শুনতে অসম্ভব মনে হলেও, কিছু কিছু খাবার আছে যে গুলি খেলে পেট ভরে কিন্তু ক্যালরি বাড়ে না। যেমন-
আলু : অনেকেই উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে আলু খেতে চান না। ভাজা ছাড়া যেকোনো ভাবে রান্না করলেই আলু থেকে প্রচুর পুষ্টি পাওয়া যায়। এতে থাকে দ্রবণীয় ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়। কম ক্যালরি পূর্ণ এ খাবারটি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা অনুভূত হয়। ফলে ওজনও বাড়ে না। বিশেষ করে সিদ্ধ আলু খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
ডিম সিদ্ধ : ডিম, বিশেষ করে ডিমের কুসুম কোলেস্টেরল, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যদিও ডিমে কোলেস্টেরল আছে তারপরও এটি খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে না। এছাড়া, ডিম সম্পূর্ণ একটি প্রোটিন যাতে নয় ধরনের অ্যামিনো এসিড আছে। যারা নিয়মিত সকালের নাস্তায় ডিম খান তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওটমিল : ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। বিভিন্ন ফল, বাদাম মিশিয়ে ওটমিল খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হয়। এ কারণে এটি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
সবজির স্যুপ : অনেকের মতে, স্যুপ খেলে তাৎক্ষণিকভাবে পেট ভরে। তবে কিছুক্ষণ পরেই ক্ষুধা অনুভূত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, উপকরণ ঠিক হলে স্যুপ খেয়েই অনেক সময় থাকা যায়। বিশেষ করে বিভিন্ন রকম সবজি মিশিয়ে ঘন করে স্যুপ তৈরি করলে ক্যালরি বাড়ে না।
আপেল : আপেলে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার হজমে সহায়তা করে। প্রতিটি আপেলে শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ পানি থাকে। এ কারণে এটি খেলে পেট ভরা অনুভূত হয় কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ হয় না।
মাছ : কিছু কিছু সামুদ্রিক মাছ আছে যে গুলিতে খুব কম পরিমাণে ফ্যাট কিন্তু উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে। এ গুলো খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। সেই সঙ্গে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও থাকে না।
পপকর্ন : অনেকেই হালকা নাস্তা হিসেবে পপকর্ন খেতে পছন্দ করেন। ফাইবারযুক্ত এ খাবারটি পেট ভরায় কিন্তু ওজন বাড়ায় না। তবে মাইক্রোওভেনে গরম করা ক্রিম কিংবা লবণযুক্ত পপকর্ন শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
যারা ওজন কমাতে চান নিয়মিত খাদ্য তালিকায় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার এবং পানিযুক্ত খাবার রাখা উচিত। এছাড়া কম ক্যালরিযুক্ত এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন