আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

প্যাটি চিতই

চিতই পিঠা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষার কোনো শেষ নেই। রাস্তার মোড় থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সবাই চিতই পিঠা নিয়ে পরীক্ষা করতে ভালোবাসে। এই পরীক্ষার ফল যে খুব খারাপ হয়েছে, তা নয়। দুধ চিতই, খেজুর রসে ভেজানো চিতই বা গুড় দিয়ে চিতই খাওয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী পথের বাইরে অনেক মুখরোচক উপায়ে এখন চিতই পিঠা খাওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন রকমের ভর্তার সঙ্গে চিতই পিঠা খাওয়া। এসব ভর্তার মধ্যে ধনেপাতাসহ বিভিন্ন সবজির ভর্তা যেমন আছে, তেমনি আছে চ্যাপা শুঁটকির ভর্তাও! এবং মজার বিষয়, যেকোনো কিছু দিয়ে চিতই পিঠা খেতে খারাপ তো লাগেই না, বরং চিতই পিঠা খাওয়ার নতুন পদ্ধতির মধ্যে কোনো কোনো ভর্তার আবিষ্কার রীতিমতো যুগান্তকারী।

চিতই পিঠা নিয়ে বাঙালির পরীক্ষা–নিরীক্ষার আরেকটি আবিষ্কার প্যাটি চিতই। আগ্রহীদের জন্য রেসিপি দিয়েছেন ফাতিমা আজিজ।বিজ্ঞাপন

উপকরণ

পোলাও চাল ২ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, পানি এক কাপ, সেদ্ধ চাল ১ টেবিল চামচ।

প্যাটি চিতই
প্যাটি চিতই

প্রণালি

চাল ভালো করে ধুয়ে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। প্রথমে আধা কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে লবণ মিশিয়ে আরও আধা কাপ অথবা পরিমাণমতো পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে মসৃণ ব্যাটার তৈরি করুন।

নন–স্টিক কড়াই বা প্যান ভালো করে গরম করুন। সামান্য তেল ব্রাশ করা যেতে পারে। এবার ডালের চামচের ২ চামচ ব্যাটার দিয়ে ঢেকে দিন। ৩-৪ মিনিট পর ঢাকনা খুলে পিঠা উঠিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। এভাবে প্রতিটি পিঠা তৈরি করুন। তারপর ফয়েল পেপার দিয়ে ঢেকে রাখুন।

প্যাটি তৈরির উপকরণ

মাংসের কিমা ১ কেজি, ডিম ২টি, পেঁয়াজ মিহি কুচি ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ মিহি মিহি ২ চা-চামচ, পাউরুটি ৪ স্লাইস, শর্ষের গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, জায়ফলগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, চিনি ২ চা-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, অয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ, তাবাস্কো সস ২ চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার আধা কাপ, পুদিনাপাতার কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল সেঁকা ভাজার জন্য।

প্যাটি চিতই
প্যাটি চিতই

প্রণালি

তেল বাদে সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে মেখে নিন। বেশি নরম হলে সামান্য একটু বিস্কুটের গুঁড়া মেশাতে পারেন। মাংস ১০-১২ ভাগ করুন। হাতের তালুতে তেল মেখে মাংস দিয়ে চ্যাপ্টা গোলাকার স্টেক তৈরি করুন। রুটি বা পিঠার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্যাটির মাপ হবে। একটি বড় শুকনা ট্রেতে কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে প্যাটি তাতে গড়িয়ে নিন। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে প্যাটি সেঁকা তেলে ভেজে তুলুন।বিজ্ঞাপন

প্যাটি চিতই তৈরি

উপকরণ:

চিতই পিঠা ১০টি, স্টেক ৫টি, পনির টুকরা ১০টি, লেটুস ৫টি, পেঁয়াজ (রিং করে কাটা) ৪টি করে রিং প্রতিটির জন্য। কাঁচা মরিচের কুচি ইচ্ছেমতো, টমেটো কেচাপ ১ চা-চামচ প্রতিটির জন্য।

প্রণালি

প্রথমে ১টি চিতই পিঠার ওপরে ১টি লেটুস বিছিয়ে নিন। তার ওপর একে একে পনির টুকরা, স্টেক, টমেটো কেচাপ, পেঁয়াজের রিং, কাঁচা মরিচের কুচি দিয়ে আরেকটি চিতই পিঠা দিয়ে টুথপিক দিয়ে আটকে নিন। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ৩০ সেকেন্ড ভাপিয়ে পরিবেশন করুন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com