আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

বাংলাদেশ

কৃষি খাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার’ নির্দেশ বাস্তবায়নে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এজন্য অর্থাৎ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কৃষি খাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই প্রথমবারের মতো ধানের উৎপাদন বাড়াতে বীজে ২০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সমকালকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা পোলট্রি, কৃষি ফার্ম, ফলমূল ও মসলা জাতীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদন করবেন তারা এই তহবিল থেকে সহজ শর্তে মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়াও নয় শতাংশ সুদের জায়গায় মাত্র চার শতাংশ সুদে কৃষকদের ঋণ বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ ঋণ প্রণোদনা দেবে।

করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশেষ প্রণোদনা ছাড়াও বাজেটে কৃষকের স্বার্থে সারসহ সেচ কাজে বিদ্যুৎ বিলের রিবেট বাবদ কৃষি খাতে নয় হাজার ৫০০ কোটি টাকার ভর্তুকি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাজেটে সারের জন্য নয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি, বীজের জন্য ১৫০ কোটি টাকা এবং কৃষকের জন্য আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার মতো মসলা উৎপাদকদের জন্য চার শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধা চালু রয়েছে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি উৎপাদনের বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখা এবং ভবিষ্যতে উৎপাদন বাড়াতে গুণগত মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং শাকসবজির বিপণন, সরবরাহ ঠিক রাখা ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সার্বক্ষণিক উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।

এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা না রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কৃষি মন্ত্রণালয় নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আউশ এবং আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ আউশের আবাদ হয়েছে। ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় দুই লাখের বেশি হেক্টর জমি। আউশ ধানের আবাদ বাড়ানোর জন্য চার লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৪ জন কৃষককে কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। এ বছর প্রায় ৫৯ লাখ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এক কোটি ৫৬ লাখ টন। এজন্য উচ্চফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধান চাষ বাড়ানো, পর্যাপ্ত বীজ, সার ও সেচের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমনের উৎপাদন বাড়াতে সরকার এবারই প্রথম বীজে ভর্তুকি দিচ্ছে। বিএডিসির ১৯ হাজার ৫০০ টন আমন ধান বীজ চাষি পর্যায়ে বিক্রির জন্য ২০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।

পারিবারিক সবজি পুষ্টিবাগান

আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রতি ইঞ্চি জায়গা চাষের আওতায় আনতে প্রতি ইউনিয়নে ৩২টি করে পারিবারিক সবজি পুষ্টিবাগান তৈরির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এজন্য ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬৪ জেলায় এক লাখ ৪১ হাজার ৭৯২ জন কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ, চারা ও সার দেওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে পারিবারিক পুষ্টিবাগান তৈরির আওতায় ১৫২ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৪ জেলার ৪৯১টি উপজেলার ৪ হাজার ৫৯৭টি ইউনিয়ন এবং ১৪০টি পৌরসভায় চার লাখ ৭৩ হাজার ৭০০ কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ, চারা এবং সার সহায়তা দেওয়া হবে।

কৃষি যান্ত্রিকীকরণ

কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে বোরো ধান কাটার উদ্যোগ চলছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার ২৪০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ৫০০টি রিপার সরবরাহ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে এবং উপকূল ও হাওর এলাকায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে কৃষকের মধ্যে এসব কৃষিযন্ত্র দেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন হাজার ২০ কোটি টাকার ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৫২ হাজার কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টার নামের কৃষিযন্ত্র কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে।

বীজ সরবরাহ অব্যাহত

করোনার কারণে উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য গুণগত মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিপণন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিএডিসি ও অন্যান্য বেসরকারি কোম্পানির উৎপাদিত আউশ, সবজি ও পাটবীজ মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে। রবি মৌসুমে উৎপাদিত আলুবীজ সংগ্রহ করে হিমাগারে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বিএডিসির আলুবীজ সংগ্রহের পরিমাণ ৩৪ হাজার ৫০০ টন এবং বেসরকারি কোম্পানির প্রায় ৮৫ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় পাঁচ হাজার টন বেশি। চলতি বোরো মৌসুমে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এক লাখ টন বোরো বীজ ধান এবং ১০ হাজার টন হাইব্রিড ধানবীজ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

শাকসবজি বাজারজাতকরণ

করোনা পরিস্থিতিতে শাকসবজির বাজারজাতকরণ ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, শাকসবজি ও পচনশীল কৃষিপণ্যের চলাচল নির্বিঘ্ন করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ত্রাণসামগ্রীতে আলু, সবজি, পেঁয়াজ ইত্যাদি কৃষিপণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষিপণ্যের ভ্রাম্যমাণ বাজার পরিচালনা করেছে। নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহী, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, পঞ্চগড় ও ভোলা থেকে ট্রাকযোগে শাকসবজি অন্য জেলায় পাঠানো হয়েছে।

কৃষিপণ্য পরিবহনে বিশেষ ব্যবস্থা

করোনার প্রভাবে শুরুর দিকে শাকসবজি, মৌসুমি ফলসহ কৃষিপণ্যের পরিবহন এবং বাজারজাতকরণে বিরূপ প্রভাব পড়েছিল। কৃষিপণ্য বিক্রি করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন কৃষক। বিশেষ করে তারা উৎপাদিত তরমুজের অধিকাংশই বিক্রি করতে পারেননি, যা বিক্রি হয়েছে তার ভালো দামও পাননি। আবার জনগণের আয় কমে যাওয়ায় কৃষিপণ্যের চাহিদাও কমেছিল। এসব কারণে কৃষিপণ্য কেনায় আগ্রহ হারিয়েছিলেন পাইকার ও আড়তদাররা। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করেছে। আম, লিচু, আনারস, কাঁঠালসহ মৌসুমি ফল এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহনের অবাধে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা হয়েছিল। এ ছাড়াও কৃষিপণ্য পরিবহনে ২৫ শতাংশ ভাড়া কমানো এবং আম পরিবহনে ম্যাংগো এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছিল বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।

ফুড ফর নেশন প্ল্যাটফর্ম চালু

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মহামারি করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে শাকসবজি, মৌসুমি ফলসহ কৃষিপণ্যের স্বাভাবিক পরিবহন এবং সঠিক বিপণন ব্যাহত হয়েছিল। কৃষক তার উৎপাদিত কৃষিপণ্য সময়মতো বিক্রি করতে পারেননি। অনেক ক্ষেত্রে ন্যায্যমূল্যও পাননি। কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণও বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছিল। ওই অবস্থায় প্রান্তিক কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পেতে পারেন এবং সেই সঙ্গে ভোক্তারা যাতে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সহজে, স্বল্প সময়ে এবং সঠিক মূল্যে প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ও কৃষিপণ্য পেতে পারেন সেজন্য বিপণনের অভাবে কৃষকের উৎপাদিত শাকসবজি, মৌসুমি ফলসহ কৃষিপণ্যের একটা বিরাট অংশের অপচয় ঠেকাতে ‘ফুড ফর নেশন’ প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে।

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা

করোনাকালে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে বন্যা এসেছিল বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৩৭ জেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এক লাখ ৫৮ হাজার ৮১৪ হেক্টর জমির প্রায় এক হাজার ৩২৩ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১২ লাখ ৭২ হাজার ১৫১। তবে সময়মতো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ায় এই ক্ষতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। বন্যায় আউশ, আমন, শাকসবজি, পাটসহ বেশ কিছু ফসলের অনেক ক্ষতি হলেও বিকল্প বীজতলা তৈরি এবং ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে বিকল্প ফসল চাষের ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষতি পূরণের চেষ্টা হয়েছে।

এ ছাড়াও প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে প্রায় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকার কমিউনিটি ভিত্তিক রোপা আমন ধানের চারা বিতরণ, ৫০ হাজার কৃষকের মধ্যে প্রায় তিন কোটি ৮২ লাখ টাকার মাষকলাই বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৩১ জন ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে প্রায় ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এক লাখ ৫১ হাজার ৬০০ জন কৃষককে লালশাক, ডাটাশাক, পালংশাক, বরবটি, শিম, শশা, লাউবীজ ইত্যাদি বিনামূল্যে বিতরণের কার্যক্রম চলছে। সেই সঙ্গে ৩৩ জেলায় ৩৫ হাজার ১৬৬ জন কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে প্রায় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকার চারা বিতরণ করা হচ্ছে। প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ জেলায় পাঁচ হাজার ৬০টি ভাসমান বেডে রোপা আমন ধানের বীজতলা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এতে এক হাজার ২৬৫ জন কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন।

সব মিলিয়ে কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রমে ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আরও প্রায় ৭৫ কোটি টাকার কর্মসূচি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই টাকায় নয় লাখ ২৯ হাজার ১৯৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের প্রত্যেককে গম, সরিষা, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী, খেসারি, পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো ইত্যাদি ফসল আবাদের জন্য বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা হবে।

আরও উদ্যোগ

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেচের মূল্য ৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে। ডিএপি সারের দাম প্রতি কেজি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৬ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএডিসি উৎপাদিত প্রতি কেজি বীজের দাম ১০ টাকা কমানো হয়েছে। আউশের আবাদ বাড়াতে সেচ প্রণোদনা হিসেবে ১০ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকার আউশ বীজ বিতরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জন্য ১৩১ কোটি টাকার প্রণোদনা, কাজু বাদাম, ড্রাগন ফল, কফি ইত্যাদি লাভজনক ও অপ্রচলিত ফসলের আবাদ এবং উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

এগ্রোবিজ

পতিত জমিতে চিনাবাদাম চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

মেহেরপুর: পতিত ও অনুর্বর বেলে মাটির জমিতে চিনাবাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের চাষিরা। ফলন ও বাজার দর ভালো এবং কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন এই এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদামের চাষ। 

সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা, শ্যামপুর, টেংগারমাঠ ও গোপালপুর গ্রামের অধিকাংশ জমির মাটি বেলে। ফলে এই এলাকার চাষিরা ধান, গম, পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না।

ধান কাটার পর এ সব জমি সাধারণত পতিত থাকে। এজন্য ৯০ দিনের ফসল হিসেবে অল্প খরচে বাদাম চাষ করছেন এলাকার চাষিরা।  

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার বাদাম চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। এবার এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে চাষিদের খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা সেক্ষেত্রে বাদামের ফলন হয়েছে ৬ থেকে ৭ মণ। আর এ  ফলনে প্রায় ২০ হাজার টাকা ঘরে তুলছেন তারা। বাজারে প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ২৭শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।  সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের বাদাম চাষি খাঁজা আহমেদ, কাওছার আলী ও ফিরোজ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এলাকার মাটি বেলে হওয়ায় সাধারণত সবজি, আলু ও অন্যান্য ফসল চাষ করার পর জমি পতিত থাকে। সে সময়ে চিনা বাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে খরচ কম এবং উৎপাদন ও বাজার দর ভাল। তাই দিন দিন চাষিরা তাদের পতিত জমিতে চিনা বাদামের চাষ শুরু করছেন।  

এছাড়া বাদাম ছাড়ানো, শুকানোসহ যাবতীয় কাজ করে থাকেন এখানকার নারীরা। বাদামের গাছ আবার শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করছেন গৃহিণীরা।  

নারী শ্রমিক সাহানা খাতুন ও জরিমন নেছা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাদাম ছাড়ানো ও শুকানোর কাজ করে থাকি। এলাকার ২৫/৩০ জন নারী শ্রমিক এ কাজ করে আসছেন।  
গৃহিণী সাজেদা খাতুন ও জামেলা খাতুন জানান, বাদামের লতা জালানি হিসেবে বেশ ভাল। তাই লতাও বিক্রি হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, চিনা বাদামের চাষ সাধারণত পতিত জমিতে হয়ে থাকে। এলাকার চাষিরা এই জমিতে বাদামের চাষ করে বাড়তি আয় করছেন। তাই বাদাম চাষ যাতে আরও সম্প্রসারিত হয় সেজন্য কৃষি বিভাগ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে।  

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

সিলেটে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা

সিলেট বিভাগের উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিক জমিতে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানিরা মৌলভীবাজারের আকবরপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন। এ ফুল চাষ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, যশোরে বাণিজ্যিকভাবে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়। যার বাজার দর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। যশোরের ফুল সারাদেশের পাশাপাশি সিলেটেও আসে প্রচুর। সিলেটে ফুলের বাজার শত কোটি টাকার উপরে। কিন্তু সিলেটে ফুলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে হয় না।

সিলেট বিভাগের মাটি অ্যাসিডিক হওয়ায় ফুল চাষ করা যাবে না, সেটাই ছিল প্রচলিক ধারণা। কিন্তু এ ধারণাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে ভুল প্রমাণ করেছেন মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের একদল গবেষক। মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিটিক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন তারা। এ পরীক্ষামূলক চাষে ফলনও হয়েছে ভালো। তাই সিলেট অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলে অনেক জায়গা অনাবাদি ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। প্রবাসীরা দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাদের অনেক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। এ জমিকে আবাদের আওতায় আনতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের উদ্যোগ নিয়ে আগ্রহী ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আমন ধান কাটার পর এ অঞ্চলের অনেক জমি পতিত থাকে। ফলে ফুল চাষ করে অনাবাদি জমি থেকে কোটি টাকা উপার্জন সম্ভব।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিরানা আক্তার সুমি জানান, চাষিরা প্রশিক্ষণ শেষে অনেক কিছু শিখেছেন। কী পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হয়, তা জেনেছেন। ধানের চেয়ে যেহেতু ফুলের দাম বেশি, তাই ফুল চাষে তাদের আগ্রহ বাড়ছে।

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সরফ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভালোভাবে জমি চাষ করে নির্দেশিত মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়। অন্য ফসলের মতোই এর চাষ পদ্ধতি সহজ। বেড তৈরি করে ফুল চাষ করতে হয়। প্রতিটি বেডের দৈর্ঘ যে কোন মাপের হতে পারে। তবে প্রস্থে ১.২-১.৫ মিটার হলে ভালো।’

তিনি বলেন, ‘কলম (বীজ) লাগানো থেকে তিন মাস পর স্টিক সংগ্রহ শুরু হয়। সংগ্রহ করা যাবে পরবর্তী ২৫ দিন। গ্লাডিওলাস ৫টি জাতসহ মোট ১২টি প্রজাতির ফুলের পরীক্ষা করে আমরা সফল হয়েছি।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

জৈব

জৈব পদ্ধতিতে ফসলের রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণ

সবুজ বিপ্লবের সময়ে পেস্টিসাইড ব্যবহারকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জীব বৈচিত্র্য, মাটির স্বাস্থ্য ও ফসলের গুণমানতা। এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে, এত রাসায়নিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করা কি ঠিক হচ্ছে? এ প্রশ্ন শুধু ভারতে নয়, সারাবিশ্বের কৃষকসমাজ ও শস্যবিজ্ঞানীদের কাছে। তাই মনে হয় জৈব নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে সুসংহত রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণ আগামী দিনে একমাত্র সমাধানের রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।

চলমান খরিফ মরসুমে আমাদের রাজ্যে প্রধানত ধান, খরিফ পেঁয়াজ, জুট, ইক্ষু, তিল ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়ে থাকে। এ রাজ্যে ধানে ঝলসা রোগের আক্রমণ একটি গুরুতর বিষয়।

জৈব পদ্ধতিতে এই রোগ দমন করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। ৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেলে ৮৫ গ্রাম থেঁতলানো রসুন মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ৯৫০ মিলি. জল ও ১০ মিলি. তরল সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে বোতলে রেখে দিতে হবে। ১৯ লিটার জলের সাথে ১ ভাগ মিশ্রণ মিশিয়ে সকালে/বিকেলে স্প্রেয়ার দিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করতে হবে।

এই মিশ্রণটি আমেরিকান বোল ওয়ার্ম, আর্মি ওয়ার্ম, পেঁয়াজ-এর চিরুনি পোকা, আলুর টিউবার মথ, রুট নট নিমাটোড (কৃমি), আখের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, ডাউনি মিলডিউ ও ধানের ঝলসা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

এছাড়া বিভিন্ন ধরণের পাতা খেকো পোকা ও জাব পোকা নিয়ন্ত্রণে ১ কেজি পেঁয়াজ থেঁতো করে ১ লিটার জলের সাথে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দেবার পর কচলিয়ে রস নিংড়ে নিতে হবে। প্রাপ্ত নির্যাসের সাথে ১০ লিটার জল মিশিয়ে আক্রান্ত ফসলে স্প্রে করতে হবে।

জৈব সার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার, শাকসব্জী ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম-এর সাথে অণুখাদ্যের যোগান দেয়।

জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকগুলি ফসলে কোনওরকম দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ব্যতিরেকে, পোকা ও রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উর্বরতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।

বন্ধুপোকা মাকড়ের (পরজীবি ও পরভোজী) সংরক্ষণের জন্য জমির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় ত্রিধারা, উঁচুটি, শালিঞ্চে ইত্যাদি আগাছা জাতীয় গাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে রাসায়নিক কৃষি বর্জন করে প্রাণ বৈচিত্র্য নির্ভর জৈব কৃষির মাধ্যমে খাদ্যে সার্বভৌমত্ব আনা সম্ভব। তাই জৈব কৃষির পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে কৃষিবিষমুক্ত, স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

টি ব্যাগের ব্যবসা করে আয় করুন প্রচুর অর্থ

চা পানীয়টি আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়। প্রিয়জনের সাথে বৈঠক থেকে শুরু করে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করা সবেতেই চা (Tea) আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবে এখন মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশী স্বাস্থ্য সচেতন। সাধারণ চায়ের জায়গায় এসেছে, গ্রীণ টি, হার্বাল টি, লেমনগ্র্যাস টি, ব্লু টি ইত্যাদি। আর প্রকারভেদের সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে টি ব্যাগের গুরুত্ব। কারণ এটি খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এবং যে কোন স্থানে এর থেকে চা বানানো যায়। অফিস ও হোটেলগুলিতে এর যথেষ্ট চাহিদাও রয়েছে। তাই টি ব্যাগ তৈরীর ব্যবসাটি হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য লাভদায়ক।

চা উৎপাদনকারী দেশ গুলির মধ্যে অংশ নেয় চীন, ভারত , কেনিয়া , শ্রীলঙ্কা , জাপান , ইন্দোনেশিয়া , ভিয়েতনাম, তানজেনিয়া , মালয়, বাংলাদেশ, তার্কী এবং চা পানকারী দেশ গুলির মধ্যে ইংল্যান্ড, জর্মানী, কানাডা ও আমেরিকার বেশ নাম রয়েছে।

এ কারণে বেশিরভাগ সংস্থা টি ব্যাগ বিক্রি শুরু করেছে। আপনি যদি নতুন ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে আপনি টি ব্যাগ মেকিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটির মাধ্যমে আপনি খুব ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যিনি তৈরী করেন, তার থেকে নিয়ে এসে আপনি বাইরে বিক্রি করতে পারেন, এতে আপনার বিনিয়োগের দরকার পড়বে না। কিন্তু যদি বেশী লাভ করতে চান, তবে বিনিয়োগ করে নিজের ব্যবসা শুরু করুন।

টি ব্যাগ ব্যবসা শুরু করার জন্য জায়গা (How to start) –

এটি শুরু করার জন্য আপনি কোনও জায়গা ভাড়া নিতে পারেন। আপনার নিজের জমি থাকলে ব্যবসার জন্য সুবিধা হবে। এমন জায়গা চয়ন করুন, যেখানে মানুষের সমাগম রয়েছে। টি ব্যাগ তৈরীর জন্য আপনাকে মেশিন ইনস্টল করতে হবে।

চা ব্যাগ ব্যবসায় বিনিয়োগ –

আপনি যদি বড় আকারে ব্যবসা শুরু করতে চান, তবে আপনাকে বেশী অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। এর মেশিনটি যথেষ্ট ব্যয়বহুল, সুতরাং বেশী পরিমাণ রাশি বিনিয়োগের দরকার রয়েছে এই ব্যবসায়, তবে আপনি যদি ব্যাংক থেকে লোণ নেন, তবে আপনি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

চা ব্যাগ তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল –

ফিল্টার পেপার –

এর ভিতরে চায়ের পাতা স্টোর করতে হবে। এই কাগজটি সুক্ষ ছিদ্রযুক্ত এবং পাতলা, পাশাপাশি সহজে ভিজে যায় না, তাই এই কাগজটি চা ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

চা পাতা –

আপনি যেমন প্রকারের ব্যাগ বিক্রি করতে চান, তেমন চা পাতা কিনতে হবে।

বিভিন্ন প্রকারের চা –

সাধারণ চা, গ্রীণ টি, উলং টি, ব্ল্যাক টি, হার্বাল টি

চা ব্যাগগুলিতে চা পাতা পূরণ করার প্রক্রিয়া –

চা ব্যাগ তৈরীর মেশিনের সাহায্যে প্রস্তুত চা পাতাগুলি ফিল্টার পেপারে পূরণ করতে হয়। সাধারণত প্রায় ২-৪ আউন্স চা পাতা একটি টি ব্যাগে ভরা হয়। এর পরে, একটি প্যাকিং মেশিনের সাহায্যে ব্যাগটি সিল করা হয়। টি ব্যাগের সাথে একটি সুতো সংযুক্ত থাকে।

চা ব্যাগ ব্যবসায় থেকে লাভ –

আপনি চায়ের পাতার গুণমান অনুযায়ী ব্যাগের দাম নির্ধারণ করতে পারেন। এই ব্যবসা থেকে খুব ভাল লাভ করা যায়। এর আরও বিক্রয়ের জন্য, আপনি বাজারে পাইকারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এগুলি ছাড়াও আপনি হোটেল বা অফিসের লোকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এই ব্যবসা আপনাকে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন দিতে পারে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ছাদকৃষি

সহজ পদ্ধতিতে টবে করুন কদবেল চাষ

ছেলে থেকে বুড়ো সবারই প্রিয় টক ঝাল কদবেল। কদবেলের আচার, কদবেল মাখা সকলেরই অত্যন্ত পছন্দের। যারা বাগান করতে পছন্দ করেন, বিশেষত টবে, তাদের জন্য কদবেল এক আদর্শ ফল। কদবেলের আকার অনেকটা টেনিস বলের মতো। শরতের শুরুতে কদবেল বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ফলের মন মাতানো স্বাদ বিশেষ করে মহিলাদের ভীষণই পছন্দের।

টবে কদবেল চাষের পদ্ধতি (Farming Process)

মন কাড়া স্বাদের জন্য পাকা কদবেল সবার কাছেই অত্যন্ত প্রিয়। কদবেল গাছে ফুল আসে মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ। তবে ফল পাকতে সময় লাগে সেপ্টেম্বর-অক্টবর। টবে রোপনের জন্য কদবেলের কলমের চারা বেশি ভালো। কলমের চারা থেকে কয়েক বছরের মধ্যে ফুল-ফল ধরে। ছাদের টবে এই গাছের চাষ সহজেই করা যায়। জোড় কলম করে এর কলম তৈরি করা যায়। এ গাছের চাষাবাদ অনেকটা বেলের মতোই।

মাটি তৈরি (Land Preparation)

হাফ ড্রামে অথবা টবে পাঁচ সেন্টিমিটার পুরু করে ইটের খোয়া বিছিয়ে তার ওপর ১০ সেন্টিমিটার বালির স্তর দিতে হবে। ড্রামের তলার দিকে জল বার করে দেওয়ার জন্য ছিদ্র রাখতে হবে। এবার তিন ভাগ দো-আঁশ মাটির সাথে দুই ভাগ গোবর সার, ড্রামপ্রতি ২০০ গ্রাম এমওপি (পটাশ) সার, ২৫০ গ্রাম টিএসপি (ফসফেট) সার, ১ কেজি হাড়ের গুঁড়ো, ৫০ গ্রাম জিপসাম সার, ২০ গ্রাম ম্যাগেনেসিয়াম সালফেট (ম্যাগসাল) সার ও ১০ গ্রাম দস্তা সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ড্রামে বা টবে ভরে হালকা করে জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে এক থেকে দুই সপ্তাহ রেখে দিতে হবে।

ড্রাম বা টবের ঠিক মাঝখানে কদবেলের কলম বসিয়ে কলমের গোড়ার মাটি শক্ত করে চেপে দিতে হবে। কলম লাগানোর পর গাছের গোড়ায় জল দিতে হবে। সোজা ভাবে কলম রাখতে গেলে, গোড়ার কাছাকাছি কাঠি পুঁতে তার সাথে কলম বেঁধে দিলে ভালো। শীতকাল ছাড়া বছরের যেকোনও সময় কদবেলের কলম লাগানো যায়। ছাদের ওপর রোদের মধ্যে কদবেলের গাছ রাখা উচিত। এতে গাছের ভালোই হবে।

ফলন এবং পরিচর্যা (Caring)

কলমের গাছে ফুল ফাল্গুন-চৈত্র মাসে নাগাদ আসে। শরৎকালে ফল পেকে যায়। ডালপালা ফল সংগ্রহ করার সময় কিছু ছেঁটে দেওয়া উচিত। এর ফলে পরের বছর ফলন ভালো হবে। কদবেল গাছে ফুল-ফল ভালো আনার জন্য প্রতি বছর ফল তোলা শেষ হলে গাছের গোড়ার মাটিতে ড্রামপ্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম এমওপি সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার দুই কেজি প্যাকেটের কম্পোস্ট সারের সাথে মিশিয়ে গোড়ার মাটি নিড়িয়ে তার সাথে মিশিয়ে সেচ দিতে হবে।

গাছের বৃদ্ধি ভালো হলে বছরে একবার সার দিলে হবে না। বর্ষাকালের আগেও ঠিক একই ভাবে পুনরায় সার দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে টব বা ড্রামের মাটি যাতে না শুকিয়ে যায়। টবের মাটি কখনো শুকিয়ে গেলে নিয়ম করে সেচ দিয়ে নিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@theagronews.com, theagronewsbd@gmail.com