ডিস্পেনিয়া বা শ্বাসকষ্ট অস্বস্তিকর এবং বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা। আমরা সবাই এটি বিভিন্ন সময়ে এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। যেমন সিঁড়ির কিছু ধাপ ওঠার পরে বা ফুসফুসে শ্লেষ্মার উপস্থিতির কারণে এমন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। একাধিক কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এটি সাময়িক হতে পারে। কখনো গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে হতে পারে। মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্ট খুব সহজেই ঘরে বসে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে যদি আপনার সাথে প্রায় দিনই এমনটা ঘটে থাকে তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা ভালো। শ্বাসকষ্ট কমিয়ে আনতে কয়েকটি সহজ ঘরোয়া উপায় প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া-
ব্ল্যাক কফি কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন, যা শ্বাসনালীতে উপস্থিত পেশীগুলোকে শিথিল করতে পারে। হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এই প্রতিকার বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ব্ল্যাক কফি ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। তবে এটি আপনার উপযুক্ত না হলে এড়িয়ে চলুন।
আদা টাটকা আদা বা আদা চা পান করলে তা আপনাকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেবে। শ্বাসকষ্টের সংক্রমণ হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে এই আদা। সাধারণ ভেষজটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ফুসফুসে প্রদাহ হ্রাস করতে পারে।
মুখে শ্বাস নেয়া শ্বাসকষ্টের এই সহজ কৌশলটি আপনাকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে। এটি আপনার শ্বাসের গতি ধীর করতে পারে, প্রতিটি শ্বাসকে আরও গভীর করে তোলে এবং আপনাকে আরাম দেয়। এটি কীভাবে করতে পারেন তা জেনে নিন-
পদক্ষেপ ১: পিঠ সোজা রেখে আরামদায়ক স্থানে বসুন। চেয়ারে কিংবা মেঝেতে বসতে পারেন
পদক্ষেপ ২: নাক দিয়ে আস্তে আস্তে ৪ থেকে ৫ সেকেন্ডের জন্য নিঃশ্বাস নিন। ফুসফুসের পরিবর্তে আপনার পেটটি বাতাসের সাথে পূর্ণ করুন।
পদক্ষেপ ৩: মুখ দিয়ে ৪ থেকে ৬ সেকেন্ডের জন্য নিঃশ্বাস ফেলুন।
পদক্ষেপ ৪: এভাবে ১০ থেকে ২০ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
ভাপ নেয়া ঠান্ডায় ভুগলে যদি শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় তবে এটি ফুসফুসে শ্লেষ্মার কারণে হতে পারে। শ্লেষ্মা দূর করতে এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এতে উপকার মিলবে।
ফ্যানের কাছাকাছি বসুন একটি সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, শীতল বাতাস শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করতে পারে। অস্বস্তি বোধ করলে এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে কোনো ফ্যানের কাছে বসুন। শ্বাস নেয়ার সময় বাতাসের শক্তি অনুভব করলে তা আপনার শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন