আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ভারত

শেষ চালানে আজ কলকাতা আসছে ২০০ টন ইলিশ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আজ শনিবার আসছে আরও ২০০ টন ইলিশ। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা সামনে রেখে কলকাতার ইলিশপ্রিয় ব্যক্তিদের কথা ভেবে বাংলাদেশ সরকার সব মিলিয়ে ১ হাজার ৮৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। বাংলাদেশের ৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রপ্তানির এ অনুমতি পায়। সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান আসে। প্রথম চালানে ছিল ২০ টন ইলিশ।  

রপ্তানির আদেশ দেওয়ার সময়ই বাংলাদেশ সরকার নির্দেশ দিয়েছিল ১০ অক্টোবরের মধ্যেই ইলিশ রপ্তানির কার্যক্রম শেষ করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে আজ ইলিশের শেষ চালান ঢুকবে কলকাতায়।

জানা গেছে, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইলিশ আসছে কলকাতায়। গতকাল শুক্রবার সীমান্ত বন্ধ থাকায় কোনো ইলিশ আসেনি। তবে আজ শনিবার এ বছরের শেষ চালানে ২০০ টন ইলিশ আসছে। রপ্তানির আদেশ দেওয়ার সময়ই বাংলাদেশ সরকার নির্দেশ দিয়েছিল ১০ অক্টোবরের মধ্যেই ইলিশ রপ্তানির কার্যক্রম শেষ করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে আজ ইলিশের শেষ চালান ঢুকবে কলকাতায়।
২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। পশ্চিমবঙ্গে অনেকের কাছে বাংলাদেশের ইলিশ খুব প্রিয়। কিন্তু রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এ অবস্থায় গত বছর পূজার সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির ব্যবস্থা করেছিলেন। আর এবার আসছে ১ হাজার ৮৫০ টন ইলিশ।

আজ শনিবার শেষ চালানে ইলিশ আসছে ১৫টি ট্রাকে করে। এসব ইলিশ আসছে বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে। বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এ ইলিশ আসবে।

সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ, সম্পাদক, কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন

জানতে চাইলে কলকাতার ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রথমে কলকাতায় ১ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। পরে আরও ৪০০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দেয়। আজ শনিবার শেষ চালানে ইলিশ আসছে ১৫টি ট্রাকে করে। এসব ইলিশ আসছে বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে। বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এ ইলিশ আসবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

এগ্রোবিজ

জ্বালানির পর ভোজ্যতেলের দাম কমালো ভারত

ভারতে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পর এবার দাম কমলো ভোজ্যতেলেরও। পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দাম কমেছে প্রতি লিটারে পাঁচ থেকে ২০ রুপি পর্যন্ত। তবে এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে সরিষা তেলের দাম।

শনিবার (৬ নভেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইণ্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে এসব ভোজ্যতেলের দাম কমতে শুরু করেছে। 

ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব শুধাংশু পাণ্ডে বলেছেন, আমরা সবচেয়ে খারাপ সময় পেরিয়ে এসেছি। ভোজ্যতেলের জোগান বৃদ্ধি, শুল্ক ও মজুত কমানোর ফলে দাম অনেকটাই কমে এসেছে।

তিনি আরও জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে, বেশ কয়েকজন আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক ছাড়া ভোজ্যতেল ও তেলবীজ ব্যবসায়ীদের জন্য আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত পণ্যমজুতের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারত সরকার।

শুধাংশু পাণ্ডে জানান, ভারতে শহরভেদে পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দাম কমেছে পাঁচ থেকে ২০ রুপি পর্যন্ত। তবে সরিষা তেলের ক্ষেত্রে এখনো কোনও সুখবর আসেনি।

দুইদিন আগেই দেশটিতে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমেছে লিটারে পাঁচ থেকে ১১ রুপি। জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম। 

দীপাবলি উৎসবের কথা মাথায় রেখে ভোজ্যতেল বিক্রেতা সংস্থাগুলোকে দাম কমাতে অনুরোধ করেছিল ভারত সরকার। 

সরকারের প্রস্তাবে তেল বিক্রেতাদের সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন (এসইএ) বিভিন্ন ধরনের ভোজ্যতেলের দাম কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ রুপি কমিয়ে দেয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ভারত

ভারতে রেশম চাষের বৃত্তান্ত

আমাদের দেশ বিভিন্ন চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত। খাদ্যশস্য থেকে শুরু করে পশু পালন, মৎস্য চাষ,মৌমাছি পালন। এই প্রত্যেক কৃষির ধরন-কৌশল আলাদা আলাদা হলেও, এই চাষবাসগুলির সঙ্গে যুক্ত মানুষরা দেশের মানুষকে জোগাচ্ছেন খাদ্য। নিজেরা কতটুকু লাভবান হচ্ছেন সেদিকে খেয়াল না রেখেই এই মানুষগুলি দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের উপহার দিচ্ছেন এক সুস্থ-অভাবহীন সমাজ। আমাদের পরিধানের জন্যও যে বস্ত্রের আমদানি ঘটছে, তারও মূল কারিগর এই কৃষক সমাজ। রেশম চাষিদের তত্ত্বাবধানে উৎপাদিত রেশম, আমাদের বস্ত্র সংকট থেকেও রক্ষা করে চলেছে। চীনের পরেই রেশম উৎপাদনে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা স্বাভাবিক ভাবেই প্রমাণ করে ভারতের রেশম চাষিদের রেশম চাষে অতুলনীয় অবদানের বিষয়ে। ভারতে মোট চার ধরনের রেশম চাষ করা হয়। তুঁত, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় তসর, এরি এবং মুগা। গর্বের সঙ্গে বলা চলে ভারতবর্ষই হল এমন এক দেশ যেখানে এতগুলি অর্থাৎ মোট চার রকমের বাণিজ্যিক রেশম উৎপন্ন হয়।

রেশম চাষের শুরু (Resham Farming)

মূলত বিহার, বাংলায় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে বহু কাল আগে থেকে শুরু হয়ে রেশম চাষ‌। প্রাচীনকালের রেশম চাষ প্রযুক্তি বর্তমানে কৌশলগত ভাবে বদলে গেলেও এই অঞ্চলগুলির আদিম জনজাতিরা এখনও নিজস্ব উপায় এবং আধুনিক নিয়মের সংমিশ্রনে রেশমের চাষ করে আসছেন। সোনালী রঙের ঔজ্জ্বল্যের জন্য মুগা রেশমের চাহিদাই সবথেকে বেশি।

উৎপাদন (Productivity)

কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডু ও জম্মু ও কাশ্মীর-এই পাঁচ রাজ্যে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি রেশম উৎপন্ন হয়। ২০১৩-১৪ অর্থ বর্ষে আমাদের দেশে কাঁচা রেশম মোট উৎপাদন ছিল ২৬৪৮০ মেট্রিক টন, এর মধ্যে ১৯৪৭৬ মেট্রিক টন তুঁত সিল্ক, ২৬১৯ মেট্রিক টন তসর সিল্ক, ৪২৩৭ মেট্রিক টন এরি সিল্ক এবং ১৪৮ মেট্রিক টন মুগা সিল্ক।

রেশম মথের খাদ্যনালীর উভয় পাশে একজোড়া রেশমগ্রন্থি থাকে, যেগুলিকে পরিবর্তিত লালাগ্রন্থিও বলা হয়। রেশমগ্রন্থি দুটি যখন ধীরে ধীরে পূর্ণতা লাভ করে তখন স্পিনারেট দিয়ে তরল রেশম নির্গত হয় ও সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর সংস্পর্শে আসামাত্র শুকিয়ে রেশম বা সিল্ক সুতোয় পরিণত হয়। রাসায়নিক দিক থেকে এই সুতো প্রোটিন তন্তু, যাতে দুই রকম প্রোটিন মিশ্রিত থাকে- কেন্দ্রীয় অংশটি ফাইব্রয়েন ও তাকে ঘিরে থাকে সেরিসিন – এই দুই প্রোটিনের মিশ্রণই রেশমের ঔজ্জ্বলতার মূল কারণ।

রেশমের অন্যতম ভাগ হল তসর। ভারতে যতটা তসর গোটা বছর উৎপন্ন হয়, তার অধিকাংশটা আসে ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে। তসরের পোকা শাল ও অর্জুন পাতা খেয়ে তসর মথ-এ পরিণত হয়। তসর মথের পূর্ব দশার নাম কোকুন দশা বা গুটি দশা। এই গুটি দশার থেকেই সুতো উৎপন্ন হয়। তসরের চাষ বছরে তিনবার করা সম্ভব।

তুঁত তৈরী হয় বমবিক্স বর্ণের রেশম পোকার গুটি থেকে। এই পোকা মালবেরি বা তুঁত গাছের পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে। এরি রেশম তৈরী হয় ফিলোসেমিয়া বর্ণের রেশম গুটি থেকে, যারা রেড়ী গাছের পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে, মুগ রেশম মূলত সোম ও শোয়ালু গাছের পাতা খায়। সর্বশেষ হল তসর, যাদের খাদ্য অর্জুন গাছের পাতা।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ভারত

কোটি টাকায় বিক্রি হলো ঘোল মাছ

ভারতের মহারাষ্ট্রের পালঘরের কয়েকজন মৎস্যজীবী সম্প্রতি সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাদের জালে বেশ কিছু ঘোল মাছ ওঠে। আর তা দিয়েই ভাগ্য বদলে যায় তাদের। জেনে নিন এই মাছটি সম্পর্কে

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

থমকে গেছে কুমারপাড়া

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় রয়েছে কয়েকটি কুমার পরিবার। বৈশাখ আসার কয়েক মাস আগে থেকে তাদের মাটির জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতে হতো। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত লেগেছে বিলুপ্তির পথে থাকা মৃৎশিল্পের ওপর। লকডাউনসহ বৈশাখী মেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় কুমার পাড়ায় কর্মচঞ্চলতা নেই। গত বছরও করোনা পরিস্থিতির কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছিল।

সরজমিন কুমার পল্লীতে দেখা গেছে, সুনশান নীরবতা। একদিকে মহামারি করোনা অন্যদিকে লকডাউন। মাটির তৈজসপত্র বিক্রি শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় সংসার চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাওয়া এই পরিবারগুলোর কপালে পরেছে ভাঁজ।

বাড়ির উঠানে খোলা আকাশের নিচে মাটির হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে ক্রেতাশূন্য দোকানে বসে থাকতে দেখা গেল ষাটোর্ধ্ব বয়সি শ্রীমতী রজলী পালকে।

দোকানে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা মাটির থালা, প্রদীপ, ভাপা পিঠার খুলিসহ অনেক কিছুর দেখা মেলে সেখানে। যার অনেক কিছু যান্ত্রিক সময়ের চাপে হারিয়ে গেছে। অথচ এক সময় বাংলার হারিয়ে যাওয়া মাটির এসব জিনিসপত্র ছাড়া গৃহস্থালির কাজকর্ম করা প্রায় অসম্ভব ছিল। বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা মাটির ব্যাংক প্রকার ভেদে ১০ থেকে ৬০ টাকা, পাতিল ২০ থেকে ৪০ টাকা, গরুর খাবারের জন্য চারি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, পানি রাখার কলস ৪০ টাকা, কবুতরের ঘর ১৫ টাকা, পাতিলের ঢাকনা ১০ থেকে ৩০ টাকা, মাটির ফুলদানি প্রকার ভেদে ২০ থেকে ৫০০ টাকা, ছোট বাচ্চাদের খেলনা প্রতি পিচ ১০ টাকা, মাটির থালা ৪০ থেকে ১৫০ টাকা, মগ ২০ থেকে ৮০ টাকা ফুলের টব ২০ থেকে ১০০ টাকা, বাটনা ৩০ থেকে ৫০ টাকা, সাত পিঠার বাটি ৪০ টাকা, পানের বাটা ৩০ টাকা ও মাটির প্রদীপের মূল্য মাত্র ২০ টাকা রাখা হয়েছে।

তবে মাটির দুষ্প্রাপ্যতার সঙ্গে শ্রমিকের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মাটির তৈজসপত্র তৈরি ও বিক্রয়ে খুব একটা লাভের মুখ দেখছেন না তারা। তাদের অভিযোগ সরকারের অর্থনৈতিক সাহায্য সহযোগিতা না পেলে এ শিল্প টিকিয়ে রাখা কখনই সম্ভব হবে না।

মৃৎশিল্পের জাদুকর রামায়ণ প্রসাদ পাল বলেন, বাবু আমি এখন আমার বংশের ১৪তম পুরুষের হাল ধরে আছি। আমার তিন ছেলেÑ বড় ছেলে মহেশ কুমার পাল এবং ছোটছেলে সঞ্জয় কুমার পাল। মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য ছেলেদের কাজ করতে বললেই বলে বাবা, মৃৎশিল্প দিয়ে আমাদের জীবন সংসার চলবে না। তবে আমার দ্বিতীয় ছেলে সন্তোষ কুমার পালই আমার বংশের একমাত্র শেষ ভরসা, সেই আমার ১৪ পুরুষের হাল ধরে আছে।

শুধু বৈশাখ নববর্ষ এলেই সাহেব-বাবুদের আমাদের কথা মনে পরে। বিশেষ করে পান্তা-ইলিশে আমাদের মাটির থালা দরকার হয়। এখন কেউ মনে রাখে না। সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন আমাদের দিকে নজর না দিলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। আক্ষেপ করে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন শ্রীমতী রজলী পাল।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

বিশ্ব

ভারতে কৃষকদের পাশে বিরোধী দল

কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন বিরোধী দলের নেতারা। সংসদ ভবনের অদূরে যন্তর মন্তরের ধরনাস্থলে শুক্রবার দুপুরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধী নেতারা উপস্থিত হন। আন্দোলনরত কৃষকদের তাঁরা বলেন, ‘কালা কৃষি আইন’ প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা কৃষকদের পাশে আছেন।বিজ্ঞাপনবিজ্ঞাপন

সংসদীয় অধিবেশন চলাকালে যন্তর মন্তরে প্রতিদিন ২০০ কৃষককে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে দিল্লি সরকার। কৃষকেরা সেখানে ‘কিষান সংসদ’ চালাচ্ছেন।

শুক্রবার তাঁদের সেই ‘সংসদে’ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। যন্তর মন্তরে কৃষকদের সমাবেশে রাহুল বলেন, ‘সংসদ কীভাবে সরকার অচল রেখেছে আপনারা জানেন। কৃষি আইন বা পেগাসাস-কাণ্ড কোনো আলোচনাতেই রাজি নয়। কালা আইন প্রত্যাহারে আমরা আপনাদের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে এসেছি।’বিজ্ঞাপন

অন্য দিনের মতো আজও সংসদীয় অধিবেশনে অচলাবস্থা দেখা যায়। দুটি কক্ষের অধিবেশন দফায় দফায় মুলতবি হয়ে যায়। সেই অবসরে বেলা একটা নাগাদ বিরোধী নেতারা হাজির হন যন্তর মন্তরে।

সংসদে ঐক্যের কথা বললেও যন্তর মন্তরে যাওয়া নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে অনৈক্যের সুর স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বিভিন্ন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেস, বহুজন সমাজ পার্টি ও আম আদমি পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন না। যদিও গতকাল সকালে ১৪ দলের সংসদীয় নেতাদের বৈঠকে তৃণমূল নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই দুপুরে কৃষক সমাবেশে যাওয়া ঠিক হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের তিন সাংসদ দোলা সেন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও অপরূপা পোদ্দার আলাদাভাবে সকালেই যন্তর মন্তরে হাজির হয়ে কৃষকনেতাদের সঙ্গে কথা বলে চলে আসেন। কৃষকনেতাদের তাঁরা বলেন, তাঁদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেপ্টেম্বর মাসে আবার দিল্লি আসবেন। তখন তিনি দিল্লি সীমান্তে গিয়ে আন্দোলনকারী কৃষকনেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ইদানীং বিরোধী আন্দোলনের পুরোভাগে চলে এসেছেন। বিরোধী ঐক্য স্থাপনে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন। সম্প্রতি দিল্লি এসে সেই লক্ষ্যে সোনিয়া গান্ধী-রাহুলের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করলেও এটা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে যে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব রাহুলের হাতে ছেড়ে দিতে তাঁর অনীহা এখনো কাটেনি। সেই কারণেই রাহুলের বিভিন্ন উদ্যোগে তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তা অন্য রকম।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com