আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

করোনাভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন

করোনাভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন

জানুয়ারি মাসে চীনের উহানে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে হওয়া কোভিড-১৯ রোগে সারা বিশ্বে আজ পর্যন্ত প্রায় তিন লক্ষের মত মানুষ মারা গেলেও ভাইরাসটির চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অনেকটা অজানা।

করোনাভাইরাস মানুষের দেহে কতক্ষণ বেঁচে থাকে, কীভাবে ছড়ায়, কোন ধরণের সমতলে কতক্ষণ টিকে থাকে – এ ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বেশ কয়েকবার মতামত পরিবর্তন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সংস্থাগুলো।

তবে এই ভাইরাসটি নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের গবেষণা চললেও ভাইরাস সংক্রান্ত বিভিন্ন ছোটোখাটো বিষয় সম্পর্কে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে মানুষের মধ্যে।

আক্রান্ত ব্যক্তি কতদিন পর্যন্ত অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে?

বিজ্ঞানীরা বলছেন এই ভাইরাস শরীরে ঢুকলে উপসর্গ দেখা দিতে সময় লাগে গড়ে পাঁচ দিন। কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দিতে সময় লাগতে পারে আরও বেশি দিন।

ইনকিউবেশন কাল অর্থাৎ যে সময়টায় কোন ভাইরাস মানুষের শরীরে থাকে কিন্তু তার কোন লক্ষণ দেখা যায় না, সেই ইনকিউবেশনের সময়টা কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে হলো ১৪ দিন পর্যন্ত – এই মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

কিন্তু কোন কোন গবেষক বলছেন যে এই সময়টা ২৪ দিন পর্যন্তও হতে পারে। অর্থাৎ জীবাণু আপনার শরীরে সুপ্ত অবস্থায় এতটা লম্বা সময় ধরে থাকতে পারে।

তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ২১ দিন পর্যন্ত ভাইরাসের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে ধরা হচ্ছে – এমনটা জানিয়েছেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন।

মুশতাক হোসেন বলেন, “একজন ব্যক্তির দেহে যেদিন প্রথমবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং এরপর তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে যদি তার উপসর্গ চলে যায়, তাহলে প্রথম দিন থেকে হিসেব শুরু করে ২১ দিন পর তিনি আর কাউকে সংক্রমিত করতে পারবেন না বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।”

তবে আক্রান্ত রোগী শুধুমাত্র মৃদু উপসর্গ সম্পন্ন রোগী হলে এবং তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে তার উপসর্গ চলে গেলেই ২১ দিন পর ওই ব্যক্তিকে নিরাপদ ধরে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে (ফাইল ফটো)

একজন রোগী কতজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে?

একজন করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী মহামারির মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে গড়ে কত জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঘটাচ্ছেন, সেই ধারণা পাওয়া যায় যে সংখ্যার মাধ্যমে, সেটিকে ইংরেজী অক্ষর ‘আর’ এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ‘আর’ এর গড় মান ২ থেকে ২.৫ – অর্থাৎ প্রত্যেক কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে দুইজনের বেশি মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাচ্ছেন।

তবে বিভিন্ন দেশ এবং ভৌগলিক অঞ্চলভেদে এই ‘আর’-এর মান পরিবর্তিত হয়ে থাকে।

মুশতাক হোসেন জানান, বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমিত হিসেব ধরে নিয়েই রোগতাত্ত্বিক গবেষণা করা হচ্ছে।

“একজনের কাছ থেকে তিন জনের কম সংক্রমিত হচ্ছে, এটি ধরে নিয়েই বাংলাদেশের রোগতত্ত্ববিদরা গবেষণা চালাচ্ছেন,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

করোনাভাইরাস বাতাসে কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে বা বাতাসে কতদূর ভ্রমণ করতে পারে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন মত রয়েছে

বাতাসে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে ভাইরাস?

করোনাভাইরাস বাতাসে কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে বা বাতাসে কতদূর ভ্রমণ করতে পারে, সে বিষয়ে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন মত রয়েছে।

শুরুতে বলা হচ্ছিল বাতাসে ভাইরাসটি কয়েক মিনিটের বেশি বেঁচে থাকে না। তবে পরে কিছু কিছু গবেষণার প্রতিবেদনে জানানো হয় যে ভাইরাসটি বাতাসে প্রায় আধ ঘণ্টার মত ভেসে থাকতে পারে – যদিও এই গবেষণার ফল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত নয়।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে বাতাসে এক-দুই মিনিটের বেশি ভাইরাস টিকে থাকতে পারে না ধরে নিয়েই স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনা দিচ্ছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ।

তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ আক্রান্ত একজন ব্যক্তি যদি কোনো একটি জায়গায় হাঁচি বা কাশি দিয়ে চলে যায় এবং পরমুহুর্তে সেই জায়গায় আরেকজন এসে বসে, তাহলে হয়তো পরের ব্যক্তি সংক্রমিত হতে পারেন। তবে দুই-তিন মিনিট পর ঐ জায়গায় গেলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম।”

তবে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির ড্রপলেট যেখানে পড়েছে, সেখানে স্পর্শ করার মাধ্যমে আরেকজন ব্যক্তির দেহে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন মুশতাক হোসেন।

তিনি আরও মনে করেন, আবহাওয়াভেদেও বাতাসে ভাইরাসের উপস্থিতির সময়ে তারতম্য হতে পারে।

“একদম বাতাস না থাকলে সেখানে ভাইরাসের উপস্থিতি বেশিক্ষণ থাকা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব, তবে এর পরিমাণ এতই সূক্ষ্ম যে সেটিকে উপেক্ষা করা সম্ভব।”

ফলমূল, শাকসবজি, কাপড় বা ত্বকে কতক্ষণ টিকে থাকে ভাইরাস?

একেক ধরণের সমতলে করোনাভাইরাসের স্থায়িত্বকাল একেক রকম হয়ে থাকে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

যেমন প্লাস্টিক ও স্টিলের সমতলে ভাইরাসটি ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকতে পারে, আবার কার্ডবোর্ডে সেটির স্থায়িত্বকাল হয়ে থাকে ২৪ ঘণ্টার মতো।

মুশতাক হোসেন বলেন, “আমরা ধরে নিই পানিরোধী সমতলে এই ভাইরাসটি এক দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।”

সেই হিসেবে মানুষের ত্বকেও ভাইরাসটি ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে বলে ধরে নেয়া হয় বলে জানান তিনি।

তেমনি ফলমূলেও করোনাভাইরাস এক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে সক্ষম।

তবে পোশাকের ওপর এই ভাইরাস বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না বলে মনে করেন মুশতাক হোসেন।

“যেসব সমতল ড্রপলেট শোষণ করার ক্ষমতা রাখে, সে সব সমতলে বেশিক্ষণ ভাইরাস টিকে থাকতে পারে না।”

এ কারণেই বাইরে থেকে ঘরে ফিরে হাত এবং কাপড় ভাল করে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান মুশতাক হোসেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর বেড়েছে মাস্ক বিক্রির হার

আক্রান্ত কোন ব্যক্তির হাতে তৈরি খাবার থেকে আপনি কি সংক্রমিত হতে পারেন?

আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যদি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রান্না বা খাবার তৈরি না করেন, তাহলে সেই খাবার থেকে আপনার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।

মানুষ যখন কাশে তখন সেই কাশির সঙ্গে যে সূক্ষ্ম থুতুকণাগুলো বেরিয়ে আসে – যেটাকে ‘ড্রপলেট’ বলা হয়, সেগুলো যদি আপনার হাতে পড়ে, আর সেই হাত দিয়ে যদি আপনি খাদ্যবস্তু ধরেন, তাহলে সেই খাবার আপনাকে সংক্রমিত করতে পারে।

যারা খাবার তৈরি করছেন, যে কোন খাদ্যবস্তু ধরার আগে তার ভালভাবে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নেয়া খুবই জরুরি।

  • করোনাভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন

    করোনাভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন

  • করোনাভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন

    ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে (ফাইল ফটো)

  • করোনাভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন

    করোনাভাইরাস বাতাসে কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে বা বাতাসে কতদূর ভ্রমণ করতে পারে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন মত রয়েছে

  • করোনাভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন

    বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর বেড়েছে মাস্ক বিক্রির হার

  • করোনাভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন
  • করোনাভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন
  • করোনাভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন
  • করোনাভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com