বিশ্ব
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
লেখক
জাগোনিউজ২৪.কমনিজেদের পছন্দের নেতা ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছে আমেরিকার জনতা। এখন তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ। ছবিতে দেখুন জো বাইডেনের জয়ের পরে আমেরিকানদের উল্লাস।
বাইডেন-হ্যারিস জুটি যে আমেরিকাকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাবে, সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বহু সমর্থক। ডেলাওয়্যারে বহু দর্শকের চোখে দেখা গিয়েছে আনন্দাশ্রু। জয়ের উৎসবের আমেজটা আগে থেকেই ছিল ডেমোক্র্যাট শিবিরে। তবে তা সত্ত্বেও চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের মধ্যেও আনন্দের জোয়ারে গা ভাসাননি বহু সমর্থক। তবে আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট পদে জো বাইডেনের নির্বাচনের খবরটা সরকারিভাবে ঘোষিত হওয়ামাত্রই সেই বাঁধ ভেঙেছে। বাইডেন-হ্যারিস জুটির জয়ে উল্লাস মেতে উঠেছেন তারা। জো বাইডেন-কমলা হ্যারিস জুটির সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই আত্মহারা হয়েছেন সমর্থকেরাও। সরকারিভাবে ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট পকেটস্থ করার আগে থেকেই আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে জয়ের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন বাইডেন-সমর্থকেরা। পেনসিলভেনিয়ায় সরকারিভাবে জয় ঘোষণার আগেই রাস্তায় নেমেছেন অনেকে। জয়ের পরও দেখা গিয়েছে ওই রাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় পোস্টার হাতে নেমে পড়েছেন সেখানকার নানা সম্প্রদায়ের বাসিন্দা। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতীয় সময় রবিবার সকালে প্রথম ভাষণ দিয়েছেন বাইডেন। ডেলাওয়্যারে নিজের শহর উইলমিংটনের মঞ্চে ছিলেন তার জয়ের অংশীদার তথা ভাইস-প্রেসিডেন্টের পদে নির্বাচিত কমলা হ্যারিসও। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর আনন্দে যেন সংগীতের ছন্দে তাল মিলিয়েছেন তারা দু’জনা। নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে প্রথম থেকেই আমেরিকার সব মানুষের স্বার্থরক্ষার প্রতিশ্রæতি শোনা গিয়েছে বাইডেন-হ্যারিস জুটির মুখে। তার ফলও পেয়েছেন তারা। দেশের সংখ্যালঘু বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভোটে পেয়েছেন বাইডেন-হ্যারিস। নয়া জুটির সাফল্যে লস এঞ্জেলসের রাস্তায় নেমে পড়েছেন উচ্ছ্বসিত সমর্থকেরা। পরাজয়ের পরের দিনই যেন খানিকটা বেপরোয়া মনোভাব ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আমেরিকা জুড়ে ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের উল্লাসের মাঝেই হোয়াইট হাউসে গল্ফে মেতেছেন তিনি। এই নির্বাচনী লড়াই যে এখনো বাকি, সে বিবৃতিও দিয়েছেন ট্রাম্প। এ দিন বিজয়ীর ভাষণে একে অপরকে ফের একটা সুযোগ দেয়ার কথা শোনা গিয়েছে বাইডেনের মুখে। বিরোধী রিপাবলিকানদের দিকেও হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। আমেরিকার রাস্তাতেই মিলেমিশে আনন্দে মেতেছেন আম জনতা। ব্যলটে যারা সমর্থন জানাননি, তাদের হয়েও আগামী ৪ বছর কাজ করার অঙ্গীকার করতে শোনা গিয়েছে বাইডেনের কণ্ঠে। ডেলাওয়্যারের সভায় তার ভাষণ শুনে আপ্লুত জনতা রব তুলেছে, বা-ই-ডে-ন। হোয়াইট হাউসের লড়াইয়ে তুঙ্গে ওঠার আগে আমেরিকার মাটিতে ঘটে গিয়েছে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের খুনের ঘটনা। এতে আমেরিকার সমাজে নিহিত বর্ণবৈষম্যের নির্মম সত্য আবার সামনে এসে পড়েছে। গোটা বিশ্বের কাছে উত্তাল করা ওই ঘটনা নিয়ে ট্রাম্পের কণ্ঠে সহানুভূতি বা নিন্দার কোনোটাই শোনা যায়নি। অনেকের মতে, আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসকেই যেন অবহেলা করা হয়েছে তাতে। কমলা দেবী হ্যারিসকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করার মধ্যেই দিয়েই সমাজের একটি বড় অংশের কাছে যেন বার্তা দিতে চেয়েছেন বাইডেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত-আমেরিকান, এশীয়, হিসপ্যানিক, অভিবাসী অথবা এলজিবিটি সম্প্রদায় সমাজের সকল পক্ষের হয়ে মুখ খুলেছেন বাইডেন-হ্যারিস জুটি। আমেরিকার প্রথম মহিলা ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর আম জনতার উদ্দেশে কমলা হ্যারিস বলেছেন, ‘আশাভরসা, বিজ্ঞান, সংঘবদ্ধতা এবং সত্যকেই বেছে নিয়েছেন আপনারা।’ এই ঘটনা যে আমেরিকার ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে, তা-ও মনে করছেন সমর্থকে করোনার মতো মহামারি নিয়ে ট্রাম্পের লাগামছাড়া মনোভাবও তার বিপক্ষে গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। মাস্ক পরা নিয়ে তার বিরূপ মনোভাব অথবা আমেরিকায় সংক্রমণে রাশ টানতে ব্যর্থতাকেই ডেমোক্র্যাটরা ভোট জয়ে হাতিয়ার করেছেন। করোনা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ ট্রাম্পের বদলে বাইডেন-হ্যারিস জুটি যে সমর্থ হবেন, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আমেরিকার ভাবী ভাইস-প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা যে নতুন পথে চলতে প্রস্তুত, সে বিষয়েও আশাবাদী কমলা। আমেরিকার নির্বাচন বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ট্রাম্পকে ধরাশায়ী করতে বাইডেনের হাতে ৫টি অস্ত্র কাজে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, করোনা পরিস্থিতি সামলানো নিয়ে ২ নেতার দক্ষতা। ওয়াশিংটনের পিউ রিসার্ট সেন্টারের সমীক্ষায় দাবি, এ প্রসঙ্গে ভোটের আগে ট্রাম্পের থেকে ১৭ শতাংশ এগিয়ে ছিলেন বাইডেন। তিনবারের প্রচেষ্টার পর ওভাল অফিসে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন বাইডেন। অনেকের মতে, কোনো রকম শোরগোল ছাড়াই ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনে প্রচার করে যাওয়াটাও বাইডেনকে সাফল্য এনে দিয়েছে। ট্রাম্পের ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ইমেজ বা প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে কটূক্তির পরিবর্তে নিজেদের প্রতিশ্রুতিগুলো ভোটারদের কাছে তুলে ধরেছেন বাইডেন-হ্যারিস। অনেকের মতে, সমাজের বড় অংশের কাছেই তা গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে। বাইডেনের জয়ের পথে কাজে এসেছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াও। ৪ বছরে মেরুকরণের রাজনীতি, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষের মনোভাবের জবাবে বিরোধী পক্ষকে নিজেদের শত্রু না ভাবার বাইডেনের নীতির প্রশংসা করেছেন অনেকেই। ব্যালটের তারই প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। উদারনীতির বদলে মধ্যপন্থার পথ বেছে নেওয়াটাও বাইডেনের জয়ের পথ মসৃণ করেছে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকদের একাংশ। স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ বা বিনামূল্যে কলেজ শিক্ষাদানের মতো নীতি বেছে নেননি বাইডেন। এর ফলে সমাজের একটি বড় অংশের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে। প্রায় প্রতিটি ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার চালিয়েছেন বাইডেন। লকডাউনে ঘরবন্দি ভোটারদের আরও কাছে পৌঁছেছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে হোয়াইট হাউস ছিনিয়ে নিলেও বিরোধী পক্ষকে শত্রু ভাবতে নারাজ জো বাইডেন। বরং জেতার পর প্রথম ভাষণেই বিভাজনের রাজনীতিকে দূরে ঠেলে সংঘবদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকার শোনা গিয়েছে তার কণ্ঠে। ডেমোক্র্যাটদের নীল বা রিপাবলিকানদের লাল রঙে রাঙানো কতগুলো রাজ্য নয়, আমেরিকাকে অখণ্ড রাষ্ট্র হিসাবেই দেখেন বলেও জানিয়েছেন জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র। শুধুমাত্র সমর্থকেরাই নন, রানিং মেট হিসাবে একজন মহিলাকে বেছে নেয়ার জন্য বাইডেনের সাহসের তারিফ করেছেন কমলাও। নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে ট্রাম্পের বেপরোয়া মনোভাবকে বিশেষ গ্রাহ্যের মধ্যে আনছেন না ডেমোক্র্যাটরা। বিজয়ীর ভাষণ দিতে গিয়ে সমর্থকদের পাশাপাশি মুহূর্তের জন্য হলেও বাইডেনকেও দেখা গিয়েছে হাল্কা মেজাজে।
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস
-
বাইডেনের জয়ে রাজপথে জনতার উল্লাস

আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
-
যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে হতে পারে সারের সংকট
-
বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য
-
নাসিরনগরে বন্যায় তলিয়ে গেল কৃষকের বাদামখেত
-
পানি দিতে অতিরিক্ত টাকা
-
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি
-
‘শিক্ষিত কৃষক’ বলেই তাঁকে নিয়ে মানুষের আগ্রহটা বেশি
-
ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বীজ কিনে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত
-
বোরো কাটতে বাড়তি খরচ ঃ হাসি নেই কৃষকের মুখে
-
পেঁয়াজের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে সাথি ফসল বাঙ্গি
-
নিরাপদ খাদ্য: দেশি মাছ কাকিলাকে যেভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা


চলতি বোরো মৌসুমে সার কিনতে কৃষকদের সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে বেশি দিতে হয়েছে। আর সরকারকেও সার বাবদ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বাজেটে বরাদ্দের তিন গুণের বেশি—প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ এখন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার আমদানি নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
ধান, আলু ও সবজি চাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমওপি সারের ৬০ শতাংশ আনা হতো রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে। ওই দুই দেশ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ায় এখন বাংলাদেশকে এমওপি কিনতে হচ্ছে কানাডা থেকে। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া ও আমদানিতে অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশে সারের সংকট হতে পারে। ভর্তুকির চাপ সামলাতে বাংলাদেশকে সব ধরনের সারের খুচরা মূল্য বাড়াতে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিষয়ক সংস্থা ইউএসডিএর চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ‘বাংলাদেশে সার সরবরাহ ও ব্যবহারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এমওপি সারের ২০ শতাংশ সরবরাহ কমানো হলে সামনের বোরো মৌসুমে ধান, গম ও রবি মৌসুমের অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমতে পারে। এতে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এমনিতেই এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সারের কারণে নতুন করে যাতে আর সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ এম এম শওকত আলী, সাবেক কৃষিসচিব
তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, দেশে চলতি বোরো মৌসুমে নতুন করে আর সারের দরকার হবে না। সামনে আলুর মৌসুমে ইউরিয়া, এমওপিসহ অন্যান্য সারের চাহিদা বাড়বে। ওই সময়ের জন্য সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কানাডা ও মধ্যপ্রাচ্যের সার সরবরাহকারী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কানাডা থেকে মোট আট লাখ টন এমওপি সার আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। এ ব্যাপারে ওই দেশের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা স্মারক হয়েছে। ফলে এই সার নিয়ে সরকারের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। তবে সার বাবদ সরকারের বিপুল পরিমাণে ভর্তুকি বাড়ছে। এই চাপ নিয়েও সরকার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ওই ভর্তুকি দিয়ে যাবে।’
কমানো হয়েছে চাহিদা
বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে ৬৯ লাখ টন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি—এই চার ধরনের সার ব্যবহার হয় ৫৭ লাখ টন। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের ওই চার ধরনের সারের চাহিদা কমিয়ে ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টনে নামিয়ে আনা হয়েছে।
দেশে প্রয়োজনীয় সারের ৮০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর মধ্যে এমওপি সারের বড় অংশ আসে রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে।
প্রসঙ্গত, ওই চারটি প্রধান সার কৃষকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরে সরকার প্রাথমিকভাবে সারে ভর্তুকি বাবদ ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে গত ছয় মাসে সারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বেশির ভাগ সারের দাম তিন থেকে চার গুণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারকে ভর্তুকির পরিমাণ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা করতে হয়। কিন্তু অর্থবছরের শেষের দিকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে হিসাব করে দেখা হয়েছে, ভর্তুকির পরিমাণ এবার বেড়ে কমপক্ষে ৩০ হাজার কোটি টাকা গিয়ে দাঁড়াবে।
জিপসাম, জিংক সালফেট ও অ্যামোনিয়াম সালফেট ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সারে সরকার কোনো ভর্তুকি দেয় না। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছে তা বিক্রি করে থাকেন। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষককেও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।
সাবেক কৃষিসচিব এ এম এম শওকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমনিতেই এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সারের কারণে নতুন করে যাতে আর সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আর সরকারের অন্যান্য খাতের ভর্তুকি কমিয়ে প্রয়োজনে সারে ভর্তুকি বাড়াতে হবে, যাতে সারের দাম কম থাকে। কারণ, কৃষকের হাতে এখন টাকা কম। বিশ্ববাজার থেকেও খাদ্য আমদানি করা সামনের দিনে আরও কঠিন হতে পারে। ফলে দেশের উৎপাদন ঠিক রাখতে সারের দাম ও জোগান ঠিক রাখা উচিত।
এগ্রোটেক
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি
লেখক
প্রথম আলো
ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।
গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।
আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।
আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।
কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।
কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।

মেহেরপুর: পতিত ও অনুর্বর বেলে মাটির জমিতে চিনাবাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের চাষিরা। ফলন ও বাজার দর ভালো এবং কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন এই এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদামের চাষ।
সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা, শ্যামপুর, টেংগারমাঠ ও গোপালপুর গ্রামের অধিকাংশ জমির মাটি বেলে। ফলে এই এলাকার চাষিরা ধান, গম, পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না।
ধান কাটার পর এ সব জমি সাধারণত পতিত থাকে। এজন্য ৯০ দিনের ফসল হিসেবে অল্প খরচে বাদাম চাষ করছেন এলাকার চাষিরা।
মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার বাদাম চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। এবার এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে চাষিদের খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা সেক্ষেত্রে বাদামের ফলন হয়েছে ৬ থেকে ৭ মণ। আর এ ফলনে প্রায় ২০ হাজার টাকা ঘরে তুলছেন তারা। বাজারে প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ২৭শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের বাদাম চাষি খাঁজা আহমেদ, কাওছার আলী ও ফিরোজ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এলাকার মাটি বেলে হওয়ায় সাধারণত সবজি, আলু ও অন্যান্য ফসল চাষ করার পর জমি পতিত থাকে। সে সময়ে চিনা বাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে খরচ কম এবং উৎপাদন ও বাজার দর ভাল। তাই দিন দিন চাষিরা তাদের পতিত জমিতে চিনা বাদামের চাষ শুরু করছেন।
এছাড়া বাদাম ছাড়ানো, শুকানোসহ যাবতীয় কাজ করে থাকেন এখানকার নারীরা। বাদামের গাছ আবার শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করছেন গৃহিণীরা।
নারী শ্রমিক সাহানা খাতুন ও জরিমন নেছা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাদাম ছাড়ানো ও শুকানোর কাজ করে থাকি। এলাকার ২৫/৩০ জন নারী শ্রমিক এ কাজ করে আসছেন।
গৃহিণী সাজেদা খাতুন ও জামেলা খাতুন জানান, বাদামের লতা জালানি হিসেবে বেশ ভাল। তাই লতাও বিক্রি হচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, চিনা বাদামের চাষ সাধারণত পতিত জমিতে হয়ে থাকে। এলাকার চাষিরা এই জমিতে বাদামের চাষ করে বাড়তি আয় করছেন। তাই বাদাম চাষ যাতে আরও সম্প্রসারিত হয় সেজন্য কৃষি বিভাগ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে।

সিলেট বিভাগের উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিক জমিতে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানিরা মৌলভীবাজারের আকবরপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন। এ ফুল চাষ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, যশোরে বাণিজ্যিকভাবে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়। যার বাজার দর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। যশোরের ফুল সারাদেশের পাশাপাশি সিলেটেও আসে প্রচুর। সিলেটে ফুলের বাজার শত কোটি টাকার উপরে। কিন্তু সিলেটে ফুলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে হয় না।

সিলেট বিভাগের মাটি অ্যাসিডিক হওয়ায় ফুল চাষ করা যাবে না, সেটাই ছিল প্রচলিক ধারণা। কিন্তু এ ধারণাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে ভুল প্রমাণ করেছেন মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের একদল গবেষক। মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিটিক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন তারা। এ পরীক্ষামূলক চাষে ফলনও হয়েছে ভালো। তাই সিলেট অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলে অনেক জায়গা অনাবাদি ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। প্রবাসীরা দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাদের অনেক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। এ জমিকে আবাদের আওতায় আনতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের উদ্যোগ নিয়ে আগ্রহী ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আমন ধান কাটার পর এ অঞ্চলের অনেক জমি পতিত থাকে। ফলে ফুল চাষ করে অনাবাদি জমি থেকে কোটি টাকা উপার্জন সম্ভব।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিরানা আক্তার সুমি জানান, চাষিরা প্রশিক্ষণ শেষে অনেক কিছু শিখেছেন। কী পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হয়, তা জেনেছেন। ধানের চেয়ে যেহেতু ফুলের দাম বেশি, তাই ফুল চাষে তাদের আগ্রহ বাড়ছে।

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সরফ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভালোভাবে জমি চাষ করে নির্দেশিত মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়। অন্য ফসলের মতোই এর চাষ পদ্ধতি সহজ। বেড তৈরি করে ফুল চাষ করতে হয়। প্রতিটি বেডের দৈর্ঘ যে কোন মাপের হতে পারে। তবে প্রস্থে ১.২-১.৫ মিটার হলে ভালো।’

তিনি বলেন, ‘কলম (বীজ) লাগানো থেকে তিন মাস পর স্টিক সংগ্রহ শুরু হয়। সংগ্রহ করা যাবে পরবর্তী ২৫ দিন। গ্লাডিওলাস ৫টি জাতসহ মোট ১২টি প্রজাতির ফুলের পরীক্ষা করে আমরা সফল হয়েছি।

সবুজ বিপ্লবের সময়ে পেস্টিসাইড ব্যবহারকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জীব বৈচিত্র্য, মাটির স্বাস্থ্য ও ফসলের গুণমানতা। এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে, এত রাসায়নিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করা কি ঠিক হচ্ছে? এ প্রশ্ন শুধু ভারতে নয়, সারাবিশ্বের কৃষকসমাজ ও শস্যবিজ্ঞানীদের কাছে। তাই মনে হয় জৈব নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে সুসংহত রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণ আগামী দিনে একমাত্র সমাধানের রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
চলমান খরিফ মরসুমে আমাদের রাজ্যে প্রধানত ধান, খরিফ পেঁয়াজ, জুট, ইক্ষু, তিল ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়ে থাকে। এ রাজ্যে ধানে ঝলসা রোগের আক্রমণ একটি গুরুতর বিষয়।
জৈব পদ্ধতিতে এই রোগ দমন করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। ৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেলে ৮৫ গ্রাম থেঁতলানো রসুন মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ৯৫০ মিলি. জল ও ১০ মিলি. তরল সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে বোতলে রেখে দিতে হবে। ১৯ লিটার জলের সাথে ১ ভাগ মিশ্রণ মিশিয়ে সকালে/বিকেলে স্প্রেয়ার দিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করতে হবে।
এই মিশ্রণটি আমেরিকান বোল ওয়ার্ম, আর্মি ওয়ার্ম, পেঁয়াজ-এর চিরুনি পোকা, আলুর টিউবার মথ, রুট নট নিমাটোড (কৃমি), আখের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, ডাউনি মিলডিউ ও ধানের ঝলসা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।
এছাড়া বিভিন্ন ধরণের পাতা খেকো পোকা ও জাব পোকা নিয়ন্ত্রণে ১ কেজি পেঁয়াজ থেঁতো করে ১ লিটার জলের সাথে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দেবার পর কচলিয়ে রস নিংড়ে নিতে হবে। প্রাপ্ত নির্যাসের সাথে ১০ লিটার জল মিশিয়ে আক্রান্ত ফসলে স্প্রে করতে হবে।
জৈব সার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার, শাকসব্জী ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম-এর সাথে অণুখাদ্যের যোগান দেয়।
জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকগুলি ফসলে কোনওরকম দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ব্যতিরেকে, পোকা ও রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উর্বরতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।
বন্ধুপোকা মাকড়ের (পরজীবি ও পরভোজী) সংরক্ষণের জন্য জমির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় ত্রিধারা, উঁচুটি, শালিঞ্চে ইত্যাদি আগাছা জাতীয় গাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে রাসায়নিক কৃষি বর্জন করে প্রাণ বৈচিত্র্য নির্ভর জৈব কৃষির মাধ্যমে খাদ্যে সার্বভৌমত্ব আনা সম্ভব। তাই জৈব কৃষির পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে কৃষিবিষমুক্ত, স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয়।

যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে হতে পারে সারের সংকট

বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য

নাসিরনগরে বন্যায় তলিয়ে গেল কৃষকের বাদামখেত

পানি দিতে অতিরিক্ত টাকা

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

‘শিক্ষিত কৃষক’ বলেই তাঁকে নিয়ে মানুষের আগ্রহটা বেশি

ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বীজ কিনে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত

বোরো কাটতে বাড়তি খরচ ঃ হাসি নেই কৃষকের মুখে

পেঁয়াজের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে সাথি ফসল বাঙ্গি

নিরাপদ খাদ্য: দেশি মাছ কাকিলাকে যেভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা

স্মার্ট ডিভাইসে মাছ চাষে বিপ্লব

চীনে পানিবিহীন হাঁসের খামার

কলাপাড়ায় ৩০ মণ জাটকা জব্দ

ফরিদপুরে ধানের ভালো দামে কৃষকের মুখে হাসি

ধানে পোকার আক্রমণে দিশেহারা চাষিরা

ঠাকুরগাঁওয়ে চাষ হচ্ছে ‘ব্ল্যাক রাইস’

মানুষের নিষ্ঠুরতা থেকে কুকুরকে উদ্ধার করলো গরু

হাই প্রেসার কমানোর সহজ ৫ উপায়

অসময়ের বন্যায় সব শেষ তিস্তাপাড়ের কৃষকের

পাবনায় পাঁচ মাসে ৫ কোটি টাকার শামুক বিক্রি
শীর্ষ সংবাদ
-
বাংলাদেশে ‘প্রায় বিলুপ্তি’র পথে ১০০-এর বেশি দেশীয় মাছ – দা এগ্রো নিউজ
-
মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির উদ্ভাবন বাংলাদেশি তরুণের
-
অর্গানিক খাদ্য: বাংলাদেশে বাড়ছে চাহিদা কিন্তু মান নিশ্চিত হচ্ছে কী?
-
ভারতের কঠোর পদক্ষেপ যেভাবে বাংলাদেশের গরু খামারিদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে গেল
-
পরিবারের সদস্যদের জন্য ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতেই ছাদে বা বারান্দায় ফল,সবজি চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন মানুষ
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন