ফসল
ধানের বিস্ময় ব্রি
লেখক
কালের কণ্ঠ
ব্রির (BRRI) আধুনিক জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশ, বিশেষ করে স্বল্প ব্যয়ে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষ লাভবান হচ্ছে। ব্রির আধুনিক জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি না থাকলে দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে সরকারকে আমদানি করতে হতো আরো অনেক বেশি। এই জাতের কারণে সরকারের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে
দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠার মূল সূচক ধান উৎপাদনে অগ্রগতি। সাফল্যের সূচকে দেশের অন্য সব খাতের মধ্যে এখনো সদর্পে মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলেছে ধানভিত্তিক কৃষিব্যবস্থা। প্রধান খাদ্য হিসেবে দেশের মানুষের প্রিয় খাবার ভাতই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সহজলভ্য হয়ে আছে। সময়ে সময়ে অন্য পণ্যগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধীরে ধীরে দাম বাড়লেও এখনো বিশ্বের ধানপ্রধান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে ধান ও চালের দাম কমই রয়ে গেছে। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়ায়ও চালের দাম বাংলাদেশের তুলনায় বেশি। আবার দেশে গত ৫০ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম যতটা বেড়েছে সাধারণ ভাতের চালের দাম ততটা বাড়েনি। সেই সঙ্গে দেশে একের পর এক উদ্ভাবন ঘটছে নিত্যনতুন ধানের জাতের। দুর্যোগে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এমন অনেক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন দেশের বিজ্ঞানীরা। লবণাক্ততা, খরা ও বন্যা সহিষ্ণু ধান উৎপাদনে বিদেশেও নজর কেড়েছে বাংলাদেশ। এর সবই সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি—BRRI) নানা গবেষণার পথ ধরে। এমন আরো অনেক উদ্যোগের স্বীকৃতিও মিলেছে বিশ্বের বিভিন্ন পর্যায় থেকে, জাতীয় পর্যায়ের অনেক পুরস্কারও এসেছে ধান উৎপাদনের অগ্রযাত্রায়। স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স ও ব্রির বয়স প্রায় একই। ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর ঢাকার অদূরে গাজীপুরে যাত্রা শুরু করে ব্রি। গত ৫০ বছরের এগিয়ে চলা গর্বিত করছে বাংলাদেশকেও। প্রতিষ্ঠানটি এই ৫০ বছরে কয়েক শ ধরনের গবেষণা পরিচালনা করে বিভিন্ন জাতের ধান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে গত ১০ বছরেই ধানের ৫১টি জাত উদ্ভাবন বেশি সাড়া ফেলেছে। এখনো আরো অনেক ধানের উদ্ভাবনে কাজ চলছে।
গবেষণার ক্ষেত্রে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ছয়টি হাইব্রিডসহ ৯৪টি আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন, যার মধ্যে ১০টি লবণাক্ততা সহনশীল, রোপা আমনের খরা সহনশীল তিনটি জাত, জলাবদ্ধতা সহনশীল চারটি জাত, পুষ্টিসমৃদ্ধ পাঁচটি জাত এবং রপ্তানিযোগ্য বিশেষ চারটি জাতের ধান। এ ছাড়া মাটি, পানি, সার ব্যবস্থাপনা ও ধানের চাষাবাদ পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট ৫০টির বেশি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন, ৫০টির বেশি লাভজনক ধানভিত্তিক শস্যক্রম উদ্ভাবন, ৩২টি সহজ কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন, দেশ ও বিদেশের আট হাজারের বেশি ধানের জার্ম প্লাজম সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বছরে ১০০ মেট্রিক টনের বেশি ব্রিডার বীজ উৎপাদন উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে থাকলেও ধানের কোনো ক্ষতি হবে না—এমন বিস্ময়কর ধানের জাত আবিষ্কৃত হয়েছে বাংলাদেশেই। ব্রির আধুনিক জাত ও উৎপাদন-প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশ, বিশেষ করে স্বল্প ব্যয়ে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষ লাভবান হচ্ছে। ব্রির আধুনিক জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি না থাকলে দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে সরকারকে খাদ্য আমদানি করতে হতো আরো অনেক বেশি। এই জাতের কারণে সরকারের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। এই খাতের বিজ্ঞানীদের ভাষায়, ধান গবেষণা ও সম্প্রসারণে এক টাকা বিনিয়োগ থেকে আসে ৪৬ টাকা। ব্রির জাত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে ধানের দাম স্থিতিশীল থাকে। ১৯৮০ সাল থেকে নিয়মিত খাদ্যশস্য আমদানি কমতে থাকে এবং ১৯৯০ সালের দিকে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতার কাছাকাছি পৌঁছে। এখন দেশে দিনে অন্তত এক বেলা ভাত খাচ্ছে না—এমন কোনো পরিবার নেই বলেও দাবি করে থাকেন ধানবিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চফলনশীল ধানের জাত এবং ধান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে ব্রি। গত ৫০ বছরে ধান উৎপাদন তিন গুণের বেশি বেড়েছে, আর সে কারণেই বাংলাদেশে ধান গবেষণায় ব্রি বহির্বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছে। প্রাথমিকভাবে ব্রি ১১টি গবেষণা শাখা এবং তিনটি আঞ্চলিক কার্যালয় নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। এখন তা বেড়ে ১৯টি গবেষণা শাখা এবং ১১টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে সম্প্রসারিত হয়েছে; যেখানে প্রায় সাড়ে তিন শ বিজ্ঞানীসহ প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন নিরলসভাবে।
দেশে আবাদযোগ্য যত জমি আছে তার মধ্যে ব্রির উচ্চফলনশীল আধুনিক ধানের জাত হিসেবে বর্তমানে বোরোর (শীতকালীন ধান) ৮২ শতাংশ, আউশের (গ্রীষ্মকালীন ধান) ৩৬ শতাংশ এবং রোপা আমনের (বর্ষাকালীন ধান) ৪৭ শতাংশ চাষ হচ্ছে। গড়ে দেশের মোট ৭৫ শতাংশ জমিতে ব্রি ধানের চাষ হয় এবং দেশে উৎপাদিত ধানের ৮৫ শতাংশ আসে এই ধান থেকে। ব্রির উচ্চফলনশীল আধুনিক জাত প্রতিবছর ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। ফলে ১৯৭০-৭১ অর্থবছরে দেশে মোট উৎপাদিত ধান এক কোটি ১০ লাখ টন হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসে তা প্রায় চার কোটিতে উঠে এসেছে।
অন্যদিকে ব্রি প্রযুক্তিগতভাবে বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় আয় ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। দেশের যেসব এলাকায় ব্রি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় সেসব এলাকায় অন্য এলাকার চেয়ে দারিদ্র্যের হার কম। এ ছাড়া পরোক্ষভাবে সার ব্যবসা, পাম্পসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণসহ নানাভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আধুনিক সেচ সুবিধা, আধুনিক জাতের ধান চাষের জমির প্রসারণে দেশের কৃষি ও অকৃষি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে গ্রামীণ মানুষের আয়ও বেড়েছে।
ধান গবেষণা ও ধানের জাত উদ্ভাবনে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু পুরস্কার-১৯৭৪, প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক-১৯৭৭, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার-১৯৭৮, প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক-১৯৮০, এফএও ব্রোঞ্জ প্ল্যাক-১৯৮০, প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক-১৯৮৪, বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুল্লাহ ট্রাস্ট স্বর্ণপদক-১৯৮৬, ড. মনিরুজ্জামান ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক-১৯৯১, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার-১৯৯২, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার-১৯৯৭, ইরি প্ল্যাক অব অনার-২০০৪, সেনাধীরা অ্যাওয়ার্ড (ইরি)-২০০৬, ষষ্ঠ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড সম্মাননা স্মারক-২০০৮, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল সম্মাননা-২০০৮, জাতীয় পরিবেশ পদক-২০০৯, অ্যাগ্রিকালচারিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ গোল্ড মেডেল-২০০৪, মার্কেন্টাইল ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড-২০১৩, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) অ্যাওয়ার্ড-২০১৪, সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেআইবি কৃষিপদক-২০১৫, আইসিটি কাজের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সেবা প্রদানের উৎকর্ষের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬-এ জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরস্কার-২০১৬, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড-২০১৭, বাংলাদেশ একাডেমি অব অ্যাগ্রিকালচার-২০১৮, সেনাধীরা রাইস রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮।
আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
-
খাতা-কলম ও মাঠের চিত্রে ‘মিলছে না’ চাল উৎপাদনের হিসাব
-
রাবার তৈরি হয় যেভাবে
-
ঘন কুয়াশায় রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
-
যেভাবে ঘরে বসে মাশরুম চাষ করবেন
-
ইউটিউব দেখে ক্যাপসিক্যাম চাষে চমকে দিলেন নাহিদ
-
ক্যাপসিকাম চাষে ৪ লাখ টাকা আয়ের আশা
-
ফলগাছের বিভিন্ন সমস্যা দূর করবেন যেভাবে
-
যে কারণে ফল গাছের অঙ্গ ছাঁটাই করবেন
-
যেভাবে সুতি কাপড়ের যত্ন নিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে
-
টাক মাথায় চুল গজাতে পেয়ারা পাতার ব্যবহার!

রবি মৌসুমে যেভাবে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে তাতে রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষিবিদরা। ঘন কুয়াশা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে রবি শস্য বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে ধারণা করছেন তারা।
সদর উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে এ আবহাওয়ার কারণে বোরো ধানের চারা হলদে রং হয়ে যাবে।
সরিষা, টমেটো ও আলু খেতে লেট রাইট রোগের প্রকোপ বাড়বে। শাক-সবজির সাধারণ বৃদ্ধি ব্যাহত হবে। আম ও কুল গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে যাবে। কারণ কুয়াশায় সবুজ পাতার স্ট্রোমা ছিদ্র হয়ে যায়।
এতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করতে পারে না। কুয়াশার কারণে আমের মুকুলে এনথ্রাক্স ও পাউডারি মিলভিউ রোগ দেখা যায় এবং পাউডারি মিলভিউ রোগে মুকুল পচে যায়।

এছাড়া আম গাছের হোপার পোকার আক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। এধরনের আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে কুলেও এনথ্রাক্স রোগ দেখা দিতে পারে। এ রোগে কুলের বহিরাবরণে কালো দাগের সৃষ্টি হবে এবং এক সময় কুল পচে যাবে।
কৃষিবিদ কামরুন্নাহার তামান্না জানান, ঘন কুয়াশার কারণে ঘটিত রোগ প্রতিরোধে টমেটো, আলু ও শীতকালীন লতা সবজিতে রেডোমিন গোল্ড স্প্রে করে দিতে হবে।
আমের মুকুল ও কুল ফসলে ভালো করে পানি স্প্রে করে দিতে হবে যাতে করে কুয়াশার পানি ও থেমে থাকা জীবাণু ধুয়ে ফেলতে হবে। যাতে করে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম হবে বলে জানান কৃষিবিদ কামরুন্নাহার তামান্না।

ঘরে বসে মাশরুম চাষ করা যায় খুব সহজেই। করোনাকালে যারা ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছেন তারা এটি চাষ করতে পারেন। মাশরুম অনেক পুষ্টিকর খবার। এই সময়ে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন হাই প্রোটিনযুক্ত ডায়েটের। মাশরুম হাই প্রোটিনযুক্ত। হজম হয় তাড়াতাড়ি। প্রোটিন ছাড়াও এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজপদার্থ।
বিশ্বজুড়ে চাষ করা হয় নানা জাতের মাশরুম। তবে আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এবং তুলনামূলক সহজ পদ্ধতিতে ঘরে ফলানোর জন্য উপযুক্ত অয়েস্টার, মিল্কি, প্যাডি স্ট্র জাতীয় মাশরুম। অয়েস্টার মাশরুম ফলানোর পক্ষে আবার শীতকাল উপযুক্ত। বাকি দুটোর উপযুক্ত সময় মার্চের পর থেকে, যখন ঠান্ডা কমে যায়।

জেনে নিন ঘরে বসে যেভাবে মাশরুম চাষ করবেন,-
অয়েস্টার মাশরুম চাষের উপকরণ: প্রধানত তিনটি উপকরণ দরকার এই ধরনের মাশরুম চাষ করার জন্য। এগুলো হচ্ছে,- স্পন বা মাশরুমের বীজ, খড় ও পলিথিনের ব্যাগ।
চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যায় এমন দোকানে, মাশরুম প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এবং অনলাইন শপিং সাইট থেকে মাশরুমের বীজ কিনতে পাওয়া যাবে। বাকি উপকরণগুলো সহজে জোগাড় করা যায়।

পদ্ধতি: চাষের জন্য প্রথমে আধ থেকে এক ইঞ্চি মাপের খড় কেটে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ফুটন্ত গরম পানিতে প্রায় ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন অথবা ব্লিচিং পাউডার ও চুন মেশানো পরিষ্কার পানিতে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ফোটানো বা ভেজানোর পরে পানি এমনভাবে ঝরিয়ে নেবেন, যাতে হাত দিয়ে খড় চাপলে পানি না পড়ে অথচ হাতে একটা ভেজা ভাব থাকবে। এরপর একটি পলিব্যাগের মধ্যে দু’ইঞ্চি পুরু করে খড় বিছিয়ে তার উপর ব্যাগের ধার ঘেঁষে বীজ ছড়িয়ে দিতে হবে।
বীজের উপরে আবার খড় ও খড়ের উপর আবার বীজ, এইভাবে প্রায় সাত-আটটা স্তর তৈরি করে পলিব্যাগের মুখ কয়েকটা প্যাঁচ দিয়ে কষে বন্ধ করে দিন। খড় বিছানোর সময় প্রতিবার হাত দিয়ে ভালো করে চেপে দিন, যাতে খড়ের ভিতর হাওয়া জমে না থাকে।

এরপরে প্যাকেটে দশ থেকে বারোটা ছোট ছোট ছিদ্র করে তুলা দিয়ে ছিদ্রের মুখ বন্ধ করে দিলে স্বাভাবিক হাওয়া চলাচল বজায় থাকবে, আবার তুলা থাকায় ধুলাও ঢুকতে পারবে না। প্যাকেটটি সাত থেকে দশ দিনের জন্য কোনও অন্ধকার জায়গায় রেখে দিন।
খেয়াল রাখবেন, অন্ধকার হলেও জায়গাটিতে যেন হাওয়া চলাচল করে। জায়গাটি যাতে পরিষ্কার ও পোকা-মাকড়মুক্ত থাকে, সে খেয়ালও রাখতে হবে। মাছি কিন্তু মাশরুম চাষে ভয়ানক ক্ষতি করে।

কয়েক দিনের মধ্যেই সেই প্যাকেটে বীজের জায়গায় সাদা আস্তরণ দেখা দেবে, যাকে মাইসেলিয়াম বলে। অল্প কয়দিনের মধ্যে পুরো ব্যাগটাই মাইসেলিয়ামে ভরে গেলে তুলো সরিয়ে ফেলে আরও কয়েকটি ছিদ্র করে ব্যাগটিকে কিছুটা আলোর মধ্যে রাখতে হবে।
তবে সরাসরি রোদে নয়, ঘরের ভিতর যেটুকু আলোয় বই পড়া যায়, তেমন আলোয়। বাতাসে আর্দ্রতা বুঝে প্রয়োজন মাফিক প্যাকেটের উপরে মাঝে মাঝে জল স্প্রে করবেন। এর কয়েক দিনের মধ্যেই ছিদ্র দিয়ে মাশরুমের পিনহেড উঁকি দেবে। সাধারণত পঁচিশ থেকে তিরিশ দিনের মধ্যে মাশরুম খাওয়ার মতো পরিণত হয়ে যায়। একটি ব্যাগ থেকে তিনবার ফলন পাওয়া যায়।


জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। মরিচ চাষে শুধু চাষিরাই লাভবান হননি, বেশি দাম পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন কৃষক-দিনমজুর ও ব্যবসায়ীরাও।
জামালপুর সদরে তুলশিরচর, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি, বকশিগঞ্জ উপজেলার যমুনা নদীর অববাহিকায় মুন্নিয়ারচর, সাপধরী, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া, দেওয়ানগঞ্জের কুলকান্দির চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জমিতে করা হয়েছে মরিচের আবাদ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামালপুরের সাতটি উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে লাল-সবুজের রঙে ছেয়ে গেছে মরিচের খেত। কেউ মরিচ খেত পরিচর্যা করছেন, কেউ মরিচ তুলছেন কেউ মরিচ বাজারে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা খরিদদাররা মরিচ কিনে স্তূপ করে রাখছে দেশের বিভিন্ন জেলায় নেয়ার জন্য। বাজারে দাম ভালো থাকায় মরিচ চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন এ এলাকার অনেক মরিচ চাষি পরিবার। আবার যাদের জমি নেই, তারা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে মরিচ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
ঢাকা থেকে মরিচ কিনতে আসা পাইকার মফিজুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে ৭৫ থেকে ৯০ হাজার টাকায় মরিচ খেত কিনে বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করছেন। ইসলামপুর, মেলান্দহ, দেওয়ানগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, মেস্টাবাজারেও প্রতি মণ মরিচ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় ক্রয় বিক্রি করছি। লাভও হচ্ছে ভালো।

নাওভাঙ্গাচরের মরিচ চাষি মনোহর আলী জানান, এ বছর সাত বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন তিনি। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা মরিচ খেত ৭৫ থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
ইসলামপুরের বেলগাছা ইউনিয়নের মুন্নিয়ার চরের নারী দিনমজুর অজুক বেওয়া, হাসিনা বেগম ও মর্জিনা বেগম মরিচ খেতে কাজ করেন। তারা জানান, এবার মরিচের আবাদ ভালো হওয়ায় মালিক দাম বেশি পাচ্ছে। আমরাও বাড়ির কাজ শেষে মরিচ খেতে কাজ করে সংসার চালাই। আমরা প্রতিজনে প্রতিদিন ৩৫০ টাকা করে মজুরি পাচ্ছি।
চট্টগ্রাম থেকে আসা পাইকার জহির ব্যাপারী ও মদন দেব জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকায় ১৭ বিঘা মরিচ খেত কিনেছি। এখন পর্যন্ত ৯ লাখ কাটার মরিচ বিক্রি করছি। প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০ জন নারী শ্রমিক খেতে মরিচ তোলার কাজ করেন। প্রতি বিঘায় খরচ বাদে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় এবার জামালপুর জেলায় ৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জেলায় মরিচ চাষ করা হয়েছে ৮ হাজার ৬৪৭ হেক্টর জমিতে। গত কয়েক বছরের তুলনায় যা অনেক বেশি। মরিচের সম্ভাবনাময় বাম্পার ফলন জেলার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলছে।

মাগুরায় দিন দিন আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। অধিক লাভের আশায় এখন আগাম জাতের আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন তারা। বাজারে আগাম জাতের আলুর ভালো দাম পেয়ে খুশি বলে জানিয়েছেন আলুচাষিরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, কৃষকরা এখন শীতের কুয়াশা উপক্ষো করে সকালে শিশির ভেজা মাঠে আগাম জাতের আলু তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগাম জাতের ক্যারেজ আলু চাষ করে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামের আলুচাষি বিকাশ।
আগাম জাতের আলুতে ভালো লাভ পাওয়া যায়, এজন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ক্যারেজ আলু চাষ করেছেন বলে জানান।
বর্তমান বাজারে ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৪শ টাকা পর্যন্ত প্রতি মণ আলু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি বলে জানান, সদর উপজেলার হাজীপুর গ্রামের আলুচাষি বেলাল হোসেন।
প্রথম দিকে একশ টাকা কেজি থেকে শুরু হলেও বর্তমানে খুচরা বাজারে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু। আবহাওয়া আলু চাষের অনুকূলে থাকায় দাম কমলেও এবার ফলন বেশি হওয়ায় লাভ ভালো হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।

আগাম জাতের আলু ওঠার পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় দফায় অন্যান্য আলু চাষ করার সময় বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ মণ আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। এ সময় আলু বাজার দর কিছুটা কম থাকলেও অতিরিক্ত ফলনের কারণে কৃষকদের লোকসান হয় না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক জনান, চলতি মৌসুমে মাগুরা জেলায় ১ হাজার ১শ মেট্রিকটন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন- এবছর জেলায় ৯শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে শালিখা উপজেলায় ছত্রিশ, শ্রীপুরে নয় হেক্টর, মহম্মদপুরে চার ও সদর উপজেলা এক হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে।
এছাড়া এ চাষ সফল করার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষকদের মাঝে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা প্রদান করেছে।

সিরাজগঞ্জের যমুনাতীরের চরগুলোতে যেদিকে তাকাবেন, কেবল হলুদ শর্ষের ফুলই চোখে পড়বে। সব খেতের পাশেই বসানো হয়েছে সারি সারি মৌবাক্স। শর্ষে ফুলের ম-ম গন্ধে ভরা খেতগুলোতে এখন দিনভর গুনগুন গুঞ্জন তুলে ওড়াউড়ি করে মৌমাছিরা। মৌবাক্সের পরিচর্যা আর মধু আহরণে তুমুল ব্যস্ত চাষিরা। রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার বিলে গিয়ে গত সপ্তাহে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। স্থানীয়রা ছাড়াও এই মৌচাষিদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি কয়েকটি কোম্পানিও সরাসরি খেতে এসে মধু কিনছে।
শর্ষের ফলন ভালো হলে মধুও ভালো হয় বা উল্টো করেও বলা যায়, ভালো ফলনে মৌমাছিরাও বিশেষ ভূমিকা রাখে। সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী চলতি মৌসুমে জেলায় শর্ষে আবাদ হয়েছে ৪৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এবার শর্ষের বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। আর চলতি মৌসুমে জেলায় ২ লাখ ২০ হাজার কেজি মধু আহরণের আশা করা হচ্ছে। গত মৌসুমে আহরণ করা মধুর পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১০ হাজার কেজি। চলতি মৌসুমের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২১ হাজার ৩৪৭ কেজি মধু আহরণ করা হয়েছে।
সূত্রগুলো জানায়, সিরাজগঞ্জে ৩৩৬টি মৌ খামার রয়েছে। প্রতিটি খামারের ১৫০ থেকে ৩০০টি পর্যন্ত মৌবাক্স রয়েছে। গত সপ্তাহে বোয়ালিয়ার বিলে গিয়ে দেখা যায়, মৌচাষিদের কেউ বাক্স থেকে মধু বের করছেন আবার কেউ বাক্স ঠিক করে দিচ্ছেন, কেউ ড্রামে মধু ভরছেন। খেত থেকে প্রতি কেজি মধু ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তাঁরা।
মধু ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বোয়ালিয়ার বিলে শর্ষের মধুর জন্য ১৫০টি মৌবাক্স স্থাপন করা হয়েছে। পাঁচ থেকে সাত দিন পরপর মধু আহরণ করা হয়। তাঁরা ১০-১২ জন পালা করে কাজ করেন।বিজ্ঞাপন
মৌচাষি শাহ আলম বিদেশি কোম্পানির কাছেও মধু বিক্রি করেন। তিনি বলেন, বোয়ালিয়ার চর এলাকায় ২০০টি মৌবাক্স বসিয়েছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় দুই টন মধু আহরণের আশা করছেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে দেশের কয়েকটি কোম্পানি মধু সংগ্রহ করে। এ ছাড়া বিদেশি কোম্পানির জন্যও তিনি মধু সরবরাহ করেন।

শুধু রায়গঞ্জ নয়, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, চৌহালী, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় শর্ষেখেতে চলছে মধু আহরণ। যমুনাতীরের চরাঞ্চলসহ এসব উপজেলায় শর্ষে ভালো হয়। খেতগুলো স্থানীয়দের হলেও মধু আহরণের জন্য দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, মাগুরা, নাটোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মৌ খামারিরা এখানে এসে আস্তানা গেড়েছেন। দিনাজপুরের ভাই ভাই আদর্শ মৌ খামারের মালিক মিনারুল ইসলাম বলেন, এবার শর্ষের ফলন ভালো হওয়ায় এ অঞ্চলে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাবনা থেকে আসা মৌচাষি আশরাফুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মধু সংগ্রহ করতে আসেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে মধু সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের সঠিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলে আরও ভালো দাম পাওয়া যাবে।
মৌচাষিরা বললেন, দেশি কোম্পানির মধ্যে এপি, স্কয়ারের প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছ থেকে মধু কেনে। এ ছাড়া ভারতে ডাবর কোম্পানির লোকজনও কয়েক বছর ধরে মধু কিনছে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একটি মধু প্রক্রিয়াকরণ কারখানা হয়েছে। মধু প্রক্রিয়াজাত করা হলে এতে যে গন্ধ থাকে, সেটা কমে যায়। স্বাদ ও গাঢ়ত্বেও পরিবর্তন আনা যায়। প্রক্রিয়াকরণের আরও কিছু কারখানা হলে মৌচাষিরা প্রক্রিয়াজাত মধু বিক্রি করে আরও ভালো দাম পাবেন।
মাঠে মধু কিনতে আসা আবদুর রহিমের সঙ্গে কথা হলো। তিনি বলেন, প্রতিবছরই তিনি মাঠ থেকে মধু সংগ্রহ করে সারা বছর বিক্রি করেন।
মধু সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের সঠিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলে আরও ভালো দাম পাওয়া যাবে।
খেত থেকে মধু কিনতে আসা কয়েকজন জানান, ঢাকার খোলাবাজারে তাঁরা সাত থেকে সাড়ে সাত শ টাকা কেজি মধু বেচতে পারেন। এ বছর অনলাইনে প্রচুর মধু বিক্রি হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবু হানিফ বলেন, সরকার শর্ষে চাষে বীজ ও সার প্রণোদনা দেয়। ফলে কৃষকেরা চাষে আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। এই মৌবাক্সের মধু থেকে মৌচাষিরা বাড়তি আয় করেন। খেতে মৌবাক্স স্থাপনে মৌমাছির পরাগায়নের মাধ্যমে ফসলের ১০ শতাংশ ফলন বেশি হয়। এখানকার মধু বিভিন্ন কোম্পানির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারেও বিক্রি হয়।

এবার দেশে চীন-ভারতের নতুন টিকার পরীক্ষা

দ্রুত টিকা আনার চেষ্টা চলছে, আগে পাবেন সম্মুখযোদ্ধারা: প্রধানমন্ত্রী

খাতা-কলম ও মাঠের চিত্রে ‘মিলছে না’ চাল উৎপাদনের হিসাব

রাবার তৈরি হয় যেভাবে

ঘন কুয়াশায় রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

যেভাবে ঘরে বসে মাশরুম চাষ করবেন

ইউটিউব দেখে ক্যাপসিক্যাম চাষে চমকে দিলেন নাহিদ

ক্যাপসিকাম চাষে ৪ লাখ টাকা আয়ের আশা

নিষিদ্ধ সত্ত্বেও সর্বোচ্চ মুনাফা টিকটকের

স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করবে অ্যাপল ও হুন্দাই

বিস্ময় কিশোর রাব্বির সমুদ্রজয়ের গল্প

‘কালো সোনা’ চাষে ব্যস্ত ফরিদপুরের চাষিরা, বাম্পার ফলনের আশা

পাটকাঠির ছাইয়ের কেজি ৬০ টাকা, আশা দেখছেন কৃষকরা

৬ বছর ধরে পাখির বাসা তৈরি করছেন তারা

আপনার সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনার ৭টি উপায়

গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বছরব্যাপী টমেটো চাষ

মাওয়ায় ৩৪ হাজার টাকায় বিক্রি হলো ‘বিরল’ বাঘাইড়

বারোমাসি তরমুজ

নীচু জমিতে উৎপাদন হচ্ছে শত শত টন মাছ

সিঙ্গাপুরে চালু হচ্ছে ল্যাবরেটরিতে তৈরি মুরগীর মাংস

বিকলাঙ্গ হয়েও পান না প্রতিবন্ধী ভাতা, থাকছেন ভাঙা ঘরে

ছাগলের দৌড় প্রতিযোগিতা, প্রথম পুরস্কার মোবাইল

হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বন্যপাখি

কার্পজাতীয় মাছ চাষের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন

৪৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের টাইম স্কেলের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

অনলাইনে নারীদের কৃষিপণ্য

শ্বাসযন্ত্রের সবচেয়ে মারাত্মক রোগ ফুসফুস ক্যানসার

গলাব্যথা কেন হয়

পিঠ ও কোমরব্যথার কারণ ও প্রতিকার

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন