আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

চাল ছাড়াই ফ্রায়েড রাইস

চাল ছাড়াই ফ্রায়েড রাইস! চমকাবার কিছু নেই। রান্না করতে জানলে রান্না তো করাই যায় কতকিছু। পানি ছাড়া ভাত রান্না করা গেলে চাল ছাড়াও ফ্রায়েড রাইস রান্না করা সম্ভব।

ফুলকপির গুণাগুণ তো আমরা সবাই জানি।

নানাভাবে আমরা ফুলকপি খেয়ে থাকি। শীতকাল এলেই ফুলকপির নানা রকম রান্না আমাদের খাদ্যতালিকায় স্থান করে নেয়। ভাজি থেকে শুরু করে নানা রকম তরকারি, পোলাও কোরমা, পাকোরা—সবই ফুলকপি দিয়ে তৈরি করা হয়।

আজকাল ফুলকপির রাইস খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমাদের আজকের রেসিপি ফুলকপির ফ্রায়েড রাইস। রাইস বলা হলেও এ রেসিপিতে চালের কোনো ব্যবহার হয়নি! ফুলকপি কুচি করে এ রাইস তৈরি করা হয়েছে। এটি ভীষণ পুষ্টিকর এবং আদর্শ একটি খাদ্য। চমৎকার এই রেসিপিটি সিডনি থেকে পাঠিয়েছেন মীর সাবিনা আক্তার

ফুলকপিতে ভিটামিন কে, সি, বি৬ এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়। এতে ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট খুবই কম পরিমাণে থাকায় এটি ডায়েট মিল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এবং আদর্শ একটি খাদ্য। স্বাদে ও গন্ধে কোনো অংশেই সাধারণ ফ্রায়েড রাইসের চাইতে কম নয় চাল ছাড়া এ ফ্রায়েড রাইস।

চলুন উপকরণ ও রন্ধনপ্রণালি জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ

ফুলকপির রাইস ১.৫ কাপ, মিক্সড ভেজিটেবলস ১ কাপ, বাটার ১-২ চা–চামচ, নারকেল তেল ১–২ চামচ, রসুনকুচি ১ চামচ, পেঁয়াজকুচি ১–৩ কাপ, গোলমরিচের গুঁড়া ১–২ চামচ, সয়া সস ২-৩ চা–চামচ, ডিম ২টি, চিলি ফ্লেক্স ১ চামচ, সেসেমি অয়েল (তিলের তেল) ১ চামচ, পেঁয়াজপাতার কুচি ১–৩ কাপ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী।

রন্ধনপ্রণালি

প্রথমেই ফুলকপি পরিষ্কার করে ধুয়ে একদম মিহি কুচি করে নিতে হবে।এটা আপনি গ্রেট করে নিলে একদম মিহি কুচি হবে, দেখতে যেন চালের মতো লাগে।
মাঝারি আঁচে চুলা জ্বালিয়ে তাতে একটি ছড়ানো ফ্রাইপ্যানে বসিয়ে দিতে হবে। ফ্রাইপ্যান গরম হলে বাটার দিয়ে ফেটানো ডিম দিয়ে দ্রুত নেড়ে ঝুরি করে নিতে হবে। ডিমগুলো অন্য পাত্রে তুলে রেখে সেই প্যানে অল্প বাটার আর নারকেল তেল দিতে হবে। এখানেই শেষ নয় কিন্তু।

তেল গরম হলে রসুনকুচি দিয়ে একটু নেড়ে পেঁয়াজকুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ স্বচ্ছ হয়ে এলে মিক্সড ভেজিটেবলস, লবণ অল্প গোলমরিচের গুঁড়া আর চিলি ফ্লেক্স দিয়ে একটু ভাজতে হবে। একটু ভেজে তাতে ফুলকপির রাইস আর সয়া সস দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। তেল কম মনে হলে একটু অলিভ অয়েল দেওয়া যায়। প্রায় ৩-৪ মিনিট ভেজে এতে ডিম দিতে হবে এবং পেঁয়াজপাতার (কলিসহ) কুচি দিয়ে দিতে হবে। সেসেমি অয়েল দিয়ে একটু নেড়ে রান্না শেষ করতে হবে।

একটি পাত্রে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন অসাধারণ মজার এই ফুলকপির এগ ফ্রায়েড রাইস। মুরগির মাংস ও চিংড়ি মাছ দিয়েও মজাদার ফুলকপির ফ্রায়েড রাইস করে নেওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com