আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

নিছক ফ্লু না করোনা

শীতে প্রতিবছর ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি ও জ্বর হয়। মৌসুমি জ্বর, কাশি বা ফ্লু এই সময়ের খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে চলতি বছর করোনার আতঙ্ক ঘিরে রেখেছে সবাইকে। জ্বর, কাশি ও গলাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে এখন দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে বৈকি। তাহলে এখন এমন উপসর্গ দেখা দিলে কী করবেন? কী করে বুঝবেন এটি সাধারণ সর্দি-কাশি বা ফ্লু, নাকি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ?বিজ্ঞাপন

ফ্লু ও করোনায় মিল যেসব উপসর্গে

  • দুটিই ভাইরাসজনিত রোগ। সংক্রমণ ছড়ায় পরস্পরের সংস্পর্শে। একজনের শরীর থেকে সর্দি ও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম দুটোই।
  • সময়মতো সচেতন না হলে বা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করলে নিউমোনিয়ার দিকে বাঁক নিতে পারে দুটিই। বিশেষ করে যাঁরা বয়োবৃদ্ধ ও যাঁদের রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা কম, তাঁদের জন্য ফ্লু বা করোনা দুটিই ঝুঁকিপূর্ণ।
  • ফ্লু ও করোনা দুটিই কিছু সাধারণ সচেতনতার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। মুখে মাস্ক পরা, হাঁচি–কাশির আদবকেতা মেনে চলা, বারবার হাত ধোয়া ও অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকার মাধ্যমে দুটিই প্রতিহত করা সম্ভব।

ফ্লু ও করোনার অমিল

  • ফ্লু ও করোনা দুটিই ভাইরাসজনিত অসুখ হলেও দুই রোগের ভাইরাস সমগোত্রীয় নয়। ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণে হয়, আর করোনা হয় করোনা গ্রুপের ভাইরাসের কারণে। আর ফ্লুর তুলনায় বেশি সংখ্যক মানুষের তীব্র জটিলতা বা জীবনসংশয় দেখা দিতে পারে করোনার কারণে।
  • করোনাভাইরাস ছড়ায় দ্রুত, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের তুলনায়। ফ্লুর বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২-৩ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়। করোনাভাইরাসের বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। আবার করোনার একটা উল্লেখযোগ্য দিক হলো, এতে আক্রান্তের একটা বড় অংশই একেবারে উপসর্গহীন থাকতে পারে। বিশেষ করে অল্পবয়স্ক শিশু–কিশোর বা তরুণদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ হলেও তা তেমন লক্ষণ প্রকাশ না করেও থাকতে পারে। তবে এরা লক্ষণহীন হলেও সংক্রমণ বিস্তারে ভূমিকা রাখে।
  • ফ্লুর ক্ষেত্রে জ্বর ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠে যেতে পারে, ওষুধের কাজ শুরু হলে তা নামতেও শুরু করে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে জ্বর প্রবল হলেও নামতে চায় না সহজে। ওষুধও কাজ করে না। আবার কারও কারও জ্বরই থাকে না।
  • ফ্লু বোঝার জন্য কোনো আলাদা করে পরীক্ষার দরকার পড়ে না। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত করতে পলিমারেস চেইন রি–অ্যাকশন বা পিসিআর পরীক্ষা করা হয়।
  • ফ্লুর জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক অনেক আগে থেকেই রয়েছে। করোনাভাইরাস রোধে ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক সম্প্রতি উদ্ভাবন হয়েছে, তবে তা এখনো আমাদের দেশে দেওয়া শুরু হয়নি।
  • ফ্লু–জনিত নিউমোনিয়া শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য জটিল পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। কিন্তু কোভিড নিউমোনিয়া সাধারণত শিশুদের জন্য তেমন মারাত্মক আকার ধারণ করে না, যদি না সেই শিশু আগে থেকেই অসুস্থ রোগাক্রান্ত বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে।
  • সাধারণ ফ্লুতে প্যারাসিটামল, বিশ্রাম আর পুষ্টিকর খাবার ছাড়া তেমন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তবে করোনায় আক্রান্ত হলে অক্সিজেন থেরাপি, এন্টগুয়ালেন্টসহ নানা ধরনের পর্যায় বুঝে চিকিৎসার দরকার আছে।

কোন কোন উপসর্গে সতর্ক হবেন

জ্বর: কোভিড হলে প্রথমে গায়ে জ্বর বা মৃদু জ্বর ৯৯-১০১ ডিগ্রি থাকে। এরপর সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকলে জ্বর ১০৩-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে, প্রবল এই জ্বর নামতে চায় না সহজে।

কাশি: অনবরত শুকনা কাশি, কাশতে কাশতে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম করোনার সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দেখা গেছে। ফ্লুর মতো হাঁচি, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া ততটা দেখা যায় না এতে।

শ্বাসকষ্ট: করোনার সংক্রমণের এক মারাত্মক উপসর্গ শ্বাসকষ্ট। করোনাভাইরাস শরীরে ঢোকার পর বংশবিস্তার করতে করতে যখন ফুসফুসে পৌঁছায়, তখন ফুসফুসের থলিতে ছিদ্র হয়ে তা তরলে পূর্ণ হয় ও নিউমোনিয়ার সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। লক্ষণ শুরুর ৮ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়। আবার কারও শ্বাসকষ্ট তেমন তীব্র অনুভূত না হলেও রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা কমতে থাকে। একে হ্যাপি হাইপক্সিয়া বলে। মানে রোগী নিজে না বুঝলেও তাঁর শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়।

স্বাদহীনতা: কোভিডের একটা গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হিসেবে দেখা দিয়েছে স্বাদহীনতা বা খাবারের স্বাদ–গন্ধ চলে যাওয়া। অনেকের কেবল এই একটি উপসর্গ থাকে।

কী করবেন

যদি সর্দি-কাশি ও জ্বর দেখা দেয়, আপনার করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কোনো ইতিহাস বা ঝুঁকি না থাকে এবং আপনি যদি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের তালিকায় না থাকেন (ফুসফুস, হার্ট, কিডনি, লিভারের অসুখ বা কোনো অসুখ, ওষুধের কারণে শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে না যায়), তাহলে আতঙ্কিত না হয়ে ঘরে বিশ্রাম নিন। তবে কোভিড আছে কি নেই, পরীক্ষায় তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকুন। অর্থাৎ, বাড়ি থেকে বের হবেন না। বাড়ির অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। পুষ্টিকর হালকা খাবার খাবেন। হালকা গরম পানি পান করবেন পর্যাপ্ত। দরকার হলে জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল খাবেন। সর্দি-হাঁচি-কাশির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ খাবেন। হাঁচি-কাশির সময় পরিষ্কার রুমাল বা মাস্ক ব্যবহার করবেন। শিশু, বয়স্ক ও অন্তঃসত্ত্বাদের থেকে দূরে থাকবেন। আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা ভালো থাকলে কিংবা বড় কোনো রোগবালাই না থাকলে ফ্লু হোক বা মৃদু কোভিড, এর মাধ্যমেই ভাইরাসকে কাবু করা যাবে।

সাধারণ ফ্লু ভাইরাস যদি ১০০ জনকে সংক্রামিত করে, তার মধ্যে ১৫-২০ জনের অবস্থা জটিল হয়। বিপদ হয় দু-এক জনের। বাকি ৮০-৮৫ শতাংশ মানুষের সাধারণ উপসর্গ হয় আর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে তা নিজের নিয়মেই কমে যায়। তাই উদ্বেগের কিছু নেই।

কিন্তু কাশি-জ্বর বা করোনাভাইরাসের অন্যান্য উপসর্গ থাকলে, করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার বা জনসমাগমে সম্প্রতি গিয়ে থাকলে এবং আপনি যদি ঝুঁকিপূর্ণদের তালিকায় পড়েন, তাহলে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করান। রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করা যেতে পারে। তারপর যদি দেখা যায় উপসর্গ কমার বদলে বাড়ছে, জ্বর বাড়ছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, রক্তচাপ কমে মাথা ঘুরছে, রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাচ্ছে বা প্রচণ্ড রকম দুর্বল লাগছে যে বাথরুমেও যেতে পারছেন না, তাহলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করুন।

মনে রাখবেন, করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এলেও জ্বর যদি পাঁচ-সাত দিনেও না সারে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় বা দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে, তাহলেও হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। কারণ, ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে করোনার পিসিআর পরীক্ষা ফলস নেগেটিভ আসতে পারে। তবে বুকের এক্স–রে বা সিটি স্ক্যান দেখে তা অনেকটাই ধারণা করা যায়।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com