আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

খুসকি তাড়ানোর কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা!

রান্নাঘর বা বাড়ির আনাচে-কানাচেই এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা খুসকি সারাতে অব্যর্থ!

খুসকি খুবই কমন সমস্যা। চুল ঠিকমত ব্রাশ না করলে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক হয় না। এতে স্ক্যাল্পের সেল রিনিউয়াল প্রসেস ব্যাহত হয়। ফলে স্ক্যাল্পের ত্বকে মৃত কোষ জমতে থাকে। স্ক্যাল্প যদি কোনও কারণে খুব শুষ্ক হয়ে যায় অথবা যাদের স্ক্যাল্প এমনিতেই খুব শুষ্ক, তাদের ক্ষেত্রে খুসকির সমস্যা বেশি হয়। 

শুষ্ক আবহাওয়া, বারবার তাপমাত্রার পরিবর্তন ইত্যাদিও খুসকি তৈরির জন্য দায়ী। অনেকের ধারণা থাকে যে অতিরিক্ত শ্যাম্পু করলে স্ক্যাল্পের ক্ষতি হয়। কথাটা আংশিক ঠিকই। অতিরিক্ত শ্যাম্পু করলে স্ক্যাল্প ইরিটেটেড হয় এবং তা থেকে ড্যানড্রফ হয়। তবে তাই ভেবে যদি শ্যাম্পু খুব কম করা হয় তাহলেও কিন্তু স্ক্যাল্পের ক্ষতি। এক্ষেত্রে নোংরা, তেল, মৃত কোষ স্ক্যাল্পে জমতে থাকে। ফলে অপরিষ্কার স্ক্যাল্পে খুসকির সমস্যা বেড়ে যায়। 

এছাড়া, খাবারে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি, জিঙ্কসহ কিছু নির্দিষ্ট ফ্যাট না থাকে তাহলেও খুসকির সমস্যা হতে পারে। 

সমাধান

শ্যাম্পু বদলালেই অনেক সময় পুরোপুরি সমস্যা সেরে যায়। আর যাদের সমস্যা খুব বেশি তাদের ক্ষেত্রে শুধু শ্যাম্পু বদলালেই হবে না। শ্যাম্পুর পাশাপাশি চাই বিশেষ যত্ন। রান্নাঘর বা বাড়ির আনাচে-কানাচেই এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা খুসকি সারাতে অব্যর্থ! শুষ্ক স্ক্যাল্প থেকে যাদের খুসকির সমস্যা হয় তাদের জন্য রইল কিছু ঘরোয়া সমাধান।

১. আধা কাপ উষ্ণ গরম পানিতে সমপরিমাণ কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বা সাধারণ ভিনেগার মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ হাল্কা হাতে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন। এরপর ভালো করে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু করবেন না।

২. এক বাটি পানিতে ২ চা চামচ মেথি মিশিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে সেটা মিক্সারে পেস্ট করে স্কাল্পে লাগিয়ে রাখুন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

৩. বেশ কয়েকটা নিমপাতা ৫ গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি ছেকে তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চাইলে পাতাসহ পানি নিয়ে পেস্ট করে মাস্কের মত স্ক্যাল্পে লাগিয়েও রাখতে পারেন। একঘন্টা রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪. বাড়িতে ডাইনিং টেবিলে লবণের কৌটো সবারই থাকে। তবে বেশি ভাল হয় যদি এপসম সল্ট ব্যবহার করা যায়। ৩ টেবিল চামচ লবণ শুকনো অথবা সামান্য ভিজে স্ক্যাল্পে হাল্কা হাতে ঘষে নিন। ২ থেকে ৩ মিনিট রেখে ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন।

৫. ২ টেবিল চামচ লেবুর রস ভালে করে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে এক মিনিট রেখে দিন। আলাদা বাটিতে ১ চা চামচ লেবুর রস নিয়ে এক কাপ পানিতে মিশিয়ে নিন এবং তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। বেশ কয়েকদিন এভাবে ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন।

৬. এক কাপ উষ্ণ গরম পানিতে এক চা চামচ টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন। শ্যাম্পু করার পর পুরো স্ক্যাল্পে ভালো করে স্প্রে করে হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করে নিন।

৭. চুল ধোয়ার ১৫ মিনিট আগে স্ক্যাল্পে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৮. গোসলের আগে স্ক্যাল্পে নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন। এক ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। নারকেল তেল ড্যানড্রফ তাড়াতে খুব উপকারি।

৯. রসুন থেতো করে মধুর সাথে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।

১০. অলিভ অয়েল ও ড্যানড্রফ তাড়াতে ভাল কাজ করে। ৮-১০ ফোটা তেল নিয়ে স্ক্যাল্পে হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করুন। শাওয়ার ক্যাপ পরে সারারাত রেখে দিন। সকালে শ্যাম্পু করে নিন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com