আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফল

ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে স্থানীয় পর্যায়ে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে উচ্চমূল্যের মিশ্র ফলের বাগান করে লাভবান হয়েছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার কৃষক মো. আব্দুল গফুর কাজী। তিনি শহীদ ওহাবপুর ইউপির রূপগ্রামের বাসিন্দা।

এ অঞ্চলে ড্রাগন ও মালটার নতুন চাষাবাদ শুরু হলেও ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন তিনি। এ মৌসুমে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় করেছেন ড্রাগন ও মালটা বিক্রি করে।

এতে খরচ হয়ে নামমাত্র টাকা, যা ছত্রাকনাশক ওষুধ ও পরিচর্যায়। তবে ধান, পাটসহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে কয়েকগুণ লাভ ড্রাগন ও মালটা চাষে এবং কষ্টও কম। এছাড়া এসব বাগানের মধ্যে করা যায় সাথী ফসল হিসেবে শাক-সবজির চাষ, যা থেকে বাড়তি আয় করা যায়।

জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে ২০১৭ সালে প্রায় দেড় বিঘা জমিতে ড্রাগন ও ২০১৮ সালের বারী-১ মালটা চাষ শুরু করেন সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল গফুর।

তিনি ভিয়েতনামি নারিকেল ও বাগানে সাথী ফসল হিসেবে ব্রকোলি, পেঁপেসহ শাক-সবজির চাষ করছেন। বর্তমানে বাগানে ৬৬টি ড্রাগন ও ৬০টি মালটা গাছ রয়েছে।

ড্রাগন ১৮ থেকে ২৪ মাসের ব্যবধানে ফল পাওয়া যায় এবং দুই বছর পর থেকে পাওয়া যায় মালটার ফলন। বাগান শুরুর সময় যে খরচ করেছেন, মূলত সেটাই। পরবর্তীতে খরচ হয় পরিচর্যা ও ছত্রাকনাশক ওষুধে। সাথী ফসল থেকে উঠে আসে পুরো বাগান পরিচর্যা ও ছত্রাকনাশক ওষুধের খরচ।

চলতি মৌসুমে ড্রাগনের ৪০টি পিলার থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকার ড্রাগন ও ৬০টি মালটা গাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালটা বিক্রি করেছেন কৃষক গফুর। এছাড়া ভিয়েতনামি নারকেল গাছে বাধা আসলেও ফল হয়নি।

ড্রাগন চাষে পিলারপ্রতি শুরুতে পাঁচশ টাকা ও মালটার চারাপ্রতি খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। স্থানীয় আলম ও মজিদ শেখ বলেন, আজ কয়েক বছর হয়েছে গফুর কাজী ড্রাগন ও মালটার বাগান করেছেন। বর্তমানে তিনি ড্রাগন ফল ও মালটা বিক্রি করে অনেক লাভবান হয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি বিক্রি করেছেন ড্রাগন। দূর-দূরান্ত থেকে গাড়ি নিয়ে মানুষ এসব ফল কিনতে ও দেখতে আসে। অন্যান্য কৃষি ফসল চাষে অনেক কষ্ট কিন্তু এ ফল চাষে শুরুতে কষ্ট, পরে আর তেমন কষ্ট নেই এবং লাভও কয়েকগুণ বেশি। আগামীতে তারা তাদের কৃষিজমিতে ফলের বাগান করবেন। এসব ড্রাগন ফল ও মালটা সুস্বাদু।

কৃষক আব্দুল গফুর কাজী বলেন, তিনি একজন কৃষক এবং কৃষিকাজ করা তার পেশা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে ফলের মাধ্যমে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে তিনি ড্রাগন, মালটা ও ভিয়েতনামি নারকেলের মিশ্র ফলের বাগান করছেন। খরচ যা হয়, সেটা প্রথমে। ড্রাগন চাষে প্রতিটি পিলারে তার চারাসহ খরচ হয়েছে সব মিলিয়ে পাঁচশ টাকা।

পরবর্তীতে পরিচর্যা ও ছত্রাকনাশক ওষুধ ছাড়া কোনো খরচ নেই। দুই বছর পর থেকে ফলন পেতে শুরু করেছেন এবং এখন পরিপূর্ণভাবে ৪০টি গাছের ফলন পাচ্ছেন এবং আরও নতুন ২৬টি গাছ লাগিয়েছেন। এখন বছরে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয় এবং নিজের তৈরি বার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করছেন বাগানে।

খরচ যা করার আগেই করেছেন, এখন শুধু ফল পাবেন এবং পিলারে গাছ যত বছর থাকবে তত বছরই ফলন পাবেন। এ মৌসুমে তিনি প্রায় দেড় লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করেছেন। অপরদিকে মালটা চাষের খরচও সীমিত। ৪০ থেকে ৪৫ টাকা পিস চারা কিনে লাগিয়েছেন। ভিয়েতনামি নারিকেলের চারা প্রতি পিস কিনেছেন পাঁচশ টাকায়।

এর মধ্যে তিনি সাথী ফসলও চাষ করছেন। যা থেকে পরিচর্যা খরচ উঠে বাড়তি লাভ করছেন। মালটা বাগানে তার প্রায় ৭০টি গাছ আছে। এ বছর সেখান থেকে তিনি প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালটা বিক্রি করেছেন। আসা করছেন আগামীতে মালটার ফলন আরও বেশি পাবেন।

এছাড়া নারকেল গাছে বাঁধা আসছে কিন্তু ফল ধরেনি। আশা করছেন আগামী বছর নারকেল গাছ থেকেও ফলন হবে। এসব ফল চাষ করে তিনি ব্যাপক লাভবান এবং অন্যান্য ফসলের চেয়ে ফল চাষে ৮ থেকে ১০ গুণ লাভ। আগামীতে তিনি ফলের চাষ আরও বাড়াবেন এবং ফল বাগানে তার এমন সাফল্য দেখে আশপাশের লোকজন বাগান করতে আগ্রহী হয়ে পরামর্শ চান।

শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু হুসাইন সজল বলেন, আধুনিক ফল চাষে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ ও উৎসাহ দেন। কি করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় এবং পোকা-মাকড় ও ছত্রাক থেকে বাগানকে মুক্ত রাখা যায় সে পরামর্শ দেন। ফলে রূপপুরের কৃষক গফুর গাজী ড্রাগন ও মালটার বাগান করে লাভবান হয়েছেন।

সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. বাহাউদ্দিন শেখ বলেন, রাজবাড়ীতে ড্রাগন, মালটাসহ অন্যান্য যে আধুনিক ফল রয়েছে তার জন্য মাটি অত্যন্ত উপযোগী। বর্তমানে ৬ হেক্টর জমিতে মালটা ও ৪ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের বাগান রয়েছে। এটি উচ্চমূল্যের ফসল এবং লাভজনক হওয়ায় ধীরে ধীরে এসবের আবাদ রাজবাড়ীতে বাড়ছে।

অনেকে এখন মিশ্রভাবে ফলের বাগান করে লাভবান হচ্ছেন। মালটা ও ড্রাগন চাষে তারা সব সময় সতর্ক অবস্থানে থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেন। ড্রাগন ফল চাষে প্রাথমিক পর্যায়ে খরচ বেশি হলেও পড়ে সুষম ও জৈব সার ছাড়া আর কোনো খরচ নেই।

এছাড়া ড্রাগন বাগানের মধ্যে অন্যান্য শাক-সবজির আবাদ করে বাড়তি আয় করা যায়। রাজবাড়ীর দো-আঁশ মাটি ড্রাগন ও মালটা চাষের জন্য উপযোগী। ফলে রাজবাড়ীতে কমলার আবাদও শুরু হয়েছে। আগামীতে কমলার ফলনও ভালো হবে।

  • ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়

    ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়

  • ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়

    ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়

  • ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়

    ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়

  • ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়

    ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়

  • ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়

    ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়

  • ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়
  • ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়
  • ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়
  • ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়
  • ড্রাগন ও মালটা চাষে ২ লাখ টাকা আয়
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

এগ্রোবিজ

বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য

বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম
বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম

মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।

মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।

ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।

মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।

মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোটেক

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি

ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।

আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।

আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।

কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।

কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

পেঁয়াজের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে সাথি ফসল বাঙ্গি

পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার
পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার

পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম তাঁর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছেন। অথচ পেঁয়াজের জমিতেই সাথি ফসল হিসেবে লাগানো বাঙ্গি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকার মতো লাভ করবেন বলে আশা করছেন। এই বাঙ্গি আবাদে তাঁর কোনো খরচ হয়নি। ফলে পেঁয়াজ আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঙ্গি আবাদ কইর‌্যা যে টাকা পাইল্যাম তা হলো আমাগরে ঈদের বোনাস। পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় আমরা (কৃষকেরা) যে ক্ষতির মধ্যে পড়িছিল্যাম, বাঙ্গিতে তা পুষায়া গেছে। এই কয়েক দিনে ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচছি। সব মিলায়া ৫০ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচার আশা করতেছি।’

সাইদুল ইসলামের মতো পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার অনেক কৃষক এবার পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গির আবাদ করেন। কৃষকেরা পেঁয়াজ আবাদ করতে গিয়ে বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। সেই হিসাবে প্রতি মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে তাঁদের খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি। কিন্তু বাজারে সেই পেঁয়াজ কৃষকেরা বিক্রি করতে পেরেছেন প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদে কৃষকদের এবার ২০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।

কৃষকেরা বলেন, পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর পর তা কিছুটা বড় হলে এর ফাঁকে ফাঁকে এসব সাথি ফসল লাগানো হয়। পেঁয়াজের জন্য যে সার, কীটনাশক, সেচ দেওয়া হয়, তা থেকেই সাথি ফসলের সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে সাথি ফসলের জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয় না।

কৃষকেরা বলেন, বাঙ্গিতেই কৃষকের লাভ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। রমজান মাস হওয়ায় এখন বাঙ্গির চাহিদা ও দাম দুই-ই বেশি।

সাঁথিয়ার শহীদনগর গ্রামের কৃষক আজমত আলী জানান, তাঁর জমিসহ এই এলাকার জমি থেকে ৮ থেকে ১০ দিন হলো বাঙ্গি উঠতে শুরু করেছে। এবার বাঙ্গির ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বাজারে এসব বাঙ্গি আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম থাকলে এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হবে।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসলের আবাদ কৃষকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে তাঁরাও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

কাঁঠালের আইসক্রিম জ্যাম ও চিপস

জাতীয় ফল কাঁঠালের জ্যাম, চাটনি ও চিপস উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহের প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক। তাঁরা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

গত শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) ‘কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।

কর্মশালায় ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, কাঁঠাল স্বত্ব, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশ কাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষক।’

কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করার জন্য নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরে পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফল

কমলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা, সেচ, আগাছা ব্যবস্থাপনা ও ফসল তোলা- দা এগ্রো নিউজ

কমলা

সার ব্যবস্থাপনা:  প্রতি গর্তে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার ও এমওপি সার ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:  চারা গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা দমন করতে হবে।

ফসল তোলা: মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য পৌষ মাসে ফল সংগ্রহ করতে হয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com