আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

চীন

চীনের টিকা ট্রায়ালে প্রস্তুত ঢাকার সাত হাসপাতাল

চীনের টিকা ট্রায়ালে প্রস্তুত ঢাকার সাত হাসপাতাল
চীনের টিকা ট্রায়ালে প্রস্তুত ঢাকার সাত হাসপাতাল

চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির করোনা প্রতিরোধী টিকা বাংলাদেশে ট্রায়ালের জোরালো প্রস্তুতি চলছে। এ লক্ষ্যে রাজধানীর সাতটি হাসপাতাল প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। একই সঙ্গে এ টিকার ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও প্রস্তুত করা হচ্ছে। ট্রায়ালের নেতৃত্বে থাকা আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও চীনের প্রতিনিধি দলের পরামর্শ মেনে সবকিছু করা হচ্ছে। টিকার ট্রায়ালের জন্য হাসপাতালের আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলছে। চীনের টিকা দেশে পৌঁছালেই ট্রায়াল শুরু হবে।

সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই চীনা টিকার ট্রায়াল শুরু করা যাবে। এদিকে ভারতের বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানও বাংলাদেশে তাদের টিকার ট্রায়ালে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ লক্ষ্যে ভারতের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ কিংবা কোন প্রক্রিয়ায় সেই টিকার ট্রায়াল হবে, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। টিকার বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে সরকারের। রাশিয়াও টিকা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানায়, টিকা নিয়ে ভারত ও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দুটি দেশই বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহায়তা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। যেসব দেশ নিজেরা টিকা উদ্ভাবন করতে পারবে না, তাদের অন্য দেশ থেকে টিকা কিনতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিকভাবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এসব দেশ টিকা সংগ্রহ করতে পারবে। চীন, রাশিয়া ও ভারতের পাশাপাশি কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা পাওয়ার প্রক্রিয়ায়ও বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৮ জুলাই বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) চীনা টিকার ট্রায়ালের জন্য আইসিডিডিআর,বিকে অনুমোদন দেয়। এরপর সরকারিভাবে ২৭ আগস্ট এই টিকা ট্রায়ালের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়া যায়। ওই দিনই চীনের টিকা ট্রায়ালের জন্য দেশে আনার অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। চীনের টিকা পৌঁছানোর পর চলতি মাসেই এ ট্রায়াল শুরু হতে পারে। রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে চীনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। ট্রায়ালের নেতৃত্বে থাকা আইসিডিডিআর,বির একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে সংশ্নিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। বিশেষ করে টিকা ট্রায়ালের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এই সাত হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলে চার হাজার ২শ’র বেশি ব্যক্তির ওপর টিকার ট্রায়াল হবে। এজন্য প্রায় আড়াইশ’ গবেষক ও মাঠকর্মী নিয়োগ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে।

চীনের টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক ও আইসিডিডিআর,বির সঙ্গে ট্রায়ালের বিষয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ট্রায়ালে টিকা নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হলে সিনোভ্যাক এক লাখ ১০ হাজার ডোজ বাংলাদেশকে বিনামূল্যে দেবে। একই সঙ্গে টিকা উৎপাদনের প্রযুক্তিও বাংলাদেশকে সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। যাতে চীনা টিকার প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশেও এর উৎপাদন করা সম্ভব হয়।

চীনা টিকা ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. কে জামান। তিনি সমকালকে বলেন, চীনা টিকা ট্রায়ালের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন টিকার জন্য অপেক্ষা করছি। চলতি মাসেই টিকা আসার কথা রয়েছে। টিকা আসার পরপরই ট্রায়াল শুরু করা যাবে।

ড. কে জামান আরও বলেন, সিনোভ্যাক কোম্পানির টিকাটি প্রথম দুই ধাপে প্রাণীদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে সফলতা পাওয়া গেছে। এরপর ফেইস-১-এ ১৪৪ জনের ওপর এবং ফেইস-২-এ ৬০০ জনের ওপর ট্রায়াল করা হয়েছে। এতে টিকাটি নিরাপদ ও মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার প্রমাণ মিলেছে। ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়ায় চীনের এই টিকাটির ট্রায়াল চলছে। সৌদি আরব, তুরস্ক ও চিলিতেও ট্রায়াল শুরু হবে বলে জানান তিনি।

প্রথম ধাপে যারা পাবেন টিকা: চীনা টিকা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) দ্রুততম সময়ে টিকার অনুমোদন দিতে চায়। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা শুরুর পর তারা ছয় মাসও অপেক্ষা করতে চাচ্ছে না। আগামী নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরের মধ্যেই তারা টিকার অনুমোদন দিতে চায়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ট্রায়ালের জন্য নির্ধারিত চার হাজার ২০০ জনের মধ্যে দুই হাজার অংশগ্রহণকারীকে টিকা দেওয়ার পর তিন মাস পর্যবেক্ষণ করা হতে পারে। তাদের তথ্য নিয়ে মধ্যবর্তী ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এই ফলাফল সন্তোষজনক হলেই এফডিএ টিকার অনুমোদন দেবে। এটি জরুরি অনুমোদন। প্রথম দফায় এই টিকা করোনা মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা বিশেষ করে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বয়স্ক জনগোষ্ঠী পাবে। এর পরের ধাপে অন্যদের দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে ড. কে জামান বলেন, ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ না করে অনুমোদন দিলে তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সুতরাং পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পাওয়ার পর অনুমোদন দেওয়া যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন তিনি। প্রথম দফায় কাদের টিকা পাওয়া উচিত- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারা সরাসরি রোগীর সংস্পর্শে যায় কিংবা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে জনসমাগম এলাকায় কাজ করতে হয়, শুরুতে তাদের এই টিকা দেওয়া প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, চীনের টিকার ট্রায়াল সফল হলে প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে দেশেও টিকা উৎপাদনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দেশীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো, ইনসেপ্টা ও পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস এই টিকা উৎপাদন করতে সক্ষম। এই তিনটি কোম্পানির মধ্যে ইনসেপ্টা ও পপুলার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে টিকা তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

অন্য টিকার সর্বশেষ অবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৭৯টি করোনা প্রতিরোধী টিকা নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে ১৪৫টি প্রাথমিক পর্যায়ে এবং ৩৪টি ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে। ১২ আগস্ট রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা উদ্ভাবনের ঘোষণা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় ওই টিকাটি নেই। প্রতিবেশী দেশ ভারত নিজেদের পাশাপাশি অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার চুক্তি হয়েছে। ওই টিকা পেতে বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এর বাইরে ভারতের বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড তাদের উৎপাদিত টিকা বাংলাদেশে ট্রায়ালে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রাশিয়া, চীন ও ভারতের বাইরে বিকল্প উপায়ে টিকা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর টিকার চাহিদা পূরণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমুনাইজেশন (গ্যাভি) ও কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই) যৌথভাবে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্লোবাল অ্যাকসেস বা কোভ্যাক্স নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিনামূল্যে, স্বল্পমূল্যে টিকা ক্রয় করে মজুদ করবে এই কোভ্যাক্স। ওই টিকা দরিদ্র দেশগুলোকে বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করা হবে। গ্যাভির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশেও ওই টিকা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছে।

মানসম্পন্ন, সহজলভ্য এবং সুলভ মূল্যের টিকা নিতে চায় বাংলাদেশ: করোনার টিকা পাওয়ার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সমকালকে বলেন, টিকার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী সরাসরি দেখভাল করছেন। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি চীনের একটি টিকা ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অক্সফোর্ডের টিকারও প্রতিশ্রুতি মিলেছে। চীনের মতো অন্যান্য দেশের টিকারও বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে কিনা এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ-সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ভারতের বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত টিকার বাংলাদেশে ট্রায়াল করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ভারতের হাইকমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ভারতের টিকার ট্রায়ালও শুরু হবে। বিশেষ কোনো টিকার বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে জাহিদ মালেক বলেন, টিকার বিষয়ে কোনো একটি দেশের প্রতি আমাদের বিশেষ দুর্বলতা নেই। গুণগত মানসম্পন্ন, সহজলভ্য এবং সুলভ মূল্য- এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় করে যে টিকাটি পাওয়া যাবে, সেটিই গ্রহণ করব। কারণ প্রতি ডোজ ৪০ ডলার করে কিনতে হলে ওই টিকা ক্রয় করা বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং সার্বিক বিষয় চিন্তা করে দেশের মানুষের জন্য যে টিকাটি ভালো মনে হবে, সেটিই গ্রহণ করব।

টিকা ক্রয়ের জন্য অর্থের সংকট হবে না উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিনামূল্যে কেউই টিকা পাবে না। তবে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর জন্য হয়তো একটু কম মূল্যে টিকা সরবরাহ করা হতে পারে। রাশিয়ার টিকা ১০ থেকে ১৫ ডলার, ফাইজারের টিকা ১৭ থেকে ৩০ ডলার, মডার্নার টিকা ৩০ থেকে ৪০ ডলার দাম পড়বে বলে শোনা যাচ্ছে। অক্সফোর্ড, ভারত ও চীনের টিকার মূল্য এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। দেশের মোট জনসংখ্যা যদি ১৬ কোটি ধরা হয়, তাহলে ৩২ কোটি ডোজ টিকার প্রয়োজন হবে। এই টিকার দাম কত পড়বে তা এখনও আমরা জানি না। চলতি অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর বাইরে প্রয়োজন নেই এমন সামগ্রী ক্রয় না করে ওই অর্থও টিকার জন্য রাখা হয়েছে। সুতরাং টিকা ক্রয়ের অর্থ নিয়ে সংকট হবে না।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

চীন

চীনে পানিবিহীন হাঁসের খামার

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

চীন

চীনের এ কেমন দাবি!

লেখক

ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ভারত-বাংলাদেশের ওপর করোনাভাইরাসের দায় চাপানোর চেষ্টায় মেতে উঠেছে চীন। দেশটির একদল গবেষক দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস উহান থেকে নয়, ভারত-বাংলাদেশ থেকেই ছড়িয়েছে। তারা বলেছেন, ২০১৯ সালের গ্রীষ্মেই সম্ভবত করোনার জীবাণু ছড়িয়েছে। আর সেটা ছড়িয়ে থাকতে পারে ভারত অথবা বাংলাদেশ থেকে। এখান থেকে এ জীবাণু উহানে বাহিত হয়েছে। আর উহানেই এটা প্রথম শনাক্ত হয়। যদিও তাদের এমন অযৌক্তিক দাবিকে সন্দেহের চোখেই দেখছেন পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা।

চীনের একাডেমি অব সায়েন্সের একদল গবেষকের গবেষণার ফলাফলে বিস্ফোরক এ দাবি করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের প্রাক-প্রকাশনা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গত ১৭ নভেম্বর চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়। ওই প্রবন্ধ উদ্ধৃত করে গত শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান বলেছে, উহানের দোষ এখন বাংলাদেশ বা ভারতের ওপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। চীনা বিজ্ঞানীরা আচমকা এমন অযৌক্তিক দাবি তোলায় পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা আগাম সতর্ক করে দিয়েছেন। তাদের মতে, এই গবেষণা ‘বড় ধরনের’ দাবি তুলছে, আর এ কারণে সতর্কতা ও সন্দেহপ্রবণ চোখে এটি ভালো করে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

শুক্রবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগেও চীনের একাধিক গবেষণায় কভিড-১৯ মহামারির দায় দেশটির সীমান্তের বাইরে কারও ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। একাধিক গবেষণায় ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রকে এই জীবাণুর উৎস দেশ হিসেবে শনাক্তের চেষ্টা করা হয়েছে।

গত বছর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীনের কার্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ভাইরাসের তথ্য প্রকাশ করে। শুরুতে এই ভাইরাস চীনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়ায়। একপর্যায়ে তা মহামারি আকারে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে এ বছরের ৮ মার্চ।

এরই মধ্যে চীনের বিজ্ঞানীদের দাবিকে পুরোপুরি অনুমাননির্ভর বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত শুক্রবার সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বলেন, চীন থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়নি, এমন কথা বলা আমাদের জন্য একেবারে অনুমাননির্ভর হবে।

গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ২০১৯ সালের মে থেকে জুন মাসে উত্তর-মধ্য ভারত ও পাকিস্তানে রেকর্ড দ্বিতীয় দীর্ঘতম দাবদাহ তাণ্ডব চালিয়েছিল। ফলে ওই অঞ্চলে ভয়াবহ পানির সংকট সৃষ্টি হয়। পানির অভাবে বানরের মতো বন্যপ্রাণী একে অপরের সঙ্গে ভয়াবহ লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিল এবং অবশ্যই এটি মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংস্পর্শের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছিল। এই দাবদাহকেই প্রাণী থেকে মানবদেহে করোনা সংক্রমণের কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।

চীনা গবেষক দলটি করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে ফাইলোজেনেটিক বিশ্নেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তাদের মতে, সবচেয়ে কম রূপান্তরিত রূপটাই ভাইরাসের আসল রূপ হতে পারে। এ ধারণার ভিত্তিতেই তারা দাবি করেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ উহানে হয়নি। এর বদলে ভারত ও বাংলাদেশের মতো জায়গাগুলো, যেখানে কম রূপান্তরিত ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে, সেখানেই হতে পারে এর আসল উৎস। এ ছাড়া ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি করোনার সম্ভাব্য উৎস হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, ইতালি, গ্রিস, যুক্তরাষ্ট্র ও চেক রিপাবলিকের নাম বলেছেন চীনের ওই গবেষকরা।

গবেষকরা আরও বলেছেন, যেহেতু বাংলাদেশ ও ভারতের নমুনায় এ ভাইরাসে কম মাত্রায় মিউটেশন পাওয়া গেছে, তাই এ দুই প্রতিবেশী দেশ থেকেই এটি ছড়ানোর আশঙ্কা আছে।

তবে চীনাদের এ দাবির সঙ্গে একমত নন অনেক বিশেষজ্ঞ। চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রকে ‘খুবই ত্রুটিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরাল জিনোমিপ অ্যান্ড বায়োইনফরমেটিকস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডেভিড রবার্টসন। তিনি বলেন, ন্যূনতম রূপান্তরিত ভাইরাস সিকোয়েন্স শনাক্তকরণে লেখকদের দৃষ্টিভঙ্গি সহজাতভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট। লেখকরা মহামারির বিস্তৃতি-সংক্রান্ত উপাত্তগুলো এড়িয়ে গেছেন, যাতে চীনে ভাইরাসের উত্থান এবং সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়া স্পষ্ট দেখা যায়। এই বিশেষজ্ঞের মতে, চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রটি সার্স-কভ-২ সম্পর্কে বোঝার বিষয়ে নতুন কিছুই যোগ করেনি।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

চীন

চাঁদ থেকে পাথর আনতে চীনের মিশন শুরু

প্রথমবারের মতো সফলভাবে মানুষবিহীন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করলো দেশটি

চাঁদ থেকে পাথর ও ধ্বংসাবশেষ আনতে প্রথমবারের মতো সফলভাবে মানুষবিহীন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে চীন।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) চীনের দক্ষিণের প্রদেশ হাইনানের ওয়েনচ্যাং থেকে দেশটির স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টায় সবচেয়ে বড় রকেট লং মার্চ ৫ উৎক্ষেপিত হয়।

“চ্যাংই ফাইভ” নামে এ যানটি এক প্রাচীন চীনা চন্দ্রদেবীর নামানুসারে রাখা হয়েছে। এটি এখনও পর্যন্ত দেশটির সবচেয়ে সাহসী চন্দ্রাভিযান। এই মিশনটি সফল হলে চীনের মহাকাশ বিষয়ে গবেষণা ব্যাপকভাবে এগিয়ে যাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মঙ্গল থেকে নমুনা আনার বা চাঁদে অভিযানের পথকে আরও সুগম করতে পারে।

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার পর চীনই হবে বিশ্বের তৃতীয় দেশ, যারা চাঁদ থেকে পাথর আনবে। মহাকাশযান সাধারণত চাঁদে পৌঁছাতে তিনদিন সময় নেয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

চীন

চীনে প্রাচীনকালের ৯০০ ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার

প্রত্নতত্ত্ববিদরা একটি পাথরের তৈরি বৌদ্ধ মন্দিরের প্রায় চার হাজার ৬০০ বর্গমিটার এলাকা খনন করে এ পুরাকীর্তিগুলো আবিষ্কার করেন

চীনা প্রত্নতত্ত্ববিদরা দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর চংকিংয়ের পাথরের তৈরি স্থানীয় বৌদ্ধ মন্দির এলাকা থেকে ৯০০টিরও বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) চংকিং শহরের ইনস্টিটিউট অব কালচারার হেরিটেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রত্নতত্ত্ববিদরা শহরের জিয়াংজিন এলাকার একটি পাথরের তৈরি বৌদ্ধ মন্দিরের প্রায় চার হাজার ৬০০ বর্গমিটার এলাকা খনন করে এ পুরাকীর্তিগুলো আবিষ্কার করেন।

ইনস্টিটিউট অব কালচারাল হেরিটেজের একজন প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ নিও ইয়িংবিনের মতে, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই বছরব্যাপী এ খননের মাধ্যমে তাঙ্গ রাজবংশ (৬১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৯০৭ খ্রিস্টাব্দ) এবং কোয়িং রাজবংশের (১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ-১৯১১ খ্রিস্টাব্দ) পর্যন্ত সময়কার ৫০টিরও বেশি স্থাপনা, সমাধি এবং খোদাই করা শিলালিপি পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, প্রাচীন চীনের স্থানীয় ইতিহাস এবং বৌদ্ধ সংস্কৃতি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে নতুন করে আবিষ্কৃত এ পুরার্কীতিগুলোর দারুন বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক এবং শৈল্পিক মূল্য যোগ করবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

চীন

বাঘের আলিঙ্গন: যে ছবি পেল সেরা পুরষ্কার

সার্গেই গর্শকফের পুরষ্কার জেতা ছবিটির শিরোনাম: আলিঙ্গন
সার্গেই গর্শকফের পুরষ্কার জেতা ছবিটির শিরোনাম: আলিঙ্গন

বিশ্বের সবচেয়ে বিরল কোন প্রাণীর ছবি তুলতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে দক্ষতা এবং সৌভাগ্য।

রুশ ফটোগ্রাফার সার্গেই গর্শকফের যে দুটোই রয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল তার তোলা ছবিতে।

রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় অরণ্যে তার তোলা একটি সাইবেরিয়ান বাঘ (আমুর টাইগার)-এর ছবি এ বছরের সেরা বন্যপ্রাণীর ছবি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

এই মাদি মাঘকে দেখা যাচ্ছে ল্যান্ড অফ লেপার্ড ন্যাশনাল পার্কের একটি গাছকে জড়িয়ে ধরে আছে।

গাছের গায়ে ঘষা দিয়ে এবং প্রস্রাব করে এক বাঘ অন্য বাঘকে তার নিজের বিচরণ ক্ষেত্রের কথা জানিয়ে দেয়।

“ছবিটির আলো, রং এবং টেক্সচার ইত্যাদি দেখে মনেই হয় না এটি একটি ছবি। মনে হয় এটি একটি অয়েল পেইন্টিং,” বলছেন ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতার একজন বিচারক রজ কিডম্যান।

“দেখে মনে হয় বাঘটি অরণ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এমনকি বাঘের লেজটি পর্যন্ত মিশে আছে গাছের গুঁড়ির সাথে,‍ বিবিসিকে বলছিলেন তিনি।

এই ছবির আরও চমকপ্রদ দিক হলো যেভাবে ছবিটা তোলা হয়েছে।

এই ক্যামেরা-ট্র্যাপ যন্ত্র জঙ্গলের মধ্যে বাসিয়ে রাখা হয়। কোন বন্য প্রাণী এর আওতার মধ্যে এলেই ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ছবি তুলে রাখে।

সে জন্য সার্গেইকে জানতে হয়েছে কোথায় ক্যামেরা বসাতে হবে, কোন্‌ অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তুলতে হবে ইত্যাদি। ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার হিসেবে সেখানেই প্রয়োজন হয় দক্ষতা ও একাগ্রতা।

পূর্ব রাশিয়ায় অবৈধ শিকারের জেরে বাঘের সংখ্যা কমতে কমতে প্রায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এসব বাঘের সংখ্যা এখন কয়েকশোতে ঠেকেছে বলে ধারণা করা হয়।

হরিণ, বুনো শুয়োর — আমুর টাইগারের প্রধান খাদ্য — তাদের সংখ্যাও কমেছে ব্যাপক হারে শিকারের ফলে।

আমুর টাইগার বিরল হয়ে পড়ায় তার ছবি তোলার কাজও বেশ কঠিন। সার্গেই যে সেরা ছবি তুলেছেন, তার জন্য তার ক্যামেরা-ট্র্যাপ যন্ত্রকে বসিয়ে রাখতে হয়েছিল ১০ মাস।

লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম প্রতি বছর বন্য প্রাণীদের সেরা ছবি পুরষ্কার দিয়ে থাকে। এটা দেয়া হচ্ছে গত ৫৫ বছর ধরে।

শেয়ালের খপ্পরে বুনো হাঁস: লিনা হেকিনেন, ফিনল্যান্ড
শেয়ালের খপ্পরে বুনো হাঁস: লিনা হেকিনেন, ফিনল্যান্ড

একটি বাচ্চা শেয়াল যেভাবে একটি বুনো হাঁসকে কামড়ে খাচ্ছে — এই ছবিটি তুলেছেন ফিনল্যান্ডের টিনএজ ফটোগ্রাফার লিনা হেকিনেন। ১৫-১৭ বছর বয়সী ফটোগ্রাফারদের ক্যাটেগরিতে এটি সেরা ছবি হিসেবে বিবেচিত হয়।

শেয়ালটি তার খাবারকে অন্য শেয়ালের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একটি পাথরের খাঁজে ঢুকে পড়েছিল।

দ্যা পোজ: মগেন্স ট্রোল, ডেনমার্ক
দ্যা পোজ: মগেন্স ট্রোল, ডেনমার্ক

এটি একটি প্রবোসিস জাতের পুরুষ বাঁদরের ছবি। এটি অ্যানিমাল পোর্ট্রেট বিভাগে এবার সেরা ছবি হিসেবে বাছাই হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপে একটি অভয়ারণ্যে এই ছবিটি তোলা হয়।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাঁদরটির নাকের দৈর্ঘ্যও বাড়তে থাকবে। বড় নাকের সাহায্যে তার ডাকও বেশি শোনা যাবে। এবং বাঁদরের দলের মধ্যে তার অবস্থানকেও পরিষ্কার করবে।

আগুনের নদী: লুচিয়ানো গুয়াডেনজিও, ইতালি
আগুনের নদী: লুচিয়ানো গুয়াডেনজিও, ইতালি

ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতায় শুধু বন্য প্রাণীর ছবি তোলা হয় না।

ইউরোপের জীবন্ত আগ্নেয়গিরি ইতালির মাউন্ট এট্নার এই ছবিটি আর্থস এনভায়রনমেন্ট ক্যাটেগরিতে সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছে।

এই ছবি তোলার জন্য লুচিয়ানো গুয়াডেনজিওকে প্রচণ্ড তাপ এবং আগ্নেয়গিরির বিষাক্ত ভাপ সহ্য করতে হয়েছে।

ভারসাম্যের জীবন: হাইম কুলেব্রাস, স্পেন
ভারসাম্যের জীবন: হাইম কুলেব্রাস, স্পেন

ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতার সরিসৃপ বিভাগের এটি সেরা ছবি। এই গ্লাস ফ্রগ জাতের ব্যাঙটির মুখে মাকড়শা। হাইম এই ছবিটি তুলেছেন একুয়েডরের ম্যানডুরিয়াকু অরণ্যে। তখন প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। এর মধ্যেই তিনি এক হাতে ছাতা এবং ফ্ল্যাশ লাইট ধরে অন্য হাত দিয়ে ক্যামেরা পরিচালনা করেন।

দুই বোলতার গল্প: ফ্র্যাংক ডেশানডল, ফ্রান্স
দুই বোলতার গল্প: ফ্র্যাংক ডেশানডল, ফ্রান্স

উত্তর ফ্রান্সের নরমান্ডিতে এই ছবিটি তোলা হয়েছে। এর জন্য ক্যামেরায় বিশেষ ধরনের দ্রুত গতির শাটার ব্যবহার করা হয়েছে যাতে বোলতা দুটির পাখার ছবিকে ফ্রেমবন্দি করা যায়।

সোনালি মুহূর্ত: সোংডা কাই, চীন
সোনালি মুহূর্ত: সোংডা কাই, চীন

ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতার আন্ডার ওয়াটার বিভাগের সেরা ছবি। এটা একটা ডায়মন্ড-ব্যাকড স্কুইড। ফিলিপিন্সের আনিলাও উপকূলে জলের তলে রাতের বেলা সোংডা এই ছবিটি তোলেন। স্কুইডটি প্রায় ৬-৭ সেন্টিমিটার দীর্ঘ।

মা বলেছেন দৌড় দাও: শানুয়ান লি, চীন
মা বলেছেন দৌড় দাও: শানুয়ান লি, চীন

এই বন বিড়ালের বাচ্চাগুলিকে দেখা যায় উত্তর-পশ্চিম চীনের চিংহাই-তিব্বত মালভূমিতে। ছয় বছর ধরে অনুসরণের পর শানুয়ান এই ছবিটি তুলতে সমর্থ হন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com