বিশ্ব
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?
লেখক
জাগোনিউজ২৪.কমকানাডা
যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন জয়ী হওয়ায় বাড়ির পাশে যেন নতুন বন্ধু ফিরে পেয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো।
মার্কিন নির্বাচনে যে-ই জিতুক, দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ঘোষণা দিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তবে ভোটে ডেমোক্র্যাটরা জেতায় অটোয়া যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে, তা নিশ্চিন্তে বলা যায়!
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় কানাডা-যু্ক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কঠিন হয়ে উঠেছে। যদিও কিছু সাফল্যও রয়েছে। তারা মেক্সিকোসহ তিন দেশের মধ্যে উত্তর আমেরিকান মুক্তবাণিজ্য চুক্তি ফিরিয়ে এসেছে।তবে জাস্টিন ট্রুডো এটা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক যোগসূত্র অনুভব করেন। সম্প্রতি কানাডার নির্বাচনে ট্রুডোর হয়ে প্রচারণাও চালিয়েছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। ফলে ওবামার ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রতিবেশী দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক দেখা যেতে পারে। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন ও বহুপাক্ষিকতার মতো ইস্যুগুলোতেও ট্রুডোকে পাশে পাবেন জো বাইডেন।
তবে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে কানাডার কিছু বিষয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলবার্তা-টেক্সাসের মধ্যে তেল পাইপলাইন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন। কানাডার সংকটাপন্ন জ্বালানি খাত বাঁচাতে এ প্রকল্প বড় সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটির বিরোধিতা করেছিলেন বাইডেন।
এছাড়া, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে রুগ্ন অর্থনীতি বাঁচাতে জো বাইডেনের শুধু দেশীয় পণ্য ক্রয় নীতিতেও বিপদে পড়তে পারে কানাডা।শেষ হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। পপুলার ভোটে এগিয়ে থাকার পরে ইলেকটোরাল ভোটেও বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা এখনও বাকি, তাছাড়া পরাজয় মেনে নেননি ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তারপরও ইতোমধ্যেই বিশ্ব রাজনীতিতে বইতে শুরু করেছে পরিবর্তনের হওয়া।
বাইডেন হোয়াইট হাউসে বসার পর কেমন হতে পারে বিশ্ব পরিস্থিতি- এ নিয়ে একটি বিশদ প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। দেখে নেয়া যাক সেই প্রতিবেদনের কিছু অংশ-চীন
অনেকেই ভাবতে পারেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত না হওয়ায় বেইজিং খুবই খুশি। চীনের সঙ্গে অভূতপূর্ব বাণিজ্যযুদ্ধ, একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, করোনাভাইরাস মহামারির জন্য দোষারোপ- এমন অনেক কারণেই হোয়াইট হাউসের ওপর চীন সরকার ক্ষেপে থাকা স্বাভাবিক।
তবে কিছু বিশ্লেষক বলছেন, আদতে জো বাইডেন নির্বাচনে জিতে যাওয়ায় ভেতরে ভেতরে অখুশিই হয়েছে চীন। এটা ট্রাম্পের প্রতি তাদের ভালোবাসা নয়, বরং নিজেদের স্বার্থেই।
নিজ দেশে বিভাজনকারী, বিদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী- ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশ্বে মার্কিন ক্ষমতার পতনের মূর্ত প্রতীক বলে মনে করে বেইজিং। ফলে ট্রাম্প আরও চার বছর ক্ষমতায় থাকলে চীনাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থ হাসিলে বেশ সুবিধাই হতো।
জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বড় ইস্যুগুলোতে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন জো বাইডেন। এ থেকে কিছুটা সুবিধা নেয়ার সুযোগ রয়েছে চীনের সামনে। তবে, এ ডেমোক্র্যাট নেতা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা চীনের ওপর প্রভাব বিস্তারে ট্রাম্পের ‘একলা চলো’ নীতির চেয়ে বেশি কার্যকর হতে পারে।ভারত
যুক্তরাষ্ট্রের বহু পুরনো মিত্র ভারত। বাইডেন ক্ষমতায় আসলে সেটি পুরোপুরি বদলে যাওয়ার তেমন কোনও সম্ভবনা নেই।
তবে গত চার বছরে ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে রসায়ন ছিল, বাইডেনের ক্ষেত্রে সেটি না-ও হতে পারে।
ট্রাম্প বরাবরই মোদির কট্টর সমর্থক ছিলেন। ভারতে মুসলিম নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে কখনোই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি তিনি।তবে এ বিষয়ে সরব ছিলেন জো বাইডেন। তার প্রচারণা ওয়েবসাইটে ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পুনর্বহাল, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
এমনকি ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদ্য-নির্বাচিত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও ভারতের হিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদী সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
যদিও চেন্নাইয়ে বড় হওয়া এ ডেমোক্র্যাট নেতা হোয়াইট হাউসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় প্রচণ্ড খুশি ও গর্ববোধ করছেন ভারতীয়রা।উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন একসময় জো বাইডেনকে ‘পাগলা কুকুর’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এখন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে খোঁচাতে হয়তো আরও সতর্ক হবেন তিনি।
কিম হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পকে দেখলেই খুশি হতেন, এটা সহজেই অনুমেয়। দুই নেতার আন্তরিক দৃশ্যমান একাধিক বৈঠক এবং হাস্যোজ্জ্বল ফটোশুট দেখে তেমনটা মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয়। যদিও এই সময়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে খুবই কম। দুই পক্ষের কেউই তাদের দাবি-দাওয়া আদায় করতে পারেনি। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি চালিয়ে গেছে, যুক্তরাষ্ট্রও একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
জো বাইডেন কিম জং উনের সঙ্গে যেকোনও আলোচনার আগে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন।
ফলে অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন, বাইডেন প্রশাসন এত শিগগিরই পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে যাবে না। সেক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত সম্পর্ক আবার ফিরে আসতে পারে।যুক্তরাজ্য
বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন এবং দাপুটে ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসনের মধ্যে খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে- এমনটা মনে করেন না বিশ্লেষকরা।
২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বছরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। তৎকালীন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার বস বারাক ওবামা স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, তারা ব্রেক্সিটের পক্ষে নন।ডোনাল্ড ট্রাম্প বরিস জনসনকে ‘ব্রিটেনের ট্রাম্প’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন, মনে আছে তো? বাইডেন এই কথার সঙ্গে একমতও হয়েছিলেন। তিনি জনসনকে ট্রাম্পের শারীরিক ও মানসিক ক্লোন বলে উল্লেখ করেছিলেন।
ফলে জো বাইডেন ব্রাসেলস, বার্লিন, প্যারিসের তুলনায় লন্ডনের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন, সেটা বলাই বাহুল্য।
যদিও, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক বহুদিনের। ফলে ভিন্নমতের হলেও বাইডেন-জনসন দেশের স্বার্থে কিছু ক্ষেত্রে মতৈক্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে পারেন।রাশিয়া
কিছুদিন আগেই রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন জো বাইডেন। এ কথা ক্রেমলিনের কানে পৌঁছাতে বাকি নেই নিশ্চয়!
বাইডেনের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য নতুন নয়। ২০১১ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বাইডেন বলেছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জায়গায় তিনি হলে আর কখনোই নির্বাচন করতেন না। সেটাই দেশ ও নিজের জন্য ভালো হতো। পুতিন সেই কথা অবশ্যই ভুলে যাননি।ভূ-রাজনৈতিক স্বর্গ তৈরিতে বাইডেন-পুতিনের মধ্যে তেমন কোনও মিল-মোহাব্বত নেই। মস্কোর ভয়, বাইডেন ক্ষমতায় থাকা মানে ওয়াশিংটন থেকে আরও বেশি চাপ ও নিষেধাজ্ঞা নেমে আসা।
তাছাড়া, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপেই ট্রাম্প জয় পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এবার ডেমোক্র্যাটরা হোয়াইট হাউসে ফেরার পর সেই ঘটনার শোধ নেয়ার চেষ্টা করবে না, তারই বা গ্যারান্টি কী?জার্মানি
মার্কিন নির্বাচনে জো বাইডেন জেতায় যেন হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে জার্মানি!
পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, জার্মানির মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ বৈদেশিক নীতির প্রশ্নে ট্রাম্পের ওপর ভরসা করেন।
বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় জার্মানিতেই সবচেয়ে অজনপ্রিয় ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি, দেশটিতে পুতিন ও শি জিনংপিংয়েরও তার চেয়ে বেশি ভক্ত রয়েছে।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুক্তবাণিজ্যের ক্ষতিসাধন এবং জার্মানি অর্থনৈতিকভাবে যেসব বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে, সেগুলো ধ্বংসের অভিযোগ রয়েছে। চীনের সঙ্গে তার বিরোধ জার্মান ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতির মুখে ফেলেছে।
চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কও কখনোই খুব একটা ভালো ছিল না। ফলে জার্মানরা হোয়াইট হাউস থেকে রিপাবলিকানদের বিদায়ে খুশি হয়েছে, তা নিশ্চিত।ইরান
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কিছুদিন আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, পুনর্নির্বাচিত হলে তার কাছে প্রথমে যে ফোনকল আসবে, সেটি হবে ইরানি নেতাদের কাছ থেকে।
ট্রাম্প যদি নির্বাচনে জিততেনও, তবুও ওই ফোনকল কখনো যেত না। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করা ইরানের জন্য একপ্রকার অসম্ভব, তারচেয়ে বেশি হতো অপমানজনক।
ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় ইরানের অর্থনীতি একেবারে খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারচেয়েও ভয়াবহ ব্যাপার, ইরানের একসময়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও জনপ্রিয় নেতা জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করিয়েছেন তিনি। সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ এখনও ইরানিদের কাছে অন্যতম বড় এজেন্ডা।
তবে, জো বাইডেনের শাসনামলে আবারও আলোচনায় ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে ইরানের সামনে। বাইডেনও আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে যাবেন এবং এক্ষেত্রে কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বন করবেন।মধ্যপ্রাচ্য ও ইসরায়েল
মধ্যপ্রাচ্যের দ্বি-বিভক্ত রাজনীতিতে জোর হাওয়া লাগিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী মিত্রদের পুরস্কৃত করেছেন, একই সময় সাজা দিয়েছেন তেহরান ঘনিষ্ঠদের।
ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতি যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলেন, এবার প্রেসিডেন্ট হয়ে সেটিকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কমাতে পারেন, যোগ দিতে পারেন ২০১৫ সালের বহুজাতিক পারমাণবিক চুক্তিতে। এটাই ইসরায়েল এবং সৌদি আরব-আরব আমিরাতের মতো উপসাগরীয় দেশগুলোকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।বাইডেনের শাসনামলে নাটকীয় পরিবর্তন আসতে পারে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে। ট্রাম্প বরাবরই প্রবলভাবে ইসরায়েলের সমর্থন করেছেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের নতুন বসতি স্থাপনে উৎসাহ দিয়েছেন। এসবের জেরে আরবের একাধিক দেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
জো বাইডেনের শাসনামলেও সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের এই ধারা চলতে পারে। তবে তিনি উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছে বিতর্কিত অস্ত্র বিক্রয় কমানো এবং ইসরায়েলিদের কাছ থেকে আরও বেশি ছাড় আদায় করতে পারেন। অধিকৃত ভূমিতে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনেও আপত্তি জানাতে পারেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা।মিসর
মিসরের সেনা-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বেশ দহরম মহরম ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। কিন্তু রিপাবলিকান নেতার বিদায়ে এখন হোয়াইট হাউসের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়তে হবে মিসরীয় প্রেসিডেন্টকে।
সিসির সমালোচকদের অভিযোগ, মিসরে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে চোখে কালো চশমা পরে ছিল ট্রাম্প প্রশাসন।যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতিবছর ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা পেয়েছে মিসর। ২০১৭ সালে মানবাধিকার প্রশ্নে এর সামান্য অংশ স্থগিত হলেও ওই বছরই তা ছেড়ে দেয়া হয়।
জো বাইডেনের বিজয়ে নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। কর্মীদের আশা, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধীদের দমন-পীড়নের প্রশ্নে মিসরের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
-
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?
-
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?
-
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?
-
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?
-
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?
-
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?
-
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?
-
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?
-
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?
-
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?
-
বাইডেনের বিজয়ে কী ঘটবে বাকি বিশ্বে?

আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
-
জাদু করা কুফরি ও কবিরা গোনাহ
-
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত পাত্রখলা লেক
-
মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে ভাবনা
-
কেন্দুয়ায় অতিরিক্ত খাবার খেয়ে কৃষকের ৩ গরুর মৃত্যু
-
রজব মাসে যে দোয়া পড়তে বলেছেন বিশ্বনবি
-
জমি কিনেও নৌকায় বসবাস, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
-
জান্নাতে যেতে হজরত আলির ৬ উপদেশ
-
ঘোড়াঘাটে সরকারি জমিতে দোকান-ঘর নির্মাণের অভিযোগ
-
রজবের ফজিলত, মর্যাদা ও আমল
-
রাজশাহীর কৃষকের সুদিন ফিরেছে পাট চাষে

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পাত্রখলা চা বাগানের ১৮নং সেকশনে অবস্থিত পাত্রখলা লেক। লেকটির চারপাশে উঁচু উঁচু টিলা আর চা বাগান। এই শীতের আগমন ঘটেছে অতিথি পাখির।
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি পাত্রখলা লেক। লেকের মনোরম সৌন্দর্য আর পাখির কলরব শোনতে পর্যটকদের ভিড় রয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, চারপাশে উঁচু টিলা আর চা বাগানের বাঁকের লেকে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলা পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ। নানা বর্ণের ছোট-বড় পরিযায়ী পাখি। সব মিলিয়ে পাত্রখলা লেকে এক অন্য রকম আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। পাত্রখলা চা বাগান ফ্যাক্টরির সামনের রাস্তা দিয়ে চা বাগানের মধ্যদিয়ে আঁকা-বাঁকা রাস্তা ধরে এগোলেই দেখা মিলে উঁচু উঁচু টিলা। টিলা বেয়ে নিচে নামলেই দেখা মিলবে এদের। নিজেরা বাঁচার প্রয়োজনে হাজার-হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে বছরের এ সময়টাতে এখানে আসে। অনেকেই আবার দুই-আড়াই মাস পর চলে যায়। কেউ বা স্থায়ীভাবে থেকে যায়।
ভোরের শিশির সিক্ত চারিদিকে সবুজ চা-বাগানে পাখিদের কলতান পাখিপ্রেমীদের করে তুলছে চঞ্চল। পাখি দেখতে দেখতে সকাল-দুপুর-বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে পাখিদের অগোচরেই। পাখিদের ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানো ও লেকের পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি এ যেন এক অন্য রকম সৌন্দর্য। এসব দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ছুটে আসছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।
পাখিদের মধ্যে রয়েছে কালকোর্ট, পানকৌড়ি, ধনেশ পাখি, সাপ পাখি, মচরাংগা ভূতি হাঁস, সাদা বক, লালচে বক, পাতারি হাঁস, জলকুট, খয়রা, কাললেজ জহুরালীসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখি।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের মাচিয়ালী গ্রামের আব্দুল আউয়াল নামের এক কৃষকের তিন গরুর মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে কৃষক আব্দুল আউয়ালের ছোট ভাই পল্লী চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, আমার ভাইয়ের গোয়ালে চারটি গরু ছিল। প্রতিদিনের মত বুধবার (১০ফেব্রুয়ারী) তরল জাতীয় খাবার (পানি ও ভুসি) দিয়ে খাবার খেতে দেয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ গরু গুলি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তিনটি গরুরই মৃত্যু হয়। অপর একটি গরুকে চিকিৎসা দেয়ার পর প্রাণে বেঁচে যায়।
গরু তিনটির বাজার মুল্য প্রায় ১৭০ হাজার টাকার মতো হবে। এতে করে কৃষক আব্দুল আউয়াল বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা প্রণীসম্পদ কর্মকর্তা খোশেদ আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে চিকিৎসক দল পাঠানো হয়েছে। পরে তারা ওই কৃষকের গরুগুলো দেখে এবং কৃষকের সাথে কথা বলে জানতে পারে, গরু গুলি অতিরিক্ত মাত্রায় তরল জাতীয় খাবার (পানি ও ভুসি) খেয়ে ফেলে। যে কারনে ওই কৃষকের তিনটি গরুর একসাথে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাছাড়া মৃত্যুর অন্য কোনও কারণ আছে কিনা সে কারণে আমরা মৃত গরুর আলামত সংগ্রহ করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নৌকায় মানুষ পারাপার করে একখণ্ড জমি কিনেছিলেন মিলন নেছা (৫২)। কিন্তু সে জমিতে ঘর নির্মাণ করতে পারেননি তিনি। নৌকায়ই ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকেন। খবরটি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রধানমন্ত্রীর। পরে তার কার্যালয় থেকে মিলন নেছাকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মিলন নেছার ঘরের কাজের উদ্বোধন করেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান।
তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর ও জমি প্রদানের কার্যক্রম নিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে আজ আমরা শরীয়তপুরের নারী খেয়াঘাটের মাঝি মিলন নেছাকে একটি ঘর করে দিচ্ছি।’এ সময় গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক ঢালী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলমগীর হুসাইন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের সদস্য জাকির হোসেন দুলাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল খায়ের শেখ, গোসাইরহাট পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী আকবর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলী আকবর বলেন, ‘মিলন নেছা নদীতে নৌকা চালিয়ে মানুষ পারাপার করতেন। তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের নজরে আসে।’
দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে জয়ন্তী নদীতে নৌকায় বসবাস করছেন মিলন নেছা। আট বছর যাবত নদীতে মানুষ পারাপার করছেন। মিলনের যখন বয়স ২২ বছর, তখন তার বাবা মারা যান। তারা তিন বোন ও তিন ভাই। বাবার পথ অনুসরণ করে ওই বয়সেই সংসারের হাল ধরতে মাঝির কাজ শুরু করেন মিলন। প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করেন। তাছাড়া দুই পারের কিছু মানুষ বছরে যা ফসল পায় তার একটি অংশ দিয়ে সহযোগিতা করেন মিলনকে।
নৌকায়ই রান্না-খাওয়া, নৌকায়ই বসবাস তার। নৌকা পারাপার করে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছেন। জীবনের শেষ সঞ্চয় দিয়ে ছয় শতক জমিও কিনেছেন তিনি। কিন্তু ঘর তুলতে পারেননি। তার স্বামী রহম আলী সরদার ১৫ বছর আগে তাকে ও দুই ছেলেকে রেখে অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। বড় ছেলে আব্দুল খালেক (২৬) বিয়ে করে আলাদা থাকে। নদীর পাড়ে ছাউনি নৌকায় ছোট ছেলে আব্দুল মালেককে (২২) নিয়ে থাকেন তিনি।
এদিকে ঘর বরাদ্দ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মিলন নেছা বলেন, ‘আগে নৌকায় মানুষ পারাপার করতাম, নৌকায়ই থাকতাম। সাংবাদিকরা আমার কষ্ট দেখে, নিউজ করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ঘর দিছে। সন্তানদের নিয়ে ঘরে থাকবো। আমি খুবই খুশি।’

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে দোকান ঘরের স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বারপাইকের গড় মাজার কমিটির সভাপতি আবুল কালাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার ঐতিহাসিক বারপাইকেরগড়ে অবস্থিত প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতাধীন বারপাইকের গড় মাজার শরিফের সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গার উপর উপজেলার মগলিশপুর মিরাপড়া এলাকার ইব্রাহিম আলী ও বারপাইকেরগড় গ্রামের শাহাজান আলীসহ আরও অনেকে অবৈধভাবে জবর দখল করে দোকান ঘরের স্থাপনা নির্মান করছে। এতে মাজার কমিটির লোকজন বাধা দিতে গেলে কমিটির লোকজনকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় অবৈধ দখলকারীরা। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চীনে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে মানুষের কাছে নকল ভ্যাকসিন বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র। এ ভ্যাকসিন বিক্রি করে তারা হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
সম্প্রতি এ চক্রের ৮০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চীনের কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে- জিয়াংশু, বেইজিং এবং শানডং এলাকা থেকে অন্তত ৮০ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। অভিযুক্তরা অন্তত তিন হাজার ডোজ নকল ভ্যাকসিন বানিয়েছিল।
তারা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইনজেক্টরগুলোতে স্যালাইন ভরে করোনার ভ্যাকসিন নামে বাজারজাত করতো। আর সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।

জাদু করা কুফরি ও কবিরা গোনাহ

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত পাত্রখলা লেক

মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে ভাবনা

কেন্দুয়ায় অতিরিক্ত খাবার খেয়ে কৃষকের ৩ গরুর মৃত্যু

শ্রীমঙ্গলের ৯৫ হেক্টর জমিতে নাগা মরিচ চাষ

রজব মাসে যে দোয়া পড়তে বলেছেন বিশ্বনবি

জমি কিনেও নৌকায় বসবাস, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

জান্নাতে যেতে হজরত আলির ৬ উপদেশ

ঘোড়াঘাটে সরকারি জমিতে দোকান-ঘর নির্মাণের অভিযোগ

রজবের ফজিলত, মর্যাদা ও আমল

ছাদ বাগানে টবের মাটি তৈরির পদ্ধতি

নিজের উৎপাদিত সবজি আমিরাতে রপ্তানি করছেন ধোনি

মোস্তফা কামালের সেই গাড়ি দেখতে গেলেন বুয়েটের অটো মোবাইল টিম

এই শীতে টবের গাছের যত্ন নেবেন যেভাবে

বিশ্বরেকর্ড গড়ে চার মাস বয়সী এই গরু বিক্রি হলো ৩ কোটিতে!

দেশে এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুরগির চাষ হচ্ছে

পাথরঘাটায় ৩শ’ হাঙ্গর জব্দ, ১৩ জেলের জরিমানা

কুমিল্লায় গরুর খামার গড়ে তরুণ খামারির সাফল্য

ব্রোকলি চাষে নতুন সম্ভাবনা জাগিয়েছে কৃষকরা

টমেটো বেশি খেলে যেসব মারাত্মক রোগ হতে পারে

পলিনেট হাউজে আধুনিক পদ্ধতিতে জারবেরা ফুল চাষ

জনপ্রিয় হচ্ছে স্কোয়াশ চাষ (ভিডিও)

উন্নতবিশ্বের আধুনিক দুগ্ধ খামার নাহার ডেইরি ফার্ম

বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবস নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান

ডরপার ভেড়া এবং বোর জাতের ছাগল জানান দিচ্ছে নতুন সম্ভাবনা

দেশের মাটিতে এবার জি-নাইন কলার আবাদ

১৮ বছরে হৃদয়ে মাটি ও মানুষ

কুমিল্লার আবু রাজীব মারুফের সফল গরুর খামার

পুকুরে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন