আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফল

বাংলাদেশে স্ট্রবেরি চাষের সম্ভাবনা ও পদ্ধতি

স্ট্রবেরি ফল হিসেবে সবার খুবই পরিচিত। এটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও খুবই সুস্বাদু ও বিভিন্ন খাবার ডেকোরেশনে ভীষণ জনপ্রিয়। স্ট্রবেরির উদ্ভিদতাত্বিক নাম Fragaria ananassa। স্ট্রবেরি ছোট ঝোপালো লতানো/গুল্ম প্রকৃতির গাছ থেকে হয়। এর শক্ত কোন ডালপালা বা কান্ড নেই। পাতা সবুজ, ছোট, কিনারা খাঁজকাটা, থানকুনি পাতার মতো; পাতার বোঁটাও লম্বা, সরু, নরম এবং বেশ বাহারি লোমশ। ঝোপের মধ্যেই ছোট ছোট ঘণ্টার মতো সাদা বা ঘিয়া রঙের ফুল ফোঁটে। সরু সুতার মতো বোঁটার মাথায় একটি একটি করে ফল ধরে। কাঁচা ফলের রঙ প্রথমে সবুজ, ক্রমে সাদা এবং পাকলে উজ্জ্বল টকটকে লাল হয়। স্ট্রবেরির ফল আর দশটি ফলের মতো সাধারণ ১টি ফল নয়। এটি একটি পরিবর্তিত যৌগিক ফল। অন্যান্য ফলের মতো এর ভিতরে কোনো বীজ থাকে না, শুধুমাত্র ফলের বাইরে এর বীজ ধারণ করে থাকে। এক থোকাতে অনেকগুলো ফল ধরে। স্ট্রবেরির পাকা ফল টকটকে লাল রঙের হয়। এ ফলটি সুগন্ধীযুক্ত, টক মিষ্টি স্বাদের। এর আকর্ষণীয় রঙ, গন্ধ ও উচ্চ পুষ্টিমানের জন্য স্ট্রবেরি বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় ও সমাদৃত।

স্ট্রবেরির ইতিহাস

একসময় রাজকীয় খাবার হিসেবে  স্ট্রবেরি পরিচিত ছিল। আজ আমরা রাস্তাঘাটে স্ট্রবেরি পরে থাকতে দেখি। স্ট্রবেরি, স্ট্রবেরি ভর্তা, স্ট্রবেরির চাটনিসহ বিভিন্ন পণ্য- সবকিছুই অনেক সহজলভ্য।আপনার ভালো লাগলে কিনে ফেলছেন আবার ভালো না লাগলে ফেলে দিচ্ছেন! একটা সময় ছিল যখন এতো সহজ ব্যাপার  ছিল না। সেসময় স্ট্রবেরি ছিলো রাজকীয় খাবার।

১৭৪০ সালে ফ্রান্সের ব্রিটানি অঞ্চলে স্ট্রবেরি সর্বপ্রথম চাষ শুরু হয়। একইসাথে ইউরোপ আর উত্তর আমেরিকায় স্ট্রবেরির জন্মস্থান। অবশ্য সেসময়ের স্ট্রবেরি কিন্তু ঠিক আজকের মতন এতো রসালো, এতো বড় ছিল না। সান কিংয়ের পরিকল্পনানুসারে রাজকীয় হস্তক্ষেপেই তৈরি হয় বর্তমান স্ট্রবেরির ইতিহাস। এরপর অবশ্য ফলটি ভ্রমণ করে অনেকটা পথ। ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই ফ্রেজিয়ার নামে এক গুপ্তচরকে পাঠান চিলি আর পেরুর দুর্গ থেকে খবরাখবর নিতে। তার ইচ্ছে ছিলো স্পেনের সিংহাসন দখল করার। তবে ফ্রেজিয়ার কেবল খবরাখবরই নয়, সাথে করে কিছু স্ট্রবেরিও এনেছিলো সেবার। চিলিয়ান স্ট্রবেরি অবশ্য এতো সহজে জন্ম নেয়নি ফ্রান্সে। আর এখন নতুন, পুরনো সবরকমের স্ট্রবেরি মিশে সুস্বাদু আর চমৎকার স্ট্রবেরির জন্ম দিলো। কেমন সেই স্ট্রবেরিগুলো? সে তো আপনার জানাই আছে।। ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের ব্রিটানি অঞ্চলে সর্বপ্রথম স্ট্রবেরীর চাষ করা হয়। এটি পরবর্তীতে চিলি, আর্জেন্টিনা এবং কালক্রমে অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বাংলাদেশের যেসব এলাকায় শীত বেশি পড়ে সেসব এলাকায় বারি স্ট্রবেরি-১ নামে একটি উচ্চফলনশীল জাতের স্ট্রবেরি চাষ করা হচ্ছে। জমির পাশাপাশি টব, বাড়ির আঙিনায়, বারান্দায় বা ছাদে এই ফল চাষ করা সম্ভব। বর্তমানে আমাদের দেশের যশোর, শ্রীমঙ্গল,রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ প্রভৃতি জায়গায় ব্যবসায়িক ভিত্তিতে স্ট্রবেরি চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। একজন বেকার নারী বা পুরুষ নিজের কর্মসংস্থান ব্যবস্থার জন্য নিজের জমিতে অথবা বর্গা নেওয়া জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

স্ট্রবেরির স্তূপ

বাংলাদেশে স্ট্রবেরির আগমন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. মনজুর হোসেন ১৯৯৬ সালে জাপান থেকে একটি স্বল্প দিবা দৈর্ঘ্য জাতের স্ট্রবেরী বাংলাদেশে আবাদের চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি প্রথমে দেখতে পান যে, এই জাতটি রানারের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি হচ্ছে না। এমনকি ফলের আকার অনেক ছোট হচ্ছে। পরে ২০০৭ সালে দেশে প্রথম টকটকে লাল রঙের লোভনীয় ফল স্ট্রবেরি চাষের উদ্ভাবন করেন প্রফেসর ড. এম. মনজুর হোসেন।বাংলাদেশে স্ট্রবেরি চাষের উদ্ভাবক হিসেবে তিনি বেশি পরিচিত। তিনি সোমা ক্লোনাল ভেরিয়েশন প্রযুক্তির সাহায্যে বাংলাদেশে চাষ উপযোগী করে রাবি-১, রাবি-২, রাবি-৩ নামে তিনটি জাত উদ্ভাবন করেন।শ

ব্যবহার

ক) স্ট্রবেরি কাঁচা ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে ফ্রুট সালাদ ও কাস্টার্ডে কাঁচা স্ট্রবেরি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া যেকোনো ডেসার্ট পরিবেশের জন্যে স্ট্রবেরি ব্যবহার করা হয়।

খ) স্ট্রবেরি দ্বারা মূলত ইন্ডাস্ট্রি পণ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়।স্ট্রবেরি দ্বারা জ্যাম, জেলী, স্কোয়াশ, জুস, ক্যান্ডি, কেক, চকোলেট,বিস্কুট ইত্যাদি তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।

গ) মিল্কশেক কিংবা ককটেল জুস তৈরী করতেও স্ট্রবেরির কোনো জুরি নেই।

ঘ) জাপানের অত্যন্ত জনপ্রিয় মিষ্টি “ইচিগো দাইফুকু” যার মধ্যে রয়েছে আস্ত একটা স্ট্রবেরি, যেটি দেখতে সুন্দর ও গোলাকার।

ঙ) গ্র‍্যানুলা বার, স্ট্রবেরি কেক, স্ট্রবেরি পুডিং তৈরি করা হয়।

চ) স্ট্রবেরির স্বাদ, গন্ধের জন্য এটি এসেন্স হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় সাবান, লোশন, ফেসওয়াশ,স্ক্রাবার, বাচ্চাদের টুথপেস্ট, বডি অয়েল, শ্যাম্পুতে, বডি স্প্রে, মেয়েদের প্রশাধনিতেও এটি ব্যবহার করা হয়।

গাছের স্ট্রবেরি

স্ট্রবেরির স্বাস্থ্যগুণ

স্ট্রবেরি অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি ফল। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, ই, ফলিক এসিড, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, পলিফেনল, ফেরালিক এসিড, কুমারিক এসিড, কুয়েরসিটিন, জ্যান্থোমাইসিন ও ফাইটোস্টেরল।

কি কি আছে জেনে তো লাভ নেই। বরঞ্চ জেনে আসি এসবের উপকারিতা-

ক) এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু জৈব এসিড ও এন্টিঅক্সিডেন্ট (এলাজিক এসিড) রয়েছে; যা বার্ধ্যক্য ও ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া ত্বকের পরিচর্যার জন্যও স্ট্রবেরি বহুল সমাদৃত।

খ) স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং ফাইটোকেমিক্যালস রয়েছে। যা, আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ভালো করে। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

গ) অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ডায়েট করতে যে এত চিন্তা করছেন, প্রত্যেকদিন স্ট্রবেরি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ ঝড়ে যায় সহজে।

ঘ) রক্তচাপ কমিয়ে হাইপারটেনশন কম রাখে স্ট্রবেরিতে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম।

ঙ) চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে স্ট্রবেরি।

চ) স্ট্রবেরিতে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন সি, ফাইটোকেমিক্যালস যা নার্ভাস সিস্টেমের কার্যপ্রণালী সঠিকভাবে করে।

ছ) স্ট্রবেরিতে আছে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিকারী ফেসটিন নামক প্রাকৃতিক ফ্ল্যাভোনয়েডস যা মস্তিষ্ক সচল রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

জ) গর্ভবতী মায়েদের জন্যও স্ট্রবেরি খুব উপকারী ফল।

ঝ) স্ট্রবেরিতে থাকা ফলিক অ্যাসিড, বি৫, বি৬ চুলকে শক্ত ও গোড়াঁ মজবুত করতে সাহায্য করে।

ঞ) স্ট্রবেরিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং ম্যাঙ্গানিজ। এটি ত্বকের মৃত কোষ তুলে ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাছাড়া ত্বকে বলিরেখাও দূর করে।পায়ের স্ক্রাবার হিসেবেও দারুণ কাজ করে স্ট্রবেরি।

ট) ১ টেবিল চামচ স্ট্রবেরি পিউরি ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ব্রাশের সাহায্যে মিশ্রণটি দাঁতে ঘষুন। মুখ ধোয়ার আগে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে দূর হবে দাঁতের হলদে ভাব।

স্ট্রবেরি হাইড্রোপনিকস

স্ট্রবেরির জাত

বারি (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট) স্ট্রবেরির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা বিবেচনায় বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বারি স্ট্রবেরি-১, বারি স্ট্রবেরি-২ ও বারি স্ট্রবেরি-৩ নামে ৩টি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে একটি করে স্ট্রবেরির উন্নত জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত জাত রাবি-১, রাবি-২, রাবি-৩ এবং মডার্ন হর্টিকালচার সেন্টার, নাটোর থেকে সরবরাহকৃত জাত মডার্ন স্ট্রবেরি-১, মডার্ন স্ট্রবেরি-২, মডার্ন স্ট্রবেরি-৩, মডার্ন স্ট্রবেরি-৪, মডার্ন স্ট্রবেরি-৫, আমাদের দেশে চাষযোগ্য জাত হিসেবে আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তার দিকে এগোচ্ছে।

উপযুক্ত সময়

স্ট্রবেরির চারা লাগানোর সময় আশ্বিন মাসে(মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য অক্টোবর) উপযুক্ত সময়।

চাষ পদ্ধতি

স্ট্রবেরি শীতকালীন দেশের ফল হলেও বাংলাদেশের যেসব এলাকায় শীত বেশি পড়ে ও অনেক দিন স্থায়ী হয় সেসব এলাকায় বারি স্ট্রবেরি-১ নামে একটি উচ্চফলনশীল জাতের স্ট্রবেরি বর্তমানে চাষ করা হচ্ছে।

চারা তৈরি

স্ট্রবেরির চারা ২ ভাবে পাওয়া যায়। স্ট্রবেরির বীজ থেকে অথবা রানার থেকে পাওয়া যায়। এখানে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন বীজ থেকে যে বছর চারা তৈরি হবে ফল সেই বছর পাওয়া যায় না কিন্তু রানার থেকে যে বছর চারা তৈরি করা হবে ফল সেই বছরেই পাওয়া সম্ভব।

স্ট্রবেরির পটের প্রস্তুতি

কোনো মাটির টব অথবা তেল বা পানির বোতল কেটে স্ট্রবেরি গাছ লাগানো যাবে।  তেলের বোতল হলে প্রথমে বোতলটি ভালো করে ধুয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে নিতে হবে, যেনো বোতলে কোন তেল লেগে না থাকে। এরপর বোতলের নিচে তিন/চারটি ছিদ্র করে দিতে হবে যেনো বায়ু চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে। টবে বা বোতলের ছিদ্র করে নিতে হবে যাতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকে।

স্ট্রবেরি অনেকদিন পর্যন্ত টিকতে পারে

মাটি প্রস্তুতি

এরপর মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে।স্ট্রবেরির জন্য বেলে দোঁআশ মাটি উপযোগী।কোনো শুকনো গোবর এবং কম্পোস্ট  মিক্সড করে মাটিকে উর্বর করে নিতে হবে। যে কোনো নার্সারীতেই গোবর সার পাওয়া যায়। গোবর যদি হাতের কাছে পাওয়া না যায় তবে বাসায় ব্যবহৃত শাক সবজির উচ্ছৃষ্টাংশ পচিয়ে তা সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। টবে মাটি দেয়ার আগে ছিদ্রগুলা ছোট পাথর দিয়ে বন্ধ করে নিতে হবে।স্ট্রবেরি পানি পছন্দ করে না তাই টবে খানিকটা বালু দিয়ে দিতে পারেন যাতে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে যেতে পারে।

স্ট্রবেরির চারা লাগানো

মাটিতে চারা লাগাতে হবে। রোদ এই গাছের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। তবে সারাদিন সরাসরি সূর্যালোক থেকে গাছ দূরে রাখা ভালো। সকালের হালকা সূর্যালোক আর শেষ বিকেলের মৃদু রৌদ্র গাছের জন্য উপকারী। আবার খেয়াল রাখতে হবে রাতের‌ শিশির যেনো গাছের উপর পড়ে। মোট কথা গাছের সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত রোদ এবং শিশির দুটোই প্রয়োজন।

চারা লাগানোর কিছুদিনের মধ্যেই নতুন করে আরও কিছু চারা জন্মাতে থাকে, যা থেকে চারা গাছের সংখ্যা বাড়ানো যায়।

স্ট্রবেরির পরিচর্যা

অন্যান্য গাছের মতোই স্ট্রবেরির নিয়মিত কিছু পরিচর্যার প্রয়োজন হয়।

ক) নিয়ম করে আগাছা পরিষ্কার।

খ) মরা পাতা কেটে ফেলে দেয়া।

গ) মাঝে মাঝে মাটি নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হয়।

ঘ) প্রতিদিন অল্প করে পানি দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেনো পানি জমে না থাকে।

ঙ) গাছে ফুল আসার পর একটু বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন।

চ) গাছে ফল ধরার পর খেয়াল রাখতে হবে ফল যেনো মাটি স্পর্শ না করে। ফল মাটি স্পর্শ করলে পচে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

ছ) এছাড়াও পাখির আক্রমণ থেকে ফলকে সাবধানে রাখার‌ জন্য, ফুল আসার পর পরই গাছ নেট দিয়ে ঢেকে দেয়া ভালো।

স্ট্রবেরি রয়েছে দারুণ পুষ্টিগুণ

সার

স্ট্রবেরি চাষে তেমন কোন সার এর প্রয়োজন‌ হয় না। তবে পনেরো/বিশদিন অন্তর অন্তর সামান্য পরিমাণ ইউরিয়া সার‌ টবের চারপাশের মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া ভালো (গাছের গোড়ায় দেয়া যাবে না, আর সার দেবার পর অবশ্যই পানি দিতে হবে)। এতে গাছ প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন পাবে এবং সসতেজ থাকবে।

ফল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ

ক) স্ট্রবেরি বারি-১ এর ফল সংগ্রহ পৌষ মাস থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে(ডিসেম্বর থেকে মার্চ)।

খ) যখন স্ট্রবেরি ফল পেকে টুকটুকে লাল হবে তখন সংগ্রহ করতে হবে।

গ) এই ফল অনেক নাজুক হয় তাই সংগ্রহকালে কোনো পাতলা ট্রে কিংবা  ডিমের ট্রে কিংবা ফলের ঝুঁড়িতে নিতে হবে যাতে ফল গাদাগাদি অবস্থায়  না থাকে।

ঘ) স্ট্রবেরির গুণ ও সংরক্ষণ ক্ষমতা কম তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি ব্যবহার করতে হবে বা খেয়ে ফেলতে হবে।

ঙ) যারা টবে বা ছাদে চাষ করবেন তারা যে রানার গুলো বের হবে তা কেটে দিবেন তাহলে প্রচুর ফলন পাওয়া যাবে।

  • বাংলাদেশে স্ট্রবেরি চাষের সম্ভাবনা ও পদ্ধতি

    বাংলাদেশে স্ট্রবেরি চাষের সম্ভাবনা ও পদ্ধতি

  • বাংলাদেশে স্ট্রবেরি চাষের সম্ভাবনা ও পদ্ধতি

    বাংলাদেশে স্ট্রবেরি চাষের সম্ভাবনা ও পদ্ধতি

  • বাংলাদেশে স্ট্রবেরি চাষের সম্ভাবনা ও পদ্ধতি
  • বাংলাদেশে স্ট্রবেরি চাষের সম্ভাবনা ও পদ্ধতি
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

এগ্রোবিজ

বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য

বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম
বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম

মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।

মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।

ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।

মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।

মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোটেক

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি

ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।

আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।

আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।

কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।

কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

পেঁয়াজের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে সাথি ফসল বাঙ্গি

পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার
পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার

পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম তাঁর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছেন। অথচ পেঁয়াজের জমিতেই সাথি ফসল হিসেবে লাগানো বাঙ্গি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকার মতো লাভ করবেন বলে আশা করছেন। এই বাঙ্গি আবাদে তাঁর কোনো খরচ হয়নি। ফলে পেঁয়াজ আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঙ্গি আবাদ কইর‌্যা যে টাকা পাইল্যাম তা হলো আমাগরে ঈদের বোনাস। পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় আমরা (কৃষকেরা) যে ক্ষতির মধ্যে পড়িছিল্যাম, বাঙ্গিতে তা পুষায়া গেছে। এই কয়েক দিনে ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচছি। সব মিলায়া ৫০ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচার আশা করতেছি।’

সাইদুল ইসলামের মতো পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার অনেক কৃষক এবার পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গির আবাদ করেন। কৃষকেরা পেঁয়াজ আবাদ করতে গিয়ে বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। সেই হিসাবে প্রতি মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে তাঁদের খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি। কিন্তু বাজারে সেই পেঁয়াজ কৃষকেরা বিক্রি করতে পেরেছেন প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদে কৃষকদের এবার ২০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।

কৃষকেরা বলেন, পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর পর তা কিছুটা বড় হলে এর ফাঁকে ফাঁকে এসব সাথি ফসল লাগানো হয়। পেঁয়াজের জন্য যে সার, কীটনাশক, সেচ দেওয়া হয়, তা থেকেই সাথি ফসলের সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে সাথি ফসলের জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয় না।

কৃষকেরা বলেন, বাঙ্গিতেই কৃষকের লাভ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। রমজান মাস হওয়ায় এখন বাঙ্গির চাহিদা ও দাম দুই-ই বেশি।

সাঁথিয়ার শহীদনগর গ্রামের কৃষক আজমত আলী জানান, তাঁর জমিসহ এই এলাকার জমি থেকে ৮ থেকে ১০ দিন হলো বাঙ্গি উঠতে শুরু করেছে। এবার বাঙ্গির ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বাজারে এসব বাঙ্গি আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম থাকলে এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হবে।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসলের আবাদ কৃষকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে তাঁরাও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

কাঁঠালের আইসক্রিম জ্যাম ও চিপস

জাতীয় ফল কাঁঠালের জ্যাম, চাটনি ও চিপস উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহের প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক। তাঁরা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

গত শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) ‘কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।

কর্মশালায় ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, কাঁঠাল স্বত্ব, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশ কাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষক।’

কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করার জন্য নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরে পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফল

কমলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা, সেচ, আগাছা ব্যবস্থাপনা ও ফসল তোলা- দা এগ্রো নিউজ

কমলা

সার ব্যবস্থাপনা:  প্রতি গর্তে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার ও এমওপি সার ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:  চারা গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা দমন করতে হবে।

ফসল তোলা: মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য পৌষ মাসে ফল সংগ্রহ করতে হয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com