আসছে কৃষিভিত্তিক সরকারি টিভি চ্যানেল, হাওর-চরে কমিউনিটি রেডিও – জাগোনিউজ২৪.কম
কৃষিভিত্তিক একটি টেলিভিশন চ্যানেল চালু করতে যাচ্ছে সরকার। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করে এই টিভির সম্প্রচার করা হবে। একইসঙ্গে দুর্গম বিবেচনায় সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল এবং নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চালু করা হবে দুটি কৃষিভিত্তিক কমিউনিটি রেডিও।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি তথ্য সার্ভিসের (এআইএস) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের প্রাথমিকভাবে নাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কৃষি টিভি’। এটি ২৪ ঘণ্টাই কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। এই চ্যানেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে কৃষি তথ্য সার্ভিস। সব প্রোগ্রাম তৈরি করবে তারা, তবে সম্প্রচারের কারিগরি দিকটি দেখবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।
আগামী অর্থবছর থেকে চ্যানেলটি চালুর চিন্তা-ভাবনা নিয়ে বিসিএসসিএল এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, কৃষি বিভাগের তরফে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেই তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্প্রচারে যেতে পারবেন।
কৃষি ঐতিহ্যকে ধারণ করে এই চ্যানেলের মাধ্যমে কৃষি তথ্য তুলে ধরা, কারিগরি পরামর্শসহ কৃষককে নানাভাবে সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করা হবে। কৃষকের জন্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানও থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
অপরদিকে বর্তমানে বরগুনার আমতলীতে কৃষিভিত্তিক একটি কমিউনিটি রেডিও রয়েছে। সুনামগঞ্জের দুর্গম হাওরাঞ্চল ও নোয়াখালীর চরাঞ্চলেও কৃষিভিত্তিক কমিউনিটি চালুর বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই দুটি রেডিও চালু করা হলে ওই অঞ্চলের কৃষি উন্নয়নে তা ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বরগুনায় কৃষিভিত্তিক একটি কমিউনিটি রেডিও রয়েছে। আমরা আরও দুটি রেডিও করতে চাই। একটি সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে আরেকটি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষি টেকনোলজি এবং কোনো একটি ফসল চাষ বা ফলের গাছ লাগাতে কী কী করতে হবে—এই ইস্যুগুলো আমরা টেলিভিশনে তুলে ধরতে চাই। এতে কৃষক আরও এগিয়ে যাবে।’
কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, ‘কৃষিভিত্তিক একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশন করার প্রকল্প আমাদের রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করে এই টেলিভিশন চ্যানেলটি সম্প্রচারে আসবে। প্রকল্পটি এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে, এটি এখনো পাস হয়নি। এটি নিয়ে একটি পর্যালোচনা সভা হয়েছে। সেখানে কিছু পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছিল, সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’
তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটা এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) স্বাক্ষর করব। খসড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে। খুব ভালো একটা কাজ হবে এটা। কৃষির সার্বক্ষণিক প্রচারের জন্য কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দেখানোর জন্য টিভি চ্যানেলটি কাজ করবে। আপাতত আমরা এর নাম বলছি ‘কৃষি টিভি’।
প্রাথমিক চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী এই টিভি চ্যানেল ২৪ ঘণ্টাই সম্প্রচারে থাকবে জানিয়ে পরিচালক বলেন, ‘কৃষি হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। এই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে, কৃষির অগ্রগতিকে ধারণ করে কৃষি টিভির মাধ্যমে কৃষককে কারিগরি পরামর্শ, প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ নানা সহায়তা দেয়ার চেষ্টা আমরা করব। কৃষকের বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকবে কৃষি টিভিতে। কৃষিকে কেন্দ্র করেই এই টিভি পরিচালিত হবে।’
‘এ সংক্রান্ত ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। টেলিভিশন চ্যানেলটি আগামী অর্থবছরে চালু করার ইচ্ছা আছে আমাদের’—বলেন কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী।
এআইএসের তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হাসনাৎ বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করে একটি কৃষিভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ স্যাটেলাইট চ্যানেল করতে চাই। বাংলাদেশে এখনো এ ধরনের কোনো টেলিভিশন চ্যানেল নেই। যদিও আমরা বিটিভিতে কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান করছি, সংসদ টিভিতেও অনুষ্ঠান করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের এটা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মিটিং হয়েছে। তারাই মূলত আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। আমাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে। এরপর কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব যাবে তথ্য মন্ত্রণালয়ে।’
‘টেলিভিশন মিডিয়ার তো ব্যাপক একটা ইমপ্যাক্ট আছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এখন বিভিন্ন চ্যানেলে কৃষিভিত্তিক প্রোগ্রাম যায়, সেটা কৃষকের জন্য সঠিক সময় নাও হতে পারে। কৃষকের জন্য উপযোগী প্রোগ্রামটাও হয়তো নাও যেতে পারে। একটা ডেডিকেটেড চ্যানেল থাকলে সেখানে এই সমস্যাগুলো হবে না। এখানে কৃষিভিত্তিক কার্যক্রম, অনুষ্ঠানমালা, সংবাদ, সরকারের কৃষিভিত্তিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমও যাবে। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমাদের গর্ব, এর সুবিধাটাও আমরা নিতে চাইছি। খুব কম খরচে আমরা এটা করব।’
চ্যানেল পরিচালনার ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল বিষয়টি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ নিজেরাই নিয়েছে জানিয়ে জাকির হাসনাৎ বলেন, ‘তারা আমাদের কাজ হালকা করে দিয়েছে। আমরা প্রোগ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকব, প্রোগ্রামগুলো আমরা তৈরি করে দেব। স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ এটা সম্প্রচার করবে। প্রাথমিকভাবে নিজেরা প্রোগ্রাম তৈরির পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমেও প্রোগ্রাম নেয়া হবে।’
কৃষি নিয়ে ভাবেন এমন বরেণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি করার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের সুপারিশ আমরা শুনব, সেই অনুযায়ী চ্যানেলের কার্যক্রম পরিচালনা করব।’
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণকারী বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘(কৃষিভিত্তিক টিভি চ্যানেল করার জন্য) আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত আছি। লাইসেন্স নেয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে আমরা সম্প্রচারে যেতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় প্রোগ্রাম প্রস্তুত করে আমাদের দেবে। সেটা আমরা নিয়ে গাজীপুর থেকে সব জায়গায় ছড়িয়ে দেব। এখনো এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি হয়নি। আমি এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দিকের কাজ সম্পন্ন করলেই হবে। আমরা রেডি আছি, একটি চ্যানেল রেডি করাই আছে।’
হাওর ও চরে কমিউনিটি রেডিও কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কৃষি রেডিও এফএম ৯৮.৮ কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন একমাত্র সরকারি কমিউনিটি রেডিও। এর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এটি দক্ষিণাঞ্চলের সাগরকন্যা বরগুনার আমতলীতে রয়েছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত এ রেডিওটি ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি সম্প্রচার শুরু করে। বর্তমানে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে কমিউনিটির শ্রোতাদের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন আঙ্গিকে অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা, বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা—মোট আট ঘণ্টা অনুষ্ঠান প্রচার হয়। কৃষি রেডিও থেকে মোট ২৫টির মত অনুষ্ঠান বিভিন্ন আঙ্গিকে সম্প্রচারিত হয়।
মূলত কমিউনিটির জনগণ অনুষ্ঠান পরিকল্পনা, নির্মাণ এবং সম্প্রচারে সম্পৃক্ত থেকে কৃষি রেডিওর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষি রেডিও’র শ্রোতাক্লাবের সংখ্যা ২৫টির মতো। সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী কৃষি রেডিও’র শ্রোতার সংখ্যা ৭৫ হাজারের কম নয় বলেও জানিয়েছে এআইএস।
এআইএসের তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হাসনাৎ বলেন, ‘সুনামগঞ্জের হাওর এলাকা ও নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কমিউনিটি রেডিও স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। হাওর সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে, হঠাৎ বন্যা এসে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। সেখানে সাধারণ যোগাযোগও কষ্টকর। এজন্য সেখানে রেডিও থাকলে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। সেজন্যই সেখানে একটি কমিউনিটি রেডিও আমরা করব। সুবর্ণচরেও একই অবস্থা। তাই সেখানেও একটি কমিউনিটি রেডিও করব আমরা। মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেয়া হয়েছে।’
৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে একটি কমিউনিটি রেডিও’র সম্প্রচার হয়ে থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কমিউনিটির লোকজনই সেটা পরিচালনা করে। তাই এই রেডিও বেশ কার্যকর বলেই আমরা মনে করি। ওই সব এলাকায় দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষার জন্য এই রেডিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমরা মনে করি।’
মেহেরপুর: পতিত ও অনুর্বর বেলে মাটির জমিতে চিনাবাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের চাষিরা। ফলন ও বাজার দর ভালো এবং কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন এই এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদামের চাষ।
সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা, শ্যামপুর, টেংগারমাঠ ও গোপালপুর গ্রামের অধিকাংশ জমির মাটি বেলে। ফলে এই এলাকার চাষিরা ধান, গম, পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না।
ধান কাটার পর এ সব জমি সাধারণত পতিত থাকে। এজন্য ৯০ দিনের ফসল হিসেবে অল্প খরচে বাদাম চাষ করছেন এলাকার চাষিরা।
মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার বাদাম চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। এবার এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে চাষিদের খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা সেক্ষেত্রে বাদামের ফলন হয়েছে ৬ থেকে ৭ মণ। আর এ ফলনে প্রায় ২০ হাজার টাকা ঘরে তুলছেন তারা। বাজারে প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ২৭শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের বাদাম চাষি খাঁজা আহমেদ, কাওছার আলী ও ফিরোজ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এলাকার মাটি বেলে হওয়ায় সাধারণত সবজি, আলু ও অন্যান্য ফসল চাষ করার পর জমি পতিত থাকে। সে সময়ে চিনা বাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে খরচ কম এবং উৎপাদন ও বাজার দর ভাল। তাই দিন দিন চাষিরা তাদের পতিত জমিতে চিনা বাদামের চাষ শুরু করছেন।
এছাড়া বাদাম ছাড়ানো, শুকানোসহ যাবতীয় কাজ করে থাকেন এখানকার নারীরা। বাদামের গাছ আবার শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করছেন গৃহিণীরা।
নারী শ্রমিক সাহানা খাতুন ও জরিমন নেছা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাদাম ছাড়ানো ও শুকানোর কাজ করে থাকি। এলাকার ২৫/৩০ জন নারী শ্রমিক এ কাজ করে আসছেন। গৃহিণী সাজেদা খাতুন ও জামেলা খাতুন জানান, বাদামের লতা জালানি হিসেবে বেশ ভাল। তাই লতাও বিক্রি হচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, চিনা বাদামের চাষ সাধারণত পতিত জমিতে হয়ে থাকে। এলাকার চাষিরা এই জমিতে বাদামের চাষ করে বাড়তি আয় করছেন। তাই বাদাম চাষ যাতে আরও সম্প্রসারিত হয় সেজন্য কৃষি বিভাগ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে।
সিলেট বিভাগের উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিক জমিতে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানিরা মৌলভীবাজারের আকবরপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন। এ ফুল চাষ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, যশোরে বাণিজ্যিকভাবে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়। যার বাজার দর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। যশোরের ফুল সারাদেশের পাশাপাশি সিলেটেও আসে প্রচুর। সিলেটে ফুলের বাজার শত কোটি টাকার উপরে। কিন্তু সিলেটে ফুলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে হয় না।
সিলেট বিভাগের মাটি অ্যাসিডিক হওয়ায় ফুল চাষ করা যাবে না, সেটাই ছিল প্রচলিক ধারণা। কিন্তু এ ধারণাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে ভুল প্রমাণ করেছেন মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের একদল গবেষক। মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিটিক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন তারা। এ পরীক্ষামূলক চাষে ফলনও হয়েছে ভালো। তাই সিলেট অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলে অনেক জায়গা অনাবাদি ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। প্রবাসীরা দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাদের অনেক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। এ জমিকে আবাদের আওতায় আনতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের উদ্যোগ নিয়ে আগ্রহী ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আমন ধান কাটার পর এ অঞ্চলের অনেক জমি পতিত থাকে। ফলে ফুল চাষ করে অনাবাদি জমি থেকে কোটি টাকা উপার্জন সম্ভব।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিরানা আক্তার সুমি জানান, চাষিরা প্রশিক্ষণ শেষে অনেক কিছু শিখেছেন। কী পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হয়, তা জেনেছেন। ধানের চেয়ে যেহেতু ফুলের দাম বেশি, তাই ফুল চাষে তাদের আগ্রহ বাড়ছে।
ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সরফ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভালোভাবে জমি চাষ করে নির্দেশিত মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়। অন্য ফসলের মতোই এর চাষ পদ্ধতি সহজ। বেড তৈরি করে ফুল চাষ করতে হয়। প্রতিটি বেডের দৈর্ঘ যে কোন মাপের হতে পারে। তবে প্রস্থে ১.২-১.৫ মিটার হলে ভালো।’
তিনি বলেন, ‘কলম (বীজ) লাগানো থেকে তিন মাস পর স্টিক সংগ্রহ শুরু হয়। সংগ্রহ করা যাবে পরবর্তী ২৫ দিন। গ্লাডিওলাস ৫টি জাতসহ মোট ১২টি প্রজাতির ফুলের পরীক্ষা করে আমরা সফল হয়েছি।
সবুজ বিপ্লবের সময়ে পেস্টিসাইড ব্যবহারকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জীব বৈচিত্র্য, মাটির স্বাস্থ্য ও ফসলের গুণমানতা। এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে, এত রাসায়নিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করা কি ঠিক হচ্ছে? এ প্রশ্ন শুধু ভারতে নয়, সারাবিশ্বের কৃষকসমাজ ও শস্যবিজ্ঞানীদের কাছে। তাই মনে হয় জৈব নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে সুসংহত রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণ আগামী দিনে একমাত্র সমাধানের রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
চলমান খরিফ মরসুমে আমাদের রাজ্যে প্রধানত ধান, খরিফ পেঁয়াজ, জুট, ইক্ষু, তিল ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়ে থাকে। এ রাজ্যে ধানে ঝলসা রোগের আক্রমণ একটি গুরুতর বিষয়।
জৈব পদ্ধতিতে এই রোগ দমন করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। ৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেলে ৮৫ গ্রাম থেঁতলানো রসুন মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ৯৫০ মিলি. জল ও ১০ মিলি. তরল সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে বোতলে রেখে দিতে হবে। ১৯ লিটার জলের সাথে ১ ভাগ মিশ্রণ মিশিয়ে সকালে/বিকেলে স্প্রেয়ার দিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করতে হবে।
এই মিশ্রণটি আমেরিকান বোল ওয়ার্ম, আর্মি ওয়ার্ম, পেঁয়াজ-এর চিরুনি পোকা, আলুর টিউবার মথ, রুট নট নিমাটোড (কৃমি), আখের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, ডাউনি মিলডিউ ও ধানের ঝলসা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।
এছাড়া বিভিন্ন ধরণের পাতা খেকো পোকা ও জাব পোকা নিয়ন্ত্রণে ১ কেজি পেঁয়াজ থেঁতো করে ১ লিটার জলের সাথে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দেবার পর কচলিয়ে রস নিংড়ে নিতে হবে। প্রাপ্ত নির্যাসের সাথে ১০ লিটার জল মিশিয়ে আক্রান্ত ফসলে স্প্রে করতে হবে।
জৈব সার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার, শাকসব্জী ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম-এর সাথে অণুখাদ্যের যোগান দেয়।
জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকগুলি ফসলে কোনওরকম দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ব্যতিরেকে, পোকা ও রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উর্বরতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।
বন্ধুপোকা মাকড়ের (পরজীবি ও পরভোজী) সংরক্ষণের জন্য জমির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় ত্রিধারা, উঁচুটি, শালিঞ্চে ইত্যাদি আগাছা জাতীয় গাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে রাসায়নিক কৃষি বর্জন করে প্রাণ বৈচিত্র্য নির্ভর জৈব কৃষির মাধ্যমে খাদ্যে সার্বভৌমত্ব আনা সম্ভব। তাই জৈব কৃষির পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে কৃষিবিষমুক্ত, স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয়।
চা পানীয়টি আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়। প্রিয়জনের সাথে বৈঠক থেকে শুরু করে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করা সবেতেই চা (Tea) আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবে এখন মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশী স্বাস্থ্য সচেতন। সাধারণ চায়ের জায়গায় এসেছে, গ্রীণ টি, হার্বাল টি, লেমনগ্র্যাস টি, ব্লু টি ইত্যাদি। আর প্রকারভেদের সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে টি ব্যাগের গুরুত্ব। কারণ এটি খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এবং যে কোন স্থানে এর থেকে চা বানানো যায়। অফিস ও হোটেলগুলিতে এর যথেষ্ট চাহিদাও রয়েছে। তাই টি ব্যাগ তৈরীর ব্যবসাটি হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য লাভদায়ক।
চা উৎপাদনকারী দেশ গুলির মধ্যে অংশ নেয় চীন, ভারত , কেনিয়া , শ্রীলঙ্কা , জাপান , ইন্দোনেশিয়া , ভিয়েতনাম, তানজেনিয়া , মালয়, বাংলাদেশ, তার্কী এবং চা পানকারী দেশ গুলির মধ্যে ইংল্যান্ড, জর্মানী, কানাডা ও আমেরিকার বেশ নাম রয়েছে।
এ কারণে বেশিরভাগ সংস্থা টি ব্যাগ বিক্রি শুরু করেছে। আপনি যদি নতুন ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে আপনি টি ব্যাগ মেকিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটির মাধ্যমে আপনি খুব ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যিনি তৈরী করেন, তার থেকে নিয়ে এসে আপনি বাইরে বিক্রি করতে পারেন, এতে আপনার বিনিয়োগের দরকার পড়বে না। কিন্তু যদি বেশী লাভ করতে চান, তবে বিনিয়োগ করে নিজের ব্যবসা শুরু করুন।
টি ব্যাগ ব্যবসা শুরু করার জন্য জায়গা (How to start) –
এটি শুরু করার জন্য আপনি কোনও জায়গা ভাড়া নিতে পারেন। আপনার নিজের জমি থাকলে ব্যবসার জন্য সুবিধা হবে। এমন জায়গা চয়ন করুন, যেখানে মানুষের সমাগম রয়েছে। টি ব্যাগ তৈরীর জন্য আপনাকে মেশিন ইনস্টল করতে হবে।
চা ব্যাগ ব্যবসায় বিনিয়োগ –
আপনি যদি বড় আকারে ব্যবসা শুরু করতে চান, তবে আপনাকে বেশী অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। এর মেশিনটি যথেষ্ট ব্যয়বহুল, সুতরাং বেশী পরিমাণ রাশি বিনিয়োগের দরকার রয়েছে এই ব্যবসায়, তবে আপনি যদি ব্যাংক থেকে লোণ নেন, তবে আপনি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
চা ব্যাগ তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল –
ফিল্টার পেপার –
এর ভিতরে চায়ের পাতা স্টোর করতে হবে। এই কাগজটি সুক্ষ ছিদ্রযুক্ত এবং পাতলা, পাশাপাশি সহজে ভিজে যায় না, তাই এই কাগজটি চা ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
চা পাতা –
আপনি যেমন প্রকারের ব্যাগ বিক্রি করতে চান, তেমন চা পাতা কিনতে হবে।
বিভিন্ন প্রকারের চা –
সাধারণ চা, গ্রীণ টি, উলং টি, ব্ল্যাক টি, হার্বাল টি
চা ব্যাগগুলিতে চা পাতা পূরণ করার প্রক্রিয়া –
চা ব্যাগ তৈরীর মেশিনের সাহায্যে প্রস্তুত চা পাতাগুলি ফিল্টার পেপারে পূরণ করতে হয়। সাধারণত প্রায় ২-৪ আউন্স চা পাতা একটি টি ব্যাগে ভরা হয়। এর পরে, একটি প্যাকিং মেশিনের সাহায্যে ব্যাগটি সিল করা হয়। টি ব্যাগের সাথে একটি সুতো সংযুক্ত থাকে।
চা ব্যাগ ব্যবসায় থেকে লাভ –
আপনি চায়ের পাতার গুণমান অনুযায়ী ব্যাগের দাম নির্ধারণ করতে পারেন। এই ব্যবসা থেকে খুব ভাল লাভ করা যায়। এর আরও বিক্রয়ের জন্য, আপনি বাজারে পাইকারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এগুলি ছাড়াও আপনি হোটেল বা অফিসের লোকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এই ব্যবসা আপনাকে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন দিতে পারে।
ছেলে থেকে বুড়ো সবারই প্রিয় টক ঝাল কদবেল। কদবেলের আচার, কদবেল মাখা সকলেরই অত্যন্ত পছন্দের। যারা বাগান করতে পছন্দ করেন, বিশেষত টবে, তাদের জন্য কদবেল এক আদর্শ ফল। কদবেলের আকার অনেকটা টেনিস বলের মতো। শরতের শুরুতে কদবেল বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ফলের মন মাতানো স্বাদ বিশেষ করে মহিলাদের ভীষণই পছন্দের।
টবে কদবেল চাষের পদ্ধতি (Farming Process)
মন কাড়া স্বাদের জন্য পাকা কদবেল সবার কাছেই অত্যন্ত প্রিয়। কদবেল গাছে ফুল আসে মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ। তবে ফল পাকতে সময় লাগে সেপ্টেম্বর-অক্টবর। টবে রোপনের জন্য কদবেলের কলমের চারা বেশি ভালো। কলমের চারা থেকে কয়েক বছরের মধ্যে ফুল-ফল ধরে। ছাদের টবে এই গাছের চাষ সহজেই করা যায়। জোড় কলম করে এর কলম তৈরি করা যায়। এ গাছের চাষাবাদ অনেকটা বেলের মতোই।
মাটি তৈরি (Land Preparation)
হাফ ড্রামে অথবা টবে পাঁচ সেন্টিমিটার পুরু করে ইটের খোয়া বিছিয়ে তার ওপর ১০ সেন্টিমিটার বালির স্তর দিতে হবে। ড্রামের তলার দিকে জল বার করে দেওয়ার জন্য ছিদ্র রাখতে হবে। এবার তিন ভাগ দো-আঁশ মাটির সাথে দুই ভাগ গোবর সার, ড্রামপ্রতি ২০০ গ্রাম এমওপি (পটাশ) সার, ২৫০ গ্রাম টিএসপি (ফসফেট) সার, ১ কেজি হাড়ের গুঁড়ো, ৫০ গ্রাম জিপসাম সার, ২০ গ্রাম ম্যাগেনেসিয়াম সালফেট (ম্যাগসাল) সার ও ১০ গ্রাম দস্তা সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ড্রামে বা টবে ভরে হালকা করে জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে এক থেকে দুই সপ্তাহ রেখে দিতে হবে।
ড্রাম বা টবের ঠিক মাঝখানে কদবেলের কলম বসিয়ে কলমের গোড়ার মাটি শক্ত করে চেপে দিতে হবে। কলম লাগানোর পর গাছের গোড়ায় জল দিতে হবে। সোজা ভাবে কলম রাখতে গেলে, গোড়ার কাছাকাছি কাঠি পুঁতে তার সাথে কলম বেঁধে দিলে ভালো। শীতকাল ছাড়া বছরের যেকোনও সময় কদবেলের কলম লাগানো যায়। ছাদের ওপর রোদের মধ্যে কদবেলের গাছ রাখা উচিত। এতে গাছের ভালোই হবে।
ফলন এবং পরিচর্যা (Caring)
কলমের গাছে ফুল ফাল্গুন-চৈত্র মাসে নাগাদ আসে। শরৎকালে ফল পেকে যায়। ডালপালা ফল সংগ্রহ করার সময় কিছু ছেঁটে দেওয়া উচিত। এর ফলে পরের বছর ফলন ভালো হবে। কদবেল গাছে ফুল-ফল ভালো আনার জন্য প্রতি বছর ফল তোলা শেষ হলে গাছের গোড়ার মাটিতে ড্রামপ্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম এমওপি সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার দুই কেজি প্যাকেটের কম্পোস্ট সারের সাথে মিশিয়ে গোড়ার মাটি নিড়িয়ে তার সাথে মিশিয়ে সেচ দিতে হবে।
গাছের বৃদ্ধি ভালো হলে বছরে একবার সার দিলে হবে না। বর্ষাকালের আগেও ঠিক একই ভাবে পুনরায় সার দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে টব বা ড্রামের মাটি যাতে না শুকিয়ে যায়। টবের মাটি কখনো শুকিয়ে গেলে নিয়ম করে সেচ দিয়ে নিতে হবে।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন