আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

ডায়াবেটিস থেকে হতে পারে ক্যান্সার

বিভিন্ন দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন, টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হারে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে

আমাদের দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগী। আর ডায়াবেটিস মানেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা। আর এই জটিলতাকে আরও জটিল করে তুলছে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি। তাই সময় এসেছে ডায়াবেটিস নিয়ে আরেকটু বেশি সচেতন হওয়া এবং নিজের প্রতি আরও যত্নবান হওয়া।

কেন ডায়াবেটিস রোগীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?

টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীরা জানেন, রক্তের শর্করা দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেয় এবং দেহের প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করে। এই অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে হতে পারে “ডিএনএ ড্যামেজ”, যা ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টির কারণ হিসেবে কাজ করে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি থাকলে ডিএনএ ড্যামেজ দীর্ঘস্থায়ী হয়। 

যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদের তুলনায় ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে ওভারিয়ান, ব্রেস্ট, কিডনি এবং অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণেরও বেশি। সাধারণতঃ নারীদের তুলনায় পুরুষের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক হলেও ডায়াবেটিস আক্রান্ত পুরুষের স্তন ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নারীদের তুলনায় বেশি।

বিভিন্ন দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন, টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হারে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে।

তাদের মতে, সুস্থ নারীদের তুলনায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ২৭% বেশি। অন্যদিকে, সুস্থ পুরুষের তুলনায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত পুরুষের ক্ষেত্রে তা ১৯% বেশি। 

অস্ট্রেলিয়ার জর্জ ইন্সটিটিউট অব গ্লোবাল হেলথের রিসার্চ ফেলো তোশিয়াকি ওহকুমা’র মতে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের যে কোনো ধরনের ক্যান্সারে ভোগার সম্ভাবনা পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি। 

বিজ্ঞানীদের ধারণা, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্যান্সার ঝুঁকি বেশি থাকার কারণ হলো, হরমোনাল ডিসরেগুলেশন। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন হরমোন কার্যকরভাবে কোষে গ্লুকোজ সরবরাহ করতে পারে না। ফলে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য অগ্ন্যাশয় আরও বেশি পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করে এবং দেহে “হাইপার ইনসুলিনেমিয়া” সংঘটিত হয়।

রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ইনসুলিন হরমোন কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপ্ত করতে পারে, এই বিষয়টিও ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হতে পারে। এছাড়া, অধিকাংশ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওজন এবং শরীরে ফ্যাট তুলনামূলক বেশি থাকে। যাদের ওজন স্বাভাবিক, তাদের তুলনায় যাদের ওজন বেশি তাদের অতিরিক্ত ফ্যাট টিস্যু থেকে অতিরিক্ত অ্যাডিপোকিন হরমোন উৎপন্ন করে। এই হরমোনগুলো দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ সৃষ্টি করে যা ক্যান্সার সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত।

অন্যদিকে, টাইপ-১ ডায়াবেটিসে রোগীদের পাকস্থলী ও সারভিক্স ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে সদিচ্ছা থাকলে আমরা খুব সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। প্ল্যান্ট (উদ্ভিদ) বেসড ডায়েট, পরিমিত সরল শর্করা প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট হাঁটা অথবা সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১৫০ থেকে ২০০ মিনিট ব্যায়াম বা শারীরীক পরিশ্রম করা,পর্যাপ্ত ঘুম, সময়মতো ঔষধ/ইনসুলিন নিয়ে ক্যান্সারসহ ডায়াবেটিস সৃষ্ট অন্যান্য জটিলতা এড়িয়ে চলা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com