আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

১৫ বছর বয়সে বিশেষ বর্ণমালা তৈরি করেন অন্ধ ব্রেইল

অন্ধ হওয়া মানেই পরিবার বা সমাজের বোঝা নন। অন্ধরাও স্বাভাবিক মানুষের মতো বাঁচতে পারেন। এমনকি পড়ালেখা শিখে নিজ পায়েও দাঁড়াতে পারেন। তবে অন্ধদের শিক্ষাদানের জন্য প্রয়োজন বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা। যা সম্ভব ব্রেইল পদ্ধতির মাধ্যমে।

ব্রেইল নামটির সঙ্গে সবাই কম-বেশি পরিচিত। বর্তমানে ব্রেইল পদ্ধতি ব্যবহার করে অন্ধদের শিক্ষা দেওয়া হয়। আর এ উপায়ে অনেক দৃষ্টিহীন মানুষ শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কেউ কেউ আবার উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও কর্মরত আছেন।

তবে জানেন কি? যিনি এ বিশেষ শিক্ষাপদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, তিনিও ছিলেন অন্ধ। মাত্র তিন বছর বয়সে তার চোখের আলো নিভে যায়। এরপর তিনি আজীবন শুধু শিক্ষার পেছনেই আত্মনিয়োগ করেন।

jagonews24

আবিষ্কার করেন ছয় বিন্দুর শিক্ষাপদ্ধতি। আসলে ব্রেইল পদ্ধতি হলো, কাগজের উপর ছয়টি বিন্দুকে ফুটিয়ে তুলে লেখার এক বিশেষ কৌশল। দৃষ্টিহীনরা এ বিন্দুগুলোর ওপর আঙুল বুলিয়ে ছয়টি বিন্দুর নকশার কোনটি কোন বর্ণ, তা বোঝার চেষ্টা করে শিক্ষাগ্রহণ করে।

লুই ব্রেইল ১৮০৯ সালের আজকের এ দিনে অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী আজ ‘বিশ্ব ব্রেইল দিবস’। তিনি একজন ফরাসি আবিষ্কারক ও শিক্ষক। ফ্রান্সের কুপভ্রে এলাকায় তিনি এক চামড়া ব্যবসায়ীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। চার ভাই-বোনের মধ্যে লুই ছিলেন সবচেয়ে ছোট।

তার বয়স যখন তিন বছর; তখন দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। আকস্মিকভাবে তার এক চোখে সুঁইয়ের আঘাত লাগে। আর ওই সময় ভালো চিকিৎসাব্যবস্থা ও অ্যান্টিবায়োটিক না থাকায় লুইয়ের আঘাতপ্রাপ্ত চোখ আরও সংক্রমিত হতে থাকে। এরপর তার দুই চোখেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। লুই ব্রেইল চিরদিনের মতো অন্ধত্ব বরণ করেন।

১০ বছর বয়সে ব্রেইল অন্ধদের উপযোগী রাজকীয় এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। তিনি বরাবরই একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বিজ্ঞান ও গানের প্রতি ছিলেন আগ্রহী। পরবর্তীতে চার্চের অর্গ্যান যন্ত্রবাদক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। পাশাপাশি তরুণদের অন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও শিক্ষক হয়ে ওঠেন।

jagonews24

ব্রেইল ১৫ বছর বয়সে অন্ধদের জন্য বর্ণমালা তৈরি করেন। এটি ছিল তার স্বপ্ন। পাঁচ বছর পর ১৮২৯ সালে ব্রেইল পদ্ধতি প্রকাশ পায়। বিভিন্ন জ্যামিতিক প্রতীক এবং বাদ্যযন্ত্রের চিহ্ন অন্তর্ভুক্ত ছিল এ বর্ণমালায়।

২০ বছর বয়সে লুই অন্ধদের কল্যাণে ব্রেইল শিক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এজন্য তিনি অনেক পরিশ্রম করেন। একে তো কিছু দেখতেন না, তার ওপরে চলাফেরা, কাজসহ নানা দায়িত্ব পালনের পরেও ব্রেইল পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন মেধাবী লুই।

তিনি বরাবরই চেয়েছেন, তার মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা যেন সমাজের বোঝা হয়ে না থাকেন। তারাও যেন সমাজের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারেন। এ জন্যই লুই অন্ধ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ব্রেইল পদ্ধতি আবিষ্কার করে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটান।

এক থেকে ছয়টি বিন্দু স্পর্শ করেই বর্তমানে বিশ্বের লাখ লাখ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা গ্রহণ করছেন। পদ্ধতিটি বিশ্বের সর্বত্র পরিচিতি পেয়েছে এবং প্রচলিত সব ভাষায় গ্রহণ করা হয়েছে।

ব্রেইল পদ্ধতি কী: ব্রেইল কোনো ভাষা নয়। এটি একটি লিখন পদ্ধতি। চার্লস বারবিয়ে কর্তৃক উদ্ভাবিত যুদ্ধকালীন সময় রাতে পড়ার জন্য যে উত্তল অক্ষরের প্রচলন ছিল তা পর্যবেক্ষণ করে লুই ব্রেইল কাগজে উত্তল বিন্দু ফুটিয়ে লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।

তার নামেই এই পদ্ধতি পরিচিত। পরবর্তীতে ১৮২৯ সালে তিনি স্বরলিপি পদ্ধতিতেও প্রকাশ করেন ব্রেইল শিক্ষা। ১৮৩৭ সালে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণটি ছিল আধুনিক যুগে বিকশিত প্রথম ক্ষুদ্র বাইনারি লিখন পদ্ধতি।

ছয়টি বিন্দু দিয়ে ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখা হয়। এ উপায়ে ৬৩টি নকশা তৈরি করা যায়। একেকটি নকশা দিয়ে বিভিন্ন বর্ণ, সংখ্যা বা যতিচিহ্ন প্রকাশ করা হয়। ৬টি বিন্দু বাম ও ডান দুটি উল্লম্ব স্তম্ভে সজ্জিত থাকে। অর্থাৎ প্রতি আনুভূমিক সারিতে থাকে দুটি বিন্দু। বিন্দুগুলোর পরস্পরের আকার ও দূরত্ব থাকে অভিন্ন। যেমন- বাম স্তম্ভের ওপরের বিন্দুটি যদি উত্তল থাকে আর বাকি ৫টি সমতল থাকে। তবে নকশাটি দ্বারা ইংরেজি বর্ণমালার ‘এ’ বর্ণটি প্রকাশ পায়। ঐতিহ্যগতভাবে অ্যাম্বুজকৃত কাগজের ওপর ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখা হয়। এর বিকল্প হিসেবে এখন অবশ্য বিশেষায়িত টাইপরাইটার ব্যবহার করে সবাই। এ টাইপরাইটারের নাম ব্রেইলার।

jagonews24

ব্রেইলার এক ধরনের টাইপ মেশিন, যাতে ছয়টি বিন্দুর জন্য ছয়টি বাটন, স্পেস বার, ক্যাপিটাল লেটার ও সংখ্যা বোঝানোর জন্য পৃথক দুটি বাটন থাকে। ব্যাকস্পেস ও পরের লইনে যাওয়ার জন্যও পৃথক বাটন থাকে। ব্রেইল টাইপ রাইটারে শক্ত ধরনের কাগজ ব্যবহার করা হয়। যাতে স্ফূটিত অক্ষরগুলো সহজে ভেঙে না যায়। সাধারণত ১৪০ থেকে ১৬০ জিএসএমের কাগজ ব্যবহৃত হয়।

ব্রেইল ব্যবহারকারীরা রিফ্রেশেবল ব্রেইল ডিসপ্লে ব্যবহার করে থাকে। এর মাধ্যমে কম্পিউটারের মনিটর ও মোবাইলসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক সমর্থনযোগ্য ডিভাইসে পড়তে পারে। তারা স্লেট অ্যান্ড স্টাইলাসের মাধ্যমে লিখতে বা পোর্টেবল ব্রেইল নোট টেকার বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ব্রেইল রাইটারে টাইপ করতে পারে।

এ বিশেষ শিক্ষাপদ্ধতি আবিষ্কার করে লুই ব্রেইল ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। তার এ আবিষ্কারের কারণেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা আজ শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছেন। তবে এটি আবিষ্কারের পর লুইয়ের গ্রহণযোগ্যতা পাননি।

কারণ ইনস্টিটিউটে ব্রেইল পদ্ধতি গৃহীত হয়নি। হাউয়ের উত্তরাধিকারীরা এ আবিষ্কারের বিপক্ষে ছিলেন। এমনকি ইতিহাস বই ব্রেইলের ভাষায় অনুবাদ করার জন্য প্রধান শিক্ষক ড. আলেকজান্ডার ফ্রাঙ্কোরেন পেইনিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়।

জন্মের পর থেকে লুই ব্রেইল শারীরিকভাবে সব সময়ই অসুস্থ থাকতেন। ৪০ বছর বয়সে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হন। এরপর অবসর গ্রহণ করেন। তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হতে থাকলে তার বাসভবন কুপভ্রে-তে নিয়ে আসা হয়। জন্মদিনের ঠিক দু’দিন পরই ১৮৫৩ সালে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন লুই ব্রেইল।

তার মৃত্যুর দুই বছর পর ছাত্রদের চেষ্টায় ইনস্টিটিউট অবশেষে তার বর্ণমালার পদ্ধতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। পরে এটি ফরাসি ভাষাভাষিদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

২০০৯ সালে তার দ্বি-শতবর্ষ জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে বিশ্বের সর্বত্র যথাযোগ্য মর্যাদার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রদর্শনী ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। এতে তার জীবন, কর্ম ও ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। বেলজিয়াম এবং ইতালিতে দুই ইউরো, ভারতে দুই রুপি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক ডলার মূল্যমানের মুদ্রা প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com