শাকসবজি
বহুগুণে গুণান্বিত কাসাভা

আফ্রিকা মহাদেশের বেশির ভাগ মানুষ কাসাভা খেয়ে জীবন ধারণ করে। তবে বাংলাদেশে এখনো এটি নিতান্তই অপরিচিত। গুল্মজাতীয় এ উদ্ভিদটি বাংলাদেশে চাষ না হলেও পাহাড়ে-জঙ্গলে দীর্ঘদিন থেকে এ গাছ জন্মায়। স্থানীয়ভাবে কাসাভার ব্যবহার আছে অনেক আগে থেকেই। গ্রামের মানুষ কাসাভার কন্দকে ‘শিমুল আলু’ বলে। গাছটির পাতা অনেকটা শিমুল গাছের মতো দেখতে বলেই হয়তো এরকম নামকরণ।
পুষ্টিগুণ
কাসাভা আটার পুষ্টিগুণ গমের আটার চেয়ে অনেক বেশি। এই আটা থেকে রুটি ছাড়াও অনেক প্রকার সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। কাসাভা ভিটামিনের দিক দিয়েও শীর্ষে। কাসাভার খাদ্যমানের মধ্যে প্রোটিন আছে ১০ শতাংশেরও বেশি। অ্যামাইনো অ্যাসিড ও কার্বোহাইড্রেট আছে যথাক্রমে ১০ ও ৩০ শতাংশ। আরো আছে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজ। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম কাসাভা আলুতে রয়েছে ৩৭ গ্রাম শর্করা, ১.২ গ্রাম আমিষ, ০.৩ গ্রাম চর্বি, ৩৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৭ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.০৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ, ৩৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ১৪৬ ক্যালরি খাদ্যশক্তি।
রোগ প্রতিরোধ
সব পুষ্টিগুণ মিলে সেলুলোজের সঙ্গে পাওয়া যাবে মিনারেল ও ফাইবার গ্লুটামিন। এর আঠালো অংশ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ উপশমের ক্ষেত্রে কাজ করে। কাসাভা ফাইবার বাড়তি কোলেস্টরলের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করে। এমনকি এটি ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।

বাজারজাত
সঠিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে কাসাভা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাসাভা থেকে আটা ও স্টার্চ তৈরি করে বাজারজাতকরণের উদ্যোগে নিয়েছে।
প্রক্রিয়াজাত
কাসাভা আলুকে প্রক্রিয়াজাত করে তা থেকে আটা ও স্টার্চ পাওয়া যায়। এই আটা দিয়ে রুটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাবার পাওয়া সম্ভব। প্রতি কেজি আলু থেকে আটা ও স্টার্চ মিলিয়ে প্রায় ৩৪০ গ্রাম পর্যন্ত উৎপাদন করা সম্ভব। এক হেক্টর জমি থেকে বছরে প্রায় ২৫.৫ মেট্রিক টন অর্থাৎ ৩ হাজার ৪০০ কেজি কাসাভা আটা ও স্টার্চ পাওয়া সম্ভব।
খাদ্যসামগ্রী
কাসাভার আটা দিয়ে রুটি ছাড়াও পাঁপর, চিপস, নুডলস, ক্র্যাকার্স, বিস্কুট, কেক, পাউরুটি ইত্যাদি তৈরি করা যায়। কাসাভা আলু যেমন সিদ্ধ করে খাওয়া যায়, তেমনই তরকারি করে মাছ-মাংসের সঙ্গে খাওয়া যায়।

শিল্পে কাঁচামাল
কাসাভা থেকে কেবল খাবারই তৈরি হয় না। এ থেকে তৈরি স্টার্চ ব্যবহৃত হয় শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে। কাসাভা স্টার্চ বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা স্টার্চের যথার্থ বিকল্প। কাসাভা স্টার্চ টেক্সটাইল, ওষুধ ও রসায়ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও সিমেন্টের গুণগত মানোন্নয়ন, কাগজ, আঠা, প্রসাধন, রাবার ও সাবান শিল্পে ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে স্টার্চ, মল্টোজ, লিকুইড, গ্লুকোজসহ অন্যান্য রূপান্তরিত চিনি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এমনকী সমরাস্ত্র কারখানায় বুলেট ডিটোনেশন কাজে ব্যবহৃত মোমবিহীন চাঁচ হিসেবে কাসাভার স্টার্চও ব্যবহার করা যায়।
শাকসবজি
ফুলকপি চাষ

ফুলকপি শীতের এক প্রধান জনপ্রিয় সবজি। তরকারি বা কারি ও স্যুপ তৈরি করে, বড়া ভেজে ফুলকপি খাওয়া হয়। তবে শীতের সবজি হলেও ফুলকপি এখন গ্রীষ্মকালেও উৎপাদিত হচ্ছে।
পুষ্টি মূল্য ও ব্যবহার
ফুলকপিতে যথেষ্ট পরিমাণে সালফার, পটাশিয়াম ও ফসফরাস খনিজ উপাদান আছে। এ ছাড়াএর প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য অংশে আছে পানি ৯০.৮ গ্রাম, আমিষ ২.৬ গ্রাম, চর্বি ০.৪ গ্রাম, শ্বেতসার ৪.০ গ্রাম, খনিজ লবণ ১.৯ গ্রাম ইত্যাদি।
উপযুক্ত জমি ও মাটি
ফুলকপি চাষের জন্য সুনিকাশযুক্ত উর্বর দোয়াশ ও এটেল মাটি সবচেয়ে ভাল।
জাত পরিচিতি
এ দেশে এখন ফুলকপির পঞ্চাশটিরও বেশি জাত পাওয়া যাচ্ছে। শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবী মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালে চাষের উপযোগী জাতও আছে।

চারা তৈরি
ফুলকপির চারা বীজতলায় উৎপাদন করে জমিতে লাগানো হয়। বীজতলার আকার ১ মিটার পাশে ও লম্বায় ৩ মিটার হওয়া উচিত। সমপরিমাণ বালি, মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে ঝুরাঝুরা করে বীজতলা তৈরি করতে হয়। দ্বিতীয় বীজতলায় চারা রোপণের আগে ৭/৮ দিন পূর্বে প্রতি বীজতলায় ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি ও ১০০ গ্রাম এমওপি সার ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। পরে চারা ঠিকমত না বাড়লে প্রতি বীজতলায় প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দেয়া ভাল।
চারা রোপণ
বীজ গজানোর ১০-১২ দিন পর গজানো চারা দ্বিতীয় বীজতলায় স্থানান্তর করতে হয়। চারায় ৫-৬টি পাতা হলেই তা রোপণের উপযুক্ত হয়। সাধারণত ৩০-৩৫ দিন বয়সের চারা রোণ করা হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব দেয়া লাগে ৬০ সেন্টিমিটার বা ২ ফুট এবং প্রতি সারিতে চারা থেকে চারার দূরত্ব দিতে হবে ৪৫ সেন্টিমিটার বা দেড় ফুট। চারা রোপণের সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন শিকড় মুচড়ে বা বেঁকে না যায়। এতে চারার মাটিতে প্রতিষ্ঠা পেতে দেরী হয় ও বৃদ্ধি কমে যায়।

সারের মাত্রা
সারের নাম | সারের পরিমাণ/প্রতি শতকে | প্রতি হেক্টরে |
ইউরিয়া | ১.০-১.২ কেজি | ২৫০-৩০০ কেজি |
টি এস পি | ০.৬-০.৮ কেজি | ১৫০-২০০ কেজি |
এমওপি | ০.৮-১.০ কেজি | ২০০-২৫০ কেজি |
বোরাক্স | ২৮-৪০ গ্রাম | ৭.০-১০.০ কেজি |
গোবর | ৬০-৮০ কেজি | ১৫-২০ টন |
সার প্রয়োগ পদ্ধতি
জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর সার, পুরো টিএসপি, অর্ধেক এমওপি এবং বোরন সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর সার চারা রোপণের ১ সপ্তাহ আগে মাদায় দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর চারা রোপণ করে সেচ দিতে হবে। ইউরিয়া এবং বাকি অর্ধেক এমওপি ও বোরন সার ৩ কিসি-তে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিসি-র সার দিতে হবে চারা রোপণের ৮-১০ দিন পর, দ্বিতীয় কিসি-র সার দিতে হবে চারা রোপণের ৩০ দিন পর এবং শেষ কিসি-র সার দিতে হবে ৫০ দিন পর। তবে পুরো বোরাক্স বা বোরন সার জমি তৈরির সময় দিয়ে দিলেও অসুবিধে নেই। আর সে সময় দিতে না পারলে পরবর্তীতে ১ম ও ২য় কিস-ও সার দেয়ার সময় প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০-১৫ গ্রাম বোরিক পাউডার গুলে পাতায় স্পে করে দেয়া যায়। তবে সকালে শিশির ভেজা পাতায় যেন দানা সার না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা
সার দেয়ার পরপরই সেচ দিতে হবে। এছাড়া জমি শুকিয়ে গেলে সেচ দিতে হবে। জমিতে পানি বেশি সময় ধরে যেন জমে না থাকে সেটাও খেয়াল করতে হবে। সার দেয়ার আগে মাটির আস্তর ভেঙ্গে দিয়ে নিড়ানী দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
বিশেষ পরিচর্যা
ফুলকপি গাছের সারি মাঝে সার দেয়ার পর সারির মাঝখানের মাটি তুলে দুপাশ থেকে গাছের গোড়ায় টেনে দেয়া যায়। এতে সেচ ও নিকাশের সুবিধা হয়। তবে ফুলকপির ফুল সাদা রাখার জন্য কচি অবস্থায় চারদিক থেকে পাতা টেনে বেঁধে ফুল ঢেকে দিতে হবে। সূর্যের আলো সরাসরি ফুলে পড়লে ফুলের রঙ তথা ফুলকপির রঙ হলুদাভ হয়ে যাবে।
পোকা মাকড় ব্যবস্থাপনা
এদেশে ফুলকপির সবচে ক্ষতিকর পোকা হল মাথা খেকো লেদা পোকা। নাবী করে লাগালে সরুই পোকা বা ডায়মন্ড ব্যাক মথ বেশি ক্ষতি করে। বীজ উৎপাদনের জন্য চাষ করলে পুষ্পমঞ্জরীকে জাব পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। অন্যান্য পোকার মধ্যে ক্রসোডলমিয়া লেদা পোকা, কালো ও হলুদ বিছা পোকা, ঘোড়া পোকা ইত্যাদি মাঝে মাঝে ক্ষতি করে থাকে।

রোগ ব্যবস্থাপনা
ফুলকপির পাতায় দাগ ও কালো পচা রোগ প্রধান সমস্যা। এছাড়া চারা ধ্বসা বা ড্যাম্পিং অফ, ক্লাব রুট বা গদাই মূল, মোজেইক, পাতার আগা পোড়া ইত্যাদি রোগও হয়ে থাকে। বোরন সারের অভাবে ফুলে বাদামী দাগ পড়ে ও কান্ড ফাঁপা হয়ে যায়।
ফসল তোলা ও ফলন
সাদা রঙ ও আঁটো সাঁটো থাকতে থাকতেই ফুলকপি তুলে ফেলা উচিত। মাথা ঢিলা ও রঙ হলদে ভাব ধরলে দাম কমে যায়। একর প্রতি ফলন ১৫-২৫ টন, হেক্টরে ৩৫-৬০ টন।
শাকসবজি
তিস্তার চরে পেঁয়াজের ব্যাপক ফলনের আশায় চাষিরা

যুগ যুগ ধরে সনাতন পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষে কৃষকরা তেমন লাভবান হতে পারেননি। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত বীজ ও নতুন চাষ পদ্ধতি কৃষি কাজের সবকিছু বদলে দিয়েছে। অন্যদিকে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার পরামর্শ, এনজিও কর্মীদের সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় জৈব সার ব্যবহারে কৃষকরা সুফল পাচ্ছেন।
চলতি গ্রীষ্মকালীন ও রবি মৌসুমে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদীর বালুচরে জেগে ওঠা বালু চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।
জানা গেছে, কয়েক বছর পেঁয়াজের সংকট এবং দাম বেশি হওয়ায় এসব চরাঞ্চলের কৃষক অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী। এবছর পেঁয়াজ চাষ ও বাম্পার ফলনে উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় গম ও তামাক চাষ না করে এবার চরাঞ্চলে শুধু পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। তাই সর্বগ্রাসী তিস্তা নদীর দুই কূলে জেগে উঠা চর সমূহে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
উপজেলার ছাতনাই কলোনি, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি ও ঝুনাগাছ চাপানীর তিস্তা নদীর চর ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন। এসব চর এলাকার কৃষক বন্যায় রোপা আমন চাষে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও পেঁয়াজ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন।

এসময় পেঁয়াজ চাষি আনারুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ ক্ষেতে কোনো আপদ দেখা যায়নি। পেঁয়াজ ঘরে তোলার সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রোপা আমনের ক্ষতি পেঁয়াজ দিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
অপর চাষি আকবর আলী বলেন, বর্তমান বাজার মূল্য স্থিতিশীল থাকলে পেঁয়াজ চাষিরা লাভবান হবেন। এছাড়াও চাষিরা আগামীতেও পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হবেন।

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার আলী জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে এ উপজেলায় ১৮০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ১৫০ হেক্টর জমিতে।
গত কয়েক বছর বাজারে পেঁয়াজের তীব্র সংকট এবং মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় সরকার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১৭৫ জন কৃষককে বিনা মূল্যে পেঁয়াজের বীজ ও সার সহায়তা করেছে। আশা করি দেশে মসলা জাতীয় ফসলের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখাবে।
শাকসবজি
টমেটোর বিভিন্ন রোগ দূর করার উপায়

টমেটো আমাদের দেশে সারাবছর পাওয়া গেলেও এটি মূলত শীতকালীন সবজি। দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। তবে টমেটো চাষিরা এর বেশ কয়েকটি রোগ নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েন। ফলে প্রত্যাশিত ফসল তারা ঘরে তুলতে পারেন না। তাই টমেটো চাষ করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু রোগ সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
বিভিন্ন রোগের জন্য এর ফলন অনেকটাই ব্যাহত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে চাষিরা রোগ চিহ্নিত করলেও তা নির্মূল করার উপায় জানেন না। কোন রোগে কী সার, কোন কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় সে সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত ধারণা নেই অনেকেরই। যার ফলে দেখা যায় ফলন ভালো হলেও বেশির ভাগ টমেটোর গুণগত মান ভালো নয়। যার ফলে সঠিক দামও পাওয়া যায় না।
কৃষি বিভাগ টমেটোর প্রধান প্রধান রোগ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে চাষিদের জন্য পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলছেন উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন করলে এসব রোগ অনেকটাই নির্মূল করা সম্ভব হবে।
টমেটোর প্রধান রোগগুলো হলো, জলদিধসা বা নাবিধসা, ব্যাকটেরিয়াজনিত ঢলে পড়া, ভাইরাস বা ফুটে রোগ, ছত্রাকজনিত ঢলে পড়া, পেছনে কালো দাগ, চারা ধসা বা চারা ঢলা রোগ। টমেটোতে নাবিধসা রোগই বেশি দেখা যায়।
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে টমেটো ঢলে পড়ে যায়। এর থেকে সবজি বাঁচাতে সুসংহত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এর জন্য শস্য পর্যায় অনুসরণ করা, জৈবসার প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত। প্রতি বিঘায় ৬০ থেকে ৮০ কেজি নিমখোল ব্যবহার করা দরকার। এছাড়া যে জমিতে এ ধরনের রোগ দেখা যায় সেখানে ধঞ্চে জাতীয় ফসলের চাষ করতে হবে।
টমেটোর অন্যতম রোগ ভাইরাস বা ফুটে রোগ। এ রোগ সাধারণত সাদা মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। এর প্রধান প্রতিকার হলো বাহক এ মাছিগুলো দমন করা। এছাড়া কীটনাশক মেসনইমিডা কোপ্রিড ১৭.৮ শতাংশ এক মিলিমিটার নিয়ে সাড়ে সাত লিটার পানিতে গুলে স্প্রে করতে হবে। বীজতলা থেকে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।

কম পটাশযুক্ত বালুমাটিতে টমেটো চাষ করলে ছত্রাকজনিত ঢলে পড়া রোগ দেখা যায়। এজন্য জমিতে বেশি পরিমাণে পটাশ ও জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া উপকারী ছত্রাক ট্রাইকোডারমা ভিরিডি জৈব সারের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
প্রায়ই দেখা যায় উন্নত জাত হওয়া সত্ত্বেও টমেটোর পেছন দিকে কালো কালো দাগ। নোনা মাটি, বেশি ভেজা বা বেশি শুকনো মাটি ও ক্যালসিয়ামের অভাবযুক্ত মাটিতে এ শারীরবৃত্তীয় অনিয়মজনিত রোগটি হয়। এর জন্য নিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত পানি সেচ দেয়া দরকার।
এছাড়া চাপানো সার হিসেবে ক্যান সার ব্যবহার করলে এবং দুই গ্রাম চুন প্রতি লিটার পানিতে গুলে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
জৈব সারের সাথে ট্রাইকোডারমা ভিরিডি নামক উপকারী ছত্রাক বীজতলায় বা মূল জমিতে ব্যবহার করলে চারা ধসা ও চারা ঢলে পড়া রোগ নির্মূল করা যায়। এছাড়া বীজ শোধন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ফসল
অ্যারোপোনিক্স উপায়ে সব্জি চাষে দারুন লাভ

হাইড্রোপনিক্স উপায়ে (Hydroponic Method) সব্জি চাষ প্রায় অনেকেই জানেন | কিন্তু, আপনি কি জানেন অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতিতে চাষাবাদ কি? অনেকেই ভেবে থাকেন এই দুই পদ্ধতি এক | আপাত দৃষ্টিতে এক লাগলেও, আছে সামান্য পার্থক্য | এই দুটি উপায়েই মাটি ছাড়া সব্জি চাষ সম্ভব | হাইড্রোপনিক্স উপায়ে মাটি ছাড়া জলের সাহায্যে বেড়ে ওঠে উদ্ভিদ এবং অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতিতে জলের পরিমান কম থাকে ও বাতাসের মাধ্যম উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটে | এই দুর্দান্ত কৌশলে সবজি চাষ করে আর্থিক দিক থেকেও লাভবান হওয়া যায় | যেখানে মাটির ঝামেলাও নেই আবার স্বল্প জল ব্যবহৃত হয়|
তবে, জেনে নিন অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতির খুঁটিনাটি;
অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতি কি (What is Aeroponics method)?-
প্রধানত, এটি হলো উদ্ভিদের শিকড়কে বাতাসে প্রকাশ করে উদ্ভিদের চাষাবাদ প্রক্রিয়া | এই পদ্ধতিতে একটি উচ্চ-চাপযুক্ত, পুষ্টিকর সমৃদ্ধ কুয়াশা গাছগুলিকে খাওয়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এবং শিকড়কে আরও সুষম জল, পুষ্টি এবং অক্সিজেন পরিপূরক সরবরাহ করে। উদ্ভিদগুলি কোনোরকম স্তর ব্যবহার না করেই জন্মায় |
অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে?
সাধারণত, এখানে বায়ুবিদ্যার নীতিকে কাজে লাগিয়ে চাষ করা হয় | তাই. বায়ুবিদ্যার মৌলিক নীতিটি হলো ঝুলন্ত উদ্ভিদ প্রজাতির বর্ধিত বা অর্ধ-উন্মুক্ত উদ্ভিদের ঝুলন্ত শিকড় ও তার কাণ্ডের নিচের অংশ জলের দ্রবণে নিমজ্জিত থাকে | এটি সম্পূর্ণ একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া | বৃহত্তর উদ্ভিদের জন্য, আপনি গাছপালা এবং ফলের ওজনকে সমর্থন করতে কিছু ধরণের ট্রেলিস বা অন্য ধরণের উল্লম্ব সমর্থনও ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতিতে সব্জি চাষ (Vegetables farming by Aeroponics method):
এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার ছাদ-বাগানে খুব সহজেই শাক-সব্জি, ফল-মূল চাষ করতে পারেন | সম্পূর্ণ বিষমুক্ত সব্জি উৎপাদন হয় | এখানে কোনো রাসায়নিক স্যারের ব্যবহার হয়না | মাটির পরিবর্তে নুড়ি, পাথর নেওয়া হয় | লাউ, কুমড়ো, টমেটো প্রায় সব সব্জি চাষ করা হয় এই পদ্ধতি অবলম্বনে | মাছের চাষের সময় যে বর্জ্য উৎপাদিত হয় তা পাইপের মাধ্যমে চলে আসে সব্জি চাষের মধ্যে | এটাই সব্জির খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় |
এই পদ্ধতিতে কোনো কিছুই নষ্ট হয়না | অনেক কৃষকরাই এই পদ্ধতিতে চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছেন | একই সময়ে, বায়বীয় যন্ত্রপাতি নিজেই একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এটি মাটি বিহীন এবং শুধুমাত্র সংক্ষিপ্ত সমর্থন কাঠামো অন্তর্ভুক্ত। উদ্ভিদ এবং সহায়তার মধ্যে একটি ন্যূনতম মিথস্ক্রিয়া ফলে গাছের 100% বায়ুর সংস্পর্শে আসতে দেয়। তদতিরিক্ত, হ্রাস করা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা শিকড়গুলির প্রাকৃতিক প্রসারণ বা বিশুদ্ধ জলে তাদের প্রবেশে বাধা দেয় না।
অ্যারোপোনিক্স পদ্ধতিতে উদ্ভিদের রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব:
এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত শাক-সব্জি সম্পূর্ণ জৈব | প্রধানত, এই পদ্ধতিতে চাষ রোগজীবাণু অনেকটাই কম হয় |উদ্ভিদ থেকে উদ্ভিদ যোগাযোগের পদ্ধতি প্রকৃতির দ্বারা মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ থাকে যার থেকে রোগজীবাণু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ। এ্যারোপোনিক্সের কোনও সমস্যা নয় কারণ অন্যের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে আগে সংক্রামিত উদ্ভিদটি সমর্থন কাঠামো থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা যায়। তার উপরে, প্রয়োজনে বাষ্পীকরণের প্রতিটি নাড়ি জীবাণুমুক্ত হতে পারে |অ্যারোপোনিকস এক নতুন ধরণের জৈব চাষের জন্ম দেয় যা সম্ভবত ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ |
দৈনন্দিন
ওজন নিয়ন্ত্রণে ফুলকপির ভাত

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে সুস্থ ও সুন্দর দেহ-মন অর্জন করা এবং বজায় রাখার তাগিদ এখন সারা বিশ্বে সবার মধ্যেই। হৃদ্রোগ, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে শরীরের ব্যথাবেদনা, হাড়ক্ষয়, বাতের সমস্যা—এসব রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসায়ও ওজন কমানো ও নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এমনকি করোনা মহামারিতেও দেখা যাচ্ছে মরবিড অবেসিটি বা বিপজ্জনক রকমের বেশি ওজন এই রোগের ভয়াবহতা ও প্রকারান্তরে মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ।বিজ্ঞাপন
ওজন নিয়ন্ত্রণে লো কার্ব ডায়েট ও কলিফ্লাওয়ার রাইস

নিজের শরীর স্লিম আর ফিট রাখতে যুগে যুগে বহু বিশেষায়িত ডায়েট বা নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের দ্বারস্থ হয়েছে মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় কম শর্করা গ্রহণের মূলমন্ত্র নিয়ে বহু ধরনের লো কার্ব ডায়েট অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করে অনেকেই দ্রুত সুফল পেয়েছে। এসব লো কার্ব ডায়েটের মধ্যে আছে একসময়ে সাড়া জাগানো এটকিন্স ডায়েট, প্যালেও ডায়েট আর হাল আমলে সবার মুখে মুখে ফেরা বিখ্যাত কিটোজেনিক ডায়েট বা কিটো ডায়েট। কম শর্করাযুক্ত খাবারের সমন্বয়ে করা লো কার্ব ডায়েট মানে কিন্তু না খেয়ে থাকা নয়। এ ক্ষেত্রে শর্করাজাতীয় খাবারের বিকল্প বিভিন্ন খাবার খেয়ে অত্যন্ত কার্যকরভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। তবে আমাদের মতো ভেতো বাঙালিসহ আরও যেসব দেশের মানুষ ভাত না খেয়ে থাকতে পারে না, তাদের জন্য ভাতের এক চমৎকার বিকল্প কলিফ্লাওয়ার রাইস বা ফুলকপি ভাত।
কলিফ্লাওয়ার রাইস কী
গোটা ফুলকপি কুরিয়ে বা গ্রেট করে দানাদার চালের মতো তৈরি করে তা ভাতের বিকল্প কলিফ্লাওয়ার রাইস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সবজি কুরানোর যন্ত্রে হাতে গ্রেট করে অথবা ব্লেন্ডারে হালকাভাবে ফুলকপির ফুলগুলো ব্লেন্ড করে নিলেই হয়ে গেল ফুলকপির চাল। এবার এই চাল দিয়ে অনায়াসে রান্না করা যায় ফ্রাইড রাইস, পোলাও, বিরিয়ানি। নিজস্ব খুব কড়া কোনো স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ না থাকায় চাল দিয়ে তৈরি করতে হয়—এমন যেকোনো রেসিপিতেই সুন্দরভাবে খাপ খেয়ে যায় কলিফ্লাওয়ার রাইস।আরও পড়ুনচাল ছাড়াই ফ্রায়েড রাইস
কলিফ্লাওয়ার রাইসের ইতিকথা
সেই ১৮৬৩ সালে লো কার্ব বা কম শর্করার ডায়েটের ওপরে বই লিখে ওজন সচেতন মানুষের মনে সাড়া জাগিয়েছিলেন ব্রিটিশ এক ফিটনেস এক্সপার্ট। এরপর ২০০২ সালের দিকে ব্যায়ামবিজ্ঞানী লরেইন কোর্ডেনের ‘প্যালেও ডায়েট’ বইয়ে প্রথম চালের ভাতের বদলে কলিফ্লাওয়ার রাইস খাওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়। আর এখন তো কলিফ্লাওয়ার রাইস সারা বিশ্বেই সমাদৃত।বিজ্ঞাপন
কলিফ্লাওয়ার রাইস বনাম চালের ভাত
দানাদার ও সাদা ফুলকপি ভাত দেখতে ও খেতে কিছুটা হলেও ভাতের আমেজ দেয় আমাদের। অথচ এক কাপে ভাতের তুলনায় প্রায় ৮০ ভাগ কম ক্যালরি থাকে ফুলকপির ভাতে। নেট শর্করার পরিমাণও ভাতের তুলনায় প্রায় ১৮ ভাগের ১ ভাগ। এ ছাড়া ফুলকপির পুষ্টিগুণের ব্যাপারটা তো আছেই!

কলিফ্লাওয়ার রাইসের উপকারিতা
কলিফ্লাওয়ার রাইসের উপাদান হচ্ছে গোটা তাজা ফুলকপি। শীতকালের এই ভরা মৌসুম মানেই ফুলকপির বড়া, ফুলকপির তরকারি, ফুলকপির শিঙাড়া। কিন্তু এই অভিনব কলিফ্লাওয়ার রাইস খেলে কম শর্করা খাওয়ার উপকারের পাশাপাশি ফুলকপির অনন্য পুষ্টিগুণ পাব বাড়তি পাওনা হিসেবে। ফুলকপির গুণের কথা তো বলে শেষই করা যায় না। তাও দেখে নেওয়া যাক এর প্রধান উপকারিতা আর উপযোগিতাগুলো।
পুষ্টিকর সবজি ফুলকপিতে আছে অপ্রত্যাশিত পরিমাণে ভিটামিন সি। তবে উচ্চতাপে নষ্ট হয়ে যায় বলে একমাত্র কাঁচা কলিফ্লাওয়ার রাইসেই যথার্থ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তবে পানি না দিয়ে অল্প তাপে তাড়াতাড়ি নেড়েচেড়ে কোরানো ফুলকপি স্টারফ্রাই করলেও কিছুটা অক্ষুণ্ন থাকে ভিটামিন সি। এ ছাড়া এতে আছে যথেষ্ট ভিটামিন বি৬, ভিটামিন কে, ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। তবে কোলিন নামের আধুনিক কালে আবিষ্কৃত এক বিশেষ পুষ্টি উপাদান উদ্ভিজ্জ উৎসের মধ্যে একমাত্র ফুলকপিতেই পাওয়া যায় খুবই ভালো পরিমাণে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই কোলিন আমাদের হার্ট, লিভার, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, ক্যানসার গবেষণায় উঠে এসেছে, ব্রকলি ও ফুলকপির বিশেষ অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ক্যানসারের জন্য দায়ী কারসিনোজেনের বিরুদ্ধে ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।

আমাদের বাঙালি স্বাদগ্রন্থির পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি আর গলা অবধি উদরপূর্তির অভ্যাসের নিরিখে দেখতে গেলে ফুলকপি ভাতের ভবিষ্যৎ আপাতদৃষ্টিতে খুব উজ্জ্বল মনে না হলেও বাস্তবতা কিন্তু অন্য কথা বলে। কলিফ্লাওয়ার রাইসের ফাইবার আর পানির উপস্থিতির কারণে ভাতের বদলে খেলে কিছুটা হলেও পেট ভরে আর তৃপ্তি মেলে। আর বর্তমান সময়ে যখন অতিরিক্ত ওজনের ফলে বিভিন্ন মারাত্মক রোগ বেড়েই চলছে হু হু করে আমাদের দেশে, তখন শর্করার বিকল্প হিসেবে এই ফুলকপি ভাতের গুরুত্ব ও আবেদন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে অবশ্যই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, বিশেষত পশ্চিমা দেশগুলোয় এর জনপ্রিয়তার কারণেও আমরা ধীরে ধীরে এই কিটোজেনিক লো কার্ব রাইসের দিকে আগ্রহী হচ্ছি। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সমাজের ফিটনেস–সচেতন মানুষের প্লেটেও ঘরে ঘরে নিত্যদিন শোভা পাবে ফুলকপি চালের পোলাও অথবা ফ্রাইড কলিফ্লাওয়ার রাইস।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন