বিশ্ব
‘মৃতদের রক্ষাকর্তা’, ভারতে বেওয়ারিশ লাশের অভিভাবক হয়ে উঠেছেন যিনি

মোহাম্মদ শরীফ তার ছেলেকে কবর দেয়ার সুযোগ পাননি। তবে গত ২৭ বছর ধরে তিনি এমন হাজার হাজার পরিবারের সন্তানদের কবর দিয়ে আসছেন, যাদের মৃতদেহের কোনো দাবিদার নেই।
মোহাম্মদ শরীফের ছেলে যে মারা গেছে, পুলিশ তাকে এই তথ্যটি জানায় একমাস পরে। তবে শুধু এটুকুই, তার ছেলে কোথায় বা কীভাবে মারা গেছে তাও জানাতে পারেনি পুলিশ।
মোহাম্মদ শরীফ শুধু জানেন যে ১৯৯২ সালে একটি মসজিদ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে হওয়া হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় ভারতজুড়ে যে ২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিল তার ছেলে মোহাম্মদ রইস।
২৫ বছর বয়সী রইসকে কোথায় কবর দেয়া হয়েছে, তাও জানে না তার বাবা।
“পুলিশ বলেছিল তার শরীর পচে গেছে”, প্রায় তিন দশক পর স্মৃতিচারণ করছিলেন মোহাম্মদ শরীফ। “আমরা তার মৃতদেহ দেখিনি, শুধু তার পোশাক পেয়েছি।”
তবে ঐ ঘটনার কয়েকদিন পর তিনি এমন একটি ঘটনা দেখেন যা তার জীবন আমূল পাল্টে দেয়।
“একদিন পুলিশ অফিসারদের দেখি নদীতে একটি লাশ ছুঁড়ে ফেলছে। দেখে আতঙ্কিত হই আমি”, আতঙ্কের সাথে সাথেই সম্পূর্ণ নতুন একটি বিষয় অনুধাবন করেন তিনি।
“হয়তো আমার ছেলের দেহও ওভাবেই কোনো নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছিল। সেদিন আমি নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করি, আজ থেকে আমি বেওয়ারিশ লাশেদের অভিভাবক। আমি এদের সৎকারের ব্যবস্থা করবো।”
এসব বেওয়ারিশ লাশ নানা কারণে জমা হয় ভারতে: এসব দেহ সড়ক বা ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া মানুষের যেমন হতে পারে, বাড়ি থেকে দূরের কোনো জায়গায় মারা যাওয়া মানুষের হতে পারে – আবার তীর্থযাত্রী, অভিবাসী, গৃহহীন বা সন্তানরা তাড়িয়ে দিয়েছে এমন বৃদ্ধদেরও হতে পারে।
আবার অনেক সময় অতি দরিদ্র ব্যক্তিরা হাসপাতালে মারা গেলে তাদের সৎকারের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসে না কেউ।

প্রশ্ন ওঠে, এই দেহগুলো নিয়ে কী করা হবে?
১৯৯২ সালে ভারতের অনেক জেলাতেই মর্গের সুবিধা ছিল না। কারো দাবি না করা বেওয়ারিশ লাশ দ্রুত কবর দেয়া এক ধরণের রীতিই ছিল।
এরকম লাশ কবর দেয়াই প্রথা ছিল। তবে উত্তর ভারতের কিছূ জায়গায় টাকা ও সময় বাঁচাতে বেওয়ারিশ লাশ নদীতেও ফেলে দেয়া হয়ে থাকে।
সবসময়ই মোহাম্মদ শরীফের পরিবারের সন্দেহ ছিল যে মোহাম্মদ রইসের দেহ গোমতী নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে – যখন উগ্রবাদী হিন্দুরা ষোড়শ শতাব্দীতে তৈরি করা অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলে – মোহাম্মদ শরীফের বাড়ি থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরের সুলতানপুরে কেমিস্ট হিসেবে কাজ করতেন মোহাম্মদ রইস।
অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে হওয়া সহিংসতার সময় নিখোঁজ হন রইস।
মোহাম্মদ শরীফ বলছিলেন, “আমার ছেলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর এক মাস পাগলের মত তাকে সবখানে খুঁজেছি। কোথাও না পেয়ে সুলতানপুরে আসি।”
তারা যেই ভয়টা পাচ্ছিলেন, কিছুদিন পরই তা সত্যি প্রমাণিত হয়। তাদের ছেলে মারা গেছে।
ঐ ঘটনার পর মোহাম্মদ শরীফ ও তার স্ত্রী মানসিকভাবে চরম আঘাত পান। মোহম্মদ রইসের মা এখনো হঠাৎ হঠাৎ বিষণ্ণতায় ভোগেন।

ছেলের যথাযথ সৎকার করা সম্ভব না হওয়ার বিষয়টি তাদের কাছে অসহ্য বোধ হতে থাকে।
মোহাম্মদ শরীফ বলেন, “সেসময় আমি সিদ্ধান্ত নেই আমার জেলার একটা মরদেহও আমি সৎকার না করে নদীতে ফেলে দিতে দেবো না।”
ভারতের বর্ণ বৈষম্যপূর্ণ হিন্দু সমাজে যারা সবচেয়ে নিম্নবর্ণ, তাদেরকে সাধারণত মৃতদেহ পোড়ানো ও কবর দেয়ার মত কাজগুলো করতে বাধ্য করা হতো – ফলস্বরূপ তাদের ‘অচ্ছুত’ হিসেবেও বিবেচনা করা হতো।
কিন্তু ব্যক্তিজীবনে সাইকেল মেকানিক মোহাম্মদ শরীফ এসবের পরোয়া করেননি। তিনি পুলিশকে জানান যে সবার অপছন্দের এবং ঘৃণ্য এই কাজই তিনি করতে চান।
“কাজ করার প্রথম ফোনটি যখন আমি পাই, তখন আমার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। পোস্টমর্টেমের পর পুলিশ আমাকে দেহটি সৎকার করতে দেয়। আমার পরিস্কার মনে আছে, মৃতদেহের ঘাড় ছিল ভাঙ্গা।”
দ্রুতই তার কাজের পরিমাণ বেড়ে যায়। মরদেহ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চার চাকার একটি ঠেলাগাড়িও কেনেন তিনি।
সেসময় তার পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতরা একটা বড় ধাক্কা খায়। ইসলাম ধর্মাবলম্বী হলেও মোহাম্মদ শরীফকে তার সাথে কাজ করা হিন্দু সহকর্মীদের মতই হেয় প্রতিপন্ন করা হতে থাকে।
“সেসময় আমার পরিবারের একজনও আমার ওপর সন্তুষ্ট ছিল না। তারা সবাই আমাকে বলে যে তুমি পাগল হয়ে গিয়েছ।”
“কেউ কেউ আমাকে ভয়ও পেত তখন। তারা মনে করতো আমার সংস্পর্শে এলে তারাও জীবাণূ দ্বারা সংক্রমিত হবে।”

কিন্তু এতকিছু স্বত্ত্বেও মোহাম্মদ শরীফ তার প্রতিজ্ঞা থেকে সরেননি। তিনি পরিবারের সদস্যদের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাননি, উৎসবের সময় আনন্দ উদযাপন করেননি, এমনকি কখনো কখনো প্রার্থনাও বাদ দিয়েছেন সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে দেয়ার জন্য। এই কাজই তাকে শান্তি দিত, তার ছেলের মৃত্যুর দু:খ ভুলে থাকার শক্তি যোগাতো।
“আমার ছেলের মৃত্যুর শোক সামলাতে সাহায্য করতো ঐ কাজ। আমি প্রত্যেক মুহুর্তে তার কথা মনে করি।”
অনেকসময়ই পচা গলা, বিকৃত মরদেহের সৎকারের ব্যবস্থা করতে হয়েছে মোহাম্মদ শরীফকে।
“যখনই বাজেভাবে বিকৃত হয়ে যাওয়া কোনো দেহ দেখেছি, তা আমার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। দু:স্বপ্ন দেখে রাত পার করেছি, ঘুমের ওষুধ খেয়েছি।”
মোহাম্মদ শরীফ সাধারণত একটি বিষয়েই জোর দিতেন। যথাযথভাবে সৎকার হচ্ছে কিনা।
তিনি যদি বুঝতেন যে লাশটি মুসলিম কোনো ব্যক্তির, তখন তার গায়ে একখণ্ড কাপড় জড়িয়ে প্রার্থনাবাক্য পাঠ করতেন। হিন্দু হলে সেটি দাহ করতে নিয়ে যেতেন তিনি।
মোহাম্মদ শরীফ ঠিক কতগুলো দেহ সৎকার করেছেন তার কোনো নিশ্চিত হিসাব নেই।
অযোধ্যা জেলা প্রশাসনের প্রধান অনুজ কুমার ঝা বিবিসিকে বলেন, “আমাদের একটা আনুমানিক ধারণা রয়েছে যে আমরা মোহাম্মদ শরীফকে আড়াই হাজারের মত দেহ সৎকার করতে দিয়েছি।”
তবে মোহাম্মদ শরীফ ও তার পরিবারের দাবি তিনি সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের মরদেহ সৎকার করেছেন।

এই কাজের জন্য কখনো কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা পাননি তিনি। আজ পর্যন্ত তিনি নিয়মিত তার সাইকেলের দোকানে কাজ করেন, যেখান থেকে তার দৈনিক আয় হয় ৩ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি।
তবে সম্প্রতি তার অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তার অত্মোৎসর্গের প্রতিদান পেয়েছেন তিনি। ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারগুলোর একটির মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়েছে তাকে।
এখন স্থানীয় দোকানদাররা তার কাজের খরচ বহন করেন।
বর্তমানে ৮০ বছর বয়সে মোহাম্মদ শরীফ দু’জন সহকারী রেখেছেন যারা তাকে সৎকারের কাজে সাহায্য করে।
“হিন্দু, মুসলিম দুই ধর্মের লোকই আমাকে সাহায্য করে। মানুষ আমাকে খাবার ও কম্বল দান করে। সম্প্রতি আমার একটি চোখের অপারেশন হয়েছে। সেসময় একেবারেই অপরিচিত এক ব্যক্তি আমাকে ডেকে ২০ হাজার রুপি দেয়।”
মোহাম্মদ শরীফের দুই ছেলে বা তাদের সন্তানদের কেউই তার মৃত্যুর পর অচেনা মানুষের মৃতদেহের সৎকার করবে না। কিন্তু মোহাম্মদ শরীফ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই কাজ করবেন।
“আমি না থাকলে পুলিশ হয়তো আবারো নদীতে লাশ ছুঁড়ে ফেলা শুরু করবে।”
কিন্তু মোহাম্মদ শরীফ বেঁচে থাকতে এই দৃশ্য দেখতে পারবেন না। তাই তাকে মানুষ বলে ‘মৃতদের রক্ষাকর্তা।’
এগ্রোবিজ
যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে হতে পারে সারের সংকট


চলতি বোরো মৌসুমে সার কিনতে কৃষকদের সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে বেশি দিতে হয়েছে। আর সরকারকেও সার বাবদ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বাজেটে বরাদ্দের তিন গুণের বেশি—প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ এখন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার আমদানি নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
ধান, আলু ও সবজি চাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমওপি সারের ৬০ শতাংশ আনা হতো রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে। ওই দুই দেশ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ায় এখন বাংলাদেশকে এমওপি কিনতে হচ্ছে কানাডা থেকে। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া ও আমদানিতে অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশে সারের সংকট হতে পারে। ভর্তুকির চাপ সামলাতে বাংলাদেশকে সব ধরনের সারের খুচরা মূল্য বাড়াতে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিষয়ক সংস্থা ইউএসডিএর চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ‘বাংলাদেশে সার সরবরাহ ও ব্যবহারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এমওপি সারের ২০ শতাংশ সরবরাহ কমানো হলে সামনের বোরো মৌসুমে ধান, গম ও রবি মৌসুমের অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমতে পারে। এতে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এমনিতেই এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সারের কারণে নতুন করে যাতে আর সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ এম এম শওকত আলী, সাবেক কৃষিসচিব
তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, দেশে চলতি বোরো মৌসুমে নতুন করে আর সারের দরকার হবে না। সামনে আলুর মৌসুমে ইউরিয়া, এমওপিসহ অন্যান্য সারের চাহিদা বাড়বে। ওই সময়ের জন্য সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কানাডা ও মধ্যপ্রাচ্যের সার সরবরাহকারী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কানাডা থেকে মোট আট লাখ টন এমওপি সার আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। এ ব্যাপারে ওই দেশের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা স্মারক হয়েছে। ফলে এই সার নিয়ে সরকারের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। তবে সার বাবদ সরকারের বিপুল পরিমাণে ভর্তুকি বাড়ছে। এই চাপ নিয়েও সরকার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ওই ভর্তুকি দিয়ে যাবে।’
কমানো হয়েছে চাহিদা
বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে ৬৯ লাখ টন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি—এই চার ধরনের সার ব্যবহার হয় ৫৭ লাখ টন। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের ওই চার ধরনের সারের চাহিদা কমিয়ে ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টনে নামিয়ে আনা হয়েছে।
দেশে প্রয়োজনীয় সারের ৮০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর মধ্যে এমওপি সারের বড় অংশ আসে রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে।
প্রসঙ্গত, ওই চারটি প্রধান সার কৃষকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরে সরকার প্রাথমিকভাবে সারে ভর্তুকি বাবদ ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে গত ছয় মাসে সারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বেশির ভাগ সারের দাম তিন থেকে চার গুণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারকে ভর্তুকির পরিমাণ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা করতে হয়। কিন্তু অর্থবছরের শেষের দিকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে হিসাব করে দেখা হয়েছে, ভর্তুকির পরিমাণ এবার বেড়ে কমপক্ষে ৩০ হাজার কোটি টাকা গিয়ে দাঁড়াবে।
জিপসাম, জিংক সালফেট ও অ্যামোনিয়াম সালফেট ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সারে সরকার কোনো ভর্তুকি দেয় না। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছে তা বিক্রি করে থাকেন। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষককেও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।
সাবেক কৃষিসচিব এ এম এম শওকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমনিতেই এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সারের কারণে নতুন করে যাতে আর সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আর সরকারের অন্যান্য খাতের ভর্তুকি কমিয়ে প্রয়োজনে সারে ভর্তুকি বাড়াতে হবে, যাতে সারের দাম কম থাকে। কারণ, কৃষকের হাতে এখন টাকা কম। বিশ্ববাজার থেকেও খাদ্য আমদানি করা সামনের দিনে আরও কঠিন হতে পারে। ফলে দেশের উৎপাদন ঠিক রাখতে সারের দাম ও জোগান ঠিক রাখা উচিত।
এগ্রোটেক
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।
গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।
আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।
আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।
কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।
কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।
এগ্রোবিজ
পতিত জমিতে চিনাবাদাম চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

মেহেরপুর: পতিত ও অনুর্বর বেলে মাটির জমিতে চিনাবাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের চাষিরা। ফলন ও বাজার দর ভালো এবং কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন এই এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদামের চাষ।
সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা, শ্যামপুর, টেংগারমাঠ ও গোপালপুর গ্রামের অধিকাংশ জমির মাটি বেলে। ফলে এই এলাকার চাষিরা ধান, গম, পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না।
ধান কাটার পর এ সব জমি সাধারণত পতিত থাকে। এজন্য ৯০ দিনের ফসল হিসেবে অল্প খরচে বাদাম চাষ করছেন এলাকার চাষিরা।
মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার বাদাম চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। এবার এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে চাষিদের খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা সেক্ষেত্রে বাদামের ফলন হয়েছে ৬ থেকে ৭ মণ। আর এ ফলনে প্রায় ২০ হাজার টাকা ঘরে তুলছেন তারা। বাজারে প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ২৭শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের বাদাম চাষি খাঁজা আহমেদ, কাওছার আলী ও ফিরোজ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এলাকার মাটি বেলে হওয়ায় সাধারণত সবজি, আলু ও অন্যান্য ফসল চাষ করার পর জমি পতিত থাকে। সে সময়ে চিনা বাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে খরচ কম এবং উৎপাদন ও বাজার দর ভাল। তাই দিন দিন চাষিরা তাদের পতিত জমিতে চিনা বাদামের চাষ শুরু করছেন।
এছাড়া বাদাম ছাড়ানো, শুকানোসহ যাবতীয় কাজ করে থাকেন এখানকার নারীরা। বাদামের গাছ আবার শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করছেন গৃহিণীরা।
নারী শ্রমিক সাহানা খাতুন ও জরিমন নেছা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাদাম ছাড়ানো ও শুকানোর কাজ করে থাকি। এলাকার ২৫/৩০ জন নারী শ্রমিক এ কাজ করে আসছেন।
গৃহিণী সাজেদা খাতুন ও জামেলা খাতুন জানান, বাদামের লতা জালানি হিসেবে বেশ ভাল। তাই লতাও বিক্রি হচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, চিনা বাদামের চাষ সাধারণত পতিত জমিতে হয়ে থাকে। এলাকার চাষিরা এই জমিতে বাদামের চাষ করে বাড়তি আয় করছেন। তাই বাদাম চাষ যাতে আরও সম্প্রসারিত হয় সেজন্য কৃষি বিভাগ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে।
এগ্রোবিজ
সিলেটে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা

সিলেট বিভাগের উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিক জমিতে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানিরা মৌলভীবাজারের আকবরপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন। এ ফুল চাষ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, যশোরে বাণিজ্যিকভাবে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়। যার বাজার দর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। যশোরের ফুল সারাদেশের পাশাপাশি সিলেটেও আসে প্রচুর। সিলেটে ফুলের বাজার শত কোটি টাকার উপরে। কিন্তু সিলেটে ফুলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে হয় না।

সিলেট বিভাগের মাটি অ্যাসিডিক হওয়ায় ফুল চাষ করা যাবে না, সেটাই ছিল প্রচলিক ধারণা। কিন্তু এ ধারণাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে ভুল প্রমাণ করেছেন মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের একদল গবেষক। মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিটিক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন তারা। এ পরীক্ষামূলক চাষে ফলনও হয়েছে ভালো। তাই সিলেট অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলে অনেক জায়গা অনাবাদি ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। প্রবাসীরা দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাদের অনেক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। এ জমিকে আবাদের আওতায় আনতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের উদ্যোগ নিয়ে আগ্রহী ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আমন ধান কাটার পর এ অঞ্চলের অনেক জমি পতিত থাকে। ফলে ফুল চাষ করে অনাবাদি জমি থেকে কোটি টাকা উপার্জন সম্ভব।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিরানা আক্তার সুমি জানান, চাষিরা প্রশিক্ষণ শেষে অনেক কিছু শিখেছেন। কী পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হয়, তা জেনেছেন। ধানের চেয়ে যেহেতু ফুলের দাম বেশি, তাই ফুল চাষে তাদের আগ্রহ বাড়ছে।

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সরফ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভালোভাবে জমি চাষ করে নির্দেশিত মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়। অন্য ফসলের মতোই এর চাষ পদ্ধতি সহজ। বেড তৈরি করে ফুল চাষ করতে হয়। প্রতিটি বেডের দৈর্ঘ যে কোন মাপের হতে পারে। তবে প্রস্থে ১.২-১.৫ মিটার হলে ভালো।’

তিনি বলেন, ‘কলম (বীজ) লাগানো থেকে তিন মাস পর স্টিক সংগ্রহ শুরু হয়। সংগ্রহ করা যাবে পরবর্তী ২৫ দিন। গ্লাডিওলাস ৫টি জাতসহ মোট ১২টি প্রজাতির ফুলের পরীক্ষা করে আমরা সফল হয়েছি।
জৈব
জৈব পদ্ধতিতে ফসলের রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণ

সবুজ বিপ্লবের সময়ে পেস্টিসাইড ব্যবহারকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জীব বৈচিত্র্য, মাটির স্বাস্থ্য ও ফসলের গুণমানতা। এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে, এত রাসায়নিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করা কি ঠিক হচ্ছে? এ প্রশ্ন শুধু ভারতে নয়, সারাবিশ্বের কৃষকসমাজ ও শস্যবিজ্ঞানীদের কাছে। তাই মনে হয় জৈব নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে সুসংহত রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণ আগামী দিনে একমাত্র সমাধানের রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
চলমান খরিফ মরসুমে আমাদের রাজ্যে প্রধানত ধান, খরিফ পেঁয়াজ, জুট, ইক্ষু, তিল ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়ে থাকে। এ রাজ্যে ধানে ঝলসা রোগের আক্রমণ একটি গুরুতর বিষয়।
জৈব পদ্ধতিতে এই রোগ দমন করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। ৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেলে ৮৫ গ্রাম থেঁতলানো রসুন মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ৯৫০ মিলি. জল ও ১০ মিলি. তরল সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে বোতলে রেখে দিতে হবে। ১৯ লিটার জলের সাথে ১ ভাগ মিশ্রণ মিশিয়ে সকালে/বিকেলে স্প্রেয়ার দিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করতে হবে।
এই মিশ্রণটি আমেরিকান বোল ওয়ার্ম, আর্মি ওয়ার্ম, পেঁয়াজ-এর চিরুনি পোকা, আলুর টিউবার মথ, রুট নট নিমাটোড (কৃমি), আখের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, ডাউনি মিলডিউ ও ধানের ঝলসা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।
এছাড়া বিভিন্ন ধরণের পাতা খেকো পোকা ও জাব পোকা নিয়ন্ত্রণে ১ কেজি পেঁয়াজ থেঁতো করে ১ লিটার জলের সাথে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দেবার পর কচলিয়ে রস নিংড়ে নিতে হবে। প্রাপ্ত নির্যাসের সাথে ১০ লিটার জল মিশিয়ে আক্রান্ত ফসলে স্প্রে করতে হবে।
জৈব সার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার, শাকসব্জী ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম-এর সাথে অণুখাদ্যের যোগান দেয়।
জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকগুলি ফসলে কোনওরকম দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ব্যতিরেকে, পোকা ও রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উর্বরতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।
বন্ধুপোকা মাকড়ের (পরজীবি ও পরভোজী) সংরক্ষণের জন্য জমির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় ত্রিধারা, উঁচুটি, শালিঞ্চে ইত্যাদি আগাছা জাতীয় গাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে রাসায়নিক কৃষি বর্জন করে প্রাণ বৈচিত্র্য নির্ভর জৈব কৃষির মাধ্যমে খাদ্যে সার্বভৌমত্ব আনা সম্ভব। তাই জৈব কৃষির পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে কৃষিবিষমুক্ত, স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয়।
-
বাংলাদেশে ‘প্রায় বিলুপ্তি’র পথে ১০০-এর বেশি দেশীয় মাছ – দা এগ্রো নিউজ
-
মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির উদ্ভাবন বাংলাদেশি তরুণের
-
অর্গানিক খাদ্য: বাংলাদেশে বাড়ছে চাহিদা কিন্তু মান নিশ্চিত হচ্ছে কী?
-
ভারতের কঠোর পদক্ষেপ যেভাবে বাংলাদেশের গরু খামারিদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে গেল
-
পরিবারের সদস্যদের জন্য ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতেই ছাদে বা বারান্দায় ফল,সবজি চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন মানুষ
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন