আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

বাংলাদেশের অর্থনীতি কতটুকু উন্নত?

উন্নয়ন অর্থনীতিতে রস্টের তত্ত্ব খুবই আলোচিত। ১৯৬০ সালে ওয়াল্ট হুইটম্যান রস্ট (১৯১৬-২০০৩) দ্য স্টেজেস অব ইকোনমিক গ্রোথ: এ নন-কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো শিরোনামে একটি বই লেখেন। বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘প্রবৃদ্ধির পাঁচ স্তর’ শীর্ষক বিষয়ে তিনি উন্নয়ন ধারণার সম্যক আলোচনা করেন। রস্ট অবশ্য এ ক্ষেত্রে ঔপন্যাসিক থমাস মান–এর ১৯০১ সালে প্রকাশিত বিখ্যাত উপন্যাস দ্য বাডেনব্রুকস–এর কাছে ঋণী বলা যায়। থমাস মান তাঁর বাডেনব্রুকস–এ এমন তিন প্রজন্মের কাহিনি লেখেন যাদের প্রথম প্রজন্ম অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়। দ্বিতীয় প্রজন্ম সমাজে তাদের অবস্থানের জন্য লড়াই করে। আর থমাস মান এর তৃতীয় প্রজন্ম যাদের ইতিমধ্যে অর্থবিত্ত আছে, তারা জাগতিক-মহাজাগতিক যেকোনো কিছুর ওপরে সংগীত ও কলাচর্চায় মনোযোগী থাকে; অর্থনৈতিক ক্রমোন্নতি বা সমাজে প্রভাব প্রতিপত্তি তাদের কাছে একেবারেই গৌণ বিষয়।

রস্টের মতে, যেকোনো দেশ বা জাতির প্রবৃদ্ধি মূলত পাঁচটি স্তর অতিক্রম করে থাকে। এগুলো হলো এক, ‘ট্র্যাডিশনাল’ বা প্রথাগত সমাজ, দুই, ‘প্রি-কন্ডিশন টু টেক-অফ’ বা উন্নয়ন উড্ডয়ন পূর্ব অবস্থা, তিন, ‘টেক-অব’ বা উন্নয়ন উড্ডয়ন অবস্থা, চার, ‘ড্রাইভ টু ম্যাচুরিটি’ বা উন্নয়ন পরিপক্ব স্তর এবং পাঁচ, ‘এজেস অব মাস-কঞ্জাম্পসন’ বা গণ-ভোগ স্তর।

অতীতে অনেক দেশ ও জাতি তাদের অর্থনীতি উন্নয়নের কোন স্তরে অবস্থান করছে তা রস্টের ‘প্রবৃদ্ধির পাঁচ স্তর’ তত্ত্ব অনুযায়ী মিলিয়ে নিয়েছে। আমাদের দেশেও বর্তমানে বিভিন্ন উন্নয়ন ধারণা ব্যবহার করে আমরা কতটুকু উন্নত, তা বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকে বর্তমান ‘উন্নত’ অবস্থার পক্ষে–বিপক্ষে কথা বলছেন, বিতর্ক করছেন। আমাদের সমাজ-অর্থনীতি কতটুকু উন্নত সে বিষয়ে অনুমান করার আগে প্রথমে অর্থনীতিবিদ রস্টের প্রবৃদ্ধির পাঁচ ধাপ সংক্ষেপে আলোচনা করে নেওয়া যাক।

এক.

প্রচলিত সমাজ-অর্থনীতি। প্রচলিত সমাজ-অর্থনীতি মূলত প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনীতি। এ ধরনের সমাজ বাস্তবতায় অর্থনীতির উপজীব্যরা জীবিকা নির্বাহের জন্য সনাতন পদ্ধতির কৃষিকাজ, পশুপাখি ও মৎস্য শিকারসহ এ জাতীয় কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে। এ ধরনের সমাজে প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই সীমিত। প্রযুক্তির ব্যবহার অস্থায়ী এবং পূর্বপরিকল্পিত নয়। প্রক্রিয়াজাতকরণে কিছু উন্নতি ও অগ্রগতি দৃশ্যমান হলেও সক্ষমতা খুবই কম। কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা শ্রেণির অর্থনৈতিক গতিশীলতা থাকে না। অগ্রাধিকারের স্থিতিশীলতা ও পরিবর্তনকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। এ ধরনের সমাজ-অর্থনীতিতে কেন্দ্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা সেভাবে কাজ করে না। যুদ্ধ-বিগ্রহ, মহামারি এ সমাজের নৈমিত্তিক বিষয়। শ্রমের উৎপাদনশীলতা খুবই কম এবং মোট অর্থনৈতিক উৎপাদনে বিনিয়োগের অবদান শতকরা ৫ ভাগ বা তার কম হয়ে থাকে।

দুই.

উন্নয়ন উড্ডয়ন পূর্ব স্তর। ‘প্রি-কন্ডিশন টু টেক-অফ’ বা উন্নয়ন উড্ডয়ন পূর্ব স্তরে কোনো দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক কাঁচামালের প্রভূত চাহিদা সৃষ্টি হয়। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কৃষি ও শিল্প পণ্যের উৎপাদন এবং রপ্তানি যোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। খাদ্যশস্যের পাশাপাশি কৃষিতে অর্থকরী ফসল উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। দেশে সেচ, নালা, বন্দর ইত্যাদি নির্মাণের তাগাদা বাড়ে। বর্তমান ব্যবহৃত প্রযুক্তিতে প্রভূত পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে ঝোঁক বৃদ্ধি পায়। ব্যক্তি ও শ্রেণি উভয় খাতেই অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়ে। এ ধরনের অর্থনীতিতে জাতীয় পরিচয় ধারণার ব্যাপকতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পদের বিভাজিত ব্যবহারে সমাজ উদ্যমী হয়। মোট উৎপাদনে বিনিয়োগের অবদান শতকরা ৫ ভাগ অতিক্রম করে। রস্টের মতে, সামাজিক উপরি মূলধন তৈরি ও বিনিয়োগে সরকার সম্যক ভূমিকা গ্রহণ ও পালন করে থাকে।

তিন.

উন্নয়ন উড্ডয়ন স্তর। ‘টেক-অফ’ বা উন্নয়ন উড্ডয়ন স্তর খুব গতিশীল। সমাজ, রাজনীতি ও প্রযুক্তি খাতে দ্রুত গতিশীলতা স্পষ্ট। সমাজ-অর্থনীতিতে নগরায়ণ বাড়বে। শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ ঝোঁক এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে বলপূর্বক শিল্পায়নও পরিলক্ষিত হয়। শিল্পবিপ্লবের এ স্তরে পোশাক ও বুনন শিল্প দ্রুত বিস্তার লাভ করে। প্রাথমিক খাতের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ খুব দ্রুত মাধ্যমিক স্তরের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে নিমজ্জিত হয়। কৃষিতে সবুজ বিপ্লব আসতে পারে। অর্থনীতিতে প্রতিটা সেক্টর উপর্যুপরি অবদান রেখে চলে। সমাজে প্রচলিত ধারণার বিপরীতে প্রক্রিয়াগত ধারণার ব্যাপকতা ও রূপান্তর লাভ করে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একটি স্থিতিশীল স্থায়ী ধারণায় পরিণত হয়। রস্টের মতে, কোনো দেশের অর্থনীতি টেক-অফ স্তরে নিট দেশজ উৎপাদনের ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করে। এ ধরনের অর্থনীতিতে একাধিক উৎপাদন চ্যানেল পরিপক্বতা পায়। কোনো দেশের উড্ডয়ন স্তরের অর্থনীতি পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কারণে পারিপার্শ্বিক দেশগুলোর অর্থনৈতিক গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধেও সজাগ থাকে।

চার.

পরিপক্বতার স্তর। রস্টের মতে, কোনো দেশের অর্থনীতি ‘টেক-অফ’ স্তর থেকে পরিপক্বতার স্তরে উত্তরণের জন্য যথেষ্ট অপেক্ষা করতে হয়। কোনো কোনো দেশের এই দুই স্তরের মাঝে অপেক্ষাধীন সময় এমনকি ৬০ বছর পর্যন্ত হয়েছিল। অপেক্ষাধীন এ সময়কালে ওই অর্থনীতি টেকসই উন্নয়ন অভিযাত্রা অর্জন করে। ‘ড্রাইভ টু ম্যাচুরিটি’ বা উন্নয়নের পরিপক্বতার স্তরে কোনো দেশের অর্থনীতিতে বহুবিধ শিল্পের বিস্তার লক্ষণীয়। শিল্পভিত্তি বহুমাত্রিক বৈচিত্র্য পায়। নতুন কোনো শিল্পও অতি দ্রুত শিকড় বিস্তার করে।

অর্থনৈতিক পরিপক্বতার এ পর্যায়ে বিনিয়োগ রূপান্তর প্রণিধানযোগ্য। এ পর্যায়ে মূলধন জাতীয় পণ্য উৎপাদনের চেয়ে ভোগ্যপণ্য এবং গৃহস্থালি-খরচ-পণ্যে বিনিয়োগ প্রাধান্য পায়। গণপরিবহনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রভূত অগ্রাধিকার পায় এবং দ্রুত বাস্তবায়ন হয়। সমাজের বিভিন্ন খাতে যেমন স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, পার্ক ইত্যাদি নির্মাণে বড় বড় বিনিয়োগ হয়ে থাকে। বিকাশমান, দ্রুত ও নিশ্চিত গণপরিবহন খাত, উন্নত টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি সেবা নির্বিঘ্ন করা যায়। উৎপাদনের সব স্তরে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে নিশ্চয়তা থাকায় কৃষিতে শ্রমের ব্যবহার শতকরা ৭৫ ভাগ থেকে ২০ ভাগ্যে নেমে আসতে পারে, যদিও কৃষি শ্রমে প্রকৃত মজুরি নিশ্চিত থাকে। উৎপাদনের এ পর্যায়ে পরিবেশের ক্ষতি নিরূপণ ও তা পোষানোর যথেষ্ট দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়।

পরিপক্ব অর্থনীতিতে ইতিপূর্বে আমদানি করা পণ্যগুলো স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। রপ্তানিমুখী উৎপাদন ব্যবস্থায় ও স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়নের এ পর্যায়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মোট দেশজ উৎপাদনের ১০ থেকে ২০ শতাংশ পুনঃ বিনিয়োগের সক্ষমতা অর্জন করে কোনো কোনো দেশ।

পাঁচ.

গণ-ভোগ স্তর। অর্থনীতির ‘এজেস অব মাস কঞ্জাম্পসন’ বা গণ-ভোগ স্তরে শিল্প খাত প্রধান নিয়ামক শক্তি। প্রাথমিক ধাঁচের শিল্প বিলুপ্ত প্রায় হয়ে যায়। উচ্চ মূল্য আর আদর্শিক ভোগ্যপণ্য প্রাধান্য বিস্তার করে। ভোক্তা সাধারণের খরচযোগ্য আয় বৃদ্ধি পায়। মৌলিক ব্যয় নির্বাহের পরেও ভোক্তাদের কাছে প্রচুর অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে। ভোক্তারা ভোগের প্রতিটি স্তরে পছন্দের স্বাধীনতা উপভোগ করে, কারণ প্রতি ক্ষেত্রেই বিকল্প ভোগের অফার থাকে। নগরকেন্দ্রিক সমাজব্যবস্থা প্রাধান্য বিস্তার করে। সমাজ-অর্থনীতির এ স্তরে অর্থনীতির উপজীব্যরা পছন্দের ক্রমঃ উপভোগ করতে পারে। তারা সমরাস্ত্র না নিরাপত্তা, সমতা ও মঙ্গল প্রভৃতি বিষয়ে খরচ বিশ্লেষণ করে সম্পদ ব্যবহার করতে পারে। এ স্তরে উপনীত জাতি একটি সমতাবাদী সমাজ বিনির্মাণ করে।

রস্ট অবশ্য পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালে প্রকাশিত পলিটিকস অ্যান্ড ইকোনমিক গ্রোথ শীর্ষক বইতে ‘গণ-ভোগ’ স্তরের বাইরে আরও একটি উন্নয়ন স্তর নিয়ে আলোচনা করেন। ‘বিয়ন্ড কঞ্জাম্পসন’ শীর্ষক স্তরে ভোক্তা জল্পনা বা কল্প স্তরের প্রসারণ ও ভোগবাদের বিস্তার ঘটতে পারে। অর্থনীতির উপজীব্যরা এ স্তরে আরাম–আয়েশ, মনঃপ্রশান্তি ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করবে। ভোক্তারা ভোগ্যপণ্যের চেয়ে সেবা ও বিলাসী পণ্যে বেশি খরচ করবে।

ছয়.

তুলনামূলক আলোচনা।

সংক্ষেপে আলোচিত রস্টের ‘উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির পাঁচ ধাপ’ এখনকার সময়ে তথাকথিত উন্নত বা অনুন্নত অনেক দেশের উন্নয়ন ইতিহাসের ক্ষেত্রেই প্রায়োগিক আলোচ্য বিষয়। আফ্রিকার কিছু পশ্চাৎপদ দেশ যেমন ঘানা বা টঙ্গা প্রভৃতি দেশে প্রচলিত সমাজব্যবস্থার অর্থনীতি পরিলক্ষিত হয়। এসব দেশে কিছু ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি লক্ষ করা গেলেও তা তাদের প্রচুর অনুর্বর অনাবাদি কৃষি ভূমিতে কিছু অতিরিক্ত উৎপাদন বৈ কি।

ইউরোপ, মধ্য এশিয়ার অনেক দেশের মতো আজকের উন্নত দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের অর্থনৈতিক বিকাশ উন্নয়ন উড্ডয়ন পূর্ব স্তর অতিক্রম করে গেছে। এমনকি গ্রেট ব্রিটেনের শিল্পবিপ্লবও ব্রিটেনের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ‘প্রি-কন্ডিশন টু টেক-অফ’ স্তরের উদাহরণ বলে স্মরণ করা হয়।

রস্ট সংখ্যা তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে গ্রেট ব্রিটেন ১৮০০ সালের গোড়ার দিকেও অর্থনৈতিক উড্ডয়ন বা ‘টেক-অফ’ স্তরে ছিল এবং ১৮৫০ সালে এসে তারা ‘ম্যাচিউরিটি’ বা পরিপক্বতার পর্যায়ে পৌঁছায়। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৮৪৩ থেকে ১৮৬০ সাল পর্যন্ত ‘টেক-অফ’ স্তরে ছিল এবং ঠিক ১৯০০ সালে এসে পরিপক্ব অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়। রাশিয়া ১৮৯০ সাল থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত টেক-অফ স্তরে থেকে ১৯৫০ সালে এসে পরিপক্ব অর্থনীতির ধাপে উপনীত হয়। ১৯৫২ সালে ভারতীয় অর্থনীতি তথাকথিত টেক-অফ স্তরে থাকলেও তাদের অর্থনীতির ম্যাচিউরিটি এখনো অর্জিত কি না, তা মূল্যায়ন সাপেক্ষ।

বিয়ন্ড কঞ্জাম্পসন স্তরে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের অর্থনীতিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। দেশ দুটির অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেখানে ভোগ্যপণ্যের চেয়ে সেবা পণ্য বেশি চাহিদাসম্পন্ন। এসব দেশের অর্থনীতির উপজীব্যরা অর্থনীতিবিদ রস্ট উল্লেখিত সব স্তর অতিক্রম করে ভোগ মানের অভীষ্ট লক্ষ্যে ব্যয় করে থাকে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি, অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোন পর্যায়ে অবস্থান করছে তার সঠিক মূল্যায়নের ভার পাঠকের ওপরেই রইল।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com