আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

বয়সভেদে পুষ্টির চাহিদা

শিশুর পুষ্টি: শিশু জন্মের প্রথম ছয় মাস মায়ের দুধ পান করাতে হবে। এমনকি এ সময় এক ফোঁটা পানিও দেওয়া যাবে না। শিশুকে মায়ের প্রথম যে দুধ দেওয়া হয় তাকে শালদুধ বা কোলোস্ট্রাম বলে। এটির রং হলুদ এবং এটি রোগ প্রতিরোধ করে। এরপর থেকে শিশুকে নতুন খাদ্যে অভ্যস্ত করাতে হবে। প্রথমে তরল খাবার যেমন- বিভিন্ন ফলের রস, সবজির পাতলা স্যুপ ইত্যাদি দিতে হবে। তারপর তরল খাবার কিছুটা ঘন করে দিতে হবে। এ সময় ভাত, ডাল, সবজি ব্লেন্ড করে দেওয়া যাবে। ধীরে ধীরে নরম খাবারের অভ্যাস করাতে হবে। এ সময় নরম সিদ্ধ মাছ, নরম ভাত, ডিমের কুসুম দেওয়া যাবে। দুধ-সুজিও দেওয়া যাবে।

শিশুর অন্যতম পরিপূরক খাবার হলো খিচুড়ি। পরীক্ষায় দেখা গেছে, যদি খাদ্যশস্য ও ডালের পরিমাণ ৫ :১ অনুপাতে থাকে তাহলে এদের মিলিত প্রোটিন দেহ গঠনে বিশেষ সহায়তা করে। সুতরাং খিচুড়ি একটি পুষ্টিকর ও উপাদেয় খাবার। এটি রান্নার সময় সামান্য তেল, সবজি ও ছোট মাছ কেটে দেওয়া যেতে পারে। খাওয়ানোর সময় লেবুর রস দিলে ভিটামিন সিও পাওয়া যাবে।

কৈশোরের পুষ্টি :কৈশোরে শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে বলে এ সময় সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এ জন্য খাবারে থাকতে হবে আমিষ, শর্করা, চর্বি, খনিজ লবণ ও ভিটামিনযুক্ত খাবার। আজকাল দেখা যায়, এ  বয়সের ছেলেমেয়ে বাইরের খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয় অথচ এ খাবারগুলোতে তেল, চর্বি, লবণ অনেক বেশি থাকে; যা শরীরের জন্য ভালো নয়। এ কারণে কিশোর-কিশোরীর মধ্যে দেখা যায় ওজন বেশি ও অপুষ্টি।

মেয়েদের ক্ষেত্রে রক্তস্বল্পতার ঘাটতি প্রায়ই হয়ে থাকে। এ কারণে আয়রনের জন্য তাদের নিয়মিত ডিম, মাংস, কলিজা, সামুদ্রিক মাছ, সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। এ ছাড়া ক্যালসিয়ামের জন্য দুধ খাওয়া প্রয়োজন। কিশোরদের খেলাধুলা, বাইরে ছোটাছুটির জন্যও প্রোটিন-ভিটামিন ও আয়রন বা লৌহের দিকে নজর দিতে হবে। প্রতিদিন একটি ডিম তাদের দেহ গঠন ও কর্মক্ষমতার জন্য প্রয়োজন। মধ্য বয়সের মানুষের কাজের পরিধি বেড়ে যায়। এ কারণে তাদের শক্তির প্রয়োজন। কারণ, এ সময় ক্যালরি খরচ বেশি হয়। আবার এ সময় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি দেখা যায়। এ জন্য ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ যুক্ত খাবার খেতে হয়। এ বয়সে এ দুটি খাদ্য উপাদানের অভাবে হাড়ের রোগ দেখা যায়। হাড় সহজেই ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

বার্ধক্যে পুষ্টি: বার্ধক্যে কায়িক শ্রম কমে যায়, কিন্তু পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের প্রয়োজনীয়তা কমে না। এদিকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় তারা ভুগে থাকেন। যেমন- ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ, বাতের সমস্যা ইত্যাদি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজমশক্তিও কমে যায়। এ কারণে গুরুপাক ও বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার তাদের না খাওয়াই ভালো। বয়স্ক ব্যক্তিদের উপযোগী খাবার হলো নরম খিচুড়ি, দুধ বা দই দিয়ে চিড়া, মুড়ি, স্যুপ, দুধ-রুটি, পাতলা ডাল-রুটি, দুধ-সাগু, দুধ-সুজি ইত্যাদি। এ ছাড়া ফলের রস, পুডিং, হালুয়া, কাস্টার্ড খাওয়া যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com