ওজন কমানো সহজ কাজ নয়। সঠিক খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে নিয়মিত শরীরচর্চা করা- ওজন কমানোর জন্য এর পেছনে সময় ব্যয় করা ও আপনার আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকা একান্ত প্রয়োজন। তবে কিছু সুপারফুড রয়েছে যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থও সরিয়ে দেয়। এমনটাই প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। চলুন জেনে নেয়া যাক কী সেই খাবারগুলো-
ঘি এবং লেবু দিয়ে গরম পানি পেরিস্টালিসিস উন্নত করতে একগ্লাস হালকা গরম পানিতে খানিকটা লেবু বা ঘি দিয়ে পান করুন যা শরীরের বর্জ্য বের করে দিতে কার্যকরী। হজমে নমনীয়তা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হালকা গরম পানির সাথে ঘি মিশিয়ে পান করতে পারেন।
ডাইজেস্টিভ টি আজকাল বাজারে নানা রকমের আয়ুর্বেদিক চা পাওয়া যায় তবে আপনি নিজের তৈরি করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। ১ চা চামচ জিরা, এক চা চামচ মৌরি, ১ চা চামচ ধনিয়া এবং ১ টি এলাচ নিন। সব উপাদান আধা লিটার পানিতে সেদ্ধ করুন, যতক্ষণ না পানি পরিমাণে অর্ধেক হয়। বদহজম, পেটে ফোলাভাব এবং ওজন কমাতে খালি পেটে এই চা পান করুন।
মেটাবলিজম টি দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, কুচি করা আদা, গোলমরিচ, হলুদ এবং স্টার অ্যানাইস দিয়ে তৈরি চা দিয়ে দিনের শুরুটা করতে পারেন। এই সমস্ত উপাদান আধা লিটার পানিতে সেদ্ধ করুন এবং অর্ধেকে নামান। স্বাদের জন্য অর্ধেকটা লেবুর রস এবং নারিকেলের দুধ যোগ করতে পারেন। এই চা শরীরের তাপ এবং বিপাক উন্নত করতে সাহায্য করে, এভাবে ওজন হ্রাসকে সহায়তা করে।
সেলারির জুস অন্ত্রে চাপ এড়াতে কাঁচা ফল এবং রান্না করা বা স্টিমযুক্ত শাকসবজি খান। ফল, শাকসবজি, দুধ এবং দই দিয়ে স্মুদি তৈরি করে পান করতে যাবেন না যেন! কারণ এমন সংমিশ্রণ পান করলে শরীরে টক্সিন জমে থাকতে পারে। এর বদলে ওজন কমাতে এক চিমটি পিংক সল্ট দিয়ে সেলারির জুস পান করুন খালি পেটে।
কাঁচা ফল ভেষজ চা পান করার পরে কাঁচা ফল খেতে পারেন। সবুজ আপেল, লাল আপেল, ক্র্যানবেরি, ব্লুবেরি, চেরি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, আনারস, আমলকি, আধা পাকা কলা এবং ডালিম জাতীয় ফল বেছে নিন। এই ফলগুলো শরীরে পানির ধারণক্ষমতা হ্রাস করে এবং আপনার ত্বকে টিস্যু ও কোলাজেন শক্ত করে এবং ওজন হ্রাসে সহায়তা করে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন