চীন
বাম্পার ফলনেও চীনে খাদ্য অপচয় রোধের চেষ্টা যে কারণে
লেখক
জাগোনিউজ২৪.কম
আমি চীনে আসি ২০১২ সালে, অগাস্টের মাঝামাঝিতে। বিমানবন্দরে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে রিসিভ করেছিলেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইয়ুয়ে আনন্দি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ‘মুক্তার কথা’-র মুক্তা। মুক্তার চীনা নাম ছাই ইয়ুয়ে। তাঁরা আমাদেরকে বিমানবন্দর থেকে সোজা নিয়ে এলেন আমাদের নতুন ঠিকানায়। ‘নতুন ঠিকানা’ মানে এক রুমের একটি ফ্ল্যাট। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের খুব কাছেই সেটি।
পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়েছিল, মনে আছে। চীনে সন্ধ্যা মানে ডিনার বা রাতের খাবারের সময়। ম্যাডাম আনন্দি আর মুক্তা আমাদের নিয়ে গেলেন রেস্টুরেন্টে। মেনু দেখে কিছু বোঝার উপায় নেই। কোন খাবারের কী স্বাদ তাও জানি না। খাবার পছন্দের দায়িত্ব তাই চাপিয়ে দিলাম আমার দুই নতুন চীনা সহকর্মীর ওপর। তারা অকৃপণভাবে খাবার অর্ডার করলেন। বেশ কয়েক পদ, পরিমাণও কম নয়। বলা বাহুল্য, চীনা জীবনের প্রথম দিনে আসল চীনা খাবার আমার ও আমার স্ত্রীর মুখে তেমন একটা রুচলো না।
ফলাফল: বেশকিছু খাবার বেঁচে গেল। মনে আছে, মুক্তা বেঁচে-যাওয়া কিছু চিংড়ি প্যাক করে নিয়ে গিয়েছিলেন বাসায়। ম্যাডাম আমাকেও কিছু খাবার সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে যেতে বলেছিলেন। আমি লজ্জায় ‘না’ করি। সেই লজ্জার কথা চিন্তা করলে আমার এখন হাসি পায়। বিগত ৮ বছরে আমি চীনাদের কাছ থেকে নতুন যাকিছু শিখেছি, তার একটি হচ্ছে রেস্টুরেন্টে খাওয়াশেষে উদ্বৃত্ত খাবার প্যাক করে বাসায় নিয়ে যাওয়া। অবশ্য, রেস্টুরেন্টে আমার খুব কমই খাওয়া হয়।
রেস্টুরেন্ট থেকে উদ্বৃত্ত খাবার প্যাক করে বাসায় নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা চীনাদের মধ্যে আজকাল বেড়েছে। সেদিন আমার এক চীনা সহকর্মীকে দেখলাম সকালে ক্যান্টিন থেকে কেনা নাস্তার একটা অংশ বিকেলে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই একগাল হেসে বললেন: ‘খাদ্যের অপচয় রোধে ভূমিকা রাখছি।’ প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং খাদ্যের অপচয় রোধ করতে নতুন করে আহ্বান জানানোর পর চীনাদের মধ্যে এ ব্যাপারে সচেতনতা অনেক বেড়েছে। এই সচেতনতার কারণেই চীনাদের মধ্যে রেস্টুরেন্ট থেকে উদ্বৃত্ত খাবার বাসায় নিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে।
সম্প্রতি চীনে একটি জরিপ চালানো হয়। জরিপের ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘চায়না ইয়ুথ ডেইলি’-তে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯১.২ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পর উদ্বৃত্ত খাবার প্যাক করে বাড়ি নিয়ে যান। তাদের মধ্যে আবার ৩০.৯ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা কমবেশি যা-ই উদ্বৃত্ত থাকুক, বাসায় নিয়ে যান। আর ৬০.৩ শতাংশ বলেছেন, উদ্বৃত্ত খাবার যদি পর্যাপ্ত ও ভালো অবস্থায় থাকে, তবে তাঁরা তা প্যাক করে নিয়ে যান। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯২ শতাংশ মনে করেন, খাদ্য সাশ্রয় করা একটা সদ্গুণ। আর ৮৫.৭ শতাংশ মনে করেন, খাদ্যের অপচয় রোধ করা জীবনমানের আধুনিক ধারণার সঙ্গে মানানসই।
চীনে ‘ফুড ব্যাংক’ কোনো নতুন ধারণা নয়। তবে, প্রেসিডেন্ট সি’র খাদ্যের অপচয় রোধের আহ্বানের পর ফুড ব্যাংকও নতুন করে আলোচনায় এসেছে। চীনে প্রথম ‘ফুড ব্যাংক’-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল শাংহাইয়ে, ২০১৪ সালে। এই ব্যাংক প্রায়-মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য বিভিন্ন সুপার মার্কেট থেকে দান হিসেবে গ্রহণ করে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের উদ্বৃত্ত খাদ্যও তারা সংগ্রহ করে। তারপর সেগুলো বিলিয়ে দেয় গরিবদের মাঝে। শুধু খাদ্যের অপচয় রোধ করা বা গরিবদের সাহায্য করাই এই ব্যাংকের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, পরিবেশ রক্ষা করাও তাদের কাজের একটা অন্যতম লক্ষ্য।
যাত্রা শুরুর পর এই ব্যাংকের শাখা বিস্তৃত হয়েছে চীনের কমপক্ষে ১১টি প্রদেশ বা প্রদেশ পর্যায়ের অঞ্চলে। বেইজিং, সিছুয়ান, সিনচিয়াং ও লিয়াওনিংয়েও আছে এই ফুড ব্যাংকের শাখা। ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত এই ফুড ব্যাংক দেশব্যাপী প্রায় ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের খাদ্য সংগ্রহ করে এবং প্রায় আড়াইশ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ও বিদ্যালয়ের মাধ্যমে সাড়ে সাত লাখ মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। বলা বাহুল্য, ফুড ব্যাংক সংগ্রহ না-করলে, খাবারগুলো নষ্ট হতো।
নিশ্চিতভাবে বলতে পারবো না, তবে ধারণা করি, এই ‘ফুড ব্যাংক’-ও যাত্রা শুরু করেছিল প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একটি আহ্বানের কারণে। ২০১২ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। আর ২০১৩ সালে খাদ্যের অপচয় রোধের আহ্বান জানান। কিন্তু তখন সেই আহ্বান তেমন একটা প্রচার পায়নি। তখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরে সংস্কারের কাজ জোরেশোরে চলছিল। হতে পারে, এ কারণে খাদ্যের অপচয় রোধের বিষয়টি তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব পেয়েছিল। আর এ কারণে দেশে-বিদেশে সেটির খুব একটা প্রচারও হয়নি। কিন্তু এবার মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রেক্ষাপটে যখন তিনি খাদ্যের অপচয় রোধের আহ্বান জানালেন ও এ ব্যাপারে দৃঢ় নির্দেশনা জারি করলেন, তখন বিষয়টি দেশের ভিতরে ব্যাপক প্রচার পায়।

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খাদ্যের অপচয় রোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে, শিক্ষাঙ্গনগুলোতে বিশেষ বার্তা প্রচারিত হতে থাকে, বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ খাদ্যের অপচয়ের ব্যাপারে আরও সচেতন হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলতে থাকে, শুরু হয় ‘চেটেপুটে খাও’ আন্দোলন। চীনে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, আর সেটা পাশ্চাত্যের সমালোচনার দৃষ্টিতে পড়বে না, তা তো হয় না! পাশ্চাত্যের কেউ কেউ বলতে শুরু করলেন যে, মহামারি ও বন্যার কারণে চীনে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে বা অচিরেই দেবে। আর সেকারণেই চীনের প্রেসিডেন্ট সি খাদ্যের অপচয় রোধের নির্দেশনা দিয়েছেন।
আপাত দৃষ্টিতে কারণটা সহিহ মনে হলেও, বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। চীনে বিগত কয়েক বছরে খাদ্যশস্যের বাম্পার ফলন হয়েছে। ২০১৯ সালে চীনে রেকর্ড ৬৬ কোটি ৪০ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। আগের ১৫টি বছরও দেশটিতে খাদ্যশস্যের বাম্পার ফলন হয়েছে টানা। এমনকি, চলতি বছরের গ্রীষ্মকালে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়েছে রেকর্ড ১৪ কোটি ২৮ লাখ টন, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ০.৯ শতাংশ বেশি। এদিকে, চীনে হেমন্তে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয় সারা বছরের মোট উৎপাদনের ৭০ শতাংশ। যেমনটি পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে হেমন্তেও উৎপাদনের রেকর্ড ভাঙবে। মোদ্দাকথা, মহামারির এই বছরেও চীনে খাদ্যশস্যের বাম্পার ফলন হতে যাচ্ছে। হ্যাঁ, একথা ঠিক যে, বন্যায় বেশকিছু ফসলের ক্ষেত ভেসে গেছে। কিন্তু সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে চীনের কৃষিখাতের। তাছাড়া, এবারের বন্যা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গেই মোকাবিলা করা হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে।
এটা ঠিক যে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন করেও চীনকে বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়। মহামারির কারণে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেই আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। নতুন করে খাদ্যশস্যের অপচয় রোধে প্রেসিডেন্ট সি’র নির্দেশনার পেছনে এটা একটা কারণ হতে পারে। মহামারি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে মহামারি নিয়ন্ত্রণে এলেও, বাইরের দুনিয়ায় মহামারির তাণ্ডব চলছে। কবে নাগাদ এই তাণ্ডব শেষ হবে বলা মুশকিল। মহামারি যতো দীর্ঘায়িত হবে, বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের সরবরাহ চেইনের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব তত বাড়বে। এ অবস্থায়, খাদ্যের অপচয় রোধ করা, খাদ্যের সাশ্রয় করা, আগের যে-কোনো সময়ের তুলনায় বেশি জরুরি। যথাসম্ভব ভবিষ্যতের আরও খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার এখনই সময়।
কিন্তু এটা একমাত্র কারণ নয়। প্রেসিডেন্ট সি ২০১৩ সালে খাদ্যের অপচয় রোধের আহ্বান জানিয়েছিলেন। হতে পারে, খাদ্যের অভাবসম্পর্কিত তার নিজের অভিজ্ঞতা তাকে সবসময়ই খাদ্যের অপচয়ের বিরুদ্ধে তাড়িত করে। তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে পার্টির কর্মী হিসেবে গরিব গ্রামাঞ্চলে কাজ শুরু করেছিলেন। তাকে তখন গ্রামের সাধারণ কৃষকদের সঙ্গে মাঠে কাজ করতে হতো। তখন কাজের উপর নির্ভর করতো খাবারের পরিমাণ। শুরুতে তিনি নিজে বেশি কাজ করতে পারতেন না। ফলে তার ভাগ্যে কম খাবার জুটতো। তাকে প্রায়ই অভুক্ত অবস্থায় রাত কাটাতে হতো। পাশাপাশি, তিনি নিজের চোখে দেখেছেন গরিব কৃষকদের অভাব-অনটন; দেখেছেন তাদের দিনের পর দিন অনাহারে-অর্ধাহারে থাকার করুণ দৃশ্য। বোধকরি একারণেই খাদ্যের অপচয় তাকে পীড়া দেয়। সমৃদ্ধ চীনে যখন তিনি দেখেন, চারিদিকে বেশুমার খাদ্য নষ্ট করা হচ্ছে, তখন তিনি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন, এটাই তো স্বাভাবিক!

তবে, শুধু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাই তাকে খাদ্যের অপচয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছে, তা আমার মনে হয় না। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ও অন্যতম বড় দেশের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে তার চোখের সামনে আছে বৈশ্বিক চিত্রটাও। এই চিত্রটা কিন্তু মোটেই প্রীতিকর নয়! বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও)-এর হিসাব অনুসারে, বিশ্বে উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ নষ্ট (লস্ট) ও অপচয় হয়, যার আনুমানিক ওজন ১৩০ কোটি টন ও মূল্য এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার তথা ৮৫ লাখ কোটি টাকা (বাংলাদেশের প্রায় ২৫টি বার্ষিক বাজেটের সমান!)। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর যে খাদ্য অপচয় হয়, তার মূল্য ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
ইউরোপে যে পরিমাণ খাদ্য অপচয় হয়, তা দিয়ে ২০ কোটি মানুষের এক বছরের ক্ষুধা নিবারণ করা সম্ভব। আর চীনে প্রতিবছর বিভিন্ন রোস্তোরাঁয় যে পরিমাণ খাবার অপচয় হয়, তার পরিমাণ দেড় থেকে দুই কোটি টন, যা দিয়ে ৩ থেকে ৫ কোটি মানুষের এক বছরের খাদ্যচাহিদা মিটতে পারে। আর এর বিপরীত চিত্রটা হচ্ছে: বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৮২ কোটি মানুষ অভুক্ত বা অর্ধভুক্ত অবস্থায় রাত কাটায়। আরেক হিসাব মতে, বিশ্বে প্রতিদিন ৮ হাজার শিশু মারা যায় স্রেফ পুষ্টিহীনতায়।
এমন নয় যে, খাদ্যের অপচয় রোধ করা গেলে সেসব খাদ্যের সবটুকুই বিশ্বব্যাপী গরিব মানুষগুলোর প্লেটে চলে যাবে। পুরোটা না-হলেও, একটা অংশ তো অবশ্যই যাবে! শাংহাইয়ের ফুড ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হওয়া খাদ্যের একটা অংশও যদি উদ্ধার করতে পারে, তবে সেটাও কম না। তা ছাড়া, খাদ্যের অপচয় মানে কিন্তু শুধু না-খেতে পেরে ফেলে দেওয়া নয়! অতিরিক্ত খেয়েও খাদ্যের অপচয় করা হয়। আর অতিরিক্ত খাদ্য মানে অতিরিক্ত ওজন, অতিরিক্ত ওজন মানে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ; আর অসুখ-বিসুখ মানে কাজের দক্ষতা হ্রাস ও চিকিৎসার ব্যয় বৃদ্ধি।
এক হিসাব মতে, চীনের ৩০ কোটি মানুষ অতিরিক্ত ওজনদার। যুক্তরাষ্ট্রে তো ওবিসিটি আরেকটি মহামারির মতো। শুনেছি, বাংলাদেশের মতো গরিব দেশেও অতিরিক্ত ওজন সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। মুসলিমঅধ্যুষিত মধ্যপ্রাচ্যেও এই সমস্যা প্রকট। অথচ ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন: ‘তোমরা যখন খাবে তখন পেটের তিন ভাগের এক ভাগ খাদ্য দিয়ে পূর্ণ করবে, এক ভাগ পানি দিয়ে পূর্ণ করবে, এবং বাকি এক ভাগ খালি রাখবে।’ তিনি আরও বলেছেন: ‘পেটে খানিকটা ক্ষুধা থাকতে খাওয়া বন্ধ কর।’

খাদ্যের অপচয় ও নষ্টের পরিবেশগত মূল্যও কিন্তু কম নয়! এক হিসেব অনুসারে, বিশ্বে প্রতিবছর যে-পরিমাণ খাদ্য অপচয় ও নষ্ট হয়, তা উৎপাদন করতে ৮ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করতে হয়। অন্যভাবে বললে, প্রতিবছর যে পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস পৃথিবীবাসী নিঃসরণ করে থাকে, তার ৮ শতাংশ নিঃসরণ হয় অপচয় ও নষ্টকৃত খাদ্যের উৎপাদনের সময়।
২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট সি খাদ্যের অপচয় রোধের ডাক দিয়েছিলেন বোধকরি এই বৈশ্বিক চিত্রটাকে সামনে রেখেই। তখন বিষয়টা নিয়ে তেমন একটা আলোচনা হয়নি। আমি তখন চীনে নতুন এসেছি। এ নিয়ে আলোচনা শুনেছি বলে মনে পড়ে না। কিন্তু এখন চীনের সর্বত্র এ নিয়ে শুধু আলোচনা চলছে, তা নয়, সমাজের সকল পর্যায়ে চলছে খাদ্য অপচয় রোধে বিভিন্ন চেষ্টা। কিন্তু এই চেষ্টা চলা উচিত বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশেও খাদ্যের অপচয় হয়; বাংলাদেশেও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা উদ্বৃত্ত খাদ্য সংগ্রহ করে শাংহাইয়ের ফুড ব্যাংকের মতোই গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়। এ ধরনের কাজ আরও হওয়া দরকার।
পাশাপাশি, একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠতে পারে দেশজুড়ে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলো ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। না, খাদ্যের অপচয় রোধে শুধু চীনা প্রেসিডেন্টই ডাক দিয়েছেন, তা নয়, ডাক দিয়েছে খোদ জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও)-ও। সংস্থাটি চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বরকে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক খাদ্য নষ্ট ও অপচয়বিরোধী প্রচারণা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। দেখার বিষয় এই দিবস বিশ্বব্যাপী কতোটা জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে।
-
বাম্পার ফলনেও চীনে খাদ্য অপচয় রোধের চেষ্টা যে কারণে
-
বাম্পার ফলনেও চীনে খাদ্য অপচয় রোধের চেষ্টা যে কারণে
-
বাম্পার ফলনেও চীনে খাদ্য অপচয় রোধের চেষ্টা যে কারণে
-
বাম্পার ফলনেও চীনে খাদ্য অপচয় রোধের চেষ্টা যে কারণে

আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
-
অর্গানিক খাদ্য: বাংলাদেশে বাড়ছে চাহিদা কিন্তু মান নিশ্চিত হচ্ছে কী?
-
ফুল চাষে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
-
চন্দ্রমল্লিকা চাষের নিয়ম-কানুন
-
আলু থেকে জন্ম নেবে গোলাপ গাছ
-
সিলেটে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা
-
জারবেরা চাষে কোটিপতি আনোয়ার
-
এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন
-
ট্রে আর টবে ফুল চাষ করে মাসে ৫০ হাজার আয় করছেন যে যুবক
-
বেকারত্ব দূর করতে ফুল চাষ
-
টবে ফুলের চাষ কেন করবেন

ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ভারত-বাংলাদেশের ওপর করোনাভাইরাসের দায় চাপানোর চেষ্টায় মেতে উঠেছে চীন। দেশটির একদল গবেষক দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস উহান থেকে নয়, ভারত-বাংলাদেশ থেকেই ছড়িয়েছে। তারা বলেছেন, ২০১৯ সালের গ্রীষ্মেই সম্ভবত করোনার জীবাণু ছড়িয়েছে। আর সেটা ছড়িয়ে থাকতে পারে ভারত অথবা বাংলাদেশ থেকে। এখান থেকে এ জীবাণু উহানে বাহিত হয়েছে। আর উহানেই এটা প্রথম শনাক্ত হয়। যদিও তাদের এমন অযৌক্তিক দাবিকে সন্দেহের চোখেই দেখছেন পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা।
চীনের একাডেমি অব সায়েন্সের একদল গবেষকের গবেষণার ফলাফলে বিস্ফোরক এ দাবি করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের প্রাক-প্রকাশনা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গত ১৭ নভেম্বর চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়। ওই প্রবন্ধ উদ্ধৃত করে গত শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান বলেছে, উহানের দোষ এখন বাংলাদেশ বা ভারতের ওপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। চীনা বিজ্ঞানীরা আচমকা এমন অযৌক্তিক দাবি তোলায় পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা আগাম সতর্ক করে দিয়েছেন। তাদের মতে, এই গবেষণা ‘বড় ধরনের’ দাবি তুলছে, আর এ কারণে সতর্কতা ও সন্দেহপ্রবণ চোখে এটি ভালো করে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
শুক্রবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগেও চীনের একাধিক গবেষণায় কভিড-১৯ মহামারির দায় দেশটির সীমান্তের বাইরে কারও ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। একাধিক গবেষণায় ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রকে এই জীবাণুর উৎস দেশ হিসেবে শনাক্তের চেষ্টা করা হয়েছে।
গত বছর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীনের কার্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ভাইরাসের তথ্য প্রকাশ করে। শুরুতে এই ভাইরাস চীনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়ায়। একপর্যায়ে তা মহামারি আকারে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে এ বছরের ৮ মার্চ।
এরই মধ্যে চীনের বিজ্ঞানীদের দাবিকে পুরোপুরি অনুমাননির্ভর বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত শুক্রবার সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বলেন, চীন থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়নি, এমন কথা বলা আমাদের জন্য একেবারে অনুমাননির্ভর হবে।
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ২০১৯ সালের মে থেকে জুন মাসে উত্তর-মধ্য ভারত ও পাকিস্তানে রেকর্ড দ্বিতীয় দীর্ঘতম দাবদাহ তাণ্ডব চালিয়েছিল। ফলে ওই অঞ্চলে ভয়াবহ পানির সংকট সৃষ্টি হয়। পানির অভাবে বানরের মতো বন্যপ্রাণী একে অপরের সঙ্গে ভয়াবহ লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিল এবং অবশ্যই এটি মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংস্পর্শের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছিল। এই দাবদাহকেই প্রাণী থেকে মানবদেহে করোনা সংক্রমণের কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।
চীনা গবেষক দলটি করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে ফাইলোজেনেটিক বিশ্নেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তাদের মতে, সবচেয়ে কম রূপান্তরিত রূপটাই ভাইরাসের আসল রূপ হতে পারে। এ ধারণার ভিত্তিতেই তারা দাবি করেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ উহানে হয়নি। এর বদলে ভারত ও বাংলাদেশের মতো জায়গাগুলো, যেখানে কম রূপান্তরিত ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে, সেখানেই হতে পারে এর আসল উৎস। এ ছাড়া ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি করোনার সম্ভাব্য উৎস হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, ইতালি, গ্রিস, যুক্তরাষ্ট্র ও চেক রিপাবলিকের নাম বলেছেন চীনের ওই গবেষকরা।
গবেষকরা আরও বলেছেন, যেহেতু বাংলাদেশ ও ভারতের নমুনায় এ ভাইরাসে কম মাত্রায় মিউটেশন পাওয়া গেছে, তাই এ দুই প্রতিবেশী দেশ থেকেই এটি ছড়ানোর আশঙ্কা আছে।
তবে চীনাদের এ দাবির সঙ্গে একমত নন অনেক বিশেষজ্ঞ। চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রকে ‘খুবই ত্রুটিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরাল জিনোমিপ অ্যান্ড বায়োইনফরমেটিকস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডেভিড রবার্টসন। তিনি বলেন, ন্যূনতম রূপান্তরিত ভাইরাস সিকোয়েন্স শনাক্তকরণে লেখকদের দৃষ্টিভঙ্গি সহজাতভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট। লেখকরা মহামারির বিস্তৃতি-সংক্রান্ত উপাত্তগুলো এড়িয়ে গেছেন, যাতে চীনে ভাইরাসের উত্থান এবং সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়া স্পষ্ট দেখা যায়। এই বিশেষজ্ঞের মতে, চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রটি সার্স-কভ-২ সম্পর্কে বোঝার বিষয়ে নতুন কিছুই যোগ করেনি।

প্রথমবারের মতো সফলভাবে মানুষবিহীন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করলো দেশটি
চাঁদ থেকে পাথর ও ধ্বংসাবশেষ আনতে প্রথমবারের মতো সফলভাবে মানুষবিহীন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে চীন।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) চীনের দক্ষিণের প্রদেশ হাইনানের ওয়েনচ্যাং থেকে দেশটির স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টায় সবচেয়ে বড় রকেট লং মার্চ ৫ উৎক্ষেপিত হয়।
“চ্যাংই ফাইভ” নামে এ যানটি এক প্রাচীন চীনা চন্দ্রদেবীর নামানুসারে রাখা হয়েছে। এটি এখনও পর্যন্ত দেশটির সবচেয়ে সাহসী চন্দ্রাভিযান। এই মিশনটি সফল হলে চীনের মহাকাশ বিষয়ে গবেষণা ব্যাপকভাবে এগিয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মঙ্গল থেকে নমুনা আনার বা চাঁদে অভিযানের পথকে আরও সুগম করতে পারে।
সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার পর চীনই হবে বিশ্বের তৃতীয় দেশ, যারা চাঁদ থেকে পাথর আনবে। মহাকাশযান সাধারণত চাঁদে পৌঁছাতে তিনদিন সময় নেয়।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা একটি পাথরের তৈরি বৌদ্ধ মন্দিরের প্রায় চার হাজার ৬০০ বর্গমিটার এলাকা খনন করে এ পুরাকীর্তিগুলো আবিষ্কার করেন
চীনা প্রত্নতত্ত্ববিদরা দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর চংকিংয়ের পাথরের তৈরি স্থানীয় বৌদ্ধ মন্দির এলাকা থেকে ৯০০টিরও বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) চংকিং শহরের ইনস্টিটিউট অব কালচারার হেরিটেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রত্নতত্ত্ববিদরা শহরের জিয়াংজিন এলাকার একটি পাথরের তৈরি বৌদ্ধ মন্দিরের প্রায় চার হাজার ৬০০ বর্গমিটার এলাকা খনন করে এ পুরাকীর্তিগুলো আবিষ্কার করেন।
ইনস্টিটিউট অব কালচারাল হেরিটেজের একজন প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ নিও ইয়িংবিনের মতে, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই বছরব্যাপী এ খননের মাধ্যমে তাঙ্গ রাজবংশ (৬১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৯০৭ খ্রিস্টাব্দ) এবং কোয়িং রাজবংশের (১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ-১৯১১ খ্রিস্টাব্দ) পর্যন্ত সময়কার ৫০টিরও বেশি স্থাপনা, সমাধি এবং খোদাই করা শিলালিপি পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, প্রাচীন চীনের স্থানীয় ইতিহাস এবং বৌদ্ধ সংস্কৃতি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে নতুন করে আবিষ্কৃত এ পুরার্কীতিগুলোর দারুন বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক এবং শৈল্পিক মূল্য যোগ করবে।

বিশ্বের সবচেয়ে বিরল কোন প্রাণীর ছবি তুলতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে দক্ষতা এবং সৌভাগ্য।
রুশ ফটোগ্রাফার সার্গেই গর্শকফের যে দুটোই রয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল তার তোলা ছবিতে।
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় অরণ্যে তার তোলা একটি সাইবেরিয়ান বাঘ (আমুর টাইগার)-এর ছবি এ বছরের সেরা বন্যপ্রাণীর ছবি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এই মাদি মাঘকে দেখা যাচ্ছে ল্যান্ড অফ লেপার্ড ন্যাশনাল পার্কের একটি গাছকে জড়িয়ে ধরে আছে।
গাছের গায়ে ঘষা দিয়ে এবং প্রস্রাব করে এক বাঘ অন্য বাঘকে তার নিজের বিচরণ ক্ষেত্রের কথা জানিয়ে দেয়।
“ছবিটির আলো, রং এবং টেক্সচার ইত্যাদি দেখে মনেই হয় না এটি একটি ছবি। মনে হয় এটি একটি অয়েল পেইন্টিং,” বলছেন ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতার একজন বিচারক রজ কিডম্যান।
“দেখে মনে হয় বাঘটি অরণ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এমনকি বাঘের লেজটি পর্যন্ত মিশে আছে গাছের গুঁড়ির সাথে, বিবিসিকে বলছিলেন তিনি।
এই ছবির আরও চমকপ্রদ দিক হলো যেভাবে ছবিটা তোলা হয়েছে।
এই ক্যামেরা-ট্র্যাপ যন্ত্র জঙ্গলের মধ্যে বাসিয়ে রাখা হয়। কোন বন্য প্রাণী এর আওতার মধ্যে এলেই ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ছবি তুলে রাখে।
সে জন্য সার্গেইকে জানতে হয়েছে কোথায় ক্যামেরা বসাতে হবে, কোন্ অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তুলতে হবে ইত্যাদি। ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার হিসেবে সেখানেই প্রয়োজন হয় দক্ষতা ও একাগ্রতা।
পূর্ব রাশিয়ায় অবৈধ শিকারের জেরে বাঘের সংখ্যা কমতে কমতে প্রায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এসব বাঘের সংখ্যা এখন কয়েকশোতে ঠেকেছে বলে ধারণা করা হয়।
হরিণ, বুনো শুয়োর — আমুর টাইগারের প্রধান খাদ্য — তাদের সংখ্যাও কমেছে ব্যাপক হারে শিকারের ফলে।
আমুর টাইগার বিরল হয়ে পড়ায় তার ছবি তোলার কাজও বেশ কঠিন। সার্গেই যে সেরা ছবি তুলেছেন, তার জন্য তার ক্যামেরা-ট্র্যাপ যন্ত্রকে বসিয়ে রাখতে হয়েছিল ১০ মাস।
লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম প্রতি বছর বন্য প্রাণীদের সেরা ছবি পুরষ্কার দিয়ে থাকে। এটা দেয়া হচ্ছে গত ৫৫ বছর ধরে।

একটি বাচ্চা শেয়াল যেভাবে একটি বুনো হাঁসকে কামড়ে খাচ্ছে — এই ছবিটি তুলেছেন ফিনল্যান্ডের টিনএজ ফটোগ্রাফার লিনা হেকিনেন। ১৫-১৭ বছর বয়সী ফটোগ্রাফারদের ক্যাটেগরিতে এটি সেরা ছবি হিসেবে বিবেচিত হয়।
শেয়ালটি তার খাবারকে অন্য শেয়ালের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একটি পাথরের খাঁজে ঢুকে পড়েছিল।

এটি একটি প্রবোসিস জাতের পুরুষ বাঁদরের ছবি। এটি অ্যানিমাল পোর্ট্রেট বিভাগে এবার সেরা ছবি হিসেবে বাছাই হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপে একটি অভয়ারণ্যে এই ছবিটি তোলা হয়।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাঁদরটির নাকের দৈর্ঘ্যও বাড়তে থাকবে। বড় নাকের সাহায্যে তার ডাকও বেশি শোনা যাবে। এবং বাঁদরের দলের মধ্যে তার অবস্থানকেও পরিষ্কার করবে।

ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতায় শুধু বন্য প্রাণীর ছবি তোলা হয় না।
ইউরোপের জীবন্ত আগ্নেয়গিরি ইতালির মাউন্ট এট্নার এই ছবিটি আর্থস এনভায়রনমেন্ট ক্যাটেগরিতে সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছে।
এই ছবি তোলার জন্য লুচিয়ানো গুয়াডেনজিওকে প্রচণ্ড তাপ এবং আগ্নেয়গিরির বিষাক্ত ভাপ সহ্য করতে হয়েছে।

ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতার সরিসৃপ বিভাগের এটি সেরা ছবি। এই গ্লাস ফ্রগ জাতের ব্যাঙটির মুখে মাকড়শা। হাইম এই ছবিটি তুলেছেন একুয়েডরের ম্যানডুরিয়াকু অরণ্যে। তখন প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। এর মধ্যেই তিনি এক হাতে ছাতা এবং ফ্ল্যাশ লাইট ধরে অন্য হাত দিয়ে ক্যামেরা পরিচালনা করেন।

উত্তর ফ্রান্সের নরমান্ডিতে এই ছবিটি তোলা হয়েছে। এর জন্য ক্যামেরায় বিশেষ ধরনের দ্রুত গতির শাটার ব্যবহার করা হয়েছে যাতে বোলতা দুটির পাখার ছবিকে ফ্রেমবন্দি করা যায়।

ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতার আন্ডার ওয়াটার বিভাগের সেরা ছবি। এটা একটা ডায়মন্ড-ব্যাকড স্কুইড। ফিলিপিন্সের আনিলাও উপকূলে জলের তলে রাতের বেলা সোংডা এই ছবিটি তোলেন। স্কুইডটি প্রায় ৬-৭ সেন্টিমিটার দীর্ঘ।

এই বন বিড়ালের বাচ্চাগুলিকে দেখা যায় উত্তর-পশ্চিম চীনের চিংহাই-তিব্বত মালভূমিতে। ছয় বছর ধরে অনুসরণের পর শানুয়ান এই ছবিটি তুলতে সমর্থ হন।

যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে হতে পারে সারের সংকট

বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য

নাসিরনগরে বন্যায় তলিয়ে গেল কৃষকের বাদামখেত

পানি দিতে অতিরিক্ত টাকা

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

‘শিক্ষিত কৃষক’ বলেই তাঁকে নিয়ে মানুষের আগ্রহটা বেশি

ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বীজ কিনে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত

বোরো কাটতে বাড়তি খরচ ঃ হাসি নেই কৃষকের মুখে

পেঁয়াজের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে সাথি ফসল বাঙ্গি

নিরাপদ খাদ্য: দেশি মাছ কাকিলাকে যেভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা

স্মার্ট ডিভাইসে মাছ চাষে বিপ্লব

চীনে পানিবিহীন হাঁসের খামার

কলাপাড়ায় ৩০ মণ জাটকা জব্দ

ফরিদপুরে ধানের ভালো দামে কৃষকের মুখে হাসি

ধানে পোকার আক্রমণে দিশেহারা চাষিরা

ঠাকুরগাঁওয়ে চাষ হচ্ছে ‘ব্ল্যাক রাইস’

মানুষের নিষ্ঠুরতা থেকে কুকুরকে উদ্ধার করলো গরু

হাই প্রেসার কমানোর সহজ ৫ উপায়

অসময়ের বন্যায় সব শেষ তিস্তাপাড়ের কৃষকের

পাবনায় পাঁচ মাসে ৫ কোটি টাকার শামুক বিক্রি
শীর্ষ সংবাদ
-
বাংলাদেশে ‘প্রায় বিলুপ্তি’র পথে ১০০-এর বেশি দেশীয় মাছ – দা এগ্রো নিউজ
-
মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির উদ্ভাবন বাংলাদেশি তরুণের
-
অর্গানিক খাদ্য: বাংলাদেশে বাড়ছে চাহিদা কিন্তু মান নিশ্চিত হচ্ছে কী?
-
ভারতের কঠোর পদক্ষেপ যেভাবে বাংলাদেশের গরু খামারিদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে গেল
-
পরিবারের সদস্যদের জন্য ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতেই ছাদে বা বারান্দায় ফল,সবজি চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন মানুষ
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন