তারা খর্বাকৃতির মানুষ, যাদেরকে সচরাচর বামন বলে ডাকা হয়। এদের কারো উচ্চতা দুই ফুট, তো কারো আবার দেড় ফুট। তাদের অনেকেই বিশ্বের খর্বকায় ব্যক্তি হিসেবে গিনেস রেকর্ড করেছেন। তাদের কেউ অভিনেতা, কেউ বডিবিল্ডার, বিশ্বের এই খর্বকায়দের সম্পর্কে জানলে চমকে যাবেন। জেনে নিন এমন ৭ বামন মানুষের কথা।
স্টেসি হেরল্ড: ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যু হয় বিশ্বের খর্বকায় এই মা-এর। কেন্টাকির বাসিন্দা স্টেসির উচ্চতা ছিল ২ ফুট ৪ ইঞ্চি। চিকিৎসা পরিভাষায়, অস্টিওজেনেসিস ইমপারফেক্টায় নামে জিনগত সমস্যার কারণে এক জন সাধারণ মানুষের মতো শারীরিক বৃদ্ধি হয়নি তার। স্টেসির তিন সন্তান রয়েছে- দুই মেয়ে ও এক ছেলে। এরা প্রত্যেকেই স্বাভাবিক।
অজয় কুমার: গিনেস পাকরু নামে পরিচিত মালয়ালম হাস্যকৌতুক অভিনেতা অজয়। খর্বকায় অভিনেতা হিসেবে গিনেস রেকর্ড রয়েছে তার। অজয়ের উচ্চতা ২ ফুট ৬ ইঞ্চি।
জ্যোতি আমগে: ১৯৯৩ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে জন্ম। পেশায় অভিনেত্রী। ২০১১ সালে বিশ্বের খর্বকায় মহিলা হিসেবে ঘোষণা করে গিনেস। তার উচ্চতা ২ ফুট ০.৬ ইঞ্চি। অ্যাকোন্ড্রোপ্লসিয়া নামে জিনগত সমস্যার কারণে তার শারীরিক বিকাশ ঘটেনি। বিগ বস ৬-এর প্রতিযোগী ছিলেন তিনি।
এডওয়ার্ড নিনো হার্নান্ডেজ: ২০১০ সালে বিশ্বের খর্বকায় ব্যক্তি হিসেবে গিনেস রেকর্ড করেন। ২৪ বছর বয়সে তার উচ্চতা ছিল ২ ফুট সাড়ে ৩ ইঞ্চি। ওজন ছিল ১০ কেজি। ১৯৮৬ সালে জন্ম কলম্বিয়ার বোগোটায়। নেপালের খগেন্দ্র থাপার আগে খর্বকায় পুরুষ হিসেবে রেকর্ড ছিল তার।
খগেন্দ্র থাপা: এডওয়ার্ড নিনো হার্নান্ডেজের পর বিশ্বের খর্বকায় পুরুষ হিসেবে রেকর্ড ছিল নেপালের বাসিন্দা খগেন্দ্রর। তার উচ্চতা প্রায় ২ ফুট আড়াই ইঞ্চি। স্থানীয়দের কাছে তিনি ‘লিটল বুদ্ধ’ নামে পরিচিত।
আদিত্য রোমিও: বিশ্বের খর্বকায় বডি বিল্ডার। উচ্চতা ২ ফুট ৯ ইঞ্চি। ওজন ৯ কিলোগ্রাম। পাঞ্জাবের কাপুরথালার ফাগওয়ারায় ১৯৮৮ সালে জন্ম। মাত্র ২৩ বছর বয়সে ২০১২ সালে মৃত্যু হয় তার।
জুনরি বালাউইং: গিনেজ রেকর্ড অনুয়াযী বিশ্বের খর্বকায় ব্যক্তি জুনরি বালাউইং। উচ্চতা প্রায় ১ ফুট ১১.৬২ ইঞ্চি। ১৯৯৩ সালে ফিলিপিন্সের সিন্দানগানে এক কামারের ঘরে জন্ম জুনরির। চার ভাইবোনের মধ্যে জুনরিই বয়সে বড়। এক বছর বয়স থেকেই তার শারীরিক বৃদ্ধি থমকে যায়।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন