আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

সামাজিক মাধ্যমে শিশুদের তথ্য ও ছবি যেসব ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে, করণীয় কী

বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হল ফেসবুক।
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হল ফেসবুক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিব আল হাসানের শিশুকন্যার একটি ছবিতে কিছু মানুষের অসৌজন্যমূলক ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সূর্যমুখী ফুলের এক বাগানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান।

সেখানে তার শিশুকন্যার কয়েকটি ছবি তুলে নিজের ভেরিফায়েড ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তিনি আপলোড করেন।

মুহূর্তেই ওই ছবির নীচে অসংখ্য কমেন্ট পড়তে থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি মন্তব্য ছিল বেশ খারাপ ইঙ্গিতপূর্ণ।

এই কমেন্টগুলোর স্ক্রিনশট শিশুটির ওই ছবির ওপর বসানো একটি পোস্ট ফেসবুকে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

এর আগে আরেক ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার মেয়ের ছবিতেও এমন আপত্তিকর মন্তব্য দেখা গিয়েছিল।

এ ধরণের একের পর এক উদাহরণ দেখে নিজের সন্তানের ছবি এখন পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করতেও আতঙ্কে ভোগেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা অদিতি পাল।

তিনি বলেন, “আমার সন্তানের বয়স এক বছর। খুব ইচ্ছা হয় তার সব মুহূর্তের ছবি আপলোড দিতে। কিন্তু সাকিব আল হাসানের মেয়ের ছবির সাথে যা হয়েছে, সেটা থেকেই শিক্ষা নিলাম। মানুষ অনেক জাজমেন্টাল। কিছু না ভেবেই যাচ্ছেতাই মন্তব্য করে দেয়। বাচ্চা মোটা কেন, শুকনা কেন, কালো কেন? কোন কমনসেন্স নাই। এজন্য শুধু পরিবারের সাথে ছবি শেয়ার করি।”

ফেসবুকে প্রতিদিন মানুষ অসংখ্য ছবি ও তথ্য পোস্ট করে থাকে।
ফেসবুকে প্রতিদিন মানুষ অসংখ্য ছবি ও তথ্য পোস্ট করে থাকে।

মানসিক বিকৃতি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি শিশুর ছবিকে ঘিরে মানুষের এ ধরণের মন্তব্য এবং পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত আরেকটি পোস্ট ভাইরাল করার ঘটনাকে অসচেতনতা, মানসিক বিকৃতি এবং কট্টর পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন সমাজবিজ্ঞানী সাদেকা হালিম।

তার মতে, একজন নারী তিনি যে বয়সেই হন না কেন তাকে সমাজে এখনও যৌনবস্তু হিসেবে বিচার করা হয়।

এছাড়া তারকাদের জীবনের প্রতি ঈর্ষাবোধ ও হীনমন্যতা এই অরুচিকর মন্তব্যগুলোয় প্রতিফলিত হয় বলে তিনি মনে করেন।

“সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহজেই যা ইচ্ছা লেখা যায়। যেটা অন্য কোথাও সম্ভব না। যারা এ ধরণের মন্তব্য করে তারা নারীকে মানুষ হিসেবে দেখে না, নারী যে বয়সের হোক সে ভোগের বস্তু। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি তাদের কোন সম্মানবোধ নেই,” বলেন সাদেকা হালিম।

শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার নিরাপদ করে তুলতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার নিরাপদ করে তুলতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আইনে কী আছে

বাংলাদেশে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে পৃথক আইন আছে।

কিন্তু সেখানে কোথাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু সুরক্ষার বিষয়টি আলাদাভাবে উঠে আসেনি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা আছে, কেউ কোন ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক তথ্য প্রকাশ করে যদি কাউকে অপদস্থ করেন তাহলে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড, তিন লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেয়া হবে।

এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেয়া হবে।

এছাড়া অনুমতি ছাড়া কারও পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারের অপরাধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে।

এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেয়া হবে।

শিশুদের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলেও এক্ষেত্রে নিশ্চুপ ভূমিকা এবং বাংলাদেশে বিদ্যমান আইন সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ না করার কারণে এ ধরণের অপরাধ ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করে বিশেষজ্ঞরা।

সাদেকা হালিম জানান, প্রভাবশালীদের পক্ষে এসব আইন যতোটা শক্তিশালীভাবে কাজ করে এর বাইরে ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে এমন কোন উদাহরণ চোখে পড়ে না বলে এ ধরণের বিকৃত মন্তব্য ও ব্যক্তিগত আক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘আইসিটি অ্যাক্টের ব্যবহার হচ্ছে ক্ষেত্র বিশেষে, সবার জন্য না। যখন মানুষ দেখছে তাদেরকে ঠেকানো কেউ নাই। রাষ্ট্র যদি সবাইকে শাস্তির আওতায় আনত, তাহলে এমনটা ঘটতো না।’

তবে এমন বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের উপ-কমিশনার আ.ফ.ম. আল কিবরিয়া।

তিনি বলছেন, “আপনি যদি ভিকটিম হন, আপনাকেই পুলিশের কাছে আসতে হবে। মামলা করতে হবে। পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে যে করে না তা নয় তবে প্রতিকার আপনাকেই চাইতে হবে। তারপর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

শিশুদের জন্য মোবাইলের ব্যবহার নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের জন্য মোবাইলের ব্যবহার নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঝুঁকিগুলো কোথায়?

বাংলাদেশে কোটি কোটি ফেসবুক আইডি আছে। এরমধ্যে অনেক অপরাধ সংঘটিত হয় ফেইক বা ভুয়া আইডি থেকে হয়।

সবটা পুলিশি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নজরদারিতে আনা প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছেন মি. কিবরিয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুদের ছবি বা যেকোনো তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার ওপর সেইসঙ্গে এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ নিয়ে আরও বেশি প্রচারণার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢালাওভাবে শিশুদের ছবি ও তথ্য শেয়ার করলে এর বিরূপ প্রভাব শিশুটির বর্তমান ও ভবিষ্যতের ওপর পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কী করতে পারেন?

সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ জেনিফার আলম বলেছেন, শিশুদের প্রতি বিকৃত রুচি পোষণ করে এমন পিডোফাইল বা শিশুদের যৌন নির্যাতনের ওপর অনেক ওয়েবসাইট আছে, ফোরাম আছে। সেসব স্থানে এসব ছবি, ব্যক্তিগত তথ্যসহ আপলোড হয়ে যেতে পারে।

একারণে শিশুদের কোন ছবি পাবলিক গ্রুপ বা পেইজে আপলোড দেয়া থেকেও তিনি বিরত থাকতে বলেছেন।

যদি আপলোড করতেই হয় তাহলে প্রাইভেসি সেটিংসটা এমন রাখতে হবে যেন অপরিচিত কেউ এসব ছবি বা তথ্য না পায়।

সে ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, তা হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারা আপনার বন্ধু, আপনি ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে চেনেন কিনা, সেটা জানাও জরুরি।

কারণ ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় এমন অনেকেই যুক্ত থাকেন, যাদের সাথে খুব স্বল্প পরিচয় বা একদমই অপরিচিত। যা বিপদের কারণ হতে পারে।

এসব প্ল্যাটফর্ম যারা ব্যবহার করেন তারা যে কোনো শ্রেণী পেশার বা মানসিকতার হতে পারেন। সেটা নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন।

ফলে ওই শিশুটি হয়রানির শিকার হতে পারে। বড় হওয়ার পর দীর্ঘমেয়াদে শিশুটি মানসিক চাপে ভুগতে পারে।

কারণ ইন্টারনেটে কিছু আপলোড হলে সেটা সরিয়ে ফেলার সক্ষমতা সাইবার ক্রাইম ইউনিটের থাকলেও অনেক সময় চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব হয় না।

আবার অনেক বাবা মা তাদের সন্তানের স্কুলের পোশাক পরা ছবি, বা স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছবি আপলোড করেন।

বর্তমানে যে অনলাইনে স্কুল চলছে সেখানে বাচ্চাদের আইডি প্রোফাইলে আপলোড করতে বলা হচ্ছে।

এতে ওই শিশুটার পরিচয় বের করা এবং তার গতিবিধি নজরদারি করা খুব সহজ হয়ে যায়।

শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার নিরাপদ রাখতে ইন্টারনেটে সেইফ ব্রাউজিং সিস্টেম চালু করার ওপর জোর দিয়েছেন মিস আহমেদ।

“গুগলের প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম আছে, মোবাইলের অ্যাপসগুলোকে সিকিওর করা সম্ভব, এছাড়া বাচ্চাদের ব্যবহারের জন্য ইউটিউব ফর কিডস, মেসেঞ্জার ফর কিডস আছে। সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। এতে বাচ্চার নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত করা সম্ভব।”

তারপরও কোন শিশুর তথ্য বা ছবি নিয়ে অপদস্থ করা হয় বা শিশুর বাবা মায়ের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করা হয় তাহলে তারা থানায় সাধারণ ডায়রি বা মামলা করে বিষয়টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আনতে পারেন।

  • শিশুদের জন্য মোবাইলের ব্যবহার নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    শিশুদের জন্য মোবাইলের ব্যবহার নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার নিরাপদ করে তুলতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার নিরাপদ করে তুলতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • ফেসবুকে প্রতিদিন মানুষ অসংখ্য ছবি ও তথ্য পোস্ট করে থাকে।

    ফেসবুকে প্রতিদিন মানুষ অসংখ্য ছবি ও তথ্য পোস্ট করে থাকে।

  • বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হল ফেসবুক।

    বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হল ফেসবুক।

  • শিশুদের জন্য মোবাইলের ব্যবহার নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
  • শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার নিরাপদ করে তুলতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
  • ফেসবুকে প্রতিদিন মানুষ অসংখ্য ছবি ও তথ্য পোস্ট করে থাকে।
  • বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হল ফেসবুক।
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com