি কল্লা ফেলে দেওয়ার রায় দিয়েছেন, আবার হাজার কুড়িবার সেই রায় উঠিয়েও নিয়েছেন। প্রজারা তো এরপর শীতের তোড়েই কাঁপবে কেবল, রাজার ভয়ে আর কাঁপবে না হুজুর!
– আহা, থাক সে হিসাব। কল্লা কি কম আছে নাকি রাজ্যে? তুমিও তো দশাসই একখান নিয়ে ঘোরো। সুযোগমতো যেকোনো একটা ফেলে দেওয়া যাবে। এখন দেখি, ওই ব্যাটার হাতের বাঁধন খুলে দিতে বলো। আমাদের সঙ্গেই চাট্টে খাক।
তারপর? তারপর আর কী? রাজামশাইরা টেংরা মাছ দিয়ে পেঁয়াজকলি খেলেন, পালং শাকের ঘণ্ট চাখলেন, শালগমের বাটি চচ্চড়ি শুঁকলেন, কচি মুলোর ঘণ্ট মাখালেন, নতুন আলুর দম গিললেন, শোল মাছের সঙ্গে লাউয়ের ঝোল সাঁটালেন।
আস্ত কাতল মাছের মুড়োটা রাজার পাতে তুলে দেওয়া হলো। রাজা কিছুটা ভেঙে তুলে দিলেন উজিরের পাতে, কিছুটা চোরের পাতে। সঙ্গে সঙ্গেই শূন্যস্থান পূরণ করে দেওয়া হলো আলু, ফুলকপি, টমেটো আর মটরশুঁটির মাখা মাখা ঝোলে।
তৃপ্তি করে গরাস মেখে খেয়েদেয়ে রাজামশাই ঢেঁকুর তুললেন। উজির কাঁচুমাচু হয়ে বললেন, হুজুর একটা পদ তো এখনো বাকি আছে।
– বলো কী হে, আবার কী বাকি?
– সামান্য একটু খাসির ব্যঞ্জন। বাঁধাকপি দিয়ে।
– কী মুশকিল! তোমাকে নিয়ে আর পারা গেল না। ভালো কথা, এই যে চোর ভাইয়া, যাওয়ার আগে তোমার থেকে জব্দ করা ওই শিমটিম যা আছে, নিয়ে যেয়ো তো। আর সবজি যখন যা দরকার পড়ে, আমার বাগান থেকে নিয়ে নিয়ো। আমার আবার এসব অভাব-টভাব দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়। কই হে উজির, নিয়ে এসো তোমার খাসি-বাঁধাকপির ব্যঞ্জন।
রাজামশাই রাজ কোমরবন্ধনী আলগা করে আবার লেগে পড়লেন, উজিরমশাই লেগে পড়লেন, চোর বেচারাও লেগে পড়ল।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন