আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

পূজার আহারে সাত্ত্বিক ভোগের স্বাদে সাবুদানার পোলাও!

পূজার ভোগ বলতে আমরা সাধারণত বুঝি গোবিন্দভোগ চাল আর সোনামুগ ডাল মিশিয়ে তৈরি খিচুড়ি। এমন খিচুড়িতে গাওয়া ঘি মিশিয়ে নিলে তো কথাই নেই! ঠিক যেন অমৃত! কিন্তু অনেকেই এ দিনে খাবারের অভ্যাসে নতুনত্ব আনতে চান। এদিনে নতুন কিছু হলে মন্দ হয় না। এ জন্য এবার ভোগের স্বাদে সাবুর পোলাও হলে খারাপ কি। এ পোলাওয়ের প্রধান উপকরণই হলো- সাবুদানা। 


অনেকেই আসলে অষ্টমীর দিন উপোস করে থাকেন। আর উপোস করলে সাধারণত সাবুজাতীয় খাবার অথবা ফলমূল খেয়েই থাকতে হয়। তাই একটু রুচি পালটাতে সাবুর পোলাও ট্রাই করা যেতে পারে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, উপোস করে থাকলেও সাবুর পোলাওয়ের মতো সাত্ত্বিক ভোগ দারুণ উপাদেয়। যাই হোক, কথা না-বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে তৈরি করবেন সাবুর পোলাও। সাবুর পোলাও রেসিপি:সাবু এমনিতে খুবই হালকা খাবার। খেতে তো ভালোই, সেই সঙ্গে শরীরে প্রচুর এনার্জিও জোগায় সাবু। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই উপোসের সময় শরীরকে সতেজ রাখে সাবু। এটা মেটাবলিজম বাড়ায় এবং হজমশক্তিও বাড়াতে সাহায্য করে।উপকরণ:১৫০ গ্রাম সাবু দানা৪০ গ্রাম কাজুবাদামদুটো মাঝারি আলু২০ গ্রাম কাঁচা বাদাম১/২ টেবিল-চামচ গোলমরিচ১ চা-চামচ সয়াবিন তেল১ টেবিল-চামচ ঘি৫০ গ্রাম ধনেপাতা৭টি কাঁচা লঙ্কা২ টেবিল-চামচ লেবুর রস১ চা-চামচ গোটা সরষেস্বাদ মতো লবণ
প্রণালী:প্রথমে সাবুদানাটা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। ৪-৫ ঘণ্টা ধরে সাবুদানা ভিজতে রাখতে হবে।আলুটা মাঝারি আঁচে রেখে সেদ্ধ করে নিতে হবে। আলু মোটামুটি নরম হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে আলুটা বেশি সেদ্ধ যেন না-হয়। ঠান্ডা হলে আলুর খোসা ছাড়িয়ে ডুমো-ডুমো করে কেটে নিতে হবে। এর পর ধনেপাতা এবং মরিচ কুচিয়ে রাখতে হবে।


এবার মাঝারি আঁচে একটা কড়াই বসাতে হবে। কড়াইটা গরম করে তাতে কাঁচা বাদাম দিয়ে শুকনো খোলায় ভেজে তুলতে হবে। এর পর তাতে তেল দিয়ে গরম করতে হবে। তেলটা গরম হলে তার মধ্যে কাজুবাদামগুলো ছেড়ে দিতে হবে। কাজুবাদামটা খানিক ভেজে তুলে রাখতে হবে।এর পর ওই একই কড়াইয়ে ঘি দিয়ে ঘিটা গরম করে তার মধ্যে গোটা সরষে ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়নের গন্ধ বেরিয়ে এলে তার মধ্যে কুচিয়ে রাখা মচির ছেড়ে দিতে হবে। খানিক নাড়াচাড়া করে এ বার কেটে রাখা আলু ঘিয়ের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। আলুটা ভাজা হলে লালচে বাদামি রঙের দেখাবে। আলু ভাজা হলে তার মধ্যে সাবুদানা যোগ করতে হবে। নাড়াচাড়া করে এ বার লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিতে হবে। পুরোটা মেশানোর পর একটা ঢাকনা দিয়ে কড়াইটা ঢেকে ২-৩ মিনিট রেখে দিতে হবে। সব শেষে, ঢাকনা খুলে একটা সার্ভিং ট্রে-তে ঢেলে নিতে হবে। তার পর তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা বাদাম ও কাজুবাদাম এবং কুচিয়ে রাখা ধনেপাতা ছড়িয়ে দিতে হবে। হয়ে গেল সাবুর পোলাও।
পরিবেশন ডিসে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবারে সবাইকে এবং অথিতিকে অষ্টমীর দুপুরে পরিবেশন করুন। এ গরম গরম সাবুর পোলাও সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। সাত্ত্বিক ভোগের স্বাদেই না হয় জমে যাক এবারের পূজার আহার

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com