দৈনন্দিন
মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়
লেখক
বিবিসি বাংলা
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কঙ্কালের প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে মেডিকেল শিক্ষায় কঙ্কালের ব্যবহার থাকলেও এটি সরবরাহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন নীতিমালা এখনো হয়নি।
যার কারণে মেডিকেল শিক্ষায় এক ধরণের সংকট রয়েছে এবং অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েন বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আর এসব কারণেই কঙ্কাল সরবরাহের ক্ষেত্রে অবৈধ নানা পন্থায় তৈরি হয় বলে মনে করেন তারা।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহে। গত ১৫ই নভেম্বর ময়মনসিংহে ১২টি মানুষের মাথার খুলি ও শরীরের নানা অংশের দুই বস্তা হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।
সেসময় ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ তালুকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, এসব খুলি ও হাড়গোড় ভারত ও নেপালে পাচার করা হতো।
এছাড়া মেডিকেল কলেজগুলোতে এসব হাড় শিক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের ভেতরেও এসব হাড় সরবরাহ করা হতো বলেও জানান তিনি।
কী কাজে ব্যবহার করা হয়?
বাংলাদেশে মানুষের কঙ্কাল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় মেডিকেল শিক্ষার ক্ষেত্রে। এছাড়া নার্সিং কিংবা হোমিওপ্যাথি বিষয়ক পড়াশুনার জন্যও কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ মানবদেহ নিয়ে পড়াশুনা করতে হয় এমন যেকোন ধরণের শিক্ষায় কঙ্কালের ব্যবহার রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম মোস্তফা কামাল বলেন, মানুষের শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো জানতে এবং শিখতে হলে কঙ্কাল অপরিহার্য।
সিলেট ওমেন্স মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আহসানা নাহিন বলেন, অ্যানাটমি বিষয়ের অধীনে মানুষের কঙ্কাল এবং হাড়গোড় নিয়ে পড়াশুনা করতে হয়।
বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষায় কঙ্কালের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সরবরাহ নেই পর্যাপ্ত।
বিশেষ করে মানুষের শরীরে হাড়-গোড় গুলো কোন অবস্থায় থাকে, হাড়ের গঠন, এগুলোতে বিভিন্ন ধরণের ছিদ্র সম্পর্কে জানতে হয়।
তিনি বলেন, সাধারণত প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা কঙ্কালের দরকার হয়। তবে অনেক সময় যারা হোস্টেলে থাকে তারা দুই-তিন জন শিক্ষার্থী মিলে একটি কঙ্কাল কিনে পড়াশুনা করে।
তবে যারা বাড়িতে থাকে তারা আলাদা কঙ্কাল কিনে নেয়।
একই তথ্য দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা তিথিও। তিনি জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় কঙ্কাল ব্যবহার করতে হয়েছে তাকে।
এ বিষয়ে ঢাকা নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী স্নিগ্ধা ইসলাম বলেন, অ্যানাটমি বিষয়ে পড়াশুনার সময় কঙ্কাল ব্যবহার করতে হয়েছে তাকে।
“আপনাকে যতই পড়ানো হোক না কেন, হাতে ধরে দেখানোর আগে পর্যন্ত আসলে বোঝা সম্ভব না।”
মানুষের কঙ্কালই কেন ব্যবহার করা হয়?
মানুষের কঙ্কালের পরিবর্তে আর্টিফিশিয়াল বা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা কঙ্কাল কেন শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না এমন প্রশ্নে আলাদা ধরণের মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেক শিক্ষক মনে করেন যে, আর্টিফিশিয়াল কিংবা কৃত্রিমভাবে তৈরি কঙ্কাল দিয়ে শিক্ষার বিষয়টি পরিপূর্ণ হয় না। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতক করেন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসক হিসেবে পেশা শুরু করেন তাদের জন্য মানুষের আসল কঙ্কালই প্রযোজ্য বলে মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের শিক্ষক ডা. এ এইচ এম মোস্তফা কামাল বলেন, আসল কঙ্কালের মতো আর্টিফিশিয়াল বা কৃত্রিম কঙ্কাল বানানো সম্ভব নয়।
“অনেক সময় এমন কঙ্কালে অনেক ভুল থাকে।”

চিকিৎসা শাস্ত্রে কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, “রিয়েল কঙ্কালে হয়তো একটা গর্ত আছে, একটা নার্ভ চলে গেছে, একটা গ্রুপ আছে, কিন্তু আর্টিফিশিয়ালে হয়তো ওইটা আসেই নাই।”
তবে আর্টিফিশিয়াল বা মডেল কঙ্কাল অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় বলে জানান তিনি। যেমন নার্সিং কিংবা হোমিওপ্যাথির মতো বিষয়গুলোতে অনেক সময় এ ধরণের কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে এ বিষয়ে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করেছেন ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক ডা. সোহেল মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই এখন কৃত্রিম কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়।
এসব কঙ্কাল এখন অনেক বেশি ভাল মানের বলেও জানান তিনি।
কীভাবে সংগ্রহ করা হয়?
সিলেট ওমেন্স মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আহসানা নাহিন বলেন, পড়াশুনার জন্য তিনি যে কঙ্কালটি ব্যবহার করছেন সেটি তিনি সংগ্রহ করেছেন সিনিয়র এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে।
মেডিকেল কলেজে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষেই এ ধরণের পড়াশুনার দরকার হয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “মোটামুটি সেকেন্ড ইয়ারের পর আর কঙ্কাল তেমন লাগে না। তাই তৃতীয় বর্ষে বা অন্য বর্ষে চলে গেলে তারা কঙ্কালগুলো বিক্রি করে দেয়। এগুলো জুনিয়ররা কিনে নেয়।”
একই ধরণের তথ্য দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক ডা. সোহেল মাহমুদও।
তিনি বলেন, সিনিয়রদের কাছ থেকে জুনিয়ররা সংগ্রহ করে। এছাড়াও বাইরে থেকে কিছু কঙ্কাল আসে। তবে সেগুলো কোথা থেকে আসে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
অ্যানাটমি বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক মি. ডা. এ এইচ এম মোস্তফা কামাল বলেন, দুই ভাবে মানুষের কঙ্কাল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
প্রথমটি হচ্ছে অনেকে মৃত্যুর পর নিজের দেহ দান করে যান মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পড়া ও গবেষণার জন্য।

চিকিৎসা শাস্ত্রের জন্য যারা নিজের দেহ দান করেন সেগুলো মেডিকেল কলেজের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কঙ্কালে পরিণত করে সেটি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সরবরাহ করে থাকে, ” তিনি বলেন।
এছাড়া বাইরে থেকে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় কঙ্কাল কিনে থাকে। তবে কোথা কেনে সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোন তথ্য পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা তিথি বলেন, সাধারণত সিনিয়রদের কাছ থেকে কঙ্কাল সংগ্রহ করেন তারা।
এছাড়া অনেক সময় হাড় নষ্ট হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে নতুন কঙ্কাল সংগ্রহ করতে হয়। নতুন কঙ্কাল বিক্রি করে এমন অনেকের যোগাযোগ ক্যাম্পাসেই খুঁজে পাওয়া যায় বলেও জানানো হয়।
“এর জন্য লোকাল বোনস ডিলার থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাম্পাসের দেয়ালে পোস্টার দিয়ে দেয়া হয়। বোনস বিক্রি হবে বা ফ্রেস বোনসের ব্যবস্থা করা হবে, যোগাযোগ করুন। এমন লেখা থাকে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল শিক্ষা বিষয়ক ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, দুই ভাবে মেডিকেল কলেজে কঙ্কাল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
প্রথমত, পুরনো মেডিকেল কলেজগুলোতে এক ধরণের ঐতিহ্য রয়েছে যে, যেসব মরদেহের কোন পরিচয় থাকে না বা কেউ দাবি করে না, এমন মরদেহগুলোকে পরবর্তীতে সরকার মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য দিয়ে দেয়। তবে এর কোন লিখিত নিয়ম নেই বলেও জানান তিনি।
দ্বিতীয়ত, অনেকে নিজের দেহ দান করে দিয়ে থাকেন। তবে এই সংখ্যা বাংলাদেশে অনেক কম বলেও জানান তিনি।
মি. হক বলেন, যেহেতু বাংলাদেশে কঙ্কাল সংগ্রহের কোন বৈধ উপায় নেই, তাই অবৈধভাবে আসারও সুযোগ থাকে।
“পত্রিকা ছাড়াও সরেজমিনেও আমরা অবৈধভাবে কঙ্কাল সংগ্রহের বিষয়টি দেখেছি।”
তিনি জানান, শুধু বাংলাদেশে নয় বরং প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পাকিস্তানেও একই পদ্ধতিতে কঙ্কাল সংগ্রহ করা হয়।
তবে যেসব ক্ষেত্রে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে আসার মতো বিষয়গুলো থাকে সেক্ষেত্রে পুলিশি ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানান তিনি।
“আসছে সিমুলেশন ল্যাব”
বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কঙ্কালের প্রয়োজন হলেও এ নিয়ে দেশে কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল শিক্ষা বিষয়ক ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশে এখনো কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি হয়নি। তবে এ বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে এরইমধ্যে দুটি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন তারা।
এর মধ্যে একটি প্রস্তাব মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কঙ্কালের ব্যবহার এবং সরবরাহের পদ্ধতি নিয়ে নীতিমালা তৈরি বিষয়ক। আর আরেকটি মেডিকেল কলেজ গুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য সিমুলেশন ল্যাব তৈরি বিষয়ক।
তবে এ ধরণের ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে বছর পাঁচেক সময় লেগে যেতে পারে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
এই ল্যাবে আর্টিফিশিয়াল বা কৃত্রিম মরদেহ থাকবে যেটা ডি-সেকশন বা আলাদা করলে মানুষের দেহে যে ধরণের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থাকে ঠিক সে ধরণের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই থাকবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে সিমুলেশন ল্যাব ব্যবহার করা হলেও বাংলাদেশে এখনো এটি প্রচার পায়নি। কুমিল্লায় একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ছোট আকারে একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর কোন মেডিকেল কলেজে এখনো এটি নেই।
তবে তাদের দেয়া প্রস্তাব অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে দেশের ১৬টি মেডিকেল কলেজে এমন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং ধীরে ধীরে সবকটি মেডিকেল কলেজে সেগুলো প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মি. হক বলেন, সিমুলেশন ল্যাবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মরদেহ কাটা এবং মানুষের দেহের ভেতরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কোথায় কিভাবে থাকে, সেটা কেমন, ওজন কত, শক্ত নাকি নরম, এই বিষয়গুলো হাতে নিয়ে স্পর্শ করে দেখার মতো অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
“প্রথমে আর্টিফিশিয়াল বডি দিয়ে তাদের টার্গেট প্র্যাকটিস করানো হবে। পরে তাদেরকে লাইভ সার্জারিতে নিয়ে গিয়ে দেখানো হবে।”
তিনি বলেন, বছরখানেক আগেই এই পরিকল্পনা পাস হয়। আর এখন এ নিয়ে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এই প্রকল্প পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানান মি. হক।
-
মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়
-
মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়
-
মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়
-
মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য মানুষের কঙ্কাল যেভাবে সংগ্রহ করা হয়

আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
-
যে কারণে ফল গাছের অঙ্গ ছাঁটাই করবেন
-
যেভাবে সুতি কাপড়ের যত্ন নিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে
-
টাক মাথায় চুল গজাতে পেয়ারা পাতার ব্যবহার!
-
কালো চা দূর করবে মুখের কালচে দাগ
-
তামার পাত্রে পানি পানের উপকারিতা
-
কী আছে এই সোনার হোটেলে?
-
যে কারণে চায়ের সাথে আদা খাবেন
-
বিকলাঙ্গ হয়েও পান না প্রতিবন্ধী ভাতা, থাকছেন ভাঙা ঘরে
-
ফেসবুকে স্ট্যাটাস : খাট-লেপ-তোশক-খাবার পেলেন বৃদ্ধা
-
তিন মেয়েকে নিয়ে ভাঙা ঘরে রাত কাটে ফাতেমার

আরামদায়ক পোশাক পরতে হলে সুতি কাপড়ের বিকল্প নেই। কারণ সুতি হলো প্রাকৃতিক ফেব্রিক। তুলা থেকে তৈরি হয় সুতা। এরপর ওই সুতা থেকে তৈরি হয় সুতির পোশাক। তাই এই ফেব্রিকের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।
সুতি কাপড় ধোয়া থেকে শুরু করে ভাঁজ করা পর্যন্ত নিয়ম মানা জরুরি। না হলে কাপড়ের আয়ু কমে যায়। এটির বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সুতি কাপড়ের যত্ন নেবেন কীভাবে?

সুতি কাপড় ধোয়ার উপায়
>> সুতি কাপড়ের ফেব্রিক খুব সহজেই ছিঁড়ে যায়। তাই ঘঁষে ঘঁষে সুতির পোশাক না ধোয়াই ভালো।
>> প্রচণ্ড গরম পানিতেও কখনো ভেজাবেন না সুতির পোশাক। এতে পোশাকের রং নষ্ট হয়ে যাবে।
>> একটি সুতি কাপড় পরিধান করার একমাস পর ধোবেন না। পরার পরপরই ধুয়ে শুকিয়ে ভালোভাবে রেখে দিন।

>> যদি একবার পরেই কাচতে না চান, তবে তাকে রোদে দিতে হবে অবশ্যই। অন্তত এক ঘণ্টা রোদে দেবেন।
>> যদি সুতির পোশাকে কোনো দাগ হয়ে যায়, তবে আগে তা আলাদা করে তুলে নিন। তারপর সম্পূর্ণ জামাটি পরিষ্কার করুন।
>> সুতির পোশাকে আপনি মাড় দিতেই পারেন। তবে মাড় দেওয়ার পরই পানি ঝরিয়ে নিন।

শুকানোর সময় যা করবেন
>> খুব টানটান করে সুতির পোশাক মেলবেন না।
>> পানি ঝরিয়ে নিয়ে সুতির পোশাক মেলুন।
>> চড়া রোদে সুতির পোশাক দেবেন না। হালকা রোদে বা ছায়ায় সুতির পোশাক মেলবেন।
ইস্ত্রি করার সময় করণীয়
>> প্রথমে পোশাক উল্টে নিয়ে ইস্ত্রি করে তারপর সোজা পিঠে করুন।

আলমারিতে রাখার সময় করণীয়
>> পরিধান করার পর ভালোভাবে রোদে না শুকিয়ে বা ধুয়ে সুতির পোশাক কখনো ভাঁজ করে আলমারিতে রাখবেন না।
>> সুতির কাপড় আলমারিতে রাখার পর ওই স্থানে কিছু কালোজিরা দিয়ে রাখবেন। এতে পোশাক ভালো থাকবে। পোকা-মাকড় কাপড়ের ধারে-কাছে আসবে না।

অকালে চুল পড়ে যাওয়া ঠেকাতে অনেকেই এটা-সেটা ব্যবহার করেন। এসব করেও মাথায় নতুন চুল গজাচ্ছে না। এমন অবস্থায় অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়েন। মাথায় যাদের চুল কম বা টাক পড়ে গেছে; এমন মানুষেরা সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকেন।
চুল পড়ার রয়েছে অনেক কারণ। অনিয়মিত জীবন-যাপন, বংশগতভাবে টাক, কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার ইত্যাদি কারণে চুল পড়তে পারে। কিছু ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের কারণেও চুল পড়ার সমস্যাটি বেড়ে যেতে পারে।

এ ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন রোগে অতিরিক্ত চুল পড়ায় মাথায় টাক পড়তে পারে। তবে চিন্তিত না হয়ে কার্যকরী উপায়ে চুল গজানোর জন্য প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানে ভরসা রাখুন।
তেমনই একটি উপাদান হলো পেয়ারা পাতা। নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! পেয়ারা পাতায় আবার কীভাবে চুল গজাবে? প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় পেয়ারা পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এগুলোয় ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স রয়েছে। যা চুল পড়া ঠেকাতে পারে। একই সঙ্গে এটি চুল গজাতেও সাহায্য করে।

