আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

শিশুর মানসিক বিকাশ

সামাজিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে একটি শিশু তার জীবন অতিবাহিত করলেও পরিবার হলো সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রধান ভিত্তি। আমরা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করলেও সামাজিক নীতিনৈতিকতা ও মূল্যবোধ পরিবার থেকে অর্জন করে থাকি।

এছাড়া ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার বন্ধন দৃঢ় করে। একটি শিশুর বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ভালো-মন্দ বিচার করার বোধশক্তি জাগ্রত হতে থাকে। তাই শিশু বেড়ে ওঠার সময় আমাদের সঠিক ও শিক্ষামূলক ব্যবহার করতে হবে, যাতে শিশুরা যথাযথভাবে সামাজিক বোধশক্তি নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতাই পারে শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটাতে।

বর্তমানে প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় শিশু-অপরাধমূলক কার্যসিদ্ধি হচ্ছে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন ও মোবাইল ফোনে অত্যধিক আসক্ত হয়ে শিশু ও কিশোর অনলাইনে অশ্লীলতা ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং, যা কিশোরদের দ্বারা বিভিন্ন অপরাধমূলক অসামাজিক কাজ দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই শিশুর প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বাবা-মাকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

পরিবারের সতর্কতার অভাবে অনেক সময় শিশু বা কিশোর অসামাজিক ও বিচ্যুতিমূলক আচরণ করে থাকে। আবার পরিবারের সদস্যরা যেভাবে শিশুদের সঙ্গে ব্যবহার করবে ঠিক যেভাবে সেই আচরণে বেড়ে উঠবে। তাই বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে আমাদের পারস্পরিক সহনশীল ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া অনেক শিশু প্রতিবন্ধিতার কারণে নিজেকে গুটিয়ে নেয় অন্যদের থেকে এবং নিজেকে অসহায় বা নিচু দৃষ্টিতে নিজের প্রতি বিচার করতে থাকে। আমাদের এসব প্রতিবন্ধী শিশুকে বিশেষ নজরে রাখতে হবে। শিশুর মানসিক বিকাশ যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয়, সেদিকে প্রত্যেক পরিবারকে সর্বাধিক সতর্ক পন্থা অবলম্বন করতে হবে। কেননা আজকের শিশু আগামী দিনে দেশের মানবশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়ায় সাধারণত পিছিয়ে পড়া এলাকা জুড়ে অনেক শিশুর সঠিক পরিচর্যা হয় না। প্রান্তিক এলাকার তুলনায় শহরের সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকে। এছাড়া শহরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবং শহরের শিশু-কিশোররা সঠিক গাইডলাইন ও উপযুক্ত প্রযুক্তির আলো পাওয়ায় গ্রাম বা প্রান্তিক এলাকার শিশুদের চেয়ে বেশি অগ্রসর। তারা সরকারের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ছাড়াও ইংলিশ মিডিয়াম ও অন্যান্য মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। সাধারণত গ্রামে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ছাড়া অন্য কোনো শিক্ষামাধ্যম নেই। তাই এমন বৈষম্য দূর করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে আমাদের গিয়ে আসতে হবে। এছাড়া গ্রামে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প হওয়ায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলীদের সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সামাজিকীকরণের মধ্য দিয়ে ব্যক্তি সামাজিক নৈতিকতা ও মূল্যবোধ অর্জন করে থাকে। তবে বর্তমানে নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ হ্রাস পাচ্ছে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সমাজের উচ্চপর্যায়ের মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ লোপ পেয়েছে।

ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ দৃঢ় থাকায় এই উপমহাদেশ জম্ম দিয়েছিল মহামানবদের তথা রাজা রামমোহন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, স্যার সৈয়দ আহমেদ খান, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ। বিদ্যাসাগরের পায়ের চটি হতে মহাত্মা গান্ধীর গায়ের চাদর পর্যন্ত কীভাবে পরিধান করতেন—তত্কালীন ছাত্রসমাজ তা অনুসরণ করতেন। বইপড়া, প্রবন্ধ লেখা, কবিতা পাঠ, দেশপ্রেম, সুষ্ঠুধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী ইত্যাদি বিষয়ে তত্কালীন শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বন্ধন ছিল অটুট।

বর্তমানে শিক্ষার্থীরা তত্কালীন মহামানবদের আদর্শ অনুসরণ না করে বিভিন্ন মডেলদের বিভিন্ন স্টাইল ও মার্কিনি ইয়ার্কি ফ্যাশন শো অনুসরণ করে থাকে। এ থেকে আজকের ছাত্র-সমাজ মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলছে। জন্ম নিচ্ছে না মহামানব ও মহাজ্ঞানী। তাই নতুন প্রজন্মকে সঠিক ধারায় প্রতিষ্ঠিত করতে সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চার বিকল্প নেই। আমাদের প্রত্যাশা, আগামী প্রজন্ম যেন নৈতিকতা মূল্যবোধ চর্চার মধ্যদিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে দৃঢ় প্রত্যয় হয়।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com