আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশে সন্তান প্রসবে কমে এসেছে সিজারিয়ান, কারণ কি?

সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্মদানের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসবের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে অনেক সংস্থা
সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্মদানের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসবের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে অনেক সংস্থা

ঢাকার মগবাজার এলাকায় বসবাস করেন আফরোজা আক্তার। নিজের প্রথম সন্তানের জন্মের সময় নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসবের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন তিনি।

“গর্ভাবস্থার ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিলো। একদিন হঠাৎ মনে হলো পানি ভাঙ্গার মতো। দ্রুত হাসপাতালে গেলাম। চিকিৎসক একটা টেস্ট করে বললেন পানি কমে গেছে, সিজার করতে হবে। কিন্তু আমার এখনো মনে হয় সিজারটা না করলেও পারতো”।

আবার ফরিদপুর হাসপাতালে গত মাসের শেষ দিকে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্কুল শিক্ষিকা রানু আক্তার।

“৪০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে তাই সিজার করে ফেললো ডাক্তার,” বলছিলেন তিনি।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে গত এক দশকে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে সিজারের সংখ্যা নানা অজুহাতে বেড়েই চলছিলো।

যদিও চিকিৎসকরা সবসময়ই বলে থাকেন যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সিজারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়না।

তবে অনেকেই অভিযোগ করেন ঝামেলা এড়াতে আবার কখনো কখনো বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলো অর্থের লোভে সিজারকেই বেশি উৎসাহিত করে থাকে।

এই সিজার বা অস্ত্রোপচারের বিরুদ্ধে সন্তান জন্মদানের বিষয়টাকে নিরুৎসাহিত করতে কয়েক বছর আগে কয়েকটি সংস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠে – স্টপ আননেসেসারি সি-সেকশন- নামে একটি প্রচারণা।

মূলতঃ সেভ দা চিলড্রেন, ব্র্যাক, আইসিডিডিআরবি সহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে এটি গড়ে ওঠে।

সিজারিয়ান মা ও শিশু উভয়কেই অস্ত্রোপচারের ঝুঁকিতে ফেলে
সিজারিয়ান মা ও শিশু উভয়কেই অস্ত্রোপচারের ঝুঁকিতে ফেলে

২০১৯ সালের জুনে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সিজারের হার ৮৩ শতাংশ, সরকারি হাসপাতালে ৩৫ শতাংশ ও এনজিও হাসপাতালে ৩৯ শতাংশ।

এবার বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর কয়েক মাস পর তারা তাদের জুলাই মাসের প্রতিবেদনে দাবি করেছেন যে করোনা সংকটের সময়ে বাংলাদেশে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের প্রবণতা কমেছে।

আবার সরকারি হিসেবেও দেখা যাচ্ছে দেশের সরকারি বেসরকারি সব হাসপাতাল ক্লিনিক মিলিয়ে গত জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সি-সেকশন বা সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার কমছে।

সরকারি হিসেবেই জানুয়ারি মাসে নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ৫০ হাজার ৮৭৮টি যেখানে সিজার হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৭৯টি।

পরে ফেব্রুয়ারি মাসে সিজার হয়েছে ৩৯ হাজার ৮৩২টি, মার্চ মাসে ৩৭ হাজার ৪১১টি, এপ্রিল মাসে ৩২ হাজার ৫৯১টি, মে মাসে ৩৩ হাজার ৮০৮টি, জুন মাসে ৩৬ হাজার ৯০টি এবং জুলাই মাসে ৩২ হাজার ১৭৩টি নরমাল ডেলিভারির বিপরীতে সিজার হয়েছে ২৬ হাজার ৮০২টি।

সরকারি হাসপাতালের চিত্র

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের হিসেবে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সিজারের সংখ্যা খুবই কম।

ফেব্রুয়ারি মাসে এসব হাসপাতালগুলোতে ১৩৫২৩টি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে আর সিজার হয়েছে ৬১১টি। পরবর্তী মাসগুলোতে সিজারের সংখ্যা আরও কমেছে।

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী মার্চ মাসে সিজার হয়েছে ৫১৪টি, এপ্রিলে ২৯৭টি, মে মাসে ২৫৫ ও জুন মাসে ১১হাজার ৮৫৭টি স্বাভাবিক প্রসবের বিপরীতে ২৯১টি সিজার হয়েছে।

বাংলাদেশে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার অনেক বেশি
বাংলাদেশে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার অনেক বেশি

বেড়েই চলেছিলো সিজারিয়ান

২০১৮ সালের তথ্য উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে ২০১৯ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ বলছিলো বাংলাদেশে গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ।

এতে বলা হয়েছিলো যে ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সিজার বা প্রসবকালীন অস্ত্রোপচার ৪ থেকে ৩১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিজারিয়ান নিয়ে এতো বিতর্ক শুরু হয়েছিলো যে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিলো।

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে তখন হাইকোর্ট সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার রোধ করতে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছিলো।

প্রসঙ্গত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী কোনো দেশে মোট প্রসবের ১০-১৫ ভাগের বেশি সি-সেকশন হওয়ার সুযোগ নেই।

যদিও ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে এ হার ৩১ শতাংশ।

যদিও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা সব প্রসব তথ্য দেশের সব জায়গা থেকে সরকারি হিসেবে আসেনা। তাই প্রকৃত অবস্থায় এ হার আরও অনেক বেশি হওয়ার আশংকা আছে তাদের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী কোনো দেশে মোট প্রসবের ১০-১৫ ভাগের বেশি সি-সেকশন হওয়ার সুযোগ নেই
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী কোনো দেশে মোট প্রসবের ১০-১৫ ভাগের বেশি সি-সেকশন হওয়ার সুযোগ নেই

করোনায় সিজার কমছে কেন- বিশেষজ্ঞ বক্তব্য

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবু জামিল ফয়সাল বিবিসি বাংলাকে বলছেন করোনার সময়ে শুধু সিজার নয় বরং হাসপাতালগুলোতে নরমাল ডেলিভারি ও সিজার দুটিই কমেছে।

“বাড়িতে প্রসব বেড়েছে ২৩%। কারণ এ সময়ে অনেকেই হাসপাতাল এড়াতে চেয়েছেন। এতে করে বাড়িতে প্রসব করাতে গিয়ে কিছু দুর্ঘটনাও যে হয়নি তা কিন্তু নয়। তাই শুধু মাত্র সিজার কমেছে এমনটি বলা যাবেনা, “বলছেন মিস্টার ফয়সাল, যিনি সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা বিষয়ক একটি উপদেষ্টা কমিটিরও একজন সদস্য।

সম্প্রতি সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের এক সভায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালের মার্চ এপ্রিলে যেখানে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৫ হাজারের বেশি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে সেক্ষেত্রে এবছর এই দুই মাসে তাও অন্তত পাঁচ হাজার কম হয়েছে।

স্টপ আননেসেসারি সি-সেকশন ক্যাম্পেইনের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে যে সিজারের সংখ্যা কমে আসার মূল কারণ হলো করোনার কারণে মানুষ হাসপাতাল বা ক্লিনিকে কম গিয়েছে।

“অবস্থা জটিল না হলে অনেকেই এমনকি বাড়ীতে স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা করেছে। আবার করোনার কারণে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সেবা ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসকরাও অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নিয়মিত বসেননি। মূলত এ তিনটি কারণে হাসপাতালে প্রসবের সংখ্যা কমেছে। আর যেহেতু হাসপাতাল বা ক্লিনিকেই সিজারিয়ান সেকশন হয়, সংগত কারণে সিজারিয়ানের সংখ্যাও কমে এসেছে”, বলছেন সেভ দ্য চিলড্রেনের সাথে জড়িত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ইশতিয়াক মান্নান।

তিনি জানান যে, বাংলাদেশে সার্বিকভাবে সিজারিয়ানের প্রবণতা কমেছে কিনা সেটি জানতে আরো কয়েক বছর সময় লাগবে।

স্টপ আননেসেসারি সি-সেকশন ক্যাম্পেইন বলছে, “রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে লক্ষ্যণীয়ভাবে কমে গেছে সিজার ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের সংখ্যা। বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন করোনার কারণে প্রসূতিরা হাসপাতালে যেতে ভয় পাওয়ায় এমনটি হচ্ছে। তবে কারণ যাই হোক অপ্রেয়োজনীয় সিজার বন্ধ তথা স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের এই ধারা অব্যাহত রাখতে, সরকারকে নজরদারি বাড়াতে হবে।”

  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী কোনো দেশে মোট প্রসবের ১০-১৫ ভাগের বেশি সি-সেকশন হওয়ার সুযোগ নেই

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী কোনো দেশে মোট প্রসবের ১০-১৫ ভাগের বেশি সি-সেকশন হওয়ার সুযোগ নেই

  • বাংলাদেশে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার অনেক বেশি

    বাংলাদেশে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার অনেক বেশি

  • সিজারিয়ান মা ও শিশু উভয়কেই অস্ত্রোপচারের ঝুঁকিতে ফেলে

    সিজারিয়ান মা ও শিশু উভয়কেই অস্ত্রোপচারের ঝুঁকিতে ফেলে

  • সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্মদানের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসবের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে অনেক সংস্থা

    সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্মদানের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসবের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে অনেক সংস্থা

  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী কোনো দেশে মোট প্রসবের ১০-১৫ ভাগের বেশি সি-সেকশন হওয়ার সুযোগ নেই
  • বাংলাদেশে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার অনেক বেশি
  • সিজারিয়ান মা ও শিশু উভয়কেই অস্ত্রোপচারের ঝুঁকিতে ফেলে
  • সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্মদানের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসবের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে অনেক সংস্থা
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com