আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

ভিটামিন সি’র অভাব হলে বুঝবেন কীভাবে

ভিটামিন সি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি। ভিটামিন সি এমন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকেও আমাদের রক্ষা করে। ভিটামিন-সি ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। শরীরে ভিটামিন সি’র ঘাটতি হলে, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে ভিটামিন-সি এর অভাবজনিত লক্ষণগুলি দেখা দিলে সতর্ক থাকা উচিত।

ভিটামিন-সি এর অভাবে যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়-

শুষ্ক ত্বক
 : ভিটামিন-সি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন-সি এর অভাব, ত্বককে শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এর ফলে ত্বক নিস্তেজ এবং প্রাণহীন হয়ে ওঠার পাশাপাশি কুঁচকে যায়।

ক্ষতের নিরাময় ধীর গতি : ভিটামিন-সি কোলাজেন উৎপাদনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই শরীরে ভিটামিন-সি এর ঘাটতি দেখা দিলে, ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরে হয়ে যায়। তাছাড়া ভিটামিন-সি এর অভাবে, সংক্রমণের বিস্তারও বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি ভিটামিন-সি এর গুরুতর অভাবজনিত লক্ষণের মধ্যে অন্যতম।

দাঁত এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া : ভিটামিন-সি কেবলমাত্র ত্বকের ক্ষেত্রে নয়, দাঁতের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের ভিটামিন-সি এর ঘাটতির কারণে কোলাজেনের গঠন দুর্বল হয়, ফলে মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তাছাড়া এই ঘাটতি মারাত্মক আকার ধারণ করলে, দাঁত পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

অস্থিসন্ধির ব্যথা :  অস্থিসন্ধির কার্টিলেজ প্রাথমিকভাবে কোলাজেন দিয়েই তৈরি। তাই ভিটামিন-সি এর অভাবে, হাড়ের চারপাশের কম প্যাডিং হয়। এর ফলে একটুতেই অস্থিসন্ধিতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন-সি এর অভাবে, অস্থিসন্ধি এবং হাড়ের চারপাশে প্রদাহ ও ফোলাভাবও দেখা দিতে পারে।

দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
 : ভিটামিন-সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে অত্যন্ত সহায়ক। তাই শরীরে ভিটামিন-সি এর অভাব দেখা দিলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে ঘন ঘন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।


ওজন বৃদ্ধি
 : অনেক সময় হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধির পেছনেও ভিটামিন-সি এর অভাব থাকে। ভিটামিন-সি এর অভাবে, বিশেষ করে পেটে চর্বি জমা হয়।

অবিরাম ক্লান্তি 
: ভিটামিন-সি এর অন্যতম অভাবজনিত লক্ষণ হল, সবসময় ক্লান্তি বোধ করা। এর অভাবে শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে রক্তাল্পতাও হতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন সি এর অভাবে, কাজ করায় অনীহা, আলস্য এবং খিটখিটে মেজাজ হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com