আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

ঘরের দেয়াল সাজাতে

ঘরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ চার দেয়াল। অথচ অনেক ক্ষেত্রে সেটা উপেক্ষিত থেকে যায়। অথচ দেয়ালকে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করে বাড়িয়ে তোলা যায় ঘরের জেল্লা। ঘর ছোট হোক বা বড়, দেয়ালকে নান্দনিক করে তুললে ঘরও সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়ে ওঠে। একটু সৃষ্টিশীল ভাবনায় দেয়াল হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। দেয়াল সাজানোর অনুষঙ্গ ও চিন্তার কমতি নেই এখন। ঘরের ধরন ও রুচির সমন্বয়েই দেয়ালে আসে নান্দনিকতা।

ঘরের দেয়াল সাজাতে

দেয়াল সাজানোর কথা ভাবলে প্রথমেই যে চিন্তা আসে তা হলো রং। একসময় কিছু নির্দিষ্ট রং ব্যবহার হলেও এখন গাঢ় ও হালকা দুইটিই প্রাধান্য পায়। আবার দেয়াল সাজাতে দেয়ালে নানা ধরনের পেইন্টিং এখন বেশ জনপ্রিয়। দেয়ালের ছোট জায়গায় কিংবা পুরো দেয়ালজুড়েও করে নেওয়া যেতে পারে পছন্দের রং। দেয়াল হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত।

ঘরের প্রবেশ দরজার সামনের দেয়ালটিতে অনেকেই আনতে চান ভিন্নতা। কারণ ঘরে ঢুকেই প্রথমেই চোখ পড়ে এই দেয়ালে। কিন্তু খুব বেশি অনুষঙ্গ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই এখানে। ছোট দেয়াল হলে একটি ও বড় দেয়ালে দুটি বা তিনটি পেইন্টিং রাখা যায়। দেয়ালটি বড় দেখাতে ছোট ছোট মাটির পট বা টেরাকোটার চিত্র ব্যবহার করা যায়। তবে একটি দেয়াল অনুষঙ্গের সঙ্গে অন্যটির আধা ফুট দূরত্ব রাখবেন, তাতে দেখতে ছিমছাম লাগবে বললেন, ভলিউম জিরোর স্থপতি ফওজিয়া জাহান।

ঘরের দেয়াল সাজাতে

কারও পছন্দ আটপৌরে তো কারও আবার মিশ্রিত; কেউবা আবার পছন্দ করেন আভিজাত্য। ঘরের দেয়াল সাজাতে এমন অনেক ধারণাই আছে, যা চাইলে দেয়ালসজ্জায় ব্যবহার করতে পারেন। স্থপতি ফওজিয়া জাহান বললেন, এমনই কিছু ট্রেন্ডি ও পরিপাটি উপায়ের কথা।

ক্যাজুয়াল লুকের দেয়াল পেইন্টিং

ঘরের দেয়াল সাজাতে

দেয়াল সাজানোর কথা ভাবলে প্রথমেই যে চিন্তা আসে, তা হলো রং। একসময় কিছু নির্দিষ্ট ধরনের রং ব্যবহার হলেও এখন গাঢ় ও হালকা দুইটিই প্রাধান্য পায়। তবে এর মধ্যে ভিন্ন হলো দেয়াল পেইন্টিং, যার এখন বেশ প্রচলন রয়েছে। ঘরের স্টাইলিশ সব আসবাবের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়ালের ছোট জায়গায় কিংবা দেয়ালজুড়েও করে নিতে পারেন পেইন্টিং। ঘরের দেয়ালে গাছ, ফুল বা লতার মতো ট্রেন্ডি কিছু ডিজাইন আঁকতে পারেন। গাঢ় রং যেমন কমলা, নীল, সবুজ, লাল ব্যবহারে ঘরের দেয়ালটি হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত।

দেশীয় উপকরণ আনবে আভিজাত্য

দেয়ালে যাদের চাই আভিজাত্য, তাদের জন্য হালকা রং ও দেশীয় উপকরণই যথাযথ। ছোট ছোট গাছ দিয়ে দেয়ালের এক কোণে করে ফেলতে পারেন দেয়াল বাগান। দেশীয় উপকরণ যেমন টেরাকোটার পট, মুখোশ ছাড়াও দেয়ালসজ্জায় তালপাতার বা নকশিকাঁথার পাখা ব্যবহার বেশ ট্রেন্ডি। এ ছাড়া বাঁশ, বেত বা পাটের ছোট ছোট ঝুড়িতে রং করে দেয়ালে ঝুলিয়ে দিলে আসবে ভিন্নতা। ঝুড়ির মাঝে মাঝে কৃত্রিম মোম বসিয়ে দিতে পারেন। রাতে মোমের আলোয় দেয়ালের সৌন্দর্যে ভিন্নমাত্রা যোগ হবে। যাঁদের হালকা রঙের দেয়াল পছন্দ, তারা নীল, সাদা, বাদামি বা ক্রিম রঙের সিরামিকের প্লেট বসাতে পারেন। এতে ঘরে ক্ল্যাসিক একটা লুক আসবে।

দর্পণ দেয়াল

যাদের ঘরে একটু নাটকীয়তা পছন্দ, তারা ঘরের এক কোনায় করতে পারেন দর্পণ দেয়াল। যেখানে রাখতে পারেন ছোট বা বড় বিভিন্ন আকারের আয়না। দেয়ালে নিজের স্কেচও কিন্তু বেশ মানাবে।

নিজের দেয়াল

ঘরের দেয়াল সাজাতে

স্থপতি ফওজিয়া জাহান নিজের বসার ঘরের দেয়ালগুলোও সাজিয়েছেন ছিমছাম ভাবে। দেয়ালের পাশের বিমগুলোও রাখেননি খালি। পেইন্টিংয়ের চারপাশে কাগজ ব্যবহার করে দূর করেছেন একঘেয়েমি, এনেছেন কিছুটা নাটকীয়তা। ঘরের দেয়ালে ঝোলানো প্রতিটি পেইন্টিং এই স্থপতি নিজে করেছেন। ভ্রমণে গিয়ে সে দেশ থেকে আনা মূর্তি, প্যাঁচা, মুখোশে সাজিয়েছেন ছোট দেয়াল তাক। এ ছাড়া চাবির রিং দিয়ে তিনি তৈরি করেছেন ভ্রমণের স্মৃতির দেয়াল।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com