আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

চুলের যত্নে কফির ব্যবহার

চুলের যত্নে কফির ব্যবহার
চুলের যত্নে কফির ব্যবহার

অনেকেরই দিন শুরু হয় এক কাপ কফি দিয়ে। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই একটা অংশ। তবে, কফি শুধুমাত্র শারীরিকভাবেই সতেজতা বাড়ায় না, চুল ও মাথার ত্বকের জন্যও এটি অত্যন্ত উপকারী। কফিতে থাকা ক্যাফেইন চুলের যত্নে অনন্য। কফির হেয়ার প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি হয়। এছাড়া এটি চুল পড়া কমাতেও সাহায্য করে।

জীবনযাত্রা, ধূলোবালি, দূষণ, সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির সংস্পর্শ এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস চুলের উপর এমনিতেই খারাপ প্রভাব ফেলে। এ কারণে চুল  ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই চুলের নিয়মিত যত্ন নেওয়া  প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপাদানই বেশি নির্ভরযোগ্য।

কফি চুলের বৃদ্ধিতে অন্যতম কার্যকর প্রাকৃতিক উপায়। চুলের যত্নে বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে কফি ব্যবহার করা যায়। যেমন-

১. কফি দিয়ে চুল ধুলে তা চুলের বৃদ্ধিতে দারুণভাবে সহায়তা করে।

তৈরির পদ্ধতি : প্রথমে এক কাপ কফি তৈরি করে তা ঠান্ডা হতে দিন। এরপর মাথায় ভালো করে শ্যাম্পু করে মাথা মুছে ফেলুন। চুল থেকে অতিরিক্ত পানি বের হতে দিন। এখন মাথার ত্বকে এবং চুলে ঠান্ডা কফিটি ঢালুন। পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট চুলটা ঢেকে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানির সাহায্যে ভালো করে চুলটা ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এটি ব্যবহার করতে পারেন।

২.  কফি, নারকেল তেল এবং টক দইয়ের প্যাক চুলের পুষ্টি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

তৈরির পদ্ধতি :  একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ কফি পাউডার, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল,  ৩ টেবিল চামচ টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এরপর হাতে পরিমাণমতো এই মিশ্রণটি নিয়ে তা মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালোভাবে লাগান। এরপর এক ঘণ্টা চুল ঢেকে রাখুন। এক ঘন্টা পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এটি করতে পারেন।

৩.  দেহের ত্বকের মতোই মাথার ত্বকেও স্ক্রাব করা দরকার। চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কফির স্ক্রাব বেশ কার্যকর।

তৈরির পদ্ধতি :  ৮ টেবিল চামচ কফি ১ কাপ পানিতে জ্বালিয়ে নিন। এরপর তা ঠান্ডা হতে দিন। এরপর পরিমাণমতো হাতে নিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে মাথার ত্বকে ভালোভাবে স্ক্রাব করুন। তারপরে মাথা ধুয়ে ফেলুন এবং চুল শুকিয়ে নিন। সপ্তাহে দুই বার এটি ব্যবহার করুন।

৪. মাথার ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে গেলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তখন চুল পড়া বেড়ে যায়। এজন্য কফির তৈরি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

তৈরির পদ্ধতি : একটি কাপে ব্ল্যাক কফি তৈরি করুন। এটি ঠান্ডা হতে দিন। এরপর আরেক বাটিতে  ২ টেবিল চামচ কফি, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ১ চা চামচ আমন্ড অয়েল নিয়ে ভালোভাবে মেশান। এরপর এটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট রেখে দিন। এখন চুলে শ্যাম্পু করে নিন। এবার ঠান্ডা কফি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আরও পাঁচ মিনিট রেখে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। তারপর শুকিয়ে নিন। সপ্তাহে ১-২ বার এটি করতে পারেন। সূত্র: বোল্ড স্কাই

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com