আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

২০২০ সালে চিকিৎসাক্ষেত্রের যুগান্তকারী ৫ উদ্ভাবন

করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তাই ২০২০ সাল সবার জন্যই দুঃখের বছর। কেউ হারিয়েছেন তার প্রিয়জনকে। কেউ বা আত্মীয়কে। ব্যথা-বেদনা মনে নিয়ে নতুন বছরে পা রেখেছে বিশ্ববাসী।

তবে হারানোর ব্যথা যেমন ছিল; তেমনভাবে মহামারির বছরটি বিশ্ববাসীকে শিখিয়েছে নতুন অনেক কিছু। ব্যস্ত জীবনে আমরা আসলে কেউই শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর রাখি না। তবে করোনাভাইরাসের কারণে ঠিকই ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের যত্ন নেওয়ার বিষয়গুলো শিখেছি।

ঠিক তেমনিভাবে মহামারির বছরজুড়ে চিকিৎসাক্ষেত্রেও যুক্ত হয়েছে নতুন সব উদ্ভাবন। দিন-রাত এক করে চিকিৎসক, গবেষক ও বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয়ে থেকেছেন। একের পর এক মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে অবসরের সময় পাননি বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সসহ ওয়ার্ডবয়রাও। যদিও পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। সবাই নিউ নর্মাল লাইফ কাটাচ্ছেন।

২০২০ সালে চিকিৎসাক্ষেত্রে উদ্ভাবিত ৫টি যুগান্তকারী সাফল্য সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না কিংবা নজরে আসেনি। অনকোলজি, জিন থেরাপিসহ হৃদরোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের এসব আবিষ্কার পরবর্তীতে মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করবে।

jagonews24

জেনেটিক কোডের উদ্ভাবন: ২০২০ সালের অক্টোবরে দুই নারী গবেষক এমানুয়েল শারপেন্টার এবং জেনিফার এ ডাউডনা রসায়ন বিভাগে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। তারা ‘জেনেটিক সিজার্স’ আবিষ্কার করেন। নোবেল কমিটির মতে, এ আবিষ্কার জীববিজ্ঞানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকরা পশু, গাছপালা এবং মাইক্রোঅর্গানিজম বা উদ্ভিজ্জাণুর ডিএনএ-তে বদল ঘটাতে পারছেন। জীববিজ্ঞানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাবে বলে আশাবাদী এ প্রযুক্তি। এমনকি তার প্রভাব নতুন ক্যান্সার চিকিৎসাতেও পড়বে।

নিউ ইয়র্কের ইংল্যান্ডার ইনস্টিটিউট ফর প্রিসিশন মেডিসিনের ডিরেক্টর পিএইচডি অলিভার এলিমেন্টো বলেন, ২০২০ সাল হলো জেনেটিক কোডের বছর। সিআরআইএসপিআর (জেনেটিক কোড) প্রযুক্তির পাশাপাশি জিন থেরাপির আবিষ্কার চিকিৎসাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।

হৃদরোগ ও স্ট্রোক গবেষণায় সাফল্য: আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন ২০২০ সালে তাদের নিজস্ব উদ্ভাবনের তালিকা প্রকাশ করেছে। এরমধ্যে হাইপারট্রফিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি (যখন হৃৎপিণ্ডের পেশী ঘন হয়ে যায় এবং শক্ত হতে পারে) এর চিকিৎসায় দারুণ সাফল্য পেয়েছেন গবেষকরা।

jagonews24

এটি নতুন চিকিত্সাগুলোর মধ্যে অন্যতম এক উদ্ভাবন। যা এট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন (এএফআইবি) এর প্রথম সারির চিকিৎসাপদ্ধতি পরিবর্তিত করতে পারে। নতুন চিকিৎসাপদ্ধতির মাধ্যমে স্ট্রোক প্রতিরোধে এবং করোনারি হৃদরোগ প্রাথমিক চিকিৎসাতেই রোগী সুস্থ হবে বলে মত বিশেজ্ঞদের।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মিচেল এসভি এলকিন্ড (এমএস, ফ্যান, ফাহা) বলেন, ২০২০ সালটি মেডিসিন বিভাগের জন্য দারুন সাফল্য বয়ে এনেছে। উদাহরণস্বরূপ, আমরা জানতাম না যে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত সোডিয়াম গ্লুকোজ ট্রান্সপোর্টার ২ ইনহিবিটর বা এসজিএলটি ২ ইনহিবিটার ওষুধটি হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় কার্যকরী। এমনকি যদি ওই রোগীর ডায়াবেটিস না থাকে তবুও কাজ করে ওষুধটি। এমন খুঁটিনাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু পেয়েছি আমরা।

এলকিন্ড আরও বলেন, কোভিড-১৯ ব্যাধির যেমন কোনো ওষুধ নেই; তেমন আমরা রোগীদের বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রয়োগে তাদের সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেছি। সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দেশ-জাতি নির্বিশেষে বিশ্বের সব চিকিৎসক কোভিড মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করেছি। যার ফলেই অগ্রগতি ঘটেছে।

অনকোলজি অগ্রগতি: এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথের পার্লমুটার ক্যান্সার সেন্টারের পরিচালক, পিএইচডি এমডি বেনজামিন নীল বলেছেন, ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চলেছে। তার মতে, রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রাথমিকভাবে শনাক্তকরণ প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে মহামারির বছরেই।

jagonews24

নীল আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে শরীরের টিউমারগুলো রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে ডিএনএ-তে ক্যান্সারের বিষয়টি প্রকাশ করে। এজন্য আমরা টিউমারগুলোকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। টিউমারগুলোর সংবেদনশীলতা পরীক্ষা, ক্যান্সার পুনরাবৃত্তি এবং প্রোটিন-ভিত্তিক পরীক্ষার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আমরা সফল হয়েছি।

বিগত একবছরের অন্যান্য গবেষণার মধ্যে গবেষকরা জেনেটিক মিউটেশনের জন্য নতুন এক উপায় ‘ড্রাগিং’ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। এ ছাড়াও প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য দায়ী অ্যান্ড্রোজেন রিসেপটরের (যা ক্যান্সার কোষগুলো বাড়ার কারণ) পরিমাণ হ্রাস করতে একটি যৌগ তৈরির কাজ চলমান, বলেন নীল।

চিকিত্সা ব্যবস্থা গণতান্ত্রিকীকরণ: ২০২০ সালেই মানুষ শিখেছে ‘নিউ নর্মাল লাইফ’ এ জীবনধারণ করতে। এ ছাড়াও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’সহ ঘরে বসেই নিজের চিকিৎসা করার বিষয়েও কিছু কিছু জ্ঞান আহরণ করতে হয়েছে সবাইকে।

জুমে বসে যেমন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরাও ক্লাস করেছে অনলাইনে; ঠিক তেমনই চিকিৎসকরাও রোগী দেখেছেন, কখনো আবার নিজেরাও মিটিং করেছেন। মরিস বলেন, যদিও বিষয়টি কোনো উদ্ভাবনের মধ্যে পড়ে না। তবে পরিস্থিতি আমাদের শিখিয়েছে সুস্থ থাকতে কত কী করতে হয়? প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক না কেন, মহামারি না এলে আমরা বোধ হয় কেউই অনলাইনে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতাম না।

তিনি আরও বলেন, পুরো মহামারিতে আমরা চিকিৎসক হিসেবে রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি। তারা কখন কেমন বোধ করছেন এসব বিষয়েও আমরা ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে জেনেছি এবং তাদের শারীরিক অবস্থাও বোঝার চেষ্টা করেছি। বিষয়গুলো আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগবে।

jagonews24

রক্ত পরীক্ষা করে আলঝাইমার প্রকাশ: আলঝাইমার রোগ গবেষণা এবং চিকিৎসার সম্ভাব্য অগ্রগতির একবছর ছিল ২০২০ সাল। খবরটি যুগান্তকারী হলেও এখনো পরীক্ষাধীন রয়েছে।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এর তথ্যমতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ লাখ মানুষ আলঝাইমারে আক্রান্ত। এ সংখ্যা ২০৬০ সালের মধ্যে তিনগুণ হয়ে যাবে।

২০২০ সালকে বিদায় দিয়ে হাজারো বেদনা মনে নিয়ে আমরা ২০২১ সালকে বরণ করে নিয়েছি। নতুন বছরটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও আশাবাদী।

মরিস বলেন, ২০২০ সাল বিশ্ববাসীর জন্য দুঃখের বছর। বিয়োগান্তক এবং বিপর্যয়ের এ বছর শুধু আমাদের কাঁদায়নি বরং এসব উদ্ভাবন আমাদের খুশিও করেছে। তাই যেমন সময়ই আসুক না কেন, প্রকৃতির কাছে কৃতজ্ঞ থেকে সমস্যার সমাধান করে যেতে হবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com