তাই জেনে নিন পেয়ারা পাতা দিয়ে চুল গজানোর সহজ উপায়-
প্রথমে কিছু পেয়ারা পাতা একটি পাত্রে নিয়ে পানিতে সেদ্ধ করে নিন। চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঠান্ডা হতে দিন। এবার আপনার মাথার ত্বকে পেয়ারা পাতা সেদ্ধ পানীয় ম্যাসাজ করে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এ উপায় অনুসরণ করলে ফলাফল কিছুদিনের মধ্যে টের পাবেন।

যদিও অনেক কারণে চুল পড়ে মাথা টাক হতে পারে। তাই দীর্ঘদিন ধরে যদি চুল পড়তে থাকে আর মাথা টাক হওয়া শুরু হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি এ টোটকা মেনে চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করুন।

শারীরিক সুস্থতায় কালো চা পানের বিকল্প নেই। কালো চা আমরা সাধারণত লিকার হিসেবে (রং চা) অথবা দুধ-চিনি মিশিয়ে পান করে থাকি। তবে রং চায়ে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কালো চা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। তা ছাড়া নিয়মিত কালো পান করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। এমনকি যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান; তাদের জন্যও রং চা অনেক কার্যকরী। শুধু শারীরিক সুস্থতা নয় বরং ত্বকের কালো দাগ দূর করতে পারে চা।
কালো চায়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। চায়ের পলিফেনল হচ্ছে ব্যাকটেরিয়ার যম। যেকোনো জীবাণু ধ্বংসে কাজ করে কালো চায়ে থাকা উপাদানসমূহ। ত্বক ও চুলের যত্নে কালো চা ব্যবহারেই দেখবেন ম্যাজিকের মতো ফলাফল। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রূপচর্চায় কালো চায়ের ব্যবহার-

>> চোখের নিচের বলিরেখা ও কালচে দাগ দূর করতে ব্ল্যাক টি’র ব্যবহৃত ঠান্ডা ব্যাগ চোখের উপর দিয়ে রাখুন।
>> চুলের ঝলমলে ভাব আনতে শ্যাম্পু শেষে ব্ল্যাক টি লিকার দিয়ে ধুয়ে নিন।
>> মেহেদির সঙ্গে কালো চায়ের লিকার মিশিয়ে চুলে লাগালে রঙিন আভা চলে আসবে।
>> ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে ঠান্ডা টি ব্যাগ চেপে চেপে লাগান।

>> চুল লম্বা করতেও কালো চায়ের বিকল্প নেই! এজন্য কয়েকটি কালো চায়ের টি ব্যাগ এক কাপ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন শ্যাম্পু শেষে চুলের গোড়ায় স্প্রে করুন। ১৫ মিনিট চুলে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন। এরপর চুল শুকিয়ে নিন।
প্রাচীনকাল থেকে উপমহাদেশের মানুষ তামার তৈজসপত্র ব্যবহার করে আসছে। বিশেষ করে পানি পানের জন্য তামার পাত্র প্রায় সব পরিবারেই ব্যবহার করা হত। তামায় আছে একাধিক গুণ, প্রতিদিন তামার পাত্রে পানি পান কীভাবে সুস্থ রাখে শরীর তা জেনে নিন।
হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে: তামার পাত্রে খাবার খাওয়া, তামার গ্লাসে বা বোতলে পানি পানের ফলে হজমের সমস্যা দূর হতে পারে। কারণ তামা হজমে সাহায্য করে। এতে থাকা উপাদান ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে, পেটের সমস্যা দূর করে, মেটাবলিজম ঠিক রাখে। তবে, মনে রাখতে হবে, লেবুর পানি বা গরম পানি যেন তামার পাত্রে না রাখা হয়। আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা কমায়: তামা আর্থ্রাইটিস কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গাঁটে গাঁটে ব্যথা কমায়।তামার পাত্রে পানি জমা করে রাখা বা পানি পান প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ও চোখধাঁধানো ডিজাইনের বোতল পাওয়া যাচ্ছে বলে, অনেকেই সেই বোতলে পানি রাখা বা পানের অভ্যাস চালু করেন। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, মানুষ আবারও পুরনো অভ্যাসে ফিরছে। এর একাধিক ভালো দিকের কথা মাথায় রেখে, আবারও তামার পাত্রে খাওয়া বা তামার গ্লাস, বোতলে পানি পান শুরু হয়েছে। তামায় অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস ও অ্যান্টি-কারসিনোজেনিক থাকে। যা শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। তামা পানিতে আয়রনও সঞ্চার করে। পাশাপাশি এর অন্যান্য উপাদানও শরীরের একাধিক উপকার করে। অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে: রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। তামা পানিতে আয়রন সঞ্চার করে, ফলে রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়তে পারে। তাই তামার বোতলে পানি পানে অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমতে পারে। এর পাশাপাশি, আয়রন কম থাকলে শ্বেত রক্তকণিকাও কমতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থির কাজে ভারসাম্য বজায় রাখে: শরীরে সঠিক মাত্রায় তামা থাকলে তা থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত হরমোন নিঃসরণ আটকাতে সহায়তা করে। এবং এর কাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণ করে: শরীরে তামার পরিমাণ কম থাকলে তা রক্তচাপে তারতম্য ঘটায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। এবং তামা কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে। সব মিলিয়ে হাইপারটেনশন রোধ করতে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে শরীরে তামার পরিমাণ ঠিক রাখতে তামার পাত্রে পানি পান করা যেতে পারে আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা কমায়: তামা আর্থ্রাইটিস কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গাঁটে গাঁটে ব্যথা কমায়। হার্টের জন্য ভালো: ধমনীতে রক্ত চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করে তামা। আর রক্ত চলাচল ঠিক থাকলে হার্টেও সমস্যা হয় না। ফলে হার্ট ভালো থাকে। ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করে: তামায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থাকে, যা নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। ফলে বলিরেখা পড়ে না। ত্বকও ভালো থাকে।
এখন বিশ্বব্যাপী আলোচনা হচ্ছে এই সোনার হোটেলটি নিয়ে। কী আছে এই সোনার হোটেলে? দুবাইয়ের ‘বুর্জ আল আরব’ নামের এ হোটেলটি সম্পর্কে জানা যাক।
এই হোটেলটি বাণিজ্যিকভাবে উদ্বোধনের আগে এক ব্রিটিশ সাংবাদিক ঘুরতে এসেছিলেন। তিনি সবকিছু দেখে মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, এই হোটেল বিশ্বের অন্য সব হোটেলের তুলনায় এগিয়ে। তাই এটা ‘সেভেন স্টার হোটেল’। তারপর থেকে দুবাইয়ের ‘বুর্জ আল আরব’-এর গায়ে সাতটি তারার বাতি সংযুক্ত করা হয়। ছবি: সংগৃহীত ‘বুর্জ’ কথার অর্থ মিনার। ‘বুর্জ আল আরব’ হলো আরব দেশের মিনার। দুবাইয়ে পারস্য উপসাগরের উপকূলে ‘জুমেইরাহ’ হলো সাদা বালির সৈকত। সেখানে একটি কৃত্রিম দ্বীপে দাঁড়িয়ে আছে এই হোটেল। পালতোলা নৌকার মতো দেখতে এই অতিথিশালা বিশ্বের উচ্চতম হোটেলগুলোর মধ্যে অন্যতম। ৫ বছর ধরে নির্মাণের পরে ১৯৯৯ সালে খুলে দেয়া হয় বুর্জ আল আরবের দরজা। কৃত্রিম দ্বীপের উপর তৈরি করা হয়েছে বলেই সম্পূর্ণ নির্মাণ প্রক্রিয়া শেষ হতে এত সময় লেগে যায়। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এর যোগাযোগ হচ্ছে একটি সেতুর মাধ্যমে। তবে বিলাসবহুল হোটেলের নিজস্ব এই সেতু ব্যবহার করতে পারেন শুধুমাত্র হোটেলের কর্মী ও অতিথিরা ৬৮৯ ফুট উচ্চতার এই হোটেলের ছাদের কাছে আছে নিজস্ব হেলিপ্যাড। দুবাই বিমানবন্দর থেকে অতিথিদের হেলিকপ্টারে উড়িয়ে আনেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। যদি কেউ সড়কপথে আসতে চান, তা হলে পাঠিয়ে দেয়া হয় রোলস রয়েস হোটেলের ভিতের পা রাখলেই চোখ ধাঁধিয়ে যায় সোনার ছটায়। অন্দরসজ্জা, ঝাড়বাতি থেকে আসবাবপত্র— সব কিছুতেই খাঁটি সোনার উজ্জ্বল উপস্থিতি। হোটেলের সাজসজ্জার মধ্যে ২২ হাজার বর্গফুটেরও বেশি জায়গা জুড়ে সোনার হাজিরা। আয়নার ফ্রেম থেকে টেলিভিশনের বর্ডার মুখ ঢেকেছে ২৪ ক্যারেট সোনার প্রলেপে হোটেলে বিলাসবহুল স্যুট ২০২টি। এরমধ্যে কয়েকটি থেকে পর্যটকরা দেখতে পাবেন ‘পাম জুমেইরা’-র দৃশ্য। খেজুর গাছের মতো ‘পাম জুমেইরা’ হলো কিছু কৃত্রিম দ্বীপের সমষ্টি। বিলাসবহুল হোটেল, শপিং কমপ্লেক্সসহ এই অংশ হলো দুবাই তথা বিশ্বের বিত্তবানদের অন্যতম ঠিকানা তিটা স্যুইটের জন্য থাকেন একজন করে নির্দিষ্ট বাটলার। ওই স্যুইটের বাসিন্দাদের জন্য তিনি নিযুক্ত হন। অতিথিদের অভিবাদন জানিয়ে তিনি তাদের হোটেলের দরজা থেকে নিয়ে যান স্যুইট অবধি। এই হোটেলের সাজসজ্জা ও রীতিনীতিতে মরু সংস্কৃতির প্রভাব স্পষ্ট। তবে হোটেল নির্মাণে অনুসরণ করা হয়েছে গ্রিক স্থাপত্যও। আগুন, বাতাস, মাটি এবং পানি- প্রকৃতির এই মূল উপাদানের প্রভাব রয়েছে স্যুইটগুলোর ভিতরের রঙে। সবচেয়ে ছোট স্যুইটের আয়তনও ১,৮৩০ বর্গফুট। একটা স্যুইট সম্পূর্ণ ঘুরে দেখতেও সময় লাগে অন্তত ৩০ মিনিট। হোটেলের রয়্যাল স্যুটগুলো তৈরি হয়েছে একটি আস্ত ফ্লোর জুড়ে। এরকম একটি স্যুইটের আয়তন প্রায় ৮ হাজার ৪০০ বর্গফুট। রাজকীয় এই স্যুইটের মাঝে থাকে বিশাল পালঙ্ক। খাঁটি মিশরীয় সুতির চাদর বিছিয়ে থাকা পালঙ্কের উপর সিলিং জুড়ে রয়েছে বিশাল আয়না। অতিথির আরামদায়ক ঘুমের জন্য হোটেল থেকে দেয়া হয় ১৭ রকমের বালিশ। হোটেলের ১৮তম তলায় আছে স্পা। পারস্য উপসাগরের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে সেখানে বুঁদ হয়ে থাকা যায় স্পা-এর আরামে। পাশাপাশি হোটেলে আছে একাধিক ইন্ডোর ও আউটডোর সুইমিং পুল। শুধুমাত্র মহিলা ও শিশুদের জন্য আছে আলাদা সুইমিং পুল। যুগলদের জন্য নির্দিষ্ট ইন্ডোর সুইমিং পুলে আছে চাঁদের আলোয় সাঁতার কাটার ব্যবস্থা। যদি এতেও মন না ভরে, তবে এর জন্য রয়েছে হোটেলের ব্যক্তিগত সৈকত। সেখানেও পর্যটকের জন্য হাজির হরেক বিলাস। এই হোটেলের ৬টি রেস্তোরাঁয় সাজানো আছে বিশ্বের নানা প্রান্তের খাবার। সেগুলোর মধ্যে সবথেকে আকর্ষণীয় হল ‘গোল্ড অন ২৭’। ‘বুর্জ আল আরব’-এর ২৭তম ফ্লোরে বার সোনা দিয়ে সাজানো। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত বারটেন্ডাররা তৈরি করেন বিশেষ পানীয়, যার রেসিপি গোপন রাখা হয়। বিশেষ রকমের পানীয় তৈরিতে আঙুর রসের সঙ্গে মেশানো হয় সোনার গুঁড়োও। বুর্জ আল আরব-এর রেস্তোরাঁগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হরো ‘আল মুনটাহা’ এবং ‘আল মাহারা’। বিভিন্ন নামি পত্রিকার প্রচ্ছদ থেকে হলিউডের সিনেমায় জায়গা করে নিয়েছে ‘বুর্জ আল আরব’ আমেরিকার এক সংবাদসংস্থার তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের প্রথম ১৫টি দামি হোটেলের মধ্যে বুর্জ আল আরব আছে ১২ নম্বরে। এই হোটেলে দু’জনের এক রাত কাটানোর ন্যূনতম খরচ প্রায় দেড় লাখ টাকা। ডুপ্লেক্স স্যুইটগুলোতে ১ রাত কাটানোর খরচ ৮ লাখ টাকারও বেশি।

যে কারণে ফল গাছের অঙ্গ ছাঁটাই করবেন

যেভাবে সুতি কাপড়ের যত্ন নিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে

টাক মাথায় চুল গজাতে পেয়ারা পাতার ব্যবহার!

কালো চা দূর করবে মুখের কালচে দাগ

তামার পাত্রে পানি পানের উপকারিতা

কী আছে এই সোনার হোটেলে?

যে কারণে চায়ের সাথে আদা খাবেন

বিকলাঙ্গ হয়েও পান না প্রতিবন্ধী ভাতা, থাকছেন ভাঙা ঘরে

ফেসবুকে স্ট্যাটাস : খাট-লেপ-তোশক-খাবার পেলেন বৃদ্ধা

তিন মেয়েকে নিয়ে ভাঙা ঘরে রাত কাটে ফাতেমার

বিস্ময় কিশোর রাব্বির সমুদ্রজয়ের গল্প

‘কালো সোনা’ চাষে ব্যস্ত ফরিদপুরের চাষিরা, বাম্পার ফলনের আশা

পাটকাঠির ছাইয়ের কেজি ৬০ টাকা, আশা দেখছেন কৃষকরা

৬ বছর ধরে পাখির বাসা তৈরি করছেন তারা

ঝাঁকে ঝাঁকে গমবীজ খেতে এসে মারা গেল ১৯৩টি পোষা কবুতর

মাটি ছাড়াই চারা উৎপাদন

শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে বুঝবেন যেভাবে

আপনার সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনার ৭টি উপায়

গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বছরব্যাপী টমেটো চাষ

মাওয়ায় ৩৪ হাজার টাকায় বিক্রি হলো ‘বিরল’ বাঘাইড়

বিকলাঙ্গ হয়েও পান না প্রতিবন্ধী ভাতা, থাকছেন ভাঙা ঘরে

ছাগলের দৌড় প্রতিযোগিতা, প্রথম পুরস্কার মোবাইল

হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বন্যপাখি

কার্পজাতীয় মাছ চাষের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন

৪৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের টাইম স্কেলের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

অনলাইনে নারীদের কৃষিপণ্য

শ্বাসযন্ত্রের সবচেয়ে মারাত্মক রোগ ফুসফুস ক্যানসার

গলাব্যথা কেন হয়

পিঠ ও কোমরব্যথার কারণ ও প্রতিকার

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন