আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়

মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কঙ্কালের প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে মেডিকেল শিক্ষায় কঙ্কালের ব্যবহার থাকলেও এটি সরবরাহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন নীতিমালা এখনো হয়নি।

যার কারণে মেডিকেল শিক্ষায় এক ধরণের সংকট রয়েছে এবং অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েন বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

আর এসব কারণেই কঙ্কাল সরবরাহের ক্ষেত্রে অবৈধ নানা পন্থায় তৈরি হয় বলে মনে করেন তারা।

সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহে। গত ১৫ই নভেম্বর ময়মনসিংহে ১২টি মানুষের মাথার খুলি ও শরীরের নানা অংশের দুই বস্তা হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।

সেসময় ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ তালুকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, এসব খুলি ও হাড়গোড় ভারত ও নেপালে পাচার করা হতো।

এছাড়া মেডিকেল কলেজগুলোতে এসব হাড় শিক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের ভেতরেও এসব হাড় সরবরাহ করা হতো বলেও জানান তিনি।

কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

বাংলাদেশে মানুষের কঙ্কাল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় মেডিকেল শিক্ষার ক্ষেত্রে। এছাড়া নার্সিং কিংবা হোমিওপ্যাথি বিষয়ক পড়াশুনার জন্যও কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ মানবদেহ নিয়ে পড়াশুনা করতে হয় এমন যেকোন ধরণের শিক্ষায় কঙ্কালের ব্যবহার রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম মোস্তফা কামাল বলেন, মানুষের শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো জানতে এবং শিখতে হলে কঙ্কাল অপরিহার্য।

সিলেট ওমেন্স মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আহসানা নাহিন বলেন, অ্যানাটমি বিষয়ের অধীনে মানুষের কঙ্কাল এবং হাড়গোড় নিয়ে পড়াশুনা করতে হয়।

বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষায় কঙ্কালের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সরবরাহ নেই পর্যাপ্ত।

বিশেষ করে মানুষের শরীরে হাড়-গোড় গুলো কোন অবস্থায় থাকে, হাড়ের গঠন, এগুলোতে বিভিন্ন ধরণের ছিদ্র সম্পর্কে জানতে হয়।

তিনি বলেন, সাধারণত প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা কঙ্কালের দরকার হয়। তবে অনেক সময় যারা হোস্টেলে থাকে তারা দুই-তিন জন শিক্ষার্থী মিলে একটি কঙ্কাল কিনে পড়াশুনা করে।

তবে যারা বাড়িতে থাকে তারা আলাদা কঙ্কাল কিনে নেয়।

একই তথ্য দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা তিথিও। তিনি জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় কঙ্কাল ব্যবহার করতে হয়েছে তাকে।

এ বিষয়ে ঢাকা নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী স্নিগ্ধা ইসলাম বলেন, অ্যানাটমি বিষয়ে পড়াশুনার সময় কঙ্কাল ব্যবহার করতে হয়েছে তাকে।

“আপনাকে যতই পড়ানো হোক না কেন, হাতে ধরে দেখানোর আগে পর্যন্ত আসলে বোঝা সম্ভব না।”

মানুষের কঙ্কালই কেন ব্যবহার করা হয়?

মানুষের কঙ্কালের পরিবর্তে আর্টিফিশিয়াল বা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা কঙ্কাল কেন শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না এমন প্রশ্নে আলাদা ধরণের মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেক শিক্ষক মনে করেন যে, আর্টিফিশিয়াল কিংবা কৃত্রিমভাবে তৈরি কঙ্কাল দিয়ে শিক্ষার বিষয়টি পরিপূর্ণ হয় না। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতক করেন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসক হিসেবে পেশা শুরু করেন তাদের জন্য মানুষের আসল কঙ্কালই প্রযোজ্য বলে মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের শিক্ষক ডা. এ এইচ এম মোস্তফা কামাল বলেন, আসল কঙ্কালের মতো আর্টিফিশিয়াল বা কৃত্রিম কঙ্কাল বানানো সম্ভব নয়।

“অনেক সময় এমন কঙ্কালে অনেক ভুল থাকে।”

চিকিৎসা শাস্ত্রে কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, “রিয়েল কঙ্কালে হয়তো একটা গর্ত আছে, একটা নার্ভ চলে গেছে, একটা গ্রুপ আছে, কিন্তু আর্টিফিশিয়ালে হয়তো ওইটা আসেই নাই।”

তবে আর্টিফিশিয়াল বা মডেল কঙ্কাল অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় বলে জানান তিনি। যেমন নার্সিং কিংবা হোমিওপ্যাথির মতো বিষয়গুলোতে অনেক সময় এ ধরণের কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তবে এ বিষয়ে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করেছেন ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক ডা. সোহেল মাহমুদ।

তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই এখন কৃত্রিম কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়।

এসব কঙ্কাল এখন অনেক বেশি ভাল মানের বলেও জানান তিনি।

কীভাবে সংগ্রহ করা হয়?

সিলেট ওমেন্স মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আহসানা নাহিন বলেন, পড়াশুনার জন্য তিনি যে কঙ্কালটি ব্যবহার করছেন সেটি তিনি সংগ্রহ করেছেন সিনিয়র এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে।

মেডিকেল কলেজে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষেই এ ধরণের পড়াশুনার দরকার হয় বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “মোটামুটি সেকেন্ড ইয়ারের পর আর কঙ্কাল তেমন লাগে না। তাই তৃতীয় বর্ষে বা অন্য বর্ষে চলে গেলে তারা কঙ্কালগুলো বিক্রি করে দেয়। এগুলো জুনিয়ররা কিনে নেয়।”

একই ধরণের তথ্য দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক ডা. সোহেল মাহমুদও।

তিনি বলেন, সিনিয়রদের কাছ থেকে জুনিয়ররা সংগ্রহ করে। এছাড়াও বাইরে থেকে কিছু কঙ্কাল আসে। তবে সেগুলো কোথা থেকে আসে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

অ্যানাটমি বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক মি. ডা. এ এইচ এম মোস্তফা কামাল বলেন, দুই ভাবে মানুষের কঙ্কাল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

প্রথমটি হচ্ছে অনেকে মৃত্যুর পর নিজের দেহ দান করে যান মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পড়া ও গবেষণার জন্য।

চিকিৎসা শাস্ত্রের জন্য যারা নিজের দেহ দান করেন সেগুলো মেডিকেল কলেজের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কঙ্কালে পরিণত করে সেটি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সরবরাহ করে থাকে, ” তিনি বলেন।

এছাড়া বাইরে থেকে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় কঙ্কাল কিনে থাকে। তবে কোথা কেনে সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা তিথি বলেন, সাধারণত সিনিয়রদের কাছ থেকে কঙ্কাল সংগ্রহ করেন তারা।

এছাড়া অনেক সময় হাড় নষ্ট হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে নতুন কঙ্কাল সংগ্রহ করতে হয়। নতুন কঙ্কাল বিক্রি করে এমন অনেকের যোগাযোগ ক্যাম্পাসেই খুঁজে পাওয়া যায় বলেও জানানো হয়।

“এর জন্য লোকাল বোনস ডিলার থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাম্পাসের দেয়ালে পোস্টার দিয়ে দেয়া হয়। বোনস বিক্রি হবে বা ফ্রেস বোনসের ব্যবস্থা করা হবে, যোগাযোগ করুন। এমন লেখা থাকে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল শিক্ষা বিষয়ক ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, দুই ভাবে মেডিকেল কলেজে কঙ্কাল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

প্রথমত, পুরনো মেডিকেল কলেজগুলোতে এক ধরণের ঐতিহ্য রয়েছে যে, যেসব মরদেহের কোন পরিচয় থাকে না বা কেউ দাবি করে না, এমন মরদেহগুলোকে পরবর্তীতে সরকার মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য দিয়ে দেয়। তবে এর কোন লিখিত নিয়ম নেই বলেও জানান তিনি।

দ্বিতীয়ত, অনেকে নিজের দেহ দান করে দিয়ে থাকেন। তবে এই সংখ্যা বাংলাদেশে অনেক কম বলেও জানান তিনি।

মি. হক বলেন, যেহেতু বাংলাদেশে কঙ্কাল সংগ্রহের কোন বৈধ উপায় নেই, তাই অবৈধভাবে আসারও সুযোগ থাকে।

“পত্রিকা ছাড়াও সরেজমিনেও আমরা অবৈধভাবে কঙ্কাল সংগ্রহের বিষয়টি দেখেছি।”

তিনি জানান, শুধু বাংলাদেশে নয় বরং প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পাকিস্তানেও একই পদ্ধতিতে কঙ্কাল সংগ্রহ করা হয়।

তবে যেসব ক্ষেত্রে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে আসার মতো বিষয়গুলো থাকে সেক্ষেত্রে পুলিশি ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানান তিনি।

“আসছে সিমুলেশন ল্যাব”

বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কঙ্কালের প্রয়োজন হলেও এ নিয়ে দেশে কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল শিক্ষা বিষয়ক ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশে এখনো কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি হয়নি। তবে এ বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে এরইমধ্যে দুটি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন তারা।

এর মধ্যে একটি প্রস্তাব মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কঙ্কালের ব্যবহার এবং সরবরাহের পদ্ধতি নিয়ে নীতিমালা তৈরি বিষয়ক। আর আরেকটি মেডিকেল কলেজ গুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য সিমুলেশন ল্যাব তৈরি বিষয়ক।

তবে এ ধরণের ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে বছর পাঁচেক সময় লেগে যেতে পারে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।

এই ল্যাবে আর্টিফিশিয়াল বা কৃত্রিম মরদেহ থাকবে যেটা ডি-সেকশন বা আলাদা করলে মানুষের দেহে যে ধরণের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থাকে ঠিক সে ধরণের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই থাকবে।

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে সিমুলেশন ল্যাব ব্যবহার করা হলেও বাংলাদেশে এখনো এটি প্রচার পায়নি। কুমিল্লায় একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ছোট আকারে একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর কোন মেডিকেল কলেজে এখনো এটি নেই।

তবে তাদের দেয়া প্রস্তাব অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে দেশের ১৬টি মেডিকেল কলেজে এমন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং ধীরে ধীরে সবকটি মেডিকেল কলেজে সেগুলো প্রতিষ্ঠা করা হবে।

মি. হক বলেন, সিমুলেশন ল্যাবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মরদেহ কাটা এবং মানুষের দেহের ভেতরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কোথায় কিভাবে থাকে, সেটা কেমন, ওজন কত, শক্ত নাকি নরম, এই বিষয়গুলো হাতে নিয়ে স্পর্শ করে দেখার মতো অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।

“প্রথমে আর্টিফিশিয়াল বডি দিয়ে তাদের টার্গেট প্র্যাকটিস করানো হবে। পরে তাদেরকে লাইভ সার্জারিতে নিয়ে গিয়ে দেখানো হবে।”

তিনি বলেন, বছরখানেক আগেই এই পরিকল্পনা পাস হয়। আর এখন এ নিয়ে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এই প্রকল্প পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানান মি. হক।

  • মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়

    মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়

  • মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়

    মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়

  • মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়

    মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়

  • মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়

    মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়

  • মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়
  • মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়
  • মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়
  • মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com