আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মানুষ তাঁদের আইফোনের খালি বাক্স ফেলে দেন না কেন

মানুষ তাঁদের আইফোনের খালি বাক্স ফেলে দেন না কেন

টুইটারে এক ব্যবহারকারী দিনকয়েক আগে লিখেছেন, ‘আমি জানি না কে আমার কথা শুনবে, তবে আইফোনের সঙ্গে যে বাক্স দেওয়া হয়, সেটা ফেলে দিন। আপনার ওটা দরকার নেই, কখনোই হবে না।’

অনেকে নিজের অজান্তেই বাক্সগুলো সংরক্ষণ করে চলেছেন। সে টুইট দেখে যেন সবার টনক নড়ল। টুইটটি ৭৭ হাজারের বেশি রি–টুইট করা হয়। সেখানে অনেকেই জানিয়েছেন, প্রয়োজন ছাড়াই কেন তাঁরা বছরের পর বছর অ্যাপল পণ্যের খালি বাক্স সংরক্ষণ করেছেন। সঙ্গে হ্যাশট্যাগ (#TeamKeepTheBox) জুড়ে দিয়ে অনেকে তাঁদের সাদা রঙের বাক্সগুলোর ছবিও পোস্ট করেছেন।

করবিন উইলিয়ামসের সংগ্রহে থাকা ১৪টি আইফোনের বাক্স
করবিন উইলিয়ামসের সংগ্রহে থাকা ১৪টি আইফোনের বাক্স

অনেকের কাছে বাক্সগুলো পুরোনো আইফোনের স্মৃতি

কানাডীয় ডিজাইনার জর্ডান স্টিফেনসেন বাক্সগুলো সংরক্ষণের কারণ হিসেবে চমৎকার নকশার উল্লেখ করেছেন। তাঁর ভাষায় ‘মাস্টারপিস’। ভাইস সাময়িকীকে জর্ডান বলেন, ‘সত্যি বলতে অ্যাপলের বাক্সগুলো এত ভালো যে ছুড়ে ফেলতে মন সায় দেয় না।’

১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মিন ট্যানের কাছে বাক্সগুলো পণ্যেরই অংশ। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি বাক্স খোলার সময় দামি দামি একটা ভাব মনে আসে। বাক্সটাও সেটারই অংশ।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের করবিন উইলিয়ামস ওসব ‘অ্যাসথেটিক’ ব্যাপার-স্যাপারের ধার দিয়ে যাননি। তাঁর কাছে আইফোন ব্যবহারের স্মৃতিটিই মুখ্য। বাক্সটি কেবল তা মনে করিয়ে দেয়। উইলিয়ামসের বয়স এখন ৩০। হাইস্কুলে পড়ার সময় থেকেই বাজারে নতুন আইফোন এলে প্রথম দিনেই দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে তা কেনেন তিনি। স্যুভেনির হিসাবে এখন তাঁর সংগ্রহে ১৪টি আইফোনের বাক্স আছে।

অকেজো বাক্সগুলোকে কেজো করার চেষ্টা
অকেজো বাক্সগুলোকে কেজো করার চেষ্টা

অকেজো বাক্সগুলোকে কেজো করার চেষ্টাও হয়েছে

আইফোন হারিয়ে গেলে বাক্স থেকে সিরিয়াল নম্বর দেখে তা খোঁজার কথাও বলেছেন অনেকে। আবার অনেকে হেঁটেছেন সৃজনশীল পথে। আপাতদৃষ্টিতে অকেজো বাক্সগুলো থেকে কাজে লাগতে পারে এমন কিছু তৈরি করে নিয়েছেন। কেউ খাবার রাখার পাত্র বানিয়েছেন। কেউ বসার ঘরের দেয়াল সাজিয়েছেন। আইফোনের বাক্সকে গেম খেলার জয়স্টিক কনট্রোলার বানিয়েছেন একজন।

মূল কারণ কী?

সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক হানাহ চ্যাং বেশি যুক্তিযুক্ত কারণটি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সঙ্গে মূল বাক্স থাকলে পুনরায় বিক্রি করার সময় আইফোনের দাম তুলনামূলক বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর রূপান্তরের ব্যাপার তো আছেই।

ফিলিপাইনের আতেনিও দে ম্যানিলা ইউনিভার্সিটির মনস্তত্ত্বের প্রভাষক জোনাথান রবার্ট ইলাগান অবশ্য আবেগের দিকটাও তুলে ধরেছেন। অনেকে আইফোন ব্যবহার করা অর্জন বলে মনে করেন, বাক্সগুলো তাঁদের হয়তো সে অর্জনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

কানাডার রায়েরসন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ম্যাথু ফিল্প আরেকটি দিকের কথা বলেছেন। কেউ যে অ্যাপলের পাঁড় ভক্ত, তা হয়তো অ্যাপল পণ্যের খালি বাক্সগুলো দেখিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন অনেকে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com