করোনাভাইরাসের কারণে বেশিরভাগ মানুষকে গৃহবন্দী হয়ে সময় কাটাতে হচ্ছে। অনেককে আবার অফিসের কাজও করতে হচ্ছে বাড়ি থেকে। যারা অফিসের কাজ ছাড়াই বাড়িতে বন্দী হয়ে আছেন তারা অস্থির হয়ে পড়েছেন। আবার যাদের বাড়ি থেকে অফিসের কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে, তারা এমন আতঙ্কময় পরিস্থিতিতে বাড়ি, পোশাকআশাক, নিজেদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার সঙ্গে সঙ্গে অফিসের কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
ঘর ও অফিসের কাজ সমন্বয় করতে হলে এ সময় টাইম ম্যানেজমেন্টটা জরুরি। সেটা করতে হবে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই।
সকাল ৬ থেকে ৭ টা : ঘুম ভাঙার পরেই চোখ, মুখ ধুয়ে হালকা ব্যায়াম করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে স্কিপিং, জগিং করতে পারেন। না পারলে বেশ কয়েক বার সিঁড়ি ধরে ওঠা নামা করুন। পিঠ, কোমর, হাত ও পায়ের পেশিকে যথেষ্ট কর্মক্ষম রাখার ব্যায়াম ও যোগাসন খুব জরুরি। এটি শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।
সকাল ৭টা থেকে ৯টা : খালি প্লেটে এক গ্লাস পানি করুন। এরপর ঘরগুলি ভাল ভাবে ঝাড়ু দিয়ে দিন। প্রতিদিন না পারলে একদিন পর পর ঘরের মেঝে ভালভাবে ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এর মধ্যে খবরের কাগজ বা ইন্টারনেটে বিভিন্ন খবরের সাইট দেখে নিতে পারেন। আপডেট থাকতে চাইলে টেলিভিশনের সকালের নিউজটাও দেখে নিতে পারেন। এসবের মধ্যে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিন সন্তানদের। তাদের সকালের খাবারদাবার দিন। নিজেও সেরে নিন সকালের নাস্তা।
সকাল ৯টা থেকে ১০টা : কোনো বাড়িতে এখন গৃহকর্মী আসছে না। তাই নাস্তার পর রান্নাবান্নার প্রস্তুতি নিন। ছেলেমেয়েদের পড়তে বসিয়ে দিন। রান্নার পর পরই গোসল সেরে পরিষ্কার জামাকাপড় পরুন। ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। সকাল ১০টা থেকে ১২টা : অফিসের কাজ শুরু করে করুন। এর ফাকে ছেলেমেয়ে কি করছে তার খবর নিন।
১২ টা থেকে ১ টা : অফিসে বসকে জানিয়ে এক ঘন্টার সময় নিন। এর মধ্যে নিজে খেয়ে নিন, সন্তান ও বাড়ির লোকজনকে খেতে দিন।
বেলা ১টা থেকে ৪টা : সন্তান, বাড়ির অন্যদের ঘুমোতে বা বিশ্রাম নিতে বলে আবারও অফিসের কাজে মনোযোগ দিন।
৪টা থেকে সাড়ে ৪ট : কিছুটা বিরতি দিয়ে চা খেতে পারেন। বাড়ির লোকজনদেরও হালকা কিছু খেতে দিন। বাড়িতে বারান্দা থাকলে সেখানে সন্তানদের বসতে বলতে পারেন।
সাড়ে ৪টা থেকে ৬টা : আবারও অফিসের কাজে মনোযোগ দিন।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা : অফিসের কাজ শেষে বাড়ির লোকজন, সন্তানদের সময় দিন।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা : রাতের রান্না থাকলে এ সময় সেরে নিতে পারেন। ছেলেমেয়েদের পড়তে বসিয়ে দিন। রান্না না থাকলে তাদের সময় দিন।
রাত ৮টা থেকে ৯টা : এসময় ঘর গুছিয়ে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে টিভি বা ইন্টারনেটে দেখতে পারেন।
রাত ৯টা থেকে ১০টা : ছেলেমেয়ে ও বাড়ির প্রবীণদের রাতের খাবার দিয়ে নিজেরাও খেয়ে নিন।
রাত ১০টা থেকে ১১টা : ঘুমোনোর প্রস্তুতি নিন। ঘর গুছানোর কিছু কাজ বাকি থাকলে সেরে নিতে পারেন। পরের দিনের কাজের পরিকল্পনাও সেরে ফেলতে পারেন।
যে দিন অফিসের কাজ করতে হবে না বাড়ি থেকে
অন্যান্য দিনের মতোই দিনের প্রথমভাগের কাজ শুরু করতে পারেন। অফিসের কাজ নেই বলে একটু বেশি সময় দিন পরিবারের লোকজন ও ছেলেমেয়েদের। ঘরের কাজকর্ম গুছিয়ে নিন। এদিন দুপুরে হালকা ঘুমিয়ে নিতে পারেন। আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবদের খোজ নিন। নিজের পছন্দের কোনো মুভি দেখুন, বই পড়ুন। ছেলেমেয়েদের কথা শুনুন। রাত ১১টার মধ্যে ঘুমাতে যান।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন