আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

আস্থার সংকটে স্বাস্থ্য খাত

ভিকারুন্নেসা বেগম চিকিৎসক। দীর্ঘদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি করেছেন। ২০০৯ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যোগ দেন। এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। নমুনা পরীক্ষার পর ১ সেপ্টেম্বর রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানায়, ভিকারুন্নেসা বেগম করোনায় আক্রান্ত। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসা নিতে গিয়ে সরকারি হাসপাতালের ওপর তিনি বিরক্ত।

২ সেপ্টেম্বর সকালে ভিকারুন্নেসা বেগম রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যান। ওই হাসপাতালে কেবিন ফাঁকা ছিল না। পরে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ভর্তি হন। ভিকারুন্নেসা বেগম বলেন, হাসপাতালে কেবিনে পর্দা ছিল না। প্রয়োজনীয় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ছিল না। চার ঘণ্টায় তাঁর চিকিৎসারও কোনো উদ্যোগ ছিল না। একপর্যায়ে তিনি ওই হাসপাতাল ছেড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন।

শুধু ভিকারুন্নেসা বেগম একা হাসপাতালের ওপর আস্থা হারিয়েছেন বিষয়টি এমন নয়। সাধারণ মানুষেরও হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য খাতের ওপর আস্থা নেই, এমন ধারণা অনেকের মধ্যেই ছিল। এখন গবেষকেরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের ওপর খুব কম মানুষ আস্থা রাখেন।

করোনাকালে বাংলাদেশে জাতিসংঘ যুব ও ছাত্র অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্য খাতের ওপর ২৪ শতাংশ মানুষের আস্থা নিম্ন পর্যায়ে। আস্থা আছে মাত্র ২৩ শতাংশের। আর বাকি ৫৩ শতাংশের আস্থা মাঝারি পর্যায়ের।

গবেষণায় স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা, সেবাদানকারীদের ওপর মানুষের আস্থা এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি চিকিৎসকসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আস্থার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। এ নিয়ে ৫৯ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন ইতিমধ্যে তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এ ছাড়া ওই গবেষণার তথ্য নিয়ে যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড গ্লোবাল হেলথের রিডার শাহাদুজ্জামান, ইন্টারন্যাশনাল ফুড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ কার্যালয়ের গবেষণা বিশ্লেষক মোহাম্মদ নাহিদ বিন খালেদ এবং পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক তৌফিক জোয়ারদার একটি গবেষণা প্রবন্ধ লিখেছেন।

প্রধান গবেষক ও পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক তৌফিক জোয়ারদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য খাতের ওপর কোনো আস্থা নেই। এটা বিপজ্জনক প্রবণতা। আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকার, নাগরিক সমাজ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম সকলেরই উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।’

গবেষকেরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের বিরাজমান দুর্বলতার পাশাপাশি করোনাকালে কিছু ত্রুটি দৃশ্যমান হয়ে দেখা দেয়। এর মধ্যে আছে প্রস্তুতি, সমন্বয়, নেতৃত্বের অভাব; নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে দুর্নীতি, নিম্নমানের সেবা, সেবার ক্ষেত্রে বৈষম্য বা কোনো সেবা না দেওয়া। এসব কারণে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা ও নানা ধরনের সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

‘সম্রাটের শরীরে বস্ত্র নেই’

স্বাস্থ্য খাতে বাজেটস্বল্পতা, নিম্নমানের সেবা এবং বিশেষায়িত সেবার কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্যবিদ গবেষক বলেছিলেন, মহামারি পরিস্থিতি গল্পের ‘সম্রাটের শরীরে বস্ত্র নেই’–এর মতো সত্য প্রকাশ করেছে।

গল্পের ওই সম্রাট বহু মূল্যবান বস্ত্র পরিধান করে জনসমক্ষে এসেছিলেন। অতি সূক্ষ্ম বস্ত্রের প্রশংসায় আশপাশের সবাই ছিলেন পঞ্চমুখ। অবাক হয়েছিল এক বালক। সে সত্য উচ্চারণ করে বলেছিল, ‘এ কী, সম্রাটের শরীরে বস্ত্র নেই।’

মহামারি স্বাস্থ্য খাতের আসল চেহারা উন্মোচন করেছে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় মৃত্যু হয়। একপর্যায়ে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চাপ বাড়তে থাকে। হাসপাতালে সেবা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। একাধিক হাসপাতাল ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। করোনায় আক্রান্ত হলে কোথায় সেবা পাব, কোথায় ভর্তি হব—এটা অনেকটা সামাজিক দুশ্চিন্তার চেহারা নেয়। মানুষ নমুনা পরীক্ষার জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ মহাদুর্যোগের মধ্যে মানুষ জানতে পারেন জেকেজি ও রিজেন্টের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ। মহামারির কারণে দুর্নীতি থেমে থাকেনি।

মহামারির এমনই জরুরি সময়ে গবেষকেরা স্বাস্থ্য খাতে মানুষের আস্থা নিয়ে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও ইন্টারনেটে ৫১৭ জন ব্যক্তির কাছে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে উত্তর নেওয়া হয় ১০ থেকে ১২ জুনের মধ্যে। এর মধ্যে ৩১৮ জন পুরুষ, বাকিরা নারী। তাঁদের বয়স ছিল ১০ থেকে ৫০ বছর বা তার বেশি। উত্তরদাতাদের ৯২ শতাংশ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নেওয়া। তাঁদের মধ্যে ৯ শতাংশ ছিলেন কোভিড আক্রান্ত। এ ছাড়া ১৫ থেকে ১৭ জুনের মধ্যে সাতটি দলীয় সভায় ৫০ জন চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্যবিদ ও স্বাস্থ্যকর্মীর মতামত নেওয়া হয়।

সত্য উঠে এসেছে

গবেষণায় সত্য উঠে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, মহামারি শুরুর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অনাস্থা প্রকাশ করা মানুষের হার আরও বেশি।

স্বাস্থ্য খাত জনসাধারণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয় কি না, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আছে কি না, সঠিক নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করে সেবা দেওয়া হয় কি না, সেবাগ্রহীতাকে সঠিক ও মানসম্পন্ন সেবা দেওয়া হয় কি না, রোগীর তথ্য গোপন রাখার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কতটা দক্ষ ও মনোযোগী, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সেবা পায় কি না—এমন বিষয়ে উত্তরদাতাদের ধারণা নেন গবেষকেরা।

উত্তরদাতাদের ৪৬ শতাংশ বলেছেন, স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি তাঁদের ধারণা নিম্নমানের। ১৯ শতাংশ বলেছেন, তাঁদের আস্থা আছে। বাকি ৩৫ শতাংশ বলেছেন তাঁদের আস্থা মাঝারি ধরনের।

২৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, চিকিৎসক–নার্স বা অন্যান্য সেবাদানকারীর ওপর তাঁদের আস্থা কম। অন্যদিকে ২৩ শতাংশের এখনো আস্থা আছে। উত্তরদাতাদের ৫৩ শতাংশ বলেছেন, সেবাদানকারীদের ওপর তাঁদের আস্থা মাঝারি ধরনের।

তবে চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি, নেতৃত্বের ঘাটতি, আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা আগে থেকেই ছিল। মহামারি শুরুর দিকে একাধিক কর্তাব্যক্তি বলেছিলেন, চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর (পিপিই) প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে নিম্নমানের পিপিই বা নিজের অর্থে পিপিই কিনে চিকিৎসকদের ব্যবহার করতে হয়েছে। এসব কারণে চিকিৎসকদের কেউ কেউ চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর দৃঢ় আস্থা রাখতে পারছেন না।

আস্থা থাকা জরুরি

গবেষকেরা বলছেন, আস্থা না থাকলে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নেওয়া থেকে বিরত থাকে। এতে মহামারি পরিস্থিতিতে সংক্রমণ আরও বাড়ে, মৃত্যু বাড়ে। স্বাস্থ্য খাতে আস্থা না থাকলে মানুষ বিকল্প হিসেবে অন্য উৎস থেকে সেবা নেওয়ার চেষ্টা করে। তাতে স্বাস্থ্য ও আর্থিক ঝুঁকি বেশি দেখা যায়।

অন্যদিকে আস্থা থাকলে মানুষের সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ বাড়ে, স্বাস্থ্যসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার হয়, নিয়মিত সেবার সুযোগ বাড়ে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।

করণীয়

আস্থার উন্নতি ঘটাতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়ার কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, নিচের দিকে মানুষ সেবা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে ওপরের স্তরের হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি। কম চিকিৎসক বেশি রোগীর সেবা দিচ্ছেন বলে মানসম্পন্ন সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এতে আস্থা নষ্ট হচ্ছে।

গবেষকেরা প্রতিবেদনের শেষ দিকে কিছু সুপারিশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে আলোচিত দুর্বলতাগুলো দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে। পাশাপাশি দুর্নীতি, আইন, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, বৈষম্য হ্রাস নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার আয়োজন করতে হবে। আস্থা ফিরিয়ে আনার আলোচনায় সেবাদানকারীদের যুক্ত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com