আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

যুক্তরাষ্ট্রে ‘খুনে ভীমরুলের’ বাসা

এশিয়ান জায়ান্ট হরনেট হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকৃতির ভিমরুল। খুনে প্রকৃতির জন্য এদের ‘খুনে ভিমরুল’ও বলা হয়। এই প্রজাতির ছোট এক ঝাঁক ভিমরুল একটি মৌচাকে থাকা সব মৌমাছিকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মেরে ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো এই প্রজাতির ভিমরুলের বাসা খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে গত ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো খুনে ভিমরুলের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। তবে সেবার এই প্রজাতির ভিমরুলের কোনো বাসা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের কৃষি দপ্তর জানায়, তাদের কীটতত্ত্ববিদেরা খুনে ভিমরুলের বাসা খুঁজে পেয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম। কানাডার সঙ্গে সীমান্তবর্তী ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ছোট শহর ব্লেইনে এক ব্যক্তির সম্পত্তির ভেতর একটি গাছে রয়েছে ওই বাসা। শনিবার থেকে কীটতত্ত্ববিদদের ওই ভিমরুল অপসারণে কাজ শুরু করার কথা ছিল।


ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের কৃষি দপ্তর বলেছে, তাঁদের গবেষকেরা প্রথমে রেডিও ট্র্যাকারের মাধ্যমে কয়েকটি খুনে ভিমরুল ধরেন। এরপর ওই ভিমরুলগুলোই তাঁদের পথ দেখিয়ে নিজেদের বাসায় নিয়ে যায়। ব্লেইন শহরের ওই ব্যক্তিগত সম্পত্তির ভেতর গবেষকেরা আবিষ্কার করেন, একটি গাছে বাসা বেঁধেছে ভিমরুলগুলো। সেখানে অনেকগুলো ভিমরুল অনবরত যাওয়া-আসা করছে।
বিজ্ঞাপন

গবেষকেরা জানিয়েছেন, খুনে ভিমরুলেরা সাধারণত মাটিতেই বাসা বাঁধে। তবে কখনো কখনো এরা মৃত গাছের কোটরেও বাসা বাঁধে। ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের কৃষি দপ্তর বলেছে, ব্লেইন শহরের ওই ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিক ভিমরুলগুলো অপসারণের অনুমতি দিয়েছেন। এমনকি প্রয়োজনে গাছটিও কেটে ফেলার অনুমতি দিয়েছেন তিনি।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে জানানো হয়, ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের কৃষি দপ্তর বলেছে, ভিমরুলের আক্রমণাত্মক প্রকৃতির এই প্রজাতি যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় নয়। এরা মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ শিকার করে খায়। লম্বায় এগুলো দুই ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। এগুলো এতটাই আক্রমণাত্মক হয় যে এরা কয়েক দফায় হুল ফোটালে তা মানুষের জন্যও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। অবশ্য কৃষি দপ্তরটি বলছে, সাধারণত এই প্রজাতির ভিমরুল মানুষকে আক্রমণ করে না। তবে এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।


খুনে ভিমরুলের বিষ মৌমাছির চেয়ে সাতগুণ বিষাক্ত। মৌমাছির চেয়ে এদের হুলও কয়েকগুণ শক্ত। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশেও এই খুনে ভিমরুলের দেখা পাওয়া গেছে সম্প্রতি। ওই প্রদেশটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com