আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

অ্যাকুয়ারিয়ামের ছোট্ট গোল্ডফিশ যখন মাথাব্যথার কারণ

অ্যাকুয়ারিয়ামের সৌন্দর্য বাড়াতে গোল্ডফিশের জুড়ি নেই। ছোট্ট, কমলা–সোনালি রঙের এই মাছ পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে আকর্ষণীয় এই মাছ যেন খোলা পানিতে ছাড়া না হয়, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের একটি শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। সেখানকার প্রাকৃতিক জলাধারের বাস্তুতন্ত্র ঠিক রাখতে শৌখিন মৎস্যপ্রেমীদের জন্য জারি করা হয়েছে এই বিশেষ সতর্কতা।বিজ্ঞাপন

আজ মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মিনেসোটার বার্নসভিল শহরের কেলার হ্রদে জরিপ চালানোর সময় অনেক বড় আকারের কয়েকটি গোল্ডফিশ পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে সেসব মাছের ছবি। কর্তৃপক্ষ বলছে, অ্যাকুয়ারিয়ামের ছোট্ট গোল্ডফিশ হ্রদের মুক্ত পরিবেশে এসে বিশাল আকার ধারণ করেছে।

তবে এতে খুশি হওয়ার কারণ নেই। কেননা, আকার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই মাছ হ্রদের তলদেশের গুল্ম তুলে ফেলছে। পলি ও পানির গুণাগুণ নষ্ট করছে। সর্বোপরি হ্রদের বাস্তুতন্ত্রের জন্য হুমকি তৈরি করেছে।বিজ্ঞাপন

আর এই সমস্যার মূলে রয়েছেন শৌখিন মৎস্যপ্রেমীরা। অ্যাকুয়ারিয়ামে গোল্ডফিশের সংখ্যা বেড়ে গেলে অনেকেই বাড়তি মাছ প্রাকৃতিক জলাধারে ছেড়ে দেন। এভাবেই অ্যাকুয়ারিয়ামের ছোট্ট গোল্ডফিশ পুকুর কিংবা হ্রদের মুক্ত পানিতে চলে যায়। সেখানে অন্য প্রজাতির মাছ খেয়ে ফুলেফেঁপে ওঠে।

এই কারণে শৌখিন মৎস্যপ্রেমীদের উদ্দেশে টুইটারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আবেদন, বাড়ির অ্যাকুয়ারিয়ামে গোল্ডফিশের সংখ্যা বেড়ে গেলে বাড়তি মাছ দয়া করে পুকুর কিংবা হ্রদের পানিতে ফেলবেন না। প্রয়োজনে এসব মাছের আলাদা আবাসের ব্যবস্থা করুন।

মিনেসোটায় গোল্ডফিশকে রাক্ষুসে মাছ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রে যা অন্যান্য মাছের বেঁচে থাকার জন্য হুমকি। তাই এই অঙ্গরাজ্যের প্রাকৃতিক জলাধারে গোল্ডফিশ ছাড়া বেআইনি। এরপরও অনেক শৌখিন মৎস্যপ্রেমী অ্যাকুয়ারিয়ামের বাড়তি গোল্ডফিশ হ্রদের পানিতে ছাড়েন।

অ্যাকুয়ারিয়ামের বদ্ধ পরিবেশে একটি গোল্ডফিশ ৫ দশমিক ১ সেন্টিমিটার বড় হতে পারে। তবে মুক্ত জলাধারে এর আকার কয়েক গুণ বেড়ে যায়। দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। ফলে সহজেই জলাধার থেকে অন্য মাছ খেয়ে ফেলে বিশালাকারের এসব গোল্ডফিশ।

এর আগে পার্শ্ববর্তী কারভেন কাউন্টিও একই ধরনের সমস্যায় পড়েছিল। গত বছরের অক্টোবরে সেখানকার খাঁড়ি থেকে ৫০ হাজার গোল্ডফিশ সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। তবে এই অপসারণ প্রক্রিয়া পরিকল্পনা করা থেকে বাস্তবায়ন করতে প্রায় তিন বছর সময় লেগেছিল।

গোল্ডফিশ নিয়ে এর আগে বিপত্তিতে পড়েছিল জার্মানিও। ২০১৭ সালে মিউনিখ সিটি কাউন্সিল জানায়, শহরের পুকুর ও হ্রদগুলোয় গোল্ডফিশের ঝাঁক অন্যান্য মাছের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময় কাউকে পোষা গোল্ডফিশ প্রাকৃতিক জলাধারে ছাড়ার সময় ধরা পড়লে জরিমানা করা হবে বলেও সতর্ক করে দেয় শহর কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় ডরসেটের এক কিশোর প্রাকৃতিক জলাধার থেকে বিশাল আকারের একটি গোল্ডফিশ ধরেছিল। ওই মাছের ওজন ছিল ২ কেজির বেশি।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com