আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?

ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?
ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?

অনেকেই হয়তো গত কয়েক দিন ধরে শুনে থাকবেন যে ভিটামিন ডি আমাদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু আসলেই কি ভিটামিন ডি করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারে?

আমাদের ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে ভিটামিন ডি পায়। ভিটামিন হাড়ের বৃদ্ধি এবং শক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কারণ এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফেটের অন্ত্রের শোষণে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি ফ্যাট-দ্রবণীয় এবং শ্বেত রক্ত কণিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি অতিরিক্ত প্রদাহজনক সাইটোকাইন থেকে বাঁচিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করে। সাইটোকাইন স্ট্রোম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার তীব্র প্রতিক্রিয়া যা ভাইরাসের পাশাপাশি শরীরের নিজস্ব কোষ এবং টিস্যুগুলো ধ্বংস করে দেয়।

কার ঝুঁকি বেশি?
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, বয়স্ক এবং কালো বর্ণের লোকেরা, যাদের ভিটামিন ডি এর পরিমাণ কম রয়েছে; তাদের করোনাভাইরাসের গুরুতর লক্ষণ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনের পরিপূরক থেকে উপকার পাওয়া যেতে পারে। সুতরাং, প্রবীণ এবং কালো বর্ণের লোকেরা তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি পরিপূরক থেকে উপকার পাবেন।

কালো ত্বকের ব্যক্তিদের মধ্যে মেলানিনের উপস্থিতি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে ত্বকের ভিটামিন ডি তৈরির ক্ষমতা হ্রাস করে। লকডাউনের জন্য অনেকেই এখন বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। এমন অবস্থায় মানুষের মধ্যে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি বাড়তে পারে।

ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?
ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?

ল্যানসেট স্টাডি কী বলে
ল্যানসেট পেপার বিভিন্ন দেশে মৃত্যুর হারের সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখতে পায়। এটি এজিং ক্লিনিকাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত একটি পর্যবেক্ষণ গবেষণাকে উদ্ধৃত করে যা ২ টি ইউরোপীয় দেশ থেকে প্রাপ্ত ডেটা ব্যবহার করেছিল। এটি অনুসারে, ইতালি এবং স্পেনে গড়ে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কম। আশ্চর্যের বিষয়, এই দেশগুলোতে উত্তর ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় করোনভাইরাসে মৃত্যুর হার বেশি। উত্তর ইউরোপীয়দের মধ্যে তুলনামূলকভাবে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ডি রয়েছে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে সমস্যা
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন ডি এর ঘাটতি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩%, প্রি-ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫% এবং স্থূল লোকদের মধ্যে ৮০% ছিল, যা উদ্বেগজনক। কারণ এগুলো করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?
ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?

নিজে নিজে ওষুধ খাবেন না
চিকিৎসকদের মতে, অতীতের গবেষণাগুলো ভিটামিন ডি এর অভাবের সঙ্গে শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণের সংযোগ খুঁজে পেয়েছে। ভিটামিন ডি ওষুধ হিসেবে খেলে তখন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং বিষাক্ততার ঝুঁকি কম থাকে। কিডনি এবং যকৃতের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিষাক্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হতে পারে, কারণ তাদের দেহ ভিটামিন ছাড়তে সক্ষম নাও হতে পারে। সুতরাং, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কোনোভাবেই নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া যাবে না।

  • ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?

    ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?

  • ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?

    ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?

  • ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?

    ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?

  • ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?
  • ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?
  • ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে?
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com