আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মানসিক অশান্তিতে ঈর্ষা

মানসিক অশান্তির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো ঈর্ষা; ভালোবাসার সম্পর্ককে বিনষ্ট করতে এর গুরুত্বপূর্ণ নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। ঈর্ষাপরায়ণতা একটা জটিল নেতিবাচক আবেগীয় প্রতিক্রিয়া, যার প্রকাশ ঘটে কোনো ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলার ভয় থেকে, বিশেষ করে রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে। কোনো বাস্তব অথবা কাল্পনিক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতা থেকে ব্যক্তির মধ্যে এই আবেগীয় প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। এর সঙ্গে অন্যান্য আবেগীয় অনুভূতিও দেখা দিয়ে থাকে, যেমন-দুশ্চিন্তা, মন খারাপ, রাগ, ঘৃণা, পরিতাপ, অভিযোগ, তিক্ততা, হিংসা ইত্যাদি। ঈর্ষান্বিত ব্যক্তি নিজেও ভালো থাকে না এবং তার কাছের লোকজনকেও ভালো থাকতে দেয় না।

ঈর্ষা ও হিংসা এই দুটো শব্দকে সমার্থক শব্দ হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে থাকে; কারণ এ দুটোর সঙ্গে প্রায় একইভাবে লোকজনের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। কিন্তু এ দুটো আবেগীয় প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বিশেষ কিছু পার্থক্য আছে।

ঈর্ষা ও হিংসা এই দুটো শব্দকে সমার্থক শব্দ হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে থাকে; কারণ এ দুটোর সঙ্গে প্রায় একইভাবে লোকজনের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। কিন্তু এ দুটো আবেগীয় প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বিশেষ কিছু পার্থক্য আছে। ঈর্ষাপরায়ণতা হলো ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলার ভয় থেকে অনিশ্চয়তায় ভোগা ও সন্দেহ করা। ঈর্ষার সঙ্গে জড়িত খুব সাধারণ কিছু বিষয় হলো হারিয়ে ফেলার ভয়, অবিশ্বাস ও সন্দেহ করা, রাগান্বিত হওয়া, অনিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা, নিম্ন আত্মমর্যাদা বোধ হওয়া এবং একাকিত্বে ভোগা। বিজ্ঞাপন

অপর দিকে হিংসা হলো অন্যের সুবিধা বা সফলতা দেখে মন খারাপ করা এবং যা ব্যক্তির নিজের মধ্যে নেই, তা পেতে তীব্র আকাঙ্ক্ষা বোধ করা। হিংসার সঙ্গে জড়িত খুব সাধারণ কিছু বিষয় হলো হীনম্মন্যতা বোধ হওয়া, অপমানিত বোধ করা, উন্নতি করার আগ্রহ পোষণ করা, নিজের মধ্যে আকর্ষণীয় গুণাবলি প্রত্যাশা করা, অন্যের অনুমোদন না পাওয়ার ফলে অসন্তুষ্টিতে ভোগা, অন্যের সফলতায় মন খারাপ করা ইত্যাদি।

ঈর্ষা ঘটে থাকে খুব উল্লেখযোগ্য ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে
ঈর্ষা ঘটে থাকে খুব উল্লেখযোগ্য ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে

ঈর্ষা ঘটে থাকে খুব উল্লেখযোগ্য ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে, যেখানে সাধারণত তিনজন ব্যক্তি সম্পর্কিত থাকে, যেমন-যে ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হচ্ছে, যে ব্যক্তিকে ঘিরে ঈর্ষা হচ্ছে এবং যে ব্যক্তিকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে। আর হিংসা ঘটে থাকে সাধারণত দুজন ব্যক্তির মধ্যে বা কোনো ব্যক্তি ও বস্তুর সঙ্গে। ঈর্ষা ও হিংসা বিভিন্ন ক্ষেত্রে হতে পারে যেমন:

রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে: একজন পার্টনারের তুলনায় আরেকজনের বেশি সুবিধা, প্রশংসা, টাকাপয়সা, কাজ ইত্যাদি নিয়ে হিংসা করা। পার্টনারকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে অন্য ব্যক্তির প্রতি ঈর্ষান্বিত হওয়া।

কর্মক্ষেত্রে: সহকর্মীদের সঙ্গে কাজের বণ্টন, সম্মান বা পদোন্নতি নিয়ে হিংসা, বসের কাছে নিজের প্রাধান্যতা নিয়ে কাউকে ঈর্ষা।

বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে: সফলতার তুলনা নিয়ে হিংসা, ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে হারিয়ে ফেলার ভয় থেকে তৃতীয় ব্যক্তিকে ঈর্ষা।

পারিবারিক ক্ষেত্রে: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সফলতা বা ক্যারিয়ার নিয়ে হিংসা, ভাইবোনের মধ্যে নানা বিষয়ে হিংসা, ছোট ভাইবোনের প্রতি ঈর্ষা (বাবা-মায়ের কাছ থেকে নিজের আদর-ভালোবাসা কমে যাওয়ার ভয়ে), ছেলের বউয়ের প্রতি শাশুড়ির ঈর্ষা (ছেলের কাছে মায়ের প্রাধান্য কমে যাওয়া বা ছেলেকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে)।বিজ্ঞাপন

প্যাথলজিক্যাল জেলাসি

যেকোনো সম্পর্ক বা ভালোবাসার সম্পর্কের সঙ্গে ঈর্ষার একটা স্বাভাবিক সংযোগ থাকতে পারে, কিন্তু যখন তা ব্যক্তির চিন্তা, অনুভূতি ও আচরণকে তীব্রভাবে প্রভাবিত করে ব্যক্তির স্বাভাবিক সম্পর্ক এবং জীবন যাপনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তখন তা মানসিক অসুস্থতায় পরিণত হয়, যাকে অস্বাভাবিক ঈর্ষা বা প্যাথলজিক্যাল জেলাসি বলা হয়। প্যাথলজিক্যাল জেলাসি আবার মর্বিড জেলাসি, ডিলিউশনাল জেলাসি অথবা ওথেলো সিনড্রোম নামেও পরিচিত। এটা স্বাভাবিক ঈর্ষা থেকে আলাদা এর তীব্রতা এবং যৌক্তিকতার দিক থেকে। কোনো ব্যক্তির মধ্যে স্বাভাবিক ঈর্ষা হতে পারে যখন সত্যিই তার পার্টনারকে অবিশ্বাস করার মতো কিছু ঘটে থাকে। কিন্তু প্যাথলজিক্যাল জেলাসি মানে শুধু অবিশ্বাস করা নয়, তীব্র মাত্রার অবিশ্বাস ও অযৌক্তিক সন্দেহ, যা ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করে।

কোনো ব্যক্তির মধ্যে স্বাভাবিক ঈর্ষা হতে পারে যখন সত্যিই তার পার্টনারকে অবিশ্বাস করার মতো কিছু ঘটে থাকে
কোনো ব্যক্তির মধ্যে স্বাভাবিক ঈর্ষা হতে পারে যখন সত্যিই তার পার্টনারকে অবিশ্বাস করার মতো কিছু ঘটে থাকে

প্যাথলজিক্যাল জেলাসি বা ডিলিউশনাল জেলাসির কিছু ধরন আছে। এটা ‘ডিলিউশনাল ডিজঅর্ডার-জেলাস টাইপ’ হিসেবে এককভাবে একটা ডিজঅর্ডার হতে পারে অথবা সাইকোটিক ডিজঅর্ডার যেমন-সিজোফ্রেনিয়া, প্যারানয়েড, সাইকোসিস, পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার ইত্যাদির একটা সিনড্রোম হিসেবেও দেখা দিতে পারে। ডিলিউশনাল জেলাসির বাইরে আরেক ধরনের জেলাসি হলো ‘অবসেসিভ জেলাসি’, যেখানে ব্যক্তি কোনো এক কাল্পনিক প্রতিদ্বন্দ্বীর ভাবনা থেকে তার পার্টনারকে হারিয়ে ফেলার ভয় করে। যদিও পার্টনারকে অবিশ্বাস করার মতো কোনো প্রমাণ তার কাছে থাকে না এবং সে নিজেও বুঝতে পারে যে এটা অযৌক্তিক চিন্তা। তবুও সর্বক্ষণ এই চিন্তা নিয়ে সে ব্যস্ত থাকে এবং চাইলেও মন থেকে তা দূর করতে পারে না, যার জন্য ভীষণ রকম অস্বস্তি ও অস্থিরতায় ভোগে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়।

প্যাথলজিক্যাল জেলাসির কিছু লক্ষণ

  • পার্টনারকে সর্বক্ষণ সন্দেহ যেন সে অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত।
  • কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই মিথ্যা অভিযোগ ও অপমান করা এবং ঈর্ষান্বিত আচরণের জন্য অজুহাত খোঁজা।
  • পার্টনারকে অবিশ্বাস করা এবং তার সারা দিনের কার্যকলাপ সম্পর্কে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাওয়া কোথায় আছে, কার সঙ্গে আছে, কী করছে ইত্যাদি।
  • বিনা অনুমতিতে পার্টনারের মোবাইল, ই–মেইল ইত্যাদি চেক করা এবং যেকোনো ফোন নম্বর থেকে আসা কলের জন্য জবাবদিহি করা।
  • পার্টনারকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে বাধা প্রদান করা (যেমন-ফেসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জার ইত্যাদি) এবং তার পরিবার, বন্ধু ও আত্মীয়স্বজন থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখা।
  • পার্টনারকে এবং যাকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে তার প্রতি মৌখিক এবং শারীরিকভাবে চড়াও হওয়া।
  • অন্যের অথবা নিজের ক্ষতি করার জন্য হুমকি দেওয়া।
  • নিজের ঈর্ষান্বিত আচরণ অস্বীকার করা।

প্যাথলজিক্যাল জেলাসির কারণ

প্যাথলজিক্যাল জেলাসি সাধারণত অন্য কোনো মানসিক রোগের সঙ্গে জড়িত থাকে
প্যাথলজিক্যাল জেলাসি সাধারণত অন্য কোনো মানসিক রোগের সঙ্গে জড়িত থাকে

প্যাথলজিক্যাল জেলাসি সাধারণত অন্য কোনো মানসিক রোগের সঙ্গে জড়িত থাকে যেমন- সিজোফ্রেনিয়া, অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার, পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার (যেমন-প্যারানয়েড, ডিপেন্ডেন্ট ও বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার) ইত্যাদি। যেকোনো মানসিক রোগের ক্ষেত্রেই ব্যক্তি আগে থেকে নাজুক অবস্থায় থাকে, যা তার শৈশবের অভিজ্ঞতার ফলে হয়ে থাকে। শৈশবে ব্যক্তির প্যারেন্টিংয়ের ক্ষেত্রে কারও ওপর বিশ্বাস তৈরি না হলে সে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং তার মধ্যে একা হয়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে, যা পরবর্তী সময়ে তাকে ঈর্ষান্বিত করতে পারে। এই ব্যক্তিরা হীনম্মন্যতায় ভোগে এবং আত্মবিশ্বাস কম থাকার জন্য তাদের মধ্যে আত্মসম্মানবোধও কম থাকে। সর্বক্ষণ একটা ভয় কাজ করে কাছের মানুষের দূরে চলে যাওয়া নিয়ে। এ ছাড়া কৈশোর বা প্রাপ্তবয়স্কে ভালোবাসার মানুষের চলে যাওয়া বা প্রতারণা থেকে ব্যক্তির মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দেহ তৈরি হতে পারে, আবার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাজনিত কারণেও এমনটা হতে পারে, যা থেকে ঈর্ষা তৈরি হয়।বিজ্ঞাপন

প্রতিকার ও প্রতিরোধ

ডিলিউশনাল জেলাসি হলো একধরনের সাইকোটিক ডিজঅর্ডার, এর চিকিৎসা হয়ে থাকে মূলত সাইকিয়াট্রিক মেডিসিনের মাধ্যমে এবং অবসেসিভ জেলাসির চিকিৎসা হয়ে থাকে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি ও সাইকিয়াট্রিক মেডিসিনের মাধ্যমে। এ ছাড়া সাইকিয়াট্রিক মেডিসিনের পাশাপাশি ফ্যামিলি থেরাপি, কাপল থেরাপি ও ইনডিভিজুয়াল থেরাপির মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। সাইকিয়াট্রিস্ট, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট (মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা) প্যাথলজিক্যাল জেলাসির চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।

প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায়

যে বিষয়টা ব্যক্তিকে ঈর্ষান্বিত করছে সেটাকে শনাক্ত করা এবং তা মোকাবিলা করা ঈর্ষা প্রতিরোধের অন্যতম উপায়
যে বিষয়টা ব্যক্তিকে ঈর্ষান্বিত করছে সেটাকে শনাক্ত করা এবং তা মোকাবিলা করা ঈর্ষা প্রতিরোধের অন্যতম উপায়
  • যে বিষয়টা ব্যক্তিকে ঈর্ষান্বিত করছে সেটাকে শনাক্ত করা এবং তা মোকাবিলা করা।
  • পার্টনারের ওই বিষয়টাকে বোঝার চেষ্টা করা, যা তাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে মনে হয়।
  • ব্যক্তির নিজের আত্মমর্যাদার উন্নতির জন্য কাজ করা এবং নিজেকে পার্টনারের কাছে মূল্যবান করে তোলা।
  • কোনো একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে সন্দেহ না করে পুরো বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করা।
  • যাকে ঘিরে ঈর্ষা তৈরি হচ্ছে, তার কাছে ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলো সরাসরি প্রকাশ করা এবং সমস্যার বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা।
  • পারস্পরিক সম্পর্কের প্রতি সৎ থাকা, সম্মান প্রদর্শন করা এবং সন্দেহের কোনো কারণ ঘটে থাকলে সেটার পরীক্ষিত প্রমাণ বের করা।
  • নিজের কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়া, নিজের প্রতি ও ভালোবাসার মানুষের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং উভয়ের স্বাধীনতার সীমা নির্ধারণ করা।
  • সম্পর্কের মধ্যে কোনো ঘাটতি থাকলে সেটা খুঁজে বের করে তা পূরণ করার মাধ্যমে সম্পর্কের উন্নতি করা।
  • তাৎক্ষণিক কোনো নেতিবাচক আবেগীয় প্রতিক্রিয়া না করে অপেক্ষা করা এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখা।
  • পার্টনারকে তার নিজের বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেওয়া।
  • সমস্যা বা সন্দেহের বিষয়গুলো বিশ্বস্ত কোনো বন্ধু বা শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে আলোচনা করা।
  • নিজেকে শান্ত এবং স্থির করার জন্য রিলাক্সেশন করা ও মাইন্ডফুলনেস থেরাপিউটিক টেকনিক অনুশীলন করা।
  • প্যাথলজিক্যাল জেলাসির চিকিৎসায় সাইকিয়াট্রিস্ট ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের সহযোগিতা নেওয়া।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com