শীতকালে মানবদেহ সব থেকে বেশি রুক্ষ, শুষ্ক ও মলিন হয়ে যায়। তখন প্রচুর ডেড সেল দেখা দেয়। এতে স্কিন অনেক খারাপ দেখায়।
পাশাপাশি স্কিনের ডেড সেলগুলো কাপড়ে পড়তে থাকে, যা মানুষের সামনে অনেক বেশি লজ্জাজনক। এই লজ্জার হাত থেকে বাঁচার জন্য হলেও বডি স্ক্রাবের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
বডি স্ক্রাব করার জন্য পার্লারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরে বসে, ঘরেই রয়েছে এমন উপকরণগুলো দিয়ে সম্ভব।
কফি অনেক কার্যকরী একটি স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কফির দানাগুলো স্কিনে জমে থাকা ময়লা খুব সহজেই তুলে ফেলতে সাহায্য করে। এছাড়াও স্কিন ফর্সা করতেও সক্ষম।
শুধু কফিই নয়, স্ক্রাবার হিসেবে লেবু, চিনি, কমলা লেবুর খোসা অনেক কার্যকর। এছাড়াও বাজারে অনেক ধরনের স্ক্রাব পাওয়া যায়। যদিও তাদের কার্যকারিতা সবার স্কিনে এক রকম হয় না।
ঘরে বানানো স্ক্রাবারগুলো নিজের স্কিন টাইপের মত খুব সহজেই তৈরি করে নেওয়া সম্ভব। পরিমাণটাও নিজেই নির্ধারণ করা সম্ভব; সে ক্ষেত্রে অপচয় অথবা পণ্যটি ডেট-ওভার হওয়ার সুযোগ থাকে না।
চিপস খেতে কার না ভাল লাগে? তবে আজকাল বাজারের চিপগুলো খেয়ে ঠিক পোষায় না। কারণ প্যাকেটের অর্ধেকটাই থাকে বাতাসে ভরা। তাই ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলুন চিপস। যেহেতু আলুর চিপস আমাদের কম বেশি সবাই খেয়েছি, সেজন্য আজ আলু নয়, আজ আপনাদের ঘরে বসে কিভাবে কলার চিপস বানাতে হয় তা জানাবো।
কলার চিপস তৈরির উপকরণ
১। তিনটি কাঁচা কলা
২। এক টেবিল চামচ সাদা তেল
৩। হাফ চা চামচ মরিচের গুঁড়া
৪। এক চা চামচ লবণ
৫। হাফ চা চামচ আমচুর
৬। হাফ চা চামচ হলুদের গুঁড়া
তৈরির পদ্ধতি
১। প্রথমে কলা গুলো ধুয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর পাতলা করে গোল গোল করে কাটতে হবে।
২। এরপর গোল কাঁটা কলা গুলো হলুদ-লবণ জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর একটা শুকনো কাপড়ে কলা গুলোকে নিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে যাতে জলটা শুষে নেয়।
৩। একটা কাপড়ে এবার কলাগুলোকে রেখে তাতে হলুদের গুঁড়া, লবণ, মরিচের গুঁড়া, আমচুর ও তেল দিয়ে ভালভাবে মেশাতে হবে।
৪। এবার একটা কড়াইয়ে তেল গরম করে নিতে হবে। তারপর তাতে মাখানো কলার টুকরো গুলো ছেড়ে দিতে হবে।
৫। ভালমতো ভেজে নিতে হবে এবং হালকা বাদামি হয়ে আসলে তা নামিয়ে নিতে হবে।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো মুচমুচে কলার চিপস! এবার পরিবেশন করুন। সাথে টমেটো কেচাপ বা এক কাপ চা হলে আরও জমে উঠবে!
প্রতি বছর কোটি কোটি মুসলমান রোজা রাখেন সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থেকে।
কয়েক বছর ধরে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে রোজা পড়েছে গ্রীষ্মকালে। ফলে এসব দেশের মুসলিমদের রোজা রাখতে হচ্ছে গরমের মধ্যে অনেক দীর্ঘসময় ধরে।
ইউরোপের কোন কোন দেশে কুড়ি ঘণ্টাও রোজা রাখতে হচ্ছে।
কিন্তু মুসলিমরা যে একমাস ধরে রোজা রাখেন, সেটা তাদের শরীরে কী প্রভাব ফেলে?
ছবির ক্যাপশান,সারাদিনের রোজা শেষে ইফতারের প্রস্তুতি
প্রথম কয়েকদিন: সবচেয়ে কষ্টকর
শেষবার খাবার খাওয়ার পর আট ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু মানুষের শরীরে সেই অর্থে উপোস বা রোজার প্রভাব পড়ে না।
আমরা যে খাবার খাই, পাকস্থলীতে তা পুরোপুরি হজম হতে এবং এর পুষ্টি শোষণ করতে অন্তত আট ঘন্টা সময় নেয় শরীর।
যখন এই খাদ্য পুরোপুরি হজম হয়ে যায়, তখন আমাদের শরীর যকৃৎ এবং মাংসপেশীতে সঞ্চিত থাকে যে গ্লুকোজ, সেটা থেকে শক্তি নেয়ার চেষ্টা করে।
শরীর যখন এই চর্বি খরচ করতে শুরু করে, তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
তবে যেহেতু রক্তে সুগার বা শর্করার মাত্রা কমে যায়, সে কারণে হয়তো কিছুটা দুর্বল এবং ঝিমুনির ভাব আসতে পারে।
এছাড়া কারও কারও ক্ষেত্রে মাথাব্যাথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব বা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে।
এ সময়টাতেই আসলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষুধা লাগে।
ছবির ক্যাপশান,রোজা রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, কারণ এটি শরীরে কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
৩ হতে ৭ রোজা: পানিশূন্যতা থেকে সাবধান
প্রথম কয়েকদিনের পর আপনার শরীর যখন রোজায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে, তখন শরীরে চর্বি গলে গিয়ে তা রক্তের শর্করায় পরিণত হচ্ছে।
কিন্তু রোজার সময় দিনের বেলায় যেহেতু আপনি কিছুই খেতে বা পান করতে পারছেন না, তাই রোজা ভাঙ্গার পর অবশ্যই আপনাকে সেটার ঘাটতি পূরণের জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে।
নইলে আপনি মারাত্মক পানি-শূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে গরমের দিনে যদি শরীরে ঘাম হয়।
আর যে খাবার আপনি খাবেন, সেটাতেও যথেষ্ট শক্তিদায়ক খাবার থাকতে হবে। যেমন কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা এবং চর্বি।
একটা ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সব ধরণের পুষ্টি, প্রোটিন বা আমিষ, লবণ এবং পানি থাকবে।
ছবির ক্যাপশান,বেশি করে পানি খেতে হবে পানি-শূন্যতা রোধে
৮ হতে ১৫ রোজা: অভ্যস্ত হয়ে উঠছে শরীর
এই পর্যায়ে এসে আপনি নিশ্চয়ই অনুভব করতে পারছেন যে আপনার শরীর-মন ভালো লাগছে, কারণ রোজার সঙ্গে আপনার শরীর মানিয়ে নিতে শুরু করেছে।
ক্যামব্রিজের এডেনব্রুকস হাসপাতালের ‘অ্যানেসথেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিনের’ কনসালট্যান্ট ড. রাজিন মাহরুফ বলেন, এর অন্যান্য সুফলও আছে।
“সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই এবং এর ফলে আমাদের শরীর অন্য অনেক কাজ ঠিকমত করতে পারে না, যেমন ধরুণ শরীর নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারে।”
“কিন্তু রোজার সময় যেহেতু আমরা উপোস থাকছি, তাই শরীর তখন অন্যান্য কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। কাজেই রোজা কিন্তু শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এটি শরীরের ক্ষত সারিয়ে তোলা বা সংক্রমণ রোধে সাহায্য করতে পারে।”
ছবির ক্যাপশান,সব ধরণের খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়
১৬ হতে ৩০ রোজা: ভারমুক্ত শরীর
রমজান মাসের দ্বিতীয়ার্ধে আপনার শরীর কিন্তু পুরোপুরি রোজার সঙ্গে মানিয়ে নেবে।
আপনার শরীরের পাচকতন্ত্র, যকৃৎ, কিডনি এবং দেহত্বক এখন এক ধরণের পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাবে। সেখানে থেকে সব দূষিত বস্তু বেরিয়ে আপনার শরীর যেন শুদ্ধ হয়ে উঠবে।
“এসময় আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের পূর্ণ কর্মক্ষমতা ফিরে পাবে। আপনার স্মৃতি এবং মনোযোগের উন্নতি হবে এবং আপনি যেন শরীরে অনেক শক্তি পাবেন”, বলছেন ড. মাহরুফ।
“শরীরের শক্তি জোগানোর জন্য আপনার আমিষের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না। যখন আপনার শরীর ‘ক্ষুধার্ত’ থাকছে তখন এটি শক্তির জন্য দেহের মাংসপেশীকে ব্যবহার করছে। এবং এটি ঘটে যখন একটানা বহুদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনি উপোস থাকছেন বা রোজা রাখছেন।”
“যেহেতু রোজার সময় কেবল দিনের বেলাতেই আপনাকে না খেয়ে থাকতে হয়, তাই আমাদের শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট খাবার এবং তরল বা পানীয় গ্রহণের সুযোগ থাকছে রোজা ভাঙ্গার পর। এটি আমাদের মাংসপেশীকে রক্ষা করছে এবং একই সঙ্গে আমাদের আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করছে।”
ছবির ক্যাপশান,ড: রাজেন মাহরুফ
তাহলে রোজা রাখা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?
ড. মাহরুফ বলেন, অবশ্যই, তবে একটা ব্যাপার আছে।
“রোজা রাখা শরীরের জন্য ভালো, কারণ আমরা কী খাই এবং কখন খাই সেটার ওপর আমাদের মনোযোগ দিতে সাহায্য করে। একমাসের রোজা রাখা হয়তো ভালো। কিন্তু একটানা রোজা রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া যাবে না।
“শরীরের ওজন কমানোর জন্য একটানা রোজা রাখা কোন উপায় হতে পারে না। কারণ একটা সময় আপনার শরীর চর্বি গলিয়ে তা শক্তিতে পরিণত করার কাজ বন্ধ করে দেবে। তখন এটি শক্তির জন্য নির্ভর করবে মাংসপেশীর ওপর। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ আপনার শরীর তখন ক্ষুধায় ভুগবে।”
ড. মাহরুফের পরামর্শ হচ্ছে, রমজান মাসের পর মাঝে মধ্যে অন্যধরণের উপোস করা যেতে পারে। যেমন ৫:২ ডায়েট (পাঁচদিন কম খেয়ে দুদিন ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করা)। যেখানে কয়েকদিন রোজা রেখে আবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাওয়া-দাওয়া করা যেতে পারে।
রজমানের সময় সুস্থ্য থাকতে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এ সময়ে ইফতার ও সাহরিতে মানসম্পন্ন খাবার খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। জেনে নিন রমজানে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন।
তৈলাক্ত খাবার, ভাজা পোড়া বর্জন করাই ভালো। বরং ফল ও খেজুর শরীরে পুষ্টি ও শক্তি যোগাবে।
মাছ ডাল ভাত আদর্শ খাবার। সাহরিতে গরুর মাংস এড়িয়ে মুরগী খেলে ভালো হবে। তবে শাক-সবজি ও ডাল শরীরের জন্য ভালো হবে।
পানি, ফল, চিড়া, রুটি, ভাত, সবজি, ডাল, ডিম, হালকা খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। এসব খাবার শরীরে শক্তি বাড়ায়।
নিয়মিত যেসব খাবার খান রোজার সময়েই সেগুলোই তার জন্য যথেষ্ট। তবে সারাদিন রোজা পালন শেষে পানি খেতে হবে পর্যাপ্ত।
রোজা পালনকারী ব্যক্তিকে বুঝতে হবে কোন খাবারগুলো সহজে হজম হয়। এসব খাবারকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব খাবার হজমে সমস্যা করে সেগুলো না খাওয়াই ভালো।
রোজার সময় সারাদিন পর স্যুপ শরীরকে সতেজ রাখে ও হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। শাক-সবজি, বাঁধাকপি বাদ দিয়ে ফুলকপির স্যুপ বা লেটুস পাতার স্যুপ অনেক উপকারী। লেটুস পাতায় কোনো গ্যাস হয় না।
যারা দুর্বলতা, ক্লান্তি, অ্যাসিটিডি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। তাদের এসব রোগের ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে।
রোজায় পানি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। তবে এর মধ্য বিশুদ্ধ পানি ও ফলের রসই বেশি কাজে লাগে। ইফতারে ঘরে তৈরি খাবারই সবচেয়ে নিরাপদ। বেশি তেলে ভাজা বাজারের ইফতার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
পহেলা বৈশাখ মানেই পান্তা ভাতে ইলিশ খাওয়া! এদিনের খাবারে ইলিশ ছাড়া চলেই না। মহামারির কারণে গতবারের মতো এবারও ঘরেই উদযাপন করতে হবে পহেলা বৈশাখ। তাই এদিন বাহারি পদ তৈরি করে পরিবারসহ উপভোগ করার দারুণ সুযোগ পাবেন।
ইলিশ বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। যেভাবেই রান্না করুন না কেন, ইলিশের স্বাদ মুখে লেগে থাকে। কারণ ইলিশ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন এর সুবাস ছড়াবেই। পহেলা বৈশাখ উদযাপনে ইলিশের বেশ কয়েকটি সুস্বাদু পদ তৈরি করে নিতে পারেন খুব সহজেই। জেনে নিন রেসিপি-
পদ্ধতি: প্রথমে মাছের টুকরো ভালোভাবে ধুয়ে হলুদ ও লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম করে মাছগুলো ভালোভাবে ভেজে নিন। শুকনো মরিচ মচমচে করে ভেজে নিন।
মাছ ঠান্ডা হলে কাঁটা বেছে নিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ, মরিচ ও ধনেপাতা স্বাদমতো লবণ এবং বেছে রাখা মাছ দিয়ে খুব ভালোভাবে মাখিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন মজাদার ইলিশ মাছের ভর্তা।
লেবু ইলিশ
উপকরণ ১. ইলিশ মাছের টুকরো ৬টি ২. পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ ৩. লেবু ১টি ৪. আদা বাটা ১ চা-চামচ ৫. হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ ৬. মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ ৭. ধনিয়া গুঁড়া আধা চা-চামচ ৮. কাঁচা মরিচ ৫টি ৯. সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ ১০. লবণ পরিমাণমতো
পদ্ধতি: মাছের সঙ্গে মরিচ ও হলুদের গুঁড়ো এবং লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর চুলায় রাখা কড়াইয়ে তেলের মধ্যে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে হালকা নেড়ে একে একে আদা বাটা ও ধনিয়ার গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে এর মধ্যে ইলিশ মাছের টুকরোগুলো দিতে হবে।
কষানো হয়ে গেলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। সেদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা তুলে মাছের মধ্যে ফালি করে কাটা কাঁচা মরিচ ও একটি লেবু কেটে রস ছড়িয়ে দিয়ে ২-৩ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিন। সাদা ভাত অথবা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন সুস্বাদু লেবু ইলিশ।
ইলিশের কোরমা
উপকরণ ১. ইলিশ মাছের টুকরো ৫-৬টি ২. পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ ৩. আদা বাটা ১ চা-চামচ ৪. পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ ৫. তেজপাতা ১টি ৬. এলাচ ২টি ৭. দারুচিনি ২টি ৮. গুঁড়া মরিচ দেড় চা-চামচ ৯. টক দই আধা কাপ ১০. কাঁচা মরিচ ৮-১০টি ১১. বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ ১২. কিশমিশ ১ চা-চামচ ১৩. ঘি ১ টেবিল চামচ ১৪. চিনি ১ টেবিল চামচ ১৫. লবণ স্বাদমতো ১৬. তেল পরিমাণমতো
পদ্ধতি: মাছের সব টুকরোগুলো বাটা মশলা, মরিচ গুঁড়া, টক দই ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে ঘণ্টাখানেক মেরিনেট করে রাখুন। একটি কড়াইয়ে তেল ও ঘি গরম করে মিহি করা পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো ইলিশ মাছ, এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন।
যখন তেল উপরে ভেসে উঠবে; তখন চিনি ও কিশমিশ দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন ভাত, পোলাও কিংবা খিচুড়ির সঙ্গে।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন