আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

বাংলাদেশ

ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

এভাবেই শেষ হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট মেয়াদ। কোনরকম আবেগঘন মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে নয়, বরং এ ছিল একটা উত্তাল ও সহিংস বিদায়।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে আসছিলেন ৬ই জানুয়ারি হতে যাচ্ছে ‘বোঝাপড়ার দিন’। এর সূত্রপাত তিনি যখন তার সমর্থকদের ডাক দেন যে, নভেম্বরের নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা তার হাতে ন্যস্ত রাখতে তারা যেন রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে জমায়েত হয় এবং কংগ্রেস ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে চ্যালেঞ্জ জানায়।

বুধবার সকালেই প্রেসিডেন্ট নিজে এবং তার সমর্থক বক্তারা মাঠ গরম করতে শুরু করেন।

প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত আইনজীবী, রুডি জুলিয়ানি, বলেন নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে বিতর্কের মামলা জিততে হবে “সম্মুখ সমরের মধ্যে দিয়ে”।

দলের যেসব সদস্য প্রেসিডেন্টের হয়ে “লড়বে” না, তাদের লক্ষ্য করেও বার্তা দেন প্রেসিডেন্টের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়ার।

“এটা এখন আর তাদের রিপাবলিকান পার্টি নয়,” বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়ার। “এটা এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি।”

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা জনতাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন- হোয়াইট হাউস থেকে ক্যাপিটল হিল- এই দুই মাইল পথ মিছিল করে যেতে হবে। প্রেসিডেন্টের উৎসাহে উজ্জীবিত বিক্ষোভকারীদের মুখে তখন স্লোগান “চুরি বন্ধ করো” এবং “বুলশিট”।

প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা ছাড়ব না। আমরা পরাজয় মেনে নেব না। আমাদের দেশ অনেক সহ্য করেছে। আর সহ্য করতে আমরা রাজি নই।”

প্রেসিডেন্ট যখন তার মন্তব্য শেষ করছেন, তখন ক্যাপিটল হিল ভবনের ভেতরে অন্য এক নাটকীয় ঘটনার জন্য মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছিল। তেসরা নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিটি রাজ্যের ফলাফল সার্টিফিকেশন বা প্রত্যয়নের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের জন্য।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্কিত রাজ্যগুলোর নির্বাচনী ফলাফল অগ্রাহ্য করার জন্য যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা উপেক্ষা করে প্রথমে মি. পেন্স একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন সেটা করার কোন ক্ষমতা তার নেই এবং এই অধিবেশনে তার ভূমিকা “মূলত আনুষ্ঠানিক”।

এরপর রিপাবলিকানরা তাদের প্রথম চ্যালেঞ্জটি ছুঁড়ে দেন অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ভোট নিয়ে। এই পর্যায়ে হাউস এবং সেনেট সদস্যরা ওই রাজ্যে মি. বাইডেনের বিজয় গ্রহণযোগ্য কিনা তা নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে তাদের মতামত উপস্থাপন শুরু করেন।

প্রতিনিধি সভার অধিবেশন ছিল খুবই উত্তপ্ত। দু পক্ষের তরফেই তাদের বক্তব্য উপস্থাপনের সময় দলীয় সদস্যরা তাদের দলের বক্তার যুক্তি সমর্থন করে চিৎকার করছিলেন, ধ্বনি দিচ্ছিলেন। এক কথায় খুবই উত্তেজিত পরিবেশে বাকযুদ্ধ চলছিল।

এরই মধ্যে কংগ্রেসে নবনির্বাচিত এক নারী সদস্য লরেন বোওবার্ট বলেন, “গত রোববার সংবিধান সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করে আমি যে শপথ গ্রহণ করেছি, তার আলোকে ভুয়া এবং বানোয়াট পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আপত্তি জানানোটা আমার দায়িত্ব। জনগণকে উপেক্ষা করতে দেয়া যাবে না।” সম্প্রতি মিজ বোওবার্ট শিরোনামে আসেন, যখন তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, কংগ্রেসে যোগ দেবার সময় তিনি তার হ্যান্ডগান সাথে রাখবেন।

ওদিকে সেনেটে বিতর্কের মেজাজ তখন আলাদা রূপ নিয়েছে। সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা রিপাবলিকান মিচ ম্যাককনেল তখন কারো শেষকৃত্যে যেমন কালো পোশাক পরার রেওয়াজ, সেরকম কালচে রংএর স্যুট, টাই পরে তার বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন- প্রেসিডেন্টের প্রশংসার বদলে যেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কবর দিতে হাজির হয়েছেন তিনি।

“পরাজিত দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে এই নির্বাচনের ফলকে যদি এখন উল্টে দেয়া হয়, তাহলে সেটা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য কবর খোঁড়া হবে,” বলেন মি. ম্যাককনেল।

“এরপর আমাদের গোটা জাতি আর কখনও কোন নির্বাচনের ফল মেনে নেবে না। প্রতি চার বছর অন্তর ক্ষমতায় যাবার জন্য লড়াই যে কোন মূল্যের বিনিময়ে একটা মরীয়া উদ্যোগে পরিণত হবে।”

জর্জিয়াতে দুটি আসনে পরাজয়ের পর রিপাবলিকান পার্টি সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় সেনেটে রিপাবলিকান পার্টির নেতা এখন হতে যাচ্ছেন কেনটাকি রাজ্যের রিপাবলিকান সেনেটর। তিনি বলেন, “নির্বাচন-পরবর্তী মুহূর্তের আবেগ যেন মাত্রা ছাড়িয়ে না যায়, এই ক্রোধের আগুনে আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি যেন ধসে না পড়ে।”

তিনি যখন এই কথাগুলো বলছেন, তখন ক্যাপিটল ভবনের বাইরে ক্ষোভের আগুন টগবগ করে ফুটতে শুরু করেছে। এবং রিপাবলিকান নেতাদের সম্ভবত আগে দেয়া বক্তৃতায় উজ্জীবিত হয়ে ট্রাম্পের সমর্থকরা ততক্ষণে ক্যাপিটল ভবনে চড়াও হয়েছেন।

সেখানে মোতায়েন অল্প সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মীদের বাধা সহজেই ডিঙিয়ে তারা ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং সভার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আইন প্রণেতারা, সেখানকার কর্মচারী ও মিডিয়া কর্মীরা দাঙ্গাবাজদের থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন।

ঘটনা নাটকীয় মোড় নিতে থাকে ধাপে ধাপে। সেখানে যে টেলিভিশন সম্প্রচার চলছিল, সেই ক্যামেরায় দেখা যায়, ক্যাপিটল ভবনের সিঁড়িতে উঠে বিক্ষোভকারীরা পতাকা দোলাচ্ছে এবং নাচানাচি করছে।

দাঙ্গাকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েছে, তারা লেজিসলেটিভ চেম্বারের ভেতর দরোজা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করছে, তাদের কেউ কেউ নির্বাচিত আইন প্রণেতাদের দপ্তরের কর্মী বা নিরাপত্তা কর্মীর পরিচয় দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। প্রতিবন্ধক দিয়ে আটকানো দরোজার ওপারে প্রতিনিধি সভার ভেতরে বন্দুক নিয়ে তারা ঢুকে পড়ে।

ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-এর অর্থনীতি বিষয়ে একটি ভাষণ দেবার পরিকল্পনা ছিল। তিনি সেটা বাতিল করে দেন এবং এটাকে ওয়াশিংটনে একটা “বিদ্রোহ” আখ্যা দিয়ে এই তাণ্ডবের নিন্দা করেন।

“এই সময় আমাদের গণতন্ত্র নজিরবিহীন হামলার মুখে পড়েছে। বর্তমান সময়ে এধরনের আক্রমণ আমাদের গণতন্ত্রের ওপর আসেনি,” তিনি বলেন, “এটা স্বাধীনতার মূল স্তম্ভ, খোদ ক্যাপিটল হিলের ওপর আক্রমণ।”

তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করেন মি. ট্রাম্পের প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে: আপনি জাতীয় টেলিভিশনে গিয়ে এই সহিংসতার নিন্দা করুন এবং “এই অবরোধ অবসানের দাবি জানান”।

এর কয়েক মিনিট পরে মি. ট্রাম্প জাতির উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দেন- কিন্তু জো বাইডেন যা চেয়েছিলেন তা তিনি বলেননি।

তিনি তার বহু পরিচিত অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন – নির্বাচন “চুরি” করা হয়েছে। এরপর তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন “আপনারা ঘরে ফিরে যান, আমরা আপনাদের ভালবাসি, আপনারা সবাই খুবই বিশেষ মানুষ”।

মি. ট্রাম্প সবসময়ই তার সমর্থকদের আইন-বর্হিভূত কর্মকাণ্ড দেখেও না দেখার ভান করেছেন।

শার্লটভিলে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সমাবেশে যখন সহিংসতা হয়েছে, মি. ট্রাম্প সংঘর্ষের পর বলেছেন “দুপক্ষেই আপনারা সবাই খুবই ভাল মানুষ”। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় মি. বাইডেনের সাথে তার প্রথম বিতর্কিত টিভি বিতর্কের পর উগ্র দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠী ‘প্রাউড বয়েস’এর প্রতি তার বার্তা ছিল “আপাতত হামলা করা থেকে বিরত থাকুন এবং অপেক্ষা করুন” ।

ওয়াশিংটনের তাণ্ডবের পর মি. ট্রাম্পের টুইট, এবং তার সমর্থকদের প্রশংসা করে এরপর আরও দুটি টুইট বার্তা টু্ইটার সরিয়ে ফেলে এবং নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়ে ১২ ঘন্টার জন্য প্রেসিডেন্টের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। এর পরপরই ফেসবুকও মি. ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পুরো একদিনের জন্য বন্ধ করে দেয়।

মি. ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট মেয়াদে প্রথমবারের মত এবং সামাজিক মাধ্যমের সাথে তার দীর্ঘদিনের নিবিড় যোগাযোগে এই প্রথমবারের মত তার মুখ বন্ধ করে দেয়া হল।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য “আপনার কি কোন কাণ্ডজ্ঞান বা ভদ্রতা বোধ নেই?” এই সত্যটা শেষ পর্যন্ত নজিরবিহীনভাবে উঠে এল তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া ক্যাপিটল হিল থেকে ভাঙা কাঁচ আর রক্ত পরিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে, গণতন্ত্রের ওপর এতবড় একটা আঘাতের দায় তার ঘাড়ে বর্তানোর মূল্য হিসাবে।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পর পুলিশ শেষ পর্যন্ত ক্যাপিটল ভবনে তাদের নিয়ন্ত্রণ বহাল করে। বাম শিবির, ডান শিবির সব দিক থেকে সমস্বরে এই সহিংসতার ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করে।

সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে ডেমোক্রাটদের সেনেটের নেতার পদ গ্রহণ করতে যাওয়া চাক শুমার এই দাঙ্গা ও তাণ্ডবের দায় চাপান প্রেসিডেন্টের ওপর।

“আমেরিকার ইতিহাসে ৬ই জানুয়ারি অন্যতম একটা কালো দিবস হিসাবে লেখা থাকবে,” তিনি বলেন। “একজন প্রেসিডেন্ট যখন আবেগকে উস্কে দিয়ে দেশ শাসন করেন তখন তার পরিণতি কী হতে পারে এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। যারা তাকে এই পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করেন, যেসব সংবাদমাধ্যম তার মিথ্যা বক্তব্য তোতা পাখির মত সম্প্রচার করে, আর আমেরিকাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবার জন্য তার প্রয়াসে যারা মদত জোগায়- এই ঘটনা তাদের জন্য চরম সতর্কবাণী,” বলেন মি. শুমার।

অনেক রিপাবলিকানও এই ঘটনার পর একইধরনের মন্তব্য করেছেন।

“আমরা যারা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছিলাম, আমাদের বাধা দেবার চেষ্টায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা ক্যাপিটল ভবনের ওপর সহিংস আক্রমণ চালিয়েছে,” টুইট করে বলেছেন কংগ্রেসে রিপাবলিকান সদস্য লিন চেইনি, যিনি এর আগেও অনেকবার প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেছেন। “এই উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে সংঘবদ্ধ করেছেন প্রেসিডেন্ট – এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই, তিনিই এই জনতাকে উস্কে দিয়েছেন। তিনিই এই জনতার উদ্দেশ্যে কথা বলেছেন।”

তবে দলের ভেতর ডোনাল্ড ট্রাম্পের যারা সমালোচক তারাই যে শুধু প্রেসিডেন্টের নিন্দা করছেন তাই নয়, বেশিরভাগ সময় প্রেসিডেন্টের পক্ষ নেয়া আরকানস’র সেনেটার টম কটনও সুর বদলেছেন।

“নির্বাচনের ফল প্রেসিডেন্টের মেনে নেবার সময় পার হয়ে গেছে- আর কতদিন? আমেরিকার মানুষকে বিভ্রান্ত করা ছেড়ে দিন, জনতাকে খেপিয়ে তোলা বন্ধ করুন,” তিনি বলেন।

ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের স্টাফ প্রধান স্টেফানি গ্রিশাম এবং হোয়াইট হাউসের উপ তথ্য সচিব সারা ম্যাথিউস দুজনেই প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনের আরও কর্মকর্তা আগামী ২৪ ঘন্টায় প্রতিবাদ স্বরূপ পদত্যাগ করবেন।

সিবিএস টিভি চ্যানেল খবর দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্যাবিনেট কর্মকর্তারা আমেরিকান সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদ ব্যবহার করার বিষয়ে আলোচনা করছেন। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ক্যাবিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের প্রেসিডেন্টকে অযোগ্য ঘোষণা করে সাময়িকভাবে তার পদ থেকে সরিয়ে দেবার ক্ষমতা রয়েছে।

মি. পেন্স এবং ক্যাবিনেট এই ধারা কার্যকর করবেন কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। তবে আর মাত্র দুই সপ্তাহ পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।

তখন রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে কংগ্রেস এবং হোয়াইট হাউসের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর তাদের ভবিষ্যত কোন্ দিকে মোড় নেবে।

তাদের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট যার সম্মান ও মর্যাদা বুধবারের ঘটনায় কালিমালিপ্ত হয়েছে, কিন্তু তারপরেও দলের তৃণমূল পর্যায়ের একটা বড় অংশ এখনও যার কট্টর সমর্থক।

দল কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দলের ভেতর রক্ষণশীলরা চেষ্টা করবেন মি. ট্রাম্প ও তার অনুগতদের হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে নিতে।

মি. ম্যাককনেল যেসব মন্তব্য করেছেন তা এধরনের ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্যদিকে, উটার সেনেটার এবং রিপাবলিকান দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিট রমনির মত আরও অনেকে একটা নেতৃত্বের ভূমিকায় হয়ত নিজেদের তুলে ধরতে চাইবেন।

কিন্তু দলের ভেতর আবার অনেকে আছেন যারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনগণেকে সাথে নিয়ে চলার নীতিতে বিশ্বাস করেন, তারা হয়ত রক্ষণশীলদের মতাদর্শকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। এবং মি. ট্রাম্পের পথ অনুসরণ করে দলকে পরিচালিত করতে আগ্রহী হবেন।

মিসৌরির রিপাবলিকান সেনেটার জশ হলি, যিনি প্রথম বলেছিলেন সেনেট অধিবেশনে নির্বাচনের ফলাফলকে তিনি চ্যালেঞ্জ জানাবেন, ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডবের পর অধিবেশন যখন আবার শুরু হয় তখন তিনি তার আপত্তি বজায় রাখেন। তার বিশ্বাসে তিনি অটল ছিলেন।

রাজনৈতিক সংকট অনেক সময় রাজনীতিতে সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় এবং সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে দ্বিধা করবেন না অনেক রাজনীতিক।

তবে এত সব কিছুর পরও ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বহাল আছেন। হয়ত তার টুইটার, ফেসবুক যতক্ষণ বন্ধ থাকবে তিনি হোয়াইট হাউসে টিভির সামনে বসে সময় কাটাবেন, কিন্তু বেশিদিন তিনি চুপ করে থাকবেন না।

হোয়াইট হাউসের পাট গুটিয়ে যখন তিনি ফ্লোরিডায় তার নতুন বাসভবনে গুছিয়ে বসবেন, তখন তিনি কার সাথে কীভাবে বোঝাপড়া করবেন সেই পরিকল্পনার ছক কাটবেন। এবং কে বলতে পারে, আবার তখন ফিরে আসবেন ক্ষমতায়।

এই মেয়াদে তার লেগাসি বা তার রেখে যাওয়া ভাবমূর্তি শেষ দিনগুলোয় যেভাবে কালিমালিপ্ত হয়েছে, হয়ত তখন তাকে নতুন রূপ দেবার চেষ্টা করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

    ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

    ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

    ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

    ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

    ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

    ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

    ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?

  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?
  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?
  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?
  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?
  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?
  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?
  • ক্যাপিটল হিল অবরোধ: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

এগ্রোবিজ

পতিত জমিতে চিনাবাদাম চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

মেহেরপুর: পতিত ও অনুর্বর বেলে মাটির জমিতে চিনাবাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের চাষিরা। ফলন ও বাজার দর ভালো এবং কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন এই এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদামের চাষ। 

সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা, শ্যামপুর, টেংগারমাঠ ও গোপালপুর গ্রামের অধিকাংশ জমির মাটি বেলে। ফলে এই এলাকার চাষিরা ধান, গম, পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না।

ধান কাটার পর এ সব জমি সাধারণত পতিত থাকে। এজন্য ৯০ দিনের ফসল হিসেবে অল্প খরচে বাদাম চাষ করছেন এলাকার চাষিরা।  

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার বাদাম চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। এবার এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে চাষিদের খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা সেক্ষেত্রে বাদামের ফলন হয়েছে ৬ থেকে ৭ মণ। আর এ  ফলনে প্রায় ২০ হাজার টাকা ঘরে তুলছেন তারা। বাজারে প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ২৭শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।  সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের বাদাম চাষি খাঁজা আহমেদ, কাওছার আলী ও ফিরোজ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এলাকার মাটি বেলে হওয়ায় সাধারণত সবজি, আলু ও অন্যান্য ফসল চাষ করার পর জমি পতিত থাকে। সে সময়ে চিনা বাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে খরচ কম এবং উৎপাদন ও বাজার দর ভাল। তাই দিন দিন চাষিরা তাদের পতিত জমিতে চিনা বাদামের চাষ শুরু করছেন।  

এছাড়া বাদাম ছাড়ানো, শুকানোসহ যাবতীয় কাজ করে থাকেন এখানকার নারীরা। বাদামের গাছ আবার শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করছেন গৃহিণীরা।  

নারী শ্রমিক সাহানা খাতুন ও জরিমন নেছা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাদাম ছাড়ানো ও শুকানোর কাজ করে থাকি। এলাকার ২৫/৩০ জন নারী শ্রমিক এ কাজ করে আসছেন।  
গৃহিণী সাজেদা খাতুন ও জামেলা খাতুন জানান, বাদামের লতা জালানি হিসেবে বেশ ভাল। তাই লতাও বিক্রি হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, চিনা বাদামের চাষ সাধারণত পতিত জমিতে হয়ে থাকে। এলাকার চাষিরা এই জমিতে বাদামের চাষ করে বাড়তি আয় করছেন। তাই বাদাম চাষ যাতে আরও সম্প্রসারিত হয় সেজন্য কৃষি বিভাগ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে।  

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

সিলেটে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা

সিলেট বিভাগের উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিক জমিতে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানিরা মৌলভীবাজারের আকবরপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন। এ ফুল চাষ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, যশোরে বাণিজ্যিকভাবে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়। যার বাজার দর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। যশোরের ফুল সারাদেশের পাশাপাশি সিলেটেও আসে প্রচুর। সিলেটে ফুলের বাজার শত কোটি টাকার উপরে। কিন্তু সিলেটে ফুলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে হয় না।

সিলেট বিভাগের মাটি অ্যাসিডিক হওয়ায় ফুল চাষ করা যাবে না, সেটাই ছিল প্রচলিক ধারণা। কিন্তু এ ধারণাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে ভুল প্রমাণ করেছেন মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের একদল গবেষক। মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিটিক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন তারা। এ পরীক্ষামূলক চাষে ফলনও হয়েছে ভালো। তাই সিলেট অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলে অনেক জায়গা অনাবাদি ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। প্রবাসীরা দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাদের অনেক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। এ জমিকে আবাদের আওতায় আনতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের উদ্যোগ নিয়ে আগ্রহী ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আমন ধান কাটার পর এ অঞ্চলের অনেক জমি পতিত থাকে। ফলে ফুল চাষ করে অনাবাদি জমি থেকে কোটি টাকা উপার্জন সম্ভব।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিরানা আক্তার সুমি জানান, চাষিরা প্রশিক্ষণ শেষে অনেক কিছু শিখেছেন। কী পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হয়, তা জেনেছেন। ধানের চেয়ে যেহেতু ফুলের দাম বেশি, তাই ফুল চাষে তাদের আগ্রহ বাড়ছে।

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সরফ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভালোভাবে জমি চাষ করে নির্দেশিত মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়। অন্য ফসলের মতোই এর চাষ পদ্ধতি সহজ। বেড তৈরি করে ফুল চাষ করতে হয়। প্রতিটি বেডের দৈর্ঘ যে কোন মাপের হতে পারে। তবে প্রস্থে ১.২-১.৫ মিটার হলে ভালো।’

তিনি বলেন, ‘কলম (বীজ) লাগানো থেকে তিন মাস পর স্টিক সংগ্রহ শুরু হয়। সংগ্রহ করা যাবে পরবর্তী ২৫ দিন। গ্লাডিওলাস ৫টি জাতসহ মোট ১২টি প্রজাতির ফুলের পরীক্ষা করে আমরা সফল হয়েছি।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

জৈব

জৈব পদ্ধতিতে ফসলের রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণ

সবুজ বিপ্লবের সময়ে পেস্টিসাইড ব্যবহারকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জীব বৈচিত্র্য, মাটির স্বাস্থ্য ও ফসলের গুণমানতা। এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে, এত রাসায়নিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করা কি ঠিক হচ্ছে? এ প্রশ্ন শুধু ভারতে নয়, সারাবিশ্বের কৃষকসমাজ ও শস্যবিজ্ঞানীদের কাছে। তাই মনে হয় জৈব নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে সুসংহত রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণ আগামী দিনে একমাত্র সমাধানের রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।

চলমান খরিফ মরসুমে আমাদের রাজ্যে প্রধানত ধান, খরিফ পেঁয়াজ, জুট, ইক্ষু, তিল ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়ে থাকে। এ রাজ্যে ধানে ঝলসা রোগের আক্রমণ একটি গুরুতর বিষয়।

জৈব পদ্ধতিতে এই রোগ দমন করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। ৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেলে ৮৫ গ্রাম থেঁতলানো রসুন মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ৯৫০ মিলি. জল ও ১০ মিলি. তরল সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে বোতলে রেখে দিতে হবে। ১৯ লিটার জলের সাথে ১ ভাগ মিশ্রণ মিশিয়ে সকালে/বিকেলে স্প্রেয়ার দিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করতে হবে।

এই মিশ্রণটি আমেরিকান বোল ওয়ার্ম, আর্মি ওয়ার্ম, পেঁয়াজ-এর চিরুনি পোকা, আলুর টিউবার মথ, রুট নট নিমাটোড (কৃমি), আখের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, ডাউনি মিলডিউ ও ধানের ঝলসা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

এছাড়া বিভিন্ন ধরণের পাতা খেকো পোকা ও জাব পোকা নিয়ন্ত্রণে ১ কেজি পেঁয়াজ থেঁতো করে ১ লিটার জলের সাথে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দেবার পর কচলিয়ে রস নিংড়ে নিতে হবে। প্রাপ্ত নির্যাসের সাথে ১০ লিটার জল মিশিয়ে আক্রান্ত ফসলে স্প্রে করতে হবে।

জৈব সার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার, শাকসব্জী ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম-এর সাথে অণুখাদ্যের যোগান দেয়।

জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকগুলি ফসলে কোনওরকম দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ব্যতিরেকে, পোকা ও রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উর্বরতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।

বন্ধুপোকা মাকড়ের (পরজীবি ও পরভোজী) সংরক্ষণের জন্য জমির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় ত্রিধারা, উঁচুটি, শালিঞ্চে ইত্যাদি আগাছা জাতীয় গাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে রাসায়নিক কৃষি বর্জন করে প্রাণ বৈচিত্র্য নির্ভর জৈব কৃষির মাধ্যমে খাদ্যে সার্বভৌমত্ব আনা সম্ভব। তাই জৈব কৃষির পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে কৃষিবিষমুক্ত, স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

টি ব্যাগের ব্যবসা করে আয় করুন প্রচুর অর্থ

চা পানীয়টি আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়। প্রিয়জনের সাথে বৈঠক থেকে শুরু করে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করা সবেতেই চা (Tea) আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবে এখন মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশী স্বাস্থ্য সচেতন। সাধারণ চায়ের জায়গায় এসেছে, গ্রীণ টি, হার্বাল টি, লেমনগ্র্যাস টি, ব্লু টি ইত্যাদি। আর প্রকারভেদের সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে টি ব্যাগের গুরুত্ব। কারণ এটি খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এবং যে কোন স্থানে এর থেকে চা বানানো যায়। অফিস ও হোটেলগুলিতে এর যথেষ্ট চাহিদাও রয়েছে। তাই টি ব্যাগ তৈরীর ব্যবসাটি হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য লাভদায়ক।

চা উৎপাদনকারী দেশ গুলির মধ্যে অংশ নেয় চীন, ভারত , কেনিয়া , শ্রীলঙ্কা , জাপান , ইন্দোনেশিয়া , ভিয়েতনাম, তানজেনিয়া , মালয়, বাংলাদেশ, তার্কী এবং চা পানকারী দেশ গুলির মধ্যে ইংল্যান্ড, জর্মানী, কানাডা ও আমেরিকার বেশ নাম রয়েছে।

এ কারণে বেশিরভাগ সংস্থা টি ব্যাগ বিক্রি শুরু করেছে। আপনি যদি নতুন ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে আপনি টি ব্যাগ মেকিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটির মাধ্যমে আপনি খুব ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যিনি তৈরী করেন, তার থেকে নিয়ে এসে আপনি বাইরে বিক্রি করতে পারেন, এতে আপনার বিনিয়োগের দরকার পড়বে না। কিন্তু যদি বেশী লাভ করতে চান, তবে বিনিয়োগ করে নিজের ব্যবসা শুরু করুন।

টি ব্যাগ ব্যবসা শুরু করার জন্য জায়গা (How to start) –

এটি শুরু করার জন্য আপনি কোনও জায়গা ভাড়া নিতে পারেন। আপনার নিজের জমি থাকলে ব্যবসার জন্য সুবিধা হবে। এমন জায়গা চয়ন করুন, যেখানে মানুষের সমাগম রয়েছে। টি ব্যাগ তৈরীর জন্য আপনাকে মেশিন ইনস্টল করতে হবে।

চা ব্যাগ ব্যবসায় বিনিয়োগ –

আপনি যদি বড় আকারে ব্যবসা শুরু করতে চান, তবে আপনাকে বেশী অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। এর মেশিনটি যথেষ্ট ব্যয়বহুল, সুতরাং বেশী পরিমাণ রাশি বিনিয়োগের দরকার রয়েছে এই ব্যবসায়, তবে আপনি যদি ব্যাংক থেকে লোণ নেন, তবে আপনি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

চা ব্যাগ তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল –

ফিল্টার পেপার –

এর ভিতরে চায়ের পাতা স্টোর করতে হবে। এই কাগজটি সুক্ষ ছিদ্রযুক্ত এবং পাতলা, পাশাপাশি সহজে ভিজে যায় না, তাই এই কাগজটি চা ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

চা পাতা –

আপনি যেমন প্রকারের ব্যাগ বিক্রি করতে চান, তেমন চা পাতা কিনতে হবে।

বিভিন্ন প্রকারের চা –

সাধারণ চা, গ্রীণ টি, উলং টি, ব্ল্যাক টি, হার্বাল টি

চা ব্যাগগুলিতে চা পাতা পূরণ করার প্রক্রিয়া –

চা ব্যাগ তৈরীর মেশিনের সাহায্যে প্রস্তুত চা পাতাগুলি ফিল্টার পেপারে পূরণ করতে হয়। সাধারণত প্রায় ২-৪ আউন্স চা পাতা একটি টি ব্যাগে ভরা হয়। এর পরে, একটি প্যাকিং মেশিনের সাহায্যে ব্যাগটি সিল করা হয়। টি ব্যাগের সাথে একটি সুতো সংযুক্ত থাকে।

চা ব্যাগ ব্যবসায় থেকে লাভ –

আপনি চায়ের পাতার গুণমান অনুযায়ী ব্যাগের দাম নির্ধারণ করতে পারেন। এই ব্যবসা থেকে খুব ভাল লাভ করা যায়। এর আরও বিক্রয়ের জন্য, আপনি বাজারে পাইকারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এগুলি ছাড়াও আপনি হোটেল বা অফিসের লোকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এই ব্যবসা আপনাকে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন দিতে পারে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ছাদকৃষি

সহজ পদ্ধতিতে টবে করুন কদবেল চাষ

ছেলে থেকে বুড়ো সবারই প্রিয় টক ঝাল কদবেল। কদবেলের আচার, কদবেল মাখা সকলেরই অত্যন্ত পছন্দের। যারা বাগান করতে পছন্দ করেন, বিশেষত টবে, তাদের জন্য কদবেল এক আদর্শ ফল। কদবেলের আকার অনেকটা টেনিস বলের মতো। শরতের শুরুতে কদবেল বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ফলের মন মাতানো স্বাদ বিশেষ করে মহিলাদের ভীষণই পছন্দের।

টবে কদবেল চাষের পদ্ধতি (Farming Process)

মন কাড়া স্বাদের জন্য পাকা কদবেল সবার কাছেই অত্যন্ত প্রিয়। কদবেল গাছে ফুল আসে মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ। তবে ফল পাকতে সময় লাগে সেপ্টেম্বর-অক্টবর। টবে রোপনের জন্য কদবেলের কলমের চারা বেশি ভালো। কলমের চারা থেকে কয়েক বছরের মধ্যে ফুল-ফল ধরে। ছাদের টবে এই গাছের চাষ সহজেই করা যায়। জোড় কলম করে এর কলম তৈরি করা যায়। এ গাছের চাষাবাদ অনেকটা বেলের মতোই।

মাটি তৈরি (Land Preparation)

হাফ ড্রামে অথবা টবে পাঁচ সেন্টিমিটার পুরু করে ইটের খোয়া বিছিয়ে তার ওপর ১০ সেন্টিমিটার বালির স্তর দিতে হবে। ড্রামের তলার দিকে জল বার করে দেওয়ার জন্য ছিদ্র রাখতে হবে। এবার তিন ভাগ দো-আঁশ মাটির সাথে দুই ভাগ গোবর সার, ড্রামপ্রতি ২০০ গ্রাম এমওপি (পটাশ) সার, ২৫০ গ্রাম টিএসপি (ফসফেট) সার, ১ কেজি হাড়ের গুঁড়ো, ৫০ গ্রাম জিপসাম সার, ২০ গ্রাম ম্যাগেনেসিয়াম সালফেট (ম্যাগসাল) সার ও ১০ গ্রাম দস্তা সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ড্রামে বা টবে ভরে হালকা করে জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে এক থেকে দুই সপ্তাহ রেখে দিতে হবে।

ড্রাম বা টবের ঠিক মাঝখানে কদবেলের কলম বসিয়ে কলমের গোড়ার মাটি শক্ত করে চেপে দিতে হবে। কলম লাগানোর পর গাছের গোড়ায় জল দিতে হবে। সোজা ভাবে কলম রাখতে গেলে, গোড়ার কাছাকাছি কাঠি পুঁতে তার সাথে কলম বেঁধে দিলে ভালো। শীতকাল ছাড়া বছরের যেকোনও সময় কদবেলের কলম লাগানো যায়। ছাদের ওপর রোদের মধ্যে কদবেলের গাছ রাখা উচিত। এতে গাছের ভালোই হবে।

ফলন এবং পরিচর্যা (Caring)

কলমের গাছে ফুল ফাল্গুন-চৈত্র মাসে নাগাদ আসে। শরৎকালে ফল পেকে যায়। ডালপালা ফল সংগ্রহ করার সময় কিছু ছেঁটে দেওয়া উচিত। এর ফলে পরের বছর ফলন ভালো হবে। কদবেল গাছে ফুল-ফল ভালো আনার জন্য প্রতি বছর ফল তোলা শেষ হলে গাছের গোড়ার মাটিতে ড্রামপ্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম এমওপি সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার দুই কেজি প্যাকেটের কম্পোস্ট সারের সাথে মিশিয়ে গোড়ার মাটি নিড়িয়ে তার সাথে মিশিয়ে সেচ দিতে হবে।

গাছের বৃদ্ধি ভালো হলে বছরে একবার সার দিলে হবে না। বর্ষাকালের আগেও ঠিক একই ভাবে পুনরায় সার দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে টব বা ড্রামের মাটি যাতে না শুকিয়ে যায়। টবের মাটি কখনো শুকিয়ে গেলে নিয়ম করে সেচ দিয়ে নিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@theagronews.com, theagronewsbd@gmail.